নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস - অনিয়ম ও দুর্নীতিই নীতি

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৮


রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার কথাটি শুনলে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে স্যুটেড-বুটেড, কোট-টাই পরা একজন ভদ্রলোকের অবয়ব। কোন কোন ক্ষেত্রে ভদ্র মহিলাও বটে। উনাদের প্রায় সবাই ইউরোপ আমেরিকার বাসিন্দা (অন্যদের এতো দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়ে না) হলেও প্রতিবেশী দেশের হাই কমিশনারের দৌড়ঝাঁপ কোন কোন বিশেষ সময়ে লক্ষনীয়। উনারা আমাদের জ্ঞান দেন, দেশ পরিচালনার নসিহত করেন, গণতন্ত্রের সবক দেন। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল নিজেদের ক্ষমতায় ঠিকে থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উনাদের স্বরণাপন্ন হয়, মায়াবী কৃপাদৃষ্টি চায়। দেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রানিক্স মিডিয়া এসব স্যারদের সুমধুর বাণী প্রচার করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কখনো লাইভ টিভিতে কভারেজ পর্যন্ত হন!

তাহলে এটাই একজন রাষ্ট্রদূতের বৈশিষ্ট বা কুটনৈতিক দায়িত্ব?

রাষ্ট্রদূত (Ambassador) একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবিশেষ, যিনি কোন নির্দিষ্ট দেশের সরকারের পক্ষ থেকে অন্য কোন স্বাধীন দেশ, সরকার কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কূটনৈতিক কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হন। একজন রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করে যাবতীয় রাষ্ট্রীয় কার্যাদি সম্পন্ন করেন। সাধারণতঃ তিনি নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষা কিংবা সমস্যা নিয়োগপ্রাপ্ত দেশের কাছে তুলে ধরেন এবং দ্বি-পক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বাস্তবায়নে সদা তৎপর থাকেন।

একজন রাষ্ট্রদূতের একমাত্র কাজ হলো তার নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা, নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দেশের সাথে দেন দরবার করা এবং উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঠিকিয়ে রাখা। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক বিপরীত চিত্র দেখতে পাই। এজন্য দায়ী মেরুদণ্ডহীন জাতীয় রাজনীতি এবং মিডিয়ার অতি চুলকানি মানসিকতা।

বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৪৯টি আবাসিক কূটনৈতিক মিশন আছে। তদুপরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন কনস্যুলেট জেনারেল, ডেপুটি হাইকমিশন, অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন ও বিভিন্ন ভিসা অফিস ধরনের ১১টি সাব-মিশনও রয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকটি অনাবাসিক কূটনৈতিক মিশনও আছে যেগুলো সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস/হাইকমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়।

বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত এবং এ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার অথবা মিশন প্রধানদের নিয়োগ প্রদান করেন সরকার প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণত রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার পদে যোগ্য ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠায় এবং তার অনুমোদনের পরই এ নিয়োগসমূহ চূড়ান্ত হয়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মিশন প্রধানের ৭০ ভাগ পেশাজীবী কূটনীতিকদের মধ্য থেকে এবং বাকি ৩০ ভাগ সরকার প্রধানের ইচ্ছানুযায়ী অকূটনীতিক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।


বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে নিম্নোক্ত কূটনৈতিক
পদমর্যাদার কর্মকর্তারা থাকেন -

-- রাষ্ট্রদূত (Ambassador), কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোতে 'হাইকমিশনার' বলা হয়।

-- উপ রাষ্ট্রদূত (Deputy Ambassador), দূতাবাসগুলোতে 'মিনিস্টার' ডাকা হয়।

-- কাউন্সিলর (Counsellor)

-- সচিব (Secretary) [প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়; তিন জন সচিব থাকেন]

-- এ্যাটাশে (Attache)

-- এসিস্ট্যান্ট এ্যাটাশে (Assistant Attache)

