নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
বাংলাদেশে আসার পর থেকে মানুষের মুখে মুখে দেশের বড় বড় সুপারশপের কথা শুনে অভ্যস্ত। কিন্তু কেন যেন এসব সুপার শপে যাওয়ার আগ্রহ কখনো হয়নি। যদিও রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়ার পথে কয়েকটি সুসজ্জিত শপ চোখে পড়ে, তারপরেও কেনাকাটার উদ্দেশ্যে শপগুলো ভিজিট করিনি। গত কিছুদিন আগে অনেকটা কৌতুহলবশতঃ একটি নামকরা সুপারশপে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য যতটুক না শপিং করা তার চেয়ে বেশী শপ দর্শন। শপটিকে বাইরে থেকে যেমন দৃষ্টিনন্দন ও সজ্জিত মনে হয়েছিল, ভেতরে ঢোকার পর তেমনটা মনে হয়নি। নামে সুপারশপ হলেও দোকানের সাইজ মোটেও "সুপার শপ" সুলভ নয়। অনেকটা বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মতো। শপটিতে নেই কোন ট্রলি ও পার্কিং সুবিধা।
একটি বিদেশী অলিভ অয়েলের টিনের কৌঠা হাতে নিয়ে দেখি সুপার শপের লোগোতে দাম ১৮০ টাকা। একটু নাড়াচড়া করতেই কৌটার নীচে বাংলাদেশেী আমদানীকারকের লোগোতে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দেওয়া আছে ১৫৫ টাকা। হায় হায় তাহলে এরা ২৫ টাকা বেশি নিচ্ছে! সুপারশপে ঘুরতে ঘুরতে আর কিছু পণ্যের দামেও গড়মিল চোখে পড়ল। একটি বিদেশী বডি স্প্রের মূল্য দেওয়া আছে ৩৪০ টাকা, অথচ বাইরের দোকানগুলোতে এর দাম ২৬০-২৮০ টাকার মধ্যে। কাঁচা শাক-সব্জি, মাছ-মাংসের দামও তুলনামূলকভাবে বেশি মনে হল।
প্রায় বিশ-পঁচিশ মিনিট ঘোরাঘুরি করে কেনাকাটা না করেই বাইরে চলে আসি। বাসায় আসার পথে অনেকটা কৌতুহল বশতঃ গলির মুখের পরিচিত এক মোদি দোকানে সুপার শপে দেখা একই অলিভ অয়েলের একটি কৌটার দাম জানতে চাইলে দোকানী ১৫০ টাকা চাইলেন। কিন্তু উনার সাথে দরদাম করতেই দাম নেমে আসল ১৩০ টাকায়! দোকানি বল্লেন, আপনি পরিচিত মানুষ তাই স্পেশাল ডিসকাউন্ট! অবাক হলাম সুপারশপটি একটি অলিভ ওয়েলের কৌটা থেকে ক্রেতাদের পকেট কেটে ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে? বাড়তি হিসাবে আছে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট!) ঝামেলা। যদিও সাইনবোর্ডে সুপার শপটির স্লোগান লেখা ছিল "ন্যায্য মূল্যে শ্রেষ্ট পণ্য"। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম ঠিক উল্টো!
বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে সুপার শপের যাত্রা শুরু হলেও উন্নত বিশ্বে এর শুরু অনেক অনেক বছর আগে। ১৯১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিনসেন্ট এস্টোর "এস্টোর মার্কেট" নামে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে একটি সুপারশপ খোলেন। তবে মূলতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী সুপার মার্কেটের ধারণা ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে শিল্পোন্নত ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে। সময়ের সাথে সাথে মানুষের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিভিন্ন দোকান থেকে ঘুরে ঘুরে যাচাই করে কেনা কঠিন হয়ে পড়ে। এটা অনেক সময় সাপেক্ষ এবং বিরক্তিকরও বটে। বিশেষ করে যে পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দু'জনই কর্মজীবী তাদের জন্য বাজারে ঘুরে ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা বেশ কষ্টকর।
আসলে একই ছাদের নীচে মানুষের প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্য সামগ্রী, বিশেষ করে গ্রোসারী পণ্য পাওয়ার প্রয়েজনীয়তা থেকেই সুপারশপের যাত্রা শুরু হয়। উন্নত দেশগুলোতে গত প্রায় পঞ্চাশ বছর থেকে সুপার মার্কেটগুলো সুনামের সাথে ব্যবসা করলেও আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অল্প কয়েক বছর থেকে এর যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর এসব দোকানের চাহিদা প্রায় ৮%-১০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বিশ বছরে দেশের অন্তত ২০% মানুষের কেনাকাটার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্লেস হবে সুপার শপগুলো।
মনে আছে লন্ডনে যাওয়ার দুই-তিনদিন পর আমার এক আত্মীয়ের সাথে টেস্কো (tesco) সুপারস্টোরে গিয়েছিলাম। দেখে তো চোখ ছানাবড়া। --বি--শা--ল-- বড় শপ। একটি শপ এতো বড় হতে পারে! ব্যাপারটা আমার কাছে অবিশ্যাস্য মনে হল। না দেখলে হয়ত কখনো কল্পনায় আসত না। সুপারস্টোরের সামনে বিশাল বড় কার পার্ক, এক সাথে এক-দেড় হাজার গাড়ি অনায়াসে পার্কিং করা যায়। শপের ভেতরে মানুষের প্রয়োজনীয় এমন কোন আইটেম নেই যা তাদের সংগ্রহে থাকে না। শুধু মানুষ কেন? পশু পাখির খাদ্য থেকে শুরু করে বাড়ি গাড়ি, গাছপালার প্রয়োজনীয় সব উপাদান, কিছুই বাদ যায় না এসব সুপারশপে।
শেলফে থরে থরে হাজার হাজার আইটেম সুশৃংখলভাবে সাজানো আছে। শপটির একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত দেখা যায় না। ক্রেতারা যাতে প্রয়োজনীয় সব আইটেম সহজে পেতে পারে সেজন্য আছে সদাহাস্যজ্বল সেলসম্যান। এক সাথে শত শত মানুষ এসব সুপারস্টোরে অনায়াসে শপিং করতে পারে। পেমেন্টের সময় ক্রেতাদের যাতে অপেক্ষা করতে না হয় সেজন্য আছে অন্তত ত্রিশ-পয়ত্রিশটি পেমেন্ট পয়েন্ট। ক্যাশ কাউন্টারে কাজ করা কর্মীরা খুবই দক্ষ, স্মার্ট, হেল্পফুল এবং ভদ্র। তবে বাংলাদেশী প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, মশলাপাতি, দেশী মাছ ইত্যাদির জন্য আছে আলাদা বড় বড় ক্যাশ এন্ড ক্যরি। ইংল্যান্ডের সব শহরেও এখন বাংলাদেশি ক্যাশ এন্ড ক্যারি আছে। শুধু লন্ডনেই আছে কয়েক'শো।
টেস্কোর (Tesco) পাশাপাশি ইউ কে-তে আছে সেইন্সবারি (Sainsbury's), আজদা (ASDA), ওয়েইটরোজ (Waitrose), মরিসন (Morrison) ও আলডি'র (Aldi) মত বড় বড় সুপারস্টোর। ASDA হল আমেরিকার বিখ্যাত চেইন সুপার মার্কেট Walmart এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এসব সুপারস্টোরের বেশিরভাগই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। আমি সব সময় ASDA থেকে শপিং করতাম, বিশেষ করে ইস্ট লন্ডনের ভেকটন আজদায়। মাঝারি মাপের স্টোরগুলোর মধ্যে আছে "মার্কস এন্ড স্পেনসার'' (Marks & Spencer), লিডল (Lidl), কো-অপারেটিভ (Co-operative), আইসল্যন্ড (Iceland), নাইনটি নাইন পি (99p), পাউন্ডল্যান্ড (Poundland) ইত্যাদি। এসব সুপারস্টোরগুলো এত কম্পিটেটিভ্ হয় যে, তারা সর্বনিম্ন দামে সবচেয়ে ভালো পণ্যটি ক্রেতাদের কাছে সবার আগে পৌছে দিতে চায়। ফলে সাধারন ক্রেতারা লাভবান হয়।