কউন্সিলাররা উপসচিব পদমর্যাদার এবং সচিবরা সহকারী সচিব পদমর্যাদার হন।

যেসব গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর বাস সেসব দেশের দূতাবাস/হাইকমিশন ছাড়াও উক্ত শহরগুলোতে, বিশেষত ব্যবসা ও কনস্যুলার সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার কনস্যুলার জেনারেল/ডেপুটি হাইকমিশন স্থাপন করে। সাধারণত এসব মিশনের প্রধান থাকেন সরকারের যুগ্মসচিব।

কোনো বন্ধুরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান এবং স্বাগতিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা স্বীকৃত হন। সেজন্য তিনি ওই দেশের সকল ঊর্ধ্বতন মহলে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ পান এবং উভয় দেশ ও সরকারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকেন। বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান, সরকারি দলিলে স্বাক্ষর দান এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অন্যান্য চুক্তি স্বাক্ষর করার পূর্ণ ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়।

১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী তিনি ও অন্যান্য সকল কূটনীতিক ও অকূটনীতিক কর্মচারী পূর্ণ কূটনৈতিক স্বাধীনতা ও সুযোগ লাভ করেন। এ সুবিধা বাংলাদেশে নিযুক্ত সকল বিদেশি কূটনীতিকও পারস্পরিক ভিত্তিতে ভোগ করে থাকেন।

বর্তমানে আমাদের রাষ্ট্রদূতদের মাঝে প্রতিমন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত। কেউ বা সামরিক বা বেসামরিক চাকরি থেকে প্রেষণে আর সিংহভাগই পেশাদার কূটনীতিক বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের সদস্য। যে স্তরের কর্মকর্তাই হোন আর তার নিয়োগের উৎস যেটাই হোক, তিনি রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার। স্বাগতিক দেশটিতে তারা একই মর্যাদার স্তরে থাকেন। আর অতি উঁচু সেই মর্যাদা।

তাই এটা আশা করা যৌক্তিক, এত উঁচু মর্যাদায় যারা এক রাষ্ট্রে নিজ রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তখন তারা নিজ রাষ্ট্রের মর্যাদা ও স্বার্থ সদা সমুন্নত রাখবেন। হয়তো বা কেউ কেউ তা করছেনও। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে কেউ কেউ অবস্থান নিয়েছেন এর বিপরীতে। যেমন—আমাদের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত তাঁদের কর্মস্থলে যে আচরণ করেছেন, তাতে মনে হয়, তারা তাদের উঁচু মর্যাদার পাশাপাশি নিজ দেশটির মর্যাদার কথা বিস্মৃত হয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই তারা আমাদের দেশ ও জনগণের মর্যাদাকে খাটো করেছেন ভিন দেশের মাটিতে। এমনিতেই আমাদের একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি সারা বিশ্বেই বিরাজমান। এ দেশে ভালো কিছু ঘটলেও তার তেমন কোনো প্রচারণা নেই বাইরে। আবার অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই মন্দ কিছু ঘটিয়ে এর নেতিবাচক ভাবমূর্তিকে জোরদার করি।

ভেবে ব্যথিত হই আর প্রশ্ন জাগে, ক্ষমতাসীন দলটিতে অনেক দক্ষ, যোগ্য ও সৎ লোক থাকা সত্ত্বেও এদের মতো লোককেই রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া কী খুব প্রয়োজনীয় ছিল? যাদের জ্ঞান ও নৈতিকতা এ স্তরের, তাঁদের এ ধরনের পদে নিয়োগ দিলে এসব জাতীয় আচরণকেই স্বাভাবিক বলতে হবে।