আমার কাছে সবচেয় অবাক লেগেছে এসব সুপারস্টোরগুলোর পণ্যের দাম দেখে। সুপারশপ থেকে ক্রেতারা ছোট ছোট দোকানগুলোর চেয়ে অন্তত ১৫-২০% কম দামে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে। উইকএন্ডে (শনি ও রবিবার) এসব সুপারস্টোরে প্রচন্ড ভীড় থাকে। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে সপ্তাহের বাজার গাড়ি ভরে নিয়ে যায়। যাদের নিজস্ব গাড়ি নেই তাদের জন্য থাকে পাবলিক বাসের সুবিধা। আরেরকটি তথ্য দিয়ে রাখি, ইংল্যান্ডে কিছু কিছু কোম্পানি বেতন প্রতি সপ্তাহান্তে পরিশোধ করলেও বৃহৎ কোম্পানিগুলো মাস শেষে বেতন পে করে। অনেকে ফ্যামেলি নিয়ে বাজার করতে আসেন তাই এসব সুপারস্টোরকে কেন্দ্র করে চা কফি এমনকি অনেক খাবারের রেস্টুরেন্ট থাকে। স্টোরগুলোতে পণ্যের গুণগত মানে কোন ছাড় নাই। ভেজাল ও মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য এসব সুপারস্টোরে পাওয়া কল্পনাতীত। আর সব সময় কোন না কোন পণ্যের মূল্য ছাড় থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে সম্পূর্ণ বিপরীত। বাংলাদেশে যত বড় শপ তত বেশী দাম! একতো বাড়তি দাম তার উপর দেশের অনেক সুপারশপে ভেজাল, মেয়াদত্তীর্ণ ও নিম্মমানের পণ্য রাখা হয় বলে অভিযোগ আছে।
!!!------------বাংলাদেশের ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় বলা হয়েছে, "কোন ব্যক্তি কোন আইন বা বিধির নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোন পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন"।--------------!!!
অতএব আইনগত ভাবে বেশী দাম নেওয়া এসব সুপারশপের মালিকরা দন্ডিত হওয়ার কথা। অনেক সময় ভ্রাম্যমান আদালত শুধু অর্থদন্ড করেই দায়িত্ব শেষ করে। পণ্যের গায়ে যে দাম থাকে তাই একটি পণ্যের সর্বোচ্ছ খুচরা মূল্য। তাই ভ্যাট হিসেবে আমাদের দেশে সুপার শপগুলো ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত যে টাকা নেয় তা আইন বহির্ভূত ও অনৈতিক। কারণ প্রত্যক্ষ কর ক্রেতা দেয় না, বিক্রেতাকেই দিতে হয়। যা পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত। ইদানিং দামী খাবারের দোকানগুলোও ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করছে। যা অবিশ্যাস্য, অকল্পনীয়।
দেশটা যেন মগের মুল্লুক!!
.........দেখার কেউ নেই।
কিছুদিন আগে মাছের বাজারে দুইটি মাঝারি আকারের রুই মাছের দাম চেয়েছে ১৮০০ টাকা। যদিও মাছগুলোর বাজারমূল্য ৮০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। এরা ক্রেতাদের চেহারা বুঝে দাম বলে। অপরিচিত ও ভাল পোষাকের কাস্টমার হলে দামটা বাড়িয়ে বলে। এদের সাথে বেশী দামাদামি করলে অনেক সময় অপমাণিত হতে হয়। মহিলা ক্রেতাদের জন্য মাছ-তরকারী ক্রয় করা আরো বেশি দুঃসাধ্য কাজ। অনেক সময় তাদের বিব্রতকর পরিস্তিতির মুখোমুখি হতে হয়। মাছ বাজারের অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, চিল্লাচিল্লি, ঠেলাঠেলি ও প্রচন্ড দুর্গন্ধে বাজারটিকে নরক মনে হয়। বাজারে নেই মনিটরিংয়ের কোন ব্যবস্থা। বিক্রেতারা ইচ্ছা মাফিক দাম নির্ধারন করে। এক দিনের ব্যবধানে কখনো দ্বিগুন দাম বৃদ্ধি পায়! এজন্য সুপারশপে ন্যায্য মূল্যে মাছ-মাংস থাকলে ক্রেতারা অযথা দামাদামি করা থেকে মুক্তি পেতেন। বিশেষ করে মহিলা ক্রেতাদের হয়রানি কিছুটা কমতো।
সময়ের পরিক্রমায় সুপারশপের প্রয়োজনীয়তা আমাদের দেশেে এখন অপরিহার্য। যে কোন নতুন ব্যবসা/সেবার শুরুতে একটু বিশৃঙ্খল পরিবেশ থাকে। এজন্য বাংলাদেশে শুরু হওয়া সুপারশপের ক্ষেত্রেও তা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস অল্প কয়েক বছরের মধ্য সুপারশপগুলো আরো পেশাদারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাস্টমার সার্ভিস দেবে। অনিয়মগুলো দূর হবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সঠিক নীতিমালা ও যথাযত নজরদারি। সুপার শপগুলোর মালিকদের আরো বেশি ক্রেতাবান্ধব মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। আইন করে মানুষকে ভাল করা যায় না। দরকার ব্যবসায়িক সততা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা। সুপারশপের পরিধি যত বড় হবে মানুষের কর্মসংস্থানও পাল্লা দিয়ে বাড়বে। এতে বেকারত্ব কমবে। দেশেের অর্থনীতিতে গতি আসবে।।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, শুভ সকাল। আপনি ডিকাউন্টের যে কথা বলেছেন তা পৃথিবীর সব বিগ সুপারশপগুলোতে নিয়মিত দেয়া হয়। এজন্য অনেক সাধারন ক্রেতা প্রতিদিন শপে গিয়ে এসব ডিকাউন্টেড পণ্য খোঁজেন। তবে ডিসকাউন্টেড পণ্য মানে মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে বা কোয়ালিটি খারাপ হয়ে গেছে এমন কিছু না।
২| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৪
ওমেরা বলেছেন: উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করলে কষ্ট পেতে হবে। কাজেই তুলনা করবেন বাংলাদেশের চেয়ে অউন্নত দেশের সাথে মনে শান্তি লাগবে । আমি যখন এখানে ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন আমার সাথে একটা আফগানিস্তানের মেয়ে পড়ত । মেয়েটা তার দেশের গল্প বলত একদিন সে বলতেছে জানো, আমাদের দেশে স্কুল নেই, মানে কোন বিল্ডিং বা ঘর নেই , কোন চেয়ার টেবিলও নেই , আমরা খোলা জায়গায় গাছের নীচে বসে ক্লাস করতাম। তখন আমার খুব ভাল লাগত এটা ভেবে যে, আমি তো ওর চেয়ে একটা ভাল দেশ থেকে এসেছি ।
ধন্যবাদ।
১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার ফর্মূলাটা তো চমৎকার। এটা ভাবলে আসলেই হতাশা আসবে না। বরং আমরা বেশ প্রাউড করবো আমাদের সুপারশপগুলোকে নিয়ে!! বিষয়টি আমার বিবেচনাধীন আছে।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:২২
স্বরবর্ণ ব্লগ বলেছেন: বেশ মজা লাগলো।
১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, বিষয়টি মজার। পাশাপাশি হতাশারও বটে।
৪| ১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫৫
Ahmed Sabbir বলেছেন: "আঈন করে মানুষকে ভালো করা যায় না। দরকারর ব্যবসায়ীক সততা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা"। চেতনায় শাণ যন্ত্রের আঁচড় পড়ল।অবশ্যই সকল ব্যবসায়ীদেরকে চৈতয়ীক হতে হবে। ব্যবসায়ীদের মূল্যবোধ ও দায়বদ্ধতা নষ্টের দুটি কারন হলো অর্থাভাব ও অর্থাধিক্য (লোভ)।জাতির মন থেকে লোভ যেদিন সমূলে বিনাশ হবে, সেদিন বহুল কাঙ্খিত সততায় পরিপূর্ণ এক জাতি পাবো। ভাই, লোভ বিনাশের কিছু উপায় জানাইয়েন। পোস্টে A+
১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ব্যবসায়ীদের মূল্যবোধ ও দায়বদ্ধতা নষ্টের দুটি কারন হলো অর্থাভাব ও অর্থাধিক্য (লোভ)। জাতির মন থেকে লোভ যেদিন সমূলে বিনাশ হবে, সেদিন বহুল কাঙ্খিত সততায় পরিপূর্ণ এক জাতি পাবো।"..............