রাষ্ট্রদূতদের নিয়োগের উৎস যেটাই হোক, তারা আমাদের সমাজের অংশ। সুতরাং সর্বক্ষেত্রে অবক্ষয়ের ছাপ তাদের উপরেও পড়বে, এটা বিস্ময়ের কথা না হলেও কিছু কথা থেকে যায়। প্রথমেই আলোচনা করা হয়েছে তাদের অতি উঁচু মর্যাদার বিষয়টি। পাশাপাশি বিদেশে কর্মরত থাকাকালে বেতনের বাইরে তাদের যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়, তা ধনী রাষ্ট্রগুলোর অনুরূপ না হলেও আমাদের আর্থিক সামর্থ্যের বিবেচনায় প্রভূত। আর তাদেরই যে সহকর্মী অন্য মন্ত্রণালয়ে কেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন, তার সঙ্গে বিবেচনা করলেও ঈর্ষণীয়। বেতনের বাইরে শুধু বিদেশ ভাতা নয়, আকর্ষণীয় হারে ভ্রমণভাতা, মোটা অঙ্কের টাকা ভাড়ায় সজ্জিত বাসভবন, আপ্যায়ন ভাতা, পরিবারের চিকিৎসার সব ব্যয়, চালক ও জ্বালানিসহ গাড়ি, সন্তানের পড়াশোনার খরচের একটি বড় অংশ ছাড়াও দুজন গৃহকর্মীর জন্য আন্তর্জাতিক হারে মজুরি পান।

অভিযোগ আছে, অনেক রাষ্ট্রদূত গৃহকর্মী হিসাবে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে দেশ থেকে নিয়ে যান। আবার কেউ কেউ প্রতিমাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদার বিনিময়ে রাষ্ট্রদূতের মুচলেকা নিয়ে অন্য কাজ করেন!!

এক কথায় বলা চলে, নিছক অমিতব্যয়ী না হলে এ আর্থিক প্রণোদনা সচ্ছল জীবনযাপন ও কিছু সাশ্রয়ের জন্য যথেষ্ট। সুতরাং ভাবতে বেদনা হয়, দরিদ্র এ দেশটি এত কিছু যাদের জন্য করছে, তারা কেন দেশের সুনাম এভাবে নষ্ট করছে। তাহলে যথেষ্ট আর্থিক প্রণোদনা নেই বলে দুর্নীতি হয়—এ তত্ত্ব কি ভ্রান্ত প্রমাণিত হবে? সমাজের মূল্যবোধের যে সর্বগ্রাসী অবক্ষয়, তার ছাপ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। অবশ্য এ সমাজেই ব্যতিক্রম আছেন অনেকেই সব ক্ষেত্রে।

এখানে উল্লেখ করা যথার্থ হবে যে শুধু রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা নয়, স্বাগতিক দেশে স্থাপিত আমাদের দূতাবাস ভবন ও আঙিনাও একটি খুদে বাংলাদেশ। শুধু আমাদের নয়, যেকোনো দেশের দূতাবাস যেখানে আছে, সে স্থানটিও একই মর্যাদা পায়। যে দেশে দূতাবাস রয়েছে সে দেশের আইন এর সীমানার মধ্যে কার্যকর নয়। অবশ্য সাম্প্রতিক বিশ্বে গুটিকয় ক্ষেত্রে এ মর্যাদাটি লঙ্ঘিত হয়েছে। যে পর্যায়েরই হোক, বিদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূতেরা তাদের বাড়ি ও গাড়িতে ওড়ান জাতীয় পতাকা। আর দূতাবাসে তো আছেই। তাহলে তারা এ ধরনের অনিয়ম করতে কি একবারও ভেবে দেখবেন না?

উঁচু পদ ও অতি উঁচু মর্যাদার পাশাপাশি পর্যাপ্ত সুবিধাদি একজন ব্যক্তির মধ্যে সন্তুষ্টি আনার কথা। অবশ্য আমাদের দেশে উঁচু পদে, উঁচু মর্যাদায় আর ব্যাপক সুযোগ-সুবিধার অধিকারী হয়েও অনেক হর্তাকর্তার মধ্যে সে সন্তুষ্টি আসছে না অনেক ক্ষেত্রেই। অনেক অনেক অভিযোগ প্রতি সরকারের সময়ে আছে এ ধরনের পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে। তেমন কোনো বিহিত হয় না পদ হারানোর পর সাময়িক কিছু বিড়ম্বনা ছাড়া। তবে আমাদের কূটনৈতিক সার্ভিসটি তো ঐতিহ্যগতভাবে এরূপ ছিল না। দু-একটি বিরল ব্যতিক্রম ছাড়া রাষ্ট্রদূত বা তার সহকর্মীরা দূতাবাসে কর্মরত থাকাকালে তাদের দ্বারা দেশের সম্মান সাধারণত বিপন্ন হয়নি এভাবে। ইদানীং তো মনে হচ্ছে, এখানেও পচন ধরেছে। অবশ্যই সম্মানজনক জীবনযাপনকারী অনেকে রয়েছেন।

বিদেশে কী আসলেই এসব রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখাশুনা করেন? বাংলাদেশী নাগরিকদের সুরক্ষা দেন? প্রয়োজনীয় সেবা দেন? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশীদের জিজ্ঞেস করলে এর উত্তর পাওয়া যাবে। যতটুকু জানি যে সকল দেশে বাংলাদেশীদের সংখ্যা বেশি সেসব দেশে বাংলাদেশ হাই কমিশনের ডিলেমি ও দুর্নীতি বেশি। শোনা যায় এসব দূতাবাসে আছে বিশাল সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র। কোন কাজই ঘুষ ছাড়া সম্পাদন হয় না। এছাড়া সময়মতো সেবা না পাওয়ার হয়রানি তো আছেই।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল। কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, দুর্নীতিবাজরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন তারা দুর্নীতি করবেই। সুন্দর পোষ্ট ধন্যবাদ।

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, তারেক ভাই।

"কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, দুর্নীতিবাজরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন তারা দুর্নীতি করবেই।"........

চমৎকার সত্যি বলেছেন।

২| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

লাবণ্য ২ বলেছেন: এদেশের সবকিছুতেই দুর্নীতি।শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আপনার লেখাটা অনেক ভাল লেগেছে।

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। লেখাটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। সময় সুযোগে আপনার ব্লগে যাব। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো একটি পোষ্ট। সত্যিকথা বলতে কী এসব বিষয় নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। আজ আপনার বিশ্লেষণ ধর্মী পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ, সুন্দর পোষ্টটিট জন্য।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় কাওসার ভাইকে।

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো।

৪| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আমাদের দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজেদেরকে প্রভু ভাবেন আর জনগনকে তাদের প্রজা ভাবেন; এরা বাহিরে জনগনের জন্য কিছুই করেনা। দেশের জন্যও কিছুই করেনা।

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজেদেরকে প্রভু ভাবেন আর জনগনকে তাদের প্রজা ভাবেন; এরা বাহিরে জনগনের জন্য কিছুই করেনা। দেশের জন্যও কিছুই করেনা।"............

চমৎকার কমেন্ট।

৫| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

শাহাদাত নিরব বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি লেখা
প্রতিনিয়ত অবহেলার শিকার হচ্ছি দূতাবাস থেকে ১৩ বছরের প্রবাস জীবনে কোনো একটি কাজ সঠিক ভাবে করে দেয়নি।
রাষ্ট্রদূত গুলো নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ দিলে মনেহয় আমাদের এই ক্লান্তি টা সামান্য হলেও কমবে।
কে শুনে কার কথা ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "রাষ্ট্রদূত গুলো নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ দিলে মনেহয় আমাদের এই ক্লান্তি টা সামান্য হলেও কমবে।"...................

শাহাদাত ভাই, ঠিক বলেছেন।

৬| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বিদেশে কোন বাংলাদেশী দুতাবাসে যাওয়ার সৌভাগ্য বলেন অথবা দুর্ভাগ্য বলেন কোনটাই হয়নি। তবে খবরে দেখেছি বিদেশে বাংলাদেশী দুতাবাসে মানুষের হয়রানি। একজন বাঙ্গালী হিসেবে যদিও বলতে খারাপ লাগছে, তবে বিষয়টা এরকম যেন, যেখানেই বাংলাদেশ সেখানেই দুর্নীতি সেটা দেশে হোক কিংবা বিদেশে হোক।

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "একজন বাঙ্গালী হিসেবে যদিও বলতে খারাপ লাগছে, তবে বিষয়টা এরকম যেন, যেখানেই বাংলাদেশ সেখানেই দুর্নীতি সেটা দেশে হোক কিংবা বিদেশে হোক।"...