চমৎকার একটি কথা বলেছেন, সাব্বির ভাই। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
৫| ১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কি চিজ তা বুঝা যায় রমজানের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বহর দেখে | সংযমের মাসে এই সকল ব্যবসায়ীদের সংযমের বাঁধ একেবারেই ভেঙে পড়ে ! এর সাথে ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার কোনো তুলনাই হতে পারে না, যেখানে খ্রিসমাসের পূর্বে প্রায় সব সুপার স্টোরেই প্রচুর সেল থাকে | অনেকেই অন্য সময় সামর্থ না থাকলেও ক্রিসমাসের সময়ের এই সেলের সুযোগে অনেক কিছু ক্রয় করতে পারে |
১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:০৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "সংযমের মাসে এই সকল ব্যবসায়ীদের সংযমের বাঁধ একেবারেই ভেঙে পড়ে ! এর সাথে ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার কোনো তুলনাই হতে পারে না, যেখানে খ্রিসমাসের পূর্বে প্রায় সব সুপার স্টোরেই প্রচুর সেল থাকে। অনেকেই অন্য সময় সামর্থ না থাকলেও ক্রিসমাসের সময়ের এই সেলের সুযোগে অনেক কিছু ক্রয় করতে পারে।"........
ঠিক বলেছেন। এর কারণ এদেশে ধর্মটা নিজের মধ্যে ধারণ করার চেয়ে ধর্ম ব্যবসাটা অনেক বেশি হয়।
৬| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৪
তালাচাবি বলেছেন:
"সময়ের পরিক্রমায় সুপারশপের প্রয়োজনীয়তা আমাদের দেশেে এখন অপরিহার্য। যে কোন নতুন ব্যবসা/সেবার শুরুতে একটু বিশৃঙ্খল পরিবেশ থাকে। এজন্য বাংলাদেশে শুরু হওয়া সুপারশপের ক্ষেত্রেও তা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস অল্প কয়েক বছরের মধ্য সুপারশপগুলো আরো পেশাদারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাস্টমার সার্ভিস দেবে। অনিয়মগুলো দূর হবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সঠিক নীতিমালা ও যথাযত নজরদারি। সুপার শপগুলোর মালিকদের আরো বেশি ক্রেতাবান্ধব মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। আইন করে মানুষকে ভাল করা যায় না। দরকার ব্যবসায়িক সততা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা। সুপারশপের পরিধি যত বড় হবে মানুষের কর্মসংস্থানও পাল্লা দিয়ে বাড়বে। এতে বেকারত্ব কমবে। দেশেের অর্থনীতিতে গতি আসবে।"..............
শুভ সকাল, স্যার। আপনি বিভিন্ন উন্নত দেশে আসা-যাওয়ার ফলে সুপার শপ নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন। পাঠকরাও বিষয়টি জানতে পারলেন। এতে সচেতনতা বাড়বে। জনগুরুত্বপূর্ণ ফিচারটি লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। লেখাটি পাঠ করায় খুশি হলাম। শুভ কামনা আপনার জন্য।
৭| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩২
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: হুম দেখলাম।
আসলে কি ভাই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুপারশপের ভালো এবং খারাপ উভয় দিক-ই আছে।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাকিব ভাই, ভাল মন্দ দুটোই আছে। তবে এগুলোকে আরো বেশী পেশাদারী মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
৮| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল কাওসার ভাই। পোষ্টটি সেদিনও পড়েছিলাম, আজও পড়লাম। আপনার দেখার চোখটি অত্যন্ত ভালো। যেকারনে আজও পড়ে সমান ভাল লাগলো। শপিং মলে বেশি দাম দিয়ে কেনাটা আমাদের মধ্য অনেকের একটা স্ট্যাটাসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বলে আমাদের পাতি দোকানগুলির দুশ্চিন্তা করার কারন নেই, কারন দেশের জনগনের বৃহৎ অংশ এখনও দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। এখনও সরকারকে দুটাকা কেজি প্রতি চাল দিতে হয় রেশনে। সুতরাং কিছু মানুষ তো থাকবেই উভয় কুলকে বাঁচাতে এটাই আমাদের আশার।
অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় কাওসার ভাইকে।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।
"শপিং মলে বেশি দাম দিয়ে কেনাটা আমাদের মধ্য অনেকের একটা স্ট্যাটাসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বলে আমাদের পাতি দোকানগুলির দুশ্চিন্তা করার কারন নেই, কারন দেশের জনগনের বৃহৎ অংশ এখনও দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। এখনও সরকারকে দুটাকা কেজি প্রতি চাল দিতে হয় রেশনে।"........
আমাদের উপমহাদেশীয় আদলে কথাটি চরম সত্য। তার মূল কারণ হলো, অতি দরিদ্র পরিবারগুলোতে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। এজন্য এ মানুষগুলোর ভাগ্যের চাকা সহজে ঘুরে না।
দিনটা ভাল কাটুক, এই কামনায়।
৯| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আমাদের দেশের এগুলোকে তো সুপার সপ বলা চলেনা, চিপার সপ অথবা গলাকাটা সপ বললেই ভালো হয়। সুপার সপে পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কম হওয়ার কথা কিন্তু এরা দাম বেশি নেই সেই সংগে আবার ভ্যাট যোগ করে। সবই ডাকাতী কেউ দেখার নেই!
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের দেশের এগুলোকে তো সুপার সপ বলা চলেনা, চিপার সপ অথবা গলাকাটা সপ বললেই ভালো হয়। সুপার সপে পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কম হওয়ার কথা কিন্তু এরা দাম বেশি নেই সেই সংগে আবার ভ্যাট যোগ করে। সবই ডাকাতী কেউ দেখার নেই!....................