এটাই আসল কথা।

৭| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে কোন দেশই একা চলতে পারে না। দেশ গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার কোন বিকল্প নাই। এক দেশের সাথে আরেক দেশের সম্পর্ক চালু রাখার জন্য এক দেশ আরেক দেশে তাদের দফতর স্থাপন করে এবং প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়। এই অফিসগুলোই মূলত দূতাবাস।

দূতাবাসগুলো ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে পরিচালিত হয়।

সাবেক বৃটিশ কলোনীভুক্ত দেশ সমুহ একে অপর দেশে যে দূতাবাস স্থাপন করে তাকে বলে হাইকমিশন। সহজে বললে বলা যায়, যারা এক সময় বৃটিশ কর্তৃক শাসিত ও শোষিত হয়েছে তারা বর্তমানে কমনওয়েথ নামে একটি সংগঠনের সদস্য। তাদের দূতাবাসগুলোই হাইকমিশন নামে পরিচিত।

দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের র‌্যাঙ্ক সমূহ।

১। রাষ্ট্রদূত (Ambassador) : হাইকমিশনার: তিনি রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক বিশেষ ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। হোস্ট দেশে তিনি রাষ্ট্র প্রধানের ন্যায় মর্যদা লাভ করেন। তিনি গাড়ীতে নিজ দেশের পতাকা উড়িয়ে চলাচল করেন। তাকে সাধারন – মান্যবর বা His Excellency বলে সম্বোধন করা হয়।
২। মিনিস্টার বা Minister: উপরাষ্ট্রদূত যিনি থাকেন তাকে দূতাবাসের ভাষায় মিনিস্টার বলা হয়। কিন্তু তিনি কোন মন্ত্রী নন।
৩। কাউন্সেল (Counsellor) : দূতাবাসে মিনিস্টারের নিচের পদটিকে কাউন্সেলর বলে।
৪। প্রথম সচিব( First Secretary):
৫। দ্বিতীয় সচিব (Second Secretary):
৬। তৃতীয় সচিব (Third Secretary):
৭।এ্যাটাশে ( Attaché;):
৮। এসিস্ট্যান্ট এ্যাটাশে ( Assistant Attaché;):
মোটামুটি একটি দূতাবাস আ হাইকমিশনের উপরের পদগুলোকে কূটনৈতিক পদ বলা হয়। এর বাইরে স্থানীয় ভাবে হোস্ট দেশ থেকে বাকি কর্মচারীদেকে নিয়োগ করে দূতাবাস পরিচালিত হয়।

দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত যখন অনুপস্থিত থাকেন তখন যে সিনিয়র কূটনীতিক দূতাবাস প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তাকে কূটনৈতিক ভাষায় Chargé d'affaires চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলা হয়। হাইকমিশনে এটাকে বলা হয় Acting High Commissioner.

একটি দূতাবাসের পুরো টিমকে কূটনৈতিক ভাষায় মিশন বলা হয়। সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে মিশন প্রধান বা Head of the Mission বলা হয়।

লক্ষ্যনীয়ঃ যুক্তরাষ্ট্র বৃটিশ শাসনে থাকলেও সে কমনওয়েলথ এর সদস্য নয়। তাই তার রাষ্ট্রদূতকে হাইকমিশনার বলা হয় না।

( বদের বদ বৃটিশরা তাদের শাসন ধরে রাখার জন্য কমনওয়েলথ তো বানিয়েছেই। তারপর তারা নাম দিয়েছে হাইকমিশন। যেন মনে পড়ে আমরা এক সময় বৃটিশ শাসনে ছিলাম। আফসোস।)

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বদের বদ বৃটিশরা তাদের শাসন ধরে রাখার জন্য কমনওয়েলথ তো বানিয়েছেই। তারপর তারা নাম দিয়েছে হাইকমিশন। যেন মনে পড়ে আমরা এক সময় বৃটিশ শাসনে ছিলাম। আফসোস।".........