একদম ঠিক কথা বলেছেন। সুপারশপের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো। পণ্যের মানের সাথে সাশ্রয়ী মূল্য থাকতে হয় এসব শপে। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক বিপরীত চিত্র। যত বড় শপ ততো বড় ডাকাতি। কারণ, নীতিহীন ডাকাতরা এসব শপের মালিক হয়। এজন্য এরা নীতির ধার ধারে না।
১০| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরে সুপার শপের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
তবে তারা বাজারের চেয়ে দাম অনেক গুন বেশি রাখে। কিন্তু ভাব দেখায় দাম অনেক কম রাখছে।
বিদেশের সাথে আমাদের দেশের তুলনা না করাই ভালো। কোঠায় রাজ রানী, আর কোথায় বিছনায় মুতনি।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল রাজীব ভাই।
"কোথায় রাজ রানী, আর কোথায় বিছনায় মুতনি!!
চমৎকার মূল্যায়ন। তবে মানসিকভাবে আমরা কিন্তু পশ্চিমা। We love copy............. টাকা হলে,
আমরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে ইংলিশ হতে চাই।
আমরা বারে গিয়ে মদ/বিয়ার গিলি।
মেয়েরা পারলে কাপড় খুলে আধুনিক হই।
বাংলার পরিবর্তে উদ্ভট বাংলিশ বলি।
শপিং করতে লন্ডন, প্যারিস যাই।......... আরো কত কী?
১১| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নিউইয়র্ক সহ আমেরিকান সুপারশপগুলো বাংলাদেশী গার্মেন্টস প্রডাক্টসে বোঝাই। দেখতে ভাল লাগে।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, আমিও শুনেছি। লন্ডনে ASDA-তে দেখেছি বাংলাদেশী গার্মেন্টস। ASDA হলো, Wallmart এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
১২| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুপার শপের নামে যে সুপার চিটারি হচ্ছে তা দেখার কেউ নেই কাওসার ভাই।
তাই নিজেদেরকেই সচেতন হয়ে পন্য ক্রয় করতে হবে।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, সোহেল ভাই।
"সুপার শপের নামে যে সুপার চিটারি হচ্ছে তা দেখার কেউ নেই কাওসার ভাই।"......
একদম ঠিক বলেছেন। সারা দেশের রাজনীতিবিদ/আমলাদের মত সুপারশপের মালিকরাও বাটপার। পাবলিকের পকেট কাটছে নীরবে।
১৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
মিলটন বলেছেন: আপনার সুন্দর লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। কাষ্টমারের বিভিন্নতার জন্য বিপননটাও বিভিন্ন ভাবে হয়ে থাকে। অনেকটা প্রয়োজনের অনুভব থেকে ঢাকাতে এই সুপার শপ গুলো গড়ে উঠেছে। যেমন ধরেন আমি গত প্রায় ১৫ বছর যাবত এইসব সুপার শপ থেকে বাজার করে আসছি। হ্যা তবে সব প্রোডাক্ট যে কিনি তা কিন্তু নয়। আবার অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন এগুলো বিলাসিতা। কিন্তু হয়ত দেখা যাচ্ছে আমার সময়ের অভাবে আমাকে বাধ্য হয়ে এক ছাদের নিচের এই শপগুলোতে ঢুকতে হচ্ছে। কারণ আমাদের হাতে এত সময় নেই যে কাদা পানি ঘেটে প্রতিদিন ভিড় ঠেলে আমি বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে বাজার করতে পারবো। তাই বাধ্য হয়ে আমি সুপার শপে যাই। তবে সাধারণ বাজারের চেয়ে কিছু কিছু প্রোডাক্টের দাম তো একটু বেশীই হবে। আবার এমনও ব্যাপার আছে বাজারের দামের চেয়ে কোন একটি পণ্য হয়ত কোন একটি বিশেষ সুপার শপে অনেক কম দামে পাবেন। উদাহরণ চাইলেও দিতে পারি। ধন্যবাদ। ভালো লিখেছেন।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মিলটন ভাই, চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে ভাল মানের যদি কোন পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে এসব দোকানে কম হয় তবে তা এক্সেপসনাল। এখনো এসব সুপার শপের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
তবে আমি আশাবাদী, যত দিন যাবে সুপারশপগুলো ততো শৃঙ্খলিত হবে। আরো বেশি ক্রেতাবান্ধব হবে।
১৪| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: কথা তো সত্য। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কিংবা মান ভালো না হলেও কিছু তো করার নেই। সুপারশপ গুলোতে সবকিছু একই ছাঁদের নিচে পাওয়া যায় বলে সেটাই এখন বেশী জনপ্রিয় এবং ঝামেলা মুক্ত। আর খাবার দাবারের সাথে সেখানে যদি জামা-কাপড়, জুতো ও সাজ গোঁজের জিনিস ও পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। আর এ ধরনের শপ গুলোতে উচ্চ বিত্ত শ্রেণীর মানুষরা বেশী যায় বলে দাম নিয়ে তাদের ও চিন্তা নেই। তবে দাম দিয়ে যদি ভালো মাণের কিছু কিনতে না পারলাম তখন তো দুঃখ লাগেই কিছুটা।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের এই সব বিষয় গুলো অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আর এ ধরনের শপ গুলোতে উচ্চ বিত্ত শ্রেণীর মানুষরা বেশী যায় বলে দাম নিয়ে তাদের ও চিন্তা নেই। তবে দাম দিয়ে যদি ভালো মাণের কিছু কিনতে না পারলাম তখন তো দুঃখ লাগেই কিছুটা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের এই সব বিষয় গুলো অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত।"............. যথার্থই বলেছেন।
কথার ফুলঝুরি শুধু কথায় নয়, মন্তব্যেও এক্সপার্ট!! পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা রইলো।
১৫| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
কানিজ রিনা বলেছেন: আমরা বাঙালী গ্রাম শহরে নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে
উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ধনীর বৈশম্য নিত্য উঠানামা
করে। প্রতিদিন হাটতে বেড় হোলে দেখি
রাস্তার বাজারে রিক্সাওয়ালা দিন মজুর তথাপি
ভিক্ষুকরা রাস্তার দুটো একটা মাছওয়ালা
সাক সবজি পাশে ছোটখাটো মূদীদোকান
থেকে চাল তেল ডাল নিত্য প্রয়োজন সারে।
গরীবরা জন খেটে খাওয়া, গার্মেন্স শ্রমিক রাস্তার
বাজার ফুটপাত থেকে দামদর করে কিনতে।
পারে। নিম্ন মধ্যবিত্ত উচ্চ মধ্যবিত্ত শহরে ৬০%
থেকেও বেশী। তারা সুপারসপে যাওয়ার পশ্ন
আসেনা। কখনও উচ্চমধ্যবিত্ত যাইলেও দাম
দেখে ফিরেও আসে।
সুপারসপ গুলতে ধনীলোকের যাতায়াত দামাদর
করা লাগেনা সবকিছুই ফিক্সড মূল্য।
এখন ঈদ আসছে, নতুন জামা কাপর কেউ
কিনবে ফুটপাতে কেউ কিনবে বড় বড় মার্কেটে
ইহাই আমাদের দেশ বাংলাদেশ গরীব নিম্ন
মধ্যবিত্ত উচ্চ মধ্যবিত্ত ৮০% এখানে দূর্গন্ধযুক্ত
মাছ মাংসের সবজির বাজার থেকেই কিনতে
হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছু।
দেশের সুপারসপ গুলর মালিকরা অল্পতে
বড়লোক হতে চায় তাই ছোট ছোট দোকানের
জিনিসের থেকে তাদের জিনিসের দাম বেশী।
এটাই বাংলাদেশ আন্তরজাতীক উন্নতির খাতায়
নাম উঠেছে। এদেশের মানুষ যত শিক্ষিত হচ্ছে
দূর্নীনির শিখরে উঠছে। দূর্নীতিবাজরা বড়লোক
থেকে আরও বড়লোক হচ্ছে। ব্যবসায়ী বলুন
চাকুরীজীবি বলুন সব ক্ষেত্রে দূর্নীতি রন্দ্রে
রন্দ্রে। এখন দূর্নীতির প্রতিযোগীতা বেড়েছে
ভালথাকতে হলে ক্ষমতায় থাকতে দূর্নীতি ছাড়া
চলবে কেমনে? এটা স্বাধীনদেশ দূর্নীতির দেশ।
এত প্রতিযোগীতায় ভালমানুষ গড়ে উঠবে
কেমনে।
লন্ডন আমেরিকা মালোএশিয়ার সাথে তুলনা
করা মানে বোকামী।
ধন্যবাদ আপনার লেখায়
অভিব্যাক্তি প্রকাশ করতে পেরে ধন্য মনেকরি।
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, আপা। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রতিটি কথাই মূল্যবান। শতভাগ সত্যি।
"দেশের সুপারসপ গুলর মালিকরা অল্পতে
বড়লোক হতে চায় তাই ছোট ছোট দোকানের
জিনিসের থেকে তাদের জিনিসের দাম বেশী।
এটাই বাংলাদেশ আন্তরজাতীক উন্নতির খাতায়
নাম উঠেছে। এদেশের মানুষ যত শিক্ষিত হচ্ছে
দূর্নীনির শিখরে উঠছে। দূর্নীতিবাজরা বড়লোক
থেকে আরও বড়লোক হচ্ছে। ব্যবসায়ী বলুন
চাকুরীজীবি বলুন সব ক্ষেত্রে দূর্নীতি রন্দ্রে
রন্দ্রে। এখন দূর্নীতির প্রতিযোগীতা বেড়েছে
ভালথাকতে হলে ক্ষমতায় থাকতে দূর্নীতি ছাড়া
চলবে কেমনে? এটা স্বাধীনদেশ দূর্নীতির দেশ।
এত প্রতিযোগীতায় ভালমানুষ গড়ে উঠবে
কেমনে।"........ একদম বাস্তব একটি কথা বলেছেন।
১৬| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ঐ মিয়া!
দেশের বদনাম করেন ক্যা???
বাজার করতে গেলে হৈচৈ, চিল্লাচিল্লি, ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়ি তো হবেই। আমার তো ভালই লাগতো।।
আপনি জাহাজের মত বড় সুইপার(!) শপে এসি-ডিসির মধ্যে সুন্দরী ললনাদের দেখতে দেখতে বাজার করবেন? আবার দমও কম দিবেন? তাতো হবে না??
দেশে আসুন, আপাকে বলে আপনার ট্যাক্স বাড়ানো হবে!!
১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি জাহাজের মত বড় সুইপার(!) শপে এসি-ডিসির মধ্যে সুন্দরী ললনাদের দেখতে দেখতে বাজার করবেন? আবার দমও কম দিবেন? তাতো হবে না??
দেশে আসুন, আপাকে বলে আপনার ট্যাক্স বাড়ানো হবে!!
সব অপরাধ তো আমার !!!
আপনি মহামাণ্য সুপার শপকে সুইপার শপ বল্লে দেশের বদনাম হয় না??? এটা তো চেতনা বিরোধী, চরম অপমানজনক কথা।
আপনার কী কোন আইডিয়া আছে এসব সুইপার শপের মালিকদের সম্বন্ধে??? রা একেকজন জাতির বিবেক, জনগণের মারাত্মক (চরম) বন্ধু!! দেশে আসলে এ বেয়াবীর জন্য আপনাকে জেলে দেওয়া হবে।
১৭| ১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব ভাল লাগল কাওসার ভাই, বাংলাদেশে সুপারশপ মানে কাষ্টমারের গলা কেটে পয়সা হাসিল করা। সুন্দর পোষ্ট।
১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, তারেক ভাই। আসলে সুপার শপ কী? এর বৈশিষ্ট্য কী হওয়া উচিৎ? তা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ জানেন না। তাই বিষয়টি জানানোর জন্য ফিচারটি লেখা।
১৮| ১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বাংলাদেশে সুপারশপ হোক আর খোলা বাজর হোক
যেখানে সেখানে বাজার করতে পারবো
কিন্তু খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল বা ফরমালিন মেশানো
এই বিষয়টা সবচেয়ে খারাপ দিক।
আশা করি রমজানে এ বিষয় নিয়ে একটা সচেতনমূলক পোষ্ট দিবেন ।
১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল বা ফরমালিন মেশানো
এই বিষয়টা সবচেয়ে খারাপ দিক"।.......
শাহরিয়ার ভাই, ন্যায়সঙ্গত কথা।
১৯| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "কথার ফুলঝুরি শুধু কথায় নয়, মন্তব্যেও এক্সপার্ট* জেনে খুশী হলাম আপনাকেও পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা
১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আশা করি, একদিন কবি হিসাবেও নাম করবেন। অনেক শুভ কামনা রইলো।
২০| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যখন শ্রীলঙ্কার কলম্বোে থাকতাম তখন সেখানে কারগিলস ফুড সিটি, কিলস সুপার, আরপিকো এই সব সুপার শপ দেখতাম। সেখানেও সুন্দর ব্যবস্থা। দাম বাইরের সাথে তুলনা করলে খুব বেশী না। বরং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বেশ কম খরচে আরাম করে বাজার করতাম।
শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে বেশী ধনী নয়। তাদের ব্যবস্থায় আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম।
১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলছেন। এরা দক্ষিণ এশিয়ান মানুষের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত ও কম দুর্নীতিবাজ। কালচার্ড, পরিচ্ছন্ন ও ভদ্র।
২১| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুভ সকাল রাজীব ভাই।
"কোথায় রাজ রানী, আর কোথায় বিছনায় মুতনি!!
চমৎকার মূল্যায়ন। তবে মানসিকভাবে আমরা কিন্তু পশ্চিমা। We love copy............. টাকা হলে,
আমরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে ইংলিশ হতে চাই।
আমরা বারে গিয়ে মদ/বিয়ার গিলি।
মেয়েরা পারলে কাপড় খুলে আধুনিক হই।
বাংলার পরিবর্তে উদ্ভট বাংলিশ বলি।
শপিং করতে লন্ডন, প্যারিস যাই।......... আরো কত কী?
সঠিক মন্তব্য করেছেন।
১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
২২| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই আপনি দেখি নিশাচর লোক
আপনি পড়াশোনা করে লেখেন, এটা আমার খুব ভালো লাগে।
১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি আসলেই নিশাচর। রাতের বেলায় লেখি ও রিসার্চ করি। আর প্রতিটি লেখায় চেষ্টা থাকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে লেখার। অনেক শুভ কামনা তোমার জন্য।
২৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা মগের মুল্লুক না ভায়া এখন হাসিনার মুল্লুক
তুলনামুলক দারুন উপস্থাপনায় ধন্যবাদ।
অনেকের কাছে প্রয়োজেনর বাইরেও ষ্ট্যাটাস বাড়াতেই ছোটে সুপার শপে! আর এই মানসিকতার অবৈধ সুযোগ নেয় মহাজনরা!
দেখা যাক সময়ের সাথে সাথে সুপার শপ মূলধারায় ফিরতে পারেকিনা?