সাজ্জাদ ভাই, বিষয়টি আমাকেও ভাবায়।

৮| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

জাতির বোঝা বলেছেন:

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার নামে চলছে হরিলুট আর সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ। সরকারী টাকা যে কত সস্তা তা এখানে একবার না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না। তাদের দেশের প্রতি দরদ দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।

এখানে মূল দূতাবাসের সাথে কোন পাসপোর্ট অফিস নেই। পাসপোর্ট অফিসটি আলাদা একটি ৪ তলা ভবনে। যারা ভাড়া বাংলাদেশী টাকা মাসে ৭/৮ লাখ টাকা।


প্রায় বছর দুয়েক আগে অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রবাসী জনগণকে আরো বেশী করে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার আব্দার করে দূতাবাসে খোলায় হয় পৃথক পাসপোর্ট বিভাগ। সেখানে বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৩০ কোটি টাকা। দূতাবাসে পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও পাসপোর্ট বিভাগে ঢাকা থেকে আনা হয় প্রশাসন ক্যাডার থেকে এক জন সিনিয়ার সহকারী সচিব যিনি কিনা এখানে প্রথম সচিব নামে পরিচিত। সেই সাথে ঢাকা থেকে পাঠানো হয় আরো চার জন পদস্থ কর্মচারী। ফলে দূতাবাসে অতিরিক্তি জন বল হিসাবে যোগ হয় আরো ৫ জন। সরকারের খরচ বেড়ে যায় কোটি কোটি টাকা। কেননা তাদের বেতন-ভাতাদি ডলারে পরিশোধ করতে হয় সরকারকে।




এছাড়া ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রায় প্রতি মাসেই কর্মকর্তারা নানা ছল ছুতোয় মালয়েশিয়া সফর করছেন। বিদেশ সফরের সময় কর্মকর্তারা নিয়মিত বেতন ভাতার বাইরেও প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মার্কিন ডলার করে ভাতা নেন সরকারের কোষাগার থেকে। ফলে শ্বেতহস্তী পোষতে সরকারকে গুণতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

জানা গেছে, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের বড় কর্তারাই নন, প্রায় সময়ই সেখান থেকে ২০/২৫ জন কর্মচারী বিশেষ সেবা দেয়ার নাম করে মালয়েশিয়া সফর করেন। প্রতিবার সফরে তারা ১ মাস ,২ মাস বা তার চেয়েও বেশী সময় কাটান। ফলে তাদের পেছনে নিয়মিত বেতন ভাতা ছাড়াও ডলারে ভাতা দিতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। জানা গেছে সেখানে তাদের কোন কাজই নেই। পাসপোর্ট অফিসের একটি সরকারী গাড়ী আছে। সরকারী গাড়ীতে সরকারী তেল খরচ করে তারা মালয়েশিয়াতে প্রমোদ ভ্রমন করে বেড়াচ্ছেন।


প্রতি মাসে ঢাকার আগারগাঁও থেকে সেবার দেয়ার নাম করে আবার পাঠানো হয়েছে ২৫ জন কর্মচারী আর ২ জন কর্মকর্তা।তারা নাকি ২ মাস ধরে প্রবাসী জনগণকে সেবা প্রদান করবে।

এদিকে তারা পাসপোর্ট অফিসে সেবা দেয়ার নাম করে রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ করে চলেছেন। কারণ এই মুহূর্তে প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত বেতন ভাতা দেয়া ছাড়াও তাদেরকে প্রতিদিন জন প্রতি ২/৩ শত মার্কিন ডলার করে বিদেশ ভাতা দিতে হচ্ছে। যা আসছে গরীব দেশের গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ করা বাজেট থেকে। এর বিনিময়ে সাধারণ মানুষ কি পাবে। লাভের মধ্যে লাভ হবে এই সব কর্মকর্তা কর্মচারী সরকারী টাকায় বিদেশে ঘুরবে আর শপিং করে লাগেজ ভর্তি করবে। খুব্ই আনন্দের বিষয়।

সেবা দেয়ার নাম করে এতো মানুষ এক সাথে মালয়েশিয়াতে আসার কোন রেকর্ড নেই বলে জানা গেছে। কারণ দূতাবাসে এক সাথে এতো গুলো মানুষ কাজ করার মতো কোন জায়গা, মেশিন বা অবকাঠামোগত কোন সুযোগই নেই।