১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "অনেকের কাছে প্রয়োজেনর বাইরেও ষ্ট্যাটাস বাড়াতেই ছোটে সুপার শপে! আর এই মানসিকতার অবৈধ সুযোগ নেয় মহাজনরা!"........
একটা চরম সত্য কথা বলেছেন। এটা অনেকটা বড়লোকের ছেলেমেয়েদের আংলিশ মিডিয়াতে ( English Medium) পড়াশুনার মতো।
২৪| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুপার মলে যদি বাইরের মত দাম দেয় তাহলে তাদের কর্মচারীদের বেতন আর সার্ভিস দেয়া কষ্টকর হয়ে যাবে। এটা কীভাবে সমন্বয় করা যায় তা নিয়ে বসতে হবে ব্যবসায়ীদেরকে।
১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হতে পারে।
২৫| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
হাঙ্গামা বলেছেন: রমজানের শুভেচ্ছা নিবেন কাওসার ভাই।
বাংলাদেশে সুপার শপগুলার প্রায় সবগুলাই বাটপারের আড্ডাখানা।
বাজে পণ্য, ওজনে কম দেয়া এবং দাম বেশি রাখার ব্যাপারে এরা কোন ছাড় দেয় না।
পাড়ার মুদি দোকানে পাওয়া যায় এমন কোন পণ্য আপনি মুদি দোকানের চাইতে কম দামে তো পরে, সমান দামে ও কিনতে পারবেন না। (আপনি এর একটি উদাহরন অলরেডি দিয়েছেন)
আমি ৪০০ টাকার একটা দুধ সুপার শপ থেকে কিনে সাথে ১৬ টাকা ভ্যাট ও দিয়েছি। সেই একই জিনিস মুদি দোকান থেকে ৩৯০ টাকায় কিনেছি। আমার নেট লস ২৬ টাকা।
কবুতর কিনতে গেছি স্বপ্ন সুপার শপে। ৩টায় একটা প্যাক...প্রতি পিস ১৪৫ টাকা + ভ্যাট। রাস্তার উলটা পাশের বাজার থেকে কিনলাম ১০০ টাকা প্রতি পিস।
বাংলাদেশের সুপার শপগুলাতে মানুষ হয় শখ করে যায়, ঝামেলা এড়াতে যায় অথবা ফুটানি দেখাতে যায়। তা না হলে আলু পেয়াজের মত জিনিস ও কেন সুপার শপ থেকে কিনতে হয় আমাদের?
সুপার শপের সুবিধা একটাই, ওখানে এমন কিছু জিনিস পাওয়া যায় যা হয়তো সচরাচর অন্য কোন দোকানে পাওয়া যায় না।
আবারো শুভেচ্ছা।
১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: (১) "কবুতর কিনতে গেছি স্বপ্ন সুপার শপে। ৩টায় একটা প্যাক...প্রতি পিস ১৪৫ টাকা + ভ্যাট। রাস্তার উলটা পাশের বাজার থেকে কিনলাম ১০০ টাকা প্রতি পিস।"............
(২) "বাংলাদেশের সুপার শপগুলাতে মানুষ হয় শখ করে যায়, ঝামেলা এড়াতে যায় অথবা ফুটানি দেখাতে যায়। তা না হলে আলু পেয়াজের মত জিনিস ও কেন সুপার শপ থেকে কিনতে হয় আমাদের?"..........
(৩) "সুপার শপের সুবিধা একটাই, ওখানে এমন কিছু জিনিস পাওয়া যায় যা হয়তো সচরাচর অন্য কোন দোকানে পাওয়া যায় না।"........
ভাইজান, রামাদ্বান মুবারক। আপনার প্রতিটি কথা অতীব সত্য। বিশেষ করে (২) আর (৩) আমার দীর্ঘ দিনের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এ বিষয়গুলো। অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৬| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
নতুন বলেছেন: এই রকমের শপ চালু হয়েছে এক সাথে সব সুবিধা দেবার জন্যই।
আর বিদেশে যেহেতু প্রতিযোগিতা বেশি তাই সবাই কাস্টোমার আনার জন্য বেশি ডিস্কাউন্ট দেয়...
আমাদের দেশে এখনো এটা বিলাসিতা পযায়েই আছে.... তাই যারা যায় তারা বেশি দামে ততটা নাখোশ না।
প্রতিযোগিতা বাড়লে ঠিক হয়ে যাবে।
১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমাদের দেশে এখনো এটা বিলাসিতা পযায়েই আছে...
তাই যারা যায় তারা বেশি দামে ততটা নাখোশ না।
হ্যা, ঠিক বলেছেন। আমিও মনে করি কয়েক বছর গেলে
২৭| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উন্নত বিশ্বের পর্যায়ে যেতে হলে এমন তুলনা দরকার আছে।
১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, এজন্যই মূলত লেখা। যাতে সচেতনতা বাড়ে।
২৮| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২২
সোহানী বলেছেন: আমার মনে হয় বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে সুপারমলে বাসি ফ্রিজিং জিনিস বেশী দামে বিক্রি হয় বাজারের তাজা জিনিস চেয়ে
পৃথিবী কোন দেশে আমি দেখিনি তাজা জিনিস থেকে ফ্রিজিং জিনিসের দাম বেশী....হাহাহাহা। আমরা বিদেশে বসে তাজা মাছ তরকারী ফল কিনতে হলে ড্রাইভ করে বহুদূর যেতে হয়, দাম ও তুলনামূলক বেশী। তাই বাধ্য হয়ে সুপারমল থেকে কিনি। সেখানে দামে যেমন কম থাকে আবার সব কিছু একসাথে পাই বলে। ইউএসএর মতো এখানে ও ওয়ালমার্ট জনপ্রিয় কারন সস্তা।
তবে দেশের এই যে বাড়তি দাম রাখার ট্রেন্ডিসি তার মূল কারন মনিটরিং এর অভাব। যে মনিটরিং এর দায়িত্বে সে বছর খানেক এ দায়িত্বে থাকলে ঢাকা শহবে বাড়ি কেনার অবস্থায় পৈাছে........হাহাহাহা
তারপরও আমরা যেতাম সুপারমলে কারন ওই যে বললেন নোংরা, ধাক্কাধাক্কি, বাজে কমেন্ট........
ভাইরে, একটাই জিনিস দরকার তা হলো আইনের শাসন। আইন ঠিক করেন দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।
বরাবরের মতই ভালো লাগলো প্রয়োজনীয় বিষয় তুলে ধরার জন্য।
১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। আমার মেন্টর ম্যাডামের কথার উপরে আমার যুক্তি একদম অচল।
"পৃথিবী কোন দেশে আমি দেখিনি তাজা জিনিস থেকে ফ্রিজিং জিনিসের দাম বেশী....হাহাহাহা। আমরা বিদেশে বসে তাজা মাছ তরকারী ফল কিনতে হলে ড্রাইভ করে বহুদূর যেতে হয়, দাম ও তুলনামূলক বেশী। তাই বাধ্য হয়ে সুপারমল থেকে কিনি। সেখানে দামে যেমন কম থাকে আবার সব কিছু একসাথে পাই বলে। ইউএসএর মতো এখানে ও ওয়ালমার্ট জনপ্রিয় কারন সস্তা।"..............
"তবে দেশের এই যে বাড়তি দাম রাখার ট্রেন্ডিসি তার মূল কারন মনিটরিং এর অভাব। যে মনিটরিং এর দায়িত্বে সে বছর খানেক এ দায়িত্বে থাকলে ঢাকা শহবে বাড়ি কেনার অবস্থায় পৈাছে........হাহাহাহা"..........
"একটাই জিনিস দরকার তা হলো আইনের শাসন। আইন ঠিক করেন দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।"...........
চরম সত্য কয়েকটি কথা। অনেক ভাললাগা ও শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
২৯| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,
বাংলাদেশে অর্থনীতির কোনও সূত্রই খাটেনা । এই দেশে সাপ্লাই ও ডিমান্ড থিওরীর কোনও ঠিক ঠিকানা নেই । এখানকার সুপার শপের বা মলের পণ্যের দাম গলাকাটা , যেমনটা আপনি বলেছেন। এরা কেউই ব্যবসায়ী ( সঠিক অর্থে ) নয় , বরং ভদ্রবেশী ডাকাত এবং বাটপার ।
ঠিকই বলেছেন , এটা একটা মগের মূল্লুক । দেশের বাইরে অনেক অনেক সুপার শপ বা মলে কেনাকাটার সুযোগ হয়েছে যার চিত্র বাংলাদেশের সম্পূর্ণ বিপরীত ।
এদেশের অনেক মানুষের পকেটে অসুদ্ধ টাকা আছে অনেক । তাই দশ টাকার জিনিষ একশো টাকাতে কিনতে তাদের মোটেও গায়ে লাগেনা, অবশ্য লাগার কোনও কারনও নেই । বরং এসব জায়গায় কেনাকাটাকে তারা ষ্ট্যাটাস সিম্বল বলে গর্ব বোধ করে । আসলে এরা যে আহাম্মক তা বোঝার মতো ঘিলুটুকুও তাদের নেই হাঙ্গামা যথার্থই বলেছেন - " ..........ফুটানি দেখাতে যায়। তা না হলে আলু পেয়াজের মত জিনিস ও কেন সুপার শপ থেকে কিনতে হয় আমাদের?"
আসলে আহাম্মক আমরা সবাই । আমাদের ক্রেতা স্বার্থ সংরক্ষন নামে একটি লোক দেখানো প্রতিষ্ঠান আছে । তাদের যে কি কাজ আমি বুঝিনা ।
১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে। আপনি অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন যা আমার মনের কথা।
"এরা কেউই ব্যবসায়ী ( সঠিক অর্থে ) নয় , বরং ভদ্রবেশী ডাকাত এবং বাটপার।"................. যথার্তই বলেছেন।
"এদেশের অনেক মানুষের পকেটে অসুদ্ধ টাকা আছে অনেক । তাই দশ টাকার জিনিষ একশো টাকাতে কিনতে তাদের মোটেও গায়ে লাগেনা, অবশ্য লাগার কোনও কারনও নেই । বরং এসব জায়গায় কেনাকাটাকে তারা ষ্ট্যাটাস সিম্বল বলে গর্ব বোধ করে।".............
এটাই আমাদের দেশের বাস্তবতায় চরম সত্য।
৩০| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের শৈশব বা তারুন্যে কাচা বাজারের যে বিভীশিকাময় এক্সপেরিএন্স ছিল তা এখন শুনি যে অনেকটাই কমেছে স্বপ্ন, এগোরা , মীনাবাজার ইত্যাদি সুপারমার্কেটের কল্যানে। তবে বিদেশের সাথে তুলনা করলে কষ্ট শুধু বাড়বেই।
১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: স্বপ্ন, এগোরা , মীনাবাজার ইত্যাদি এখনো সুপার শপ হয়ে উঠতে পারেনি। এগুলো ধনীর শপ হিসাবে চলছে। যা সুপার শপ নীতিমালার বিপরীত। তবে আগামী দিনগুলোতে পরিবর্তন আসবে বলে আমি মনে করি।
৩১| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৯
থিওরি বলেছেন: আপনার লেখা যখন পড়সি রমজান উপলক্ষে বাজারদর বাড়ন্ত
৩২| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৫
জুন বলেছেন: সুপার শপ নিয়ে আপনার সুপার লেখাটি ভালোলাগলো কাউসার চৌধুরী।
আমি সুপার শপে যেতেও সংকোচ করি না , আবার প্যাচপ্যাচে কাঁদা মাড়িয়ে আমাদের কাঁচা বাজারে মাছ কিনতেও নাক সিটকাই না । যখন যেখানে যেটা ভালো মনে হয় সেখানেই যাই। তবে আমাদের দেশের আগোরা বা মীনা বাজার যাই বলেন তারা কাঁচা তরকারী রাখার সিস্টেমই জানে না । এসির নীচে খোলা ভাবে তাকে সাজিয়ে রাখা শিকড় বাকর সহ ন্যতানো শাক - তরকারী কিনতে ইচ্ছে করে না। এর চেয়ে কাঁচা বাজার ভালো। সেদিন ঢাকার এক সুপার শপে ১৯০০ টাকার শপিং এ এক মুঠ লাল শাক ২৩ টাকার বদলে ২২০ টাকা নিয়েছে। আমি কখনোই রিসিট চেক করি না। সেদিন কি মনে করে আপনার ভাই দেখে আমাকে বলে "কি কিনেছো লাল ২২০ টাকা দিয়ে" ? খানিক্ষন পরে বুঝলাম, আবার সেখানে গেলাম খুব লজ্জা পেয়ে ম্যানেজার স্যরি বল্লো । কিন্ত আসল অপরাধী ঘাড় বাকা করে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলো । বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই মেয়েটির এতবড় অপরাধ করেও।
বিভিন্ন দেশে বেড়াতে গেলেও ব্যংককে যেহেতু বছরের বেশিরভাগ সময় থাকি সেখানে রান্না বান্না হাট বাজারের প্রয়োজন হয়। আমি বেশিরভাগ সময় টেসকো লোটাসে যাই না হয় মলের গুরমেট মার্কেটে। তবে গুরমেটে ফল ও সব্জীর অসম্ভব দাম থাকায় সেখান থেকে সাধারনত চাল তেল রুটি মাখন অর্থাৎ গ্রসারী এসব কিনি । সেখানকার সেলসের মেয়েরা প্রথমে একবার হাতজোড় করে খাপুন খা আবার ব্যাগ তুলে দেয়ার সময় আবার হাত জোড় করে খাপুন খা অর্থাৎ ধন্যবাদ ম্যডাম । আমাদের দেশে এসব ভদ্রতা আমরা চিন্তাই করতে পারি না । আসলে এদের ট্রেনিং দেয়া দরকার কিভাবে কাস্টমার ডিল করবে ।
টেসকোর ফুডকোর্টে বসে সোমতাম খাচ্ছিলাম তার একটা ছবি। প্লেটের কিনারে মনোগ্রাম
এখন একটি ছবি দিলাম টেসকো লোটাসের ফুড কোর্টে বসে খাচ্ছি
১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ২:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কেমন আছেন আপনি? আশা করি ব্যাংককে ছুটির দিনগুলো ভালই কাটছে।
"বিভিন্ন দেশে বেড়াতে গেলেও ব্যংককে যেহেতু বছরের বেশিরভাগ সময় থাকি সেখানে রান্না বান্না হাট বাজারের প্রয়োজন হয়। আমি বেশিরভাগ সময় টেসকো লোটাসে যাই না হয় মলের গুরমেট মার্কেটে। তবে গুরমেটে ফল ও সব্জীর অসম্ভব দাম থাকায় সেখান থেকে সাধারনত চাল তেল রুটি মাখন অর্থাৎ গ্রসারী এসব কিনি । সেখানকার সেলসের মেয়েরা প্রথমে একবার হাতজোড় করে খাপুন খা আবার ব্যাগ তুলে দেয়ার সময় আবার হাত জোড় করে খাপুন খা অর্থাৎ ধন্যবাদ ম্যডাম । আমাদের দেশে এসব ভদ্রতা আমরা চিন্তাই করতে পারি না । আসলে এদের ট্রেনিং দেয়া দরকার কিভাবে কাস্টমার ডিল করবে।"......
চমৎকার কথা বলেছেন।
টেস্কো লোটাসের ফুড কোর্টের খাবারটা কিন্তু বেশ সুস্বাধু মনে হচ্ছে।
৩৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
সমুদ্রচারী বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। পেশাগত কারনেই অনেক দেশ ঘোরা হয়। যে কোন নতুন দেশে গেলেই সুপার শপগুলোতে একবার ঢু মারা আমার অভ্যাস।এর একটা কারন ঐ দেশের জিনিসপত্রের দামের একটা তুলনামূলক ধারনা পাওয়া যায়।আপনি যথার্থই বলেছেন আমাদের দেশের নামকাওয়াস্তের সুপারশপ গুলো আদতে বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর । একমাত্র বসুন্ধারা সিটির নিচে মোস্তফা মার্ট কিছুটা কালেকশনের দিক দিয়ে বড় মনে হয়েছে আমার।তবে দাম অনেক বেশি,এমনকি নির্ধারিত মূল্য ( MRP ) থেকেও বেশি নেওয়া হয়।আরেকটা হল, অনেক পন্যের মূল্যে ভ্যাট ইনক্লুড থাকলেও এর উপর আবার ভ্যাট নেওয়া হয়।আর আগেই দাম বাড়িয়ে ডিসকাউন্ট নামের ধাপ্পাবাজিতো আছেই।
১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৫৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। আসলে যারা বিভিন্ন দেশের সুপারস্টোরগুলোতে গিয়েছেন তাদের কাছে এগুলো ডিপার্টমেন্টাল স্টোরই মনে হবে। নেই কোন পেশাদারীত্ব। নেই ক্রেতা বান্ধব পরিবেশ। নেই কোন পার্কিং সুবিধা।
৩৪| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমাদেরে দেশে লোকজন লজ্জা নামক ব্স্তুটি অনেক আগে সাদা পানি দিয়ে খেয়ে ঢেকুর তুলেছে, carrefour দেশের বাইরে নানা দেশে দেখেছি বাংলাদেশে দেখলাম মিরপুর ১০-১১ নম্বরে একই লোগো নামে কিছু পরিবর্তন ছাড়া আর কিছুই না - চুরি করতে হবে, কথা হচ্ছে চুরি করতে হবে সেটা না হয় নামই হোক আর লোগোই হোক ।
জাপান টোকিও
বাংলাদেশ ঢাকা মিরপুরে
বাংলাদেশে সুপার শপে ঢুকা আর বঙ্গবাজারে যাওয়া একই চিপা গলির ভেতর ঢুকে কে কার সাথে ধাক্কা লাগবে সেই চিন্তায় ভয়ে থাকি !!!
১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মাহমুদ ভাই, চমৎকার বলেছেন, "চুরি করতে হবে, কথা হচ্ছে চুরি করতে হবে সেটা না হয় নামই হোক আর লোগোই হোক।"..............
এরা আসলে ভাল চোর না হয়েই পাবলিককে ডাকাতি করে।
আর জাপান টু মিরপুর!!! এটা অনেকটা বুলেট ট্রেন আর ডাস্টবিনের সাথে তুলনার মতো।
৩৫| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪১
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
অসুস্থ প্রতিযোগিতা। যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লক্ষণীয়।
১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাফিজ ভাই, এটাই আসল কথা।
৩৬| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে সুপার শপে ঢুকা আর বঙ্গবাজারে যাওয়া একই, চিপা গলির ভেতর ঢুকে কে কার সাথে ধাক্কা লাগবে সেই চিন্তায় ভয়ে থাকি !!!
১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশে সুপার শপে ঢুকা আর বঙ্গবাজারে যাওয়া একই, চিপা গলির ভেতর ঢুকে কে কার সাথে ধাক্কা লাগবে সেই চিন্তায় ভয়ে থাকি !!!
ঠিক বলেছেন।
৩৭| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
মো: রাকবিুল ইসলাম বলেছেন: Thanks for like this nice post. It helps to nation. Everyone likes like this post. To know more http://www.toyota.com
১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে।
৩৮| ১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
ইমরান আশফাক বলেছেন: সুপার স্টোর বা শপ কালচারটা বাংলাদেশে তুলনামুলকভাবে নতুন। তবে এটা ঠিক যে আমরা তাড়াহুড়া জাতী, রাতারাতি সবকিছুই লাভ করে নিতে চাই। আর মেয়াদ উত্তির্ন পণ্যের কথা কি বলবো! পর্যাপ্ত বাজার মনিটরিং এর অভাবই এর জন্য মূলত: দায়ী। তবে অনেক বিক্রেতারাও আছেন যারা এই ব্যাপারে সচেতন থাকতে চান, তবে কৌশল বা দক্ষতার অভাবে কিছু কিছু মেয়াদ উত্তির্ণ পন্য চলে আসতেও পারে। দামের ব্যাপারটাও তাই, কারন এখানে এস্টাবলিশমেন্ট খরচ অনেক বেশী। সেই তুলনায় ফুটপাতে যারা বসে তাদের তেমন কোন খরচ নেই।
আর আমি মফচ্ছল শহরে থাকি (খুলনা), এখানে বেশ কয়েকটি সুপারশপ ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে এবং সেখানে উপচে পড়া ভিড় থাকে বরাবরের মত।
আসলে এটা একটা কালচারের মত, এখানে আমরা আমাদের প্রথম প্রজন্মের (সুপার শপের) হাত ধরে হাটছি। আগে যেখানে মুদি দোকান বা কাঁচাবাজারে যেতে অভ্যস্ত ছিলাম সেখানে এখন একই ছাদের নীচে সবকিছু পাওয়ার অভ্যাস তৈরী হচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেই এইসব দূর্বলতাগুলি কেটে যাবে আশা করি।
১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আসলে এটা একটা কালচারের মত, এখানে আমরা আমাদের প্রথম প্রজন্মের (সুপার শপের) হাত ধরে হাটছি। আগে যেখানে মুদি দোকান বা কাঁচাবাজারে যেতে অভ্যস্ত ছিলাম সেখানে এখন একই ছাদের নীচে সবকিছু পাওয়ার অভ্যাস তৈরী হচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেই এইসব দূর্বলতাগুলি কেটে যাবে আশা করি।".......
ইমরান ভাই, ঠিক বলেছেন। আমিও মনে করি এটা কয়েক বছর পর হলেও একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।
আসবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়ার সুপার শপগুলোতে প্রায়ই প্রমোশন বা ছাড় দেয়। আমি নিজেও তাই জিনিসপত্র প্রায়ই কৌশলে কিনে সংসারের সাশ্রয় করে থাকি। যেমন যেই রান্নার তেল নরমাল দামে কিনলে ৩১ রিঙ্গিত পড়ত সেটা আমি প্রমোশনের সময় কিনি ২০ রিঙ্গিত দিয়ে। সাথে আবার ৩০০ মি লি ছোট বোতল ফ্রি। বাংলাদেশে এটা ভাবা যায় না। বাংলাদেশ ফ্রি দেশ। এখানে ফ্রি লাভ করেন ব্যবসায়ীরা। আমরা সত্যি বড় অসহায়।