এ ব্যাপারে ভালো জানেন এমন এক জন সাবেক সরকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, পৃথিবীর অনেক দেশের দূতাবাসে মোট স্টাফ সংখ্যাএ ৩০ জন হয় না।অথচ এখানকার পাসপোর্ট অফিসে মোট জনবল ৫০ এর অধিক। অথচ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ আর হরিলুটের জন্য নানান রাজনৈতিক তদবির করে তাদেরকে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে যে অফিসে থেকে পাঠানো হয়েছে সেই অফিসের কাজ কর্ম কি করে চলে এটাও একটা বিরাট প্রশ্ন। কারণ কোন একটি অফিস থেকে এক সাথে ২৫/৩০ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ২ মাসের জন্য বিদেশে চলে গেলে সেই অফিসটি কি ভাবে চলে।

আমার প্রশ্ন সবার কাছেঃ

এই সব লুটপাট আর সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ দেখার মতো কোন লোক নেই বাংলাদেশে?

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। হায়রে দুর্নীতি, হায়রে হরিলুট।

"এদিকে তারা পাসপোর্ট অফিসে সেবা দেয়ার নাম করে রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ করে চলেছেন। কারণ এই মুহূর্তে প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত বেতন ভাতা দেয়া ছাড়াও তাদেরকে প্রতিদিন জন প্রতি ২/৩ শত মার্কিন ডলার করে বিদেশ ভাতা দিতে হচ্ছে। যা আসছে গরীব দেশের গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ করা বাজেট থেকে। এর বিনিময়ে সাধারণ মানুষ কি পাবে। লাভের মধ্যে লাভ হবে এই সব কর্মকর্তা কর্মচারী সরকারী টাকায় বিদেশে ঘুরবে আর শপিং করে লাগেজ ভর্তি করবে। খুব্ই আনন্দের বিষয়।"......

কিছুই বলার নেই।

৯| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়লাম।
মন্তব্যটা একটু অন্যভাবে দেই-

পাহাড়ের প্রতিশোধ। ওঁরা পাহাড় কাটছিলেন এবং কাটা পাহাড়ের মাটি চাপা পড়েই মারা গেলেন।

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "পাহাড়ের প্রতিশোধ। ওঁরা পাহাড় কাটছিলেন এবং
কাটা পাহাড়ের মাটি চাপা পড়েই মারা গেলেন।"........

রাজীব ভাই, চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্ট।

১০| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সমাজ নিজের প্রয়োজনেই ভেদাভেদ তৈরি করে।
আমাদের দেশের শিক্ষিত-যোগ্য লোকগুলোও তাই আমাদের শোষণ করতে ভালোবাসে।
আমাদের রাষ্ট্রদূতেরা, বিচারপতিরা তাই, মেজাজে মননে সাহেব ও জাতে শোষক।
তবুও সমাজ তাদের ভালোবাসে, কারণ আমাদের জাতিগত পান্ডিত্য নিম্নমানের।
+++

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের রাষ্ট্রদূতেরা, বিচারপতিরা তাই, মেজাজে মননে সাহেব ও জাতে শোষক।
তবুও সমাজ তাদের ভালোবাসে, কারণ আমাদের জাতিগত পান্ডিত্য নিম্নমানের।" ...................

বাহ! অনেক দামী একটি কথা বলেছ, তুমি। "আমাদের জাতিগত পান্ডিত্য নিম্নমানের।"

১১| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

এমজেডএফ বলেছেন: দুতাবাসের কর্মচারীদের সাথে আবার প্রবাসী দলবাজ বাঙালিদের (সরকার দলীয়) সাথে দহরম মহরম থাকে। রাষ্ট্রীয় খরচের অনুষ্ঠানে শুধু সরকার দলীয় নেতারাই দাওয়াত পাই। দূতাবাসে কোন পাসপোর্ট-ভিসা সংক্রান্ত কাজের জন্য গেলে এসব স্থানীয় দলীয় চামচাদের সাথে নিয়ে বা ঘুষ দিয়ে করতে হয়। এটি সবচেয়ে বেশি ছিল বিএনপির আমলে। তবে এখন দূতাবাসে পাসপোর্ট-ভিসা সংক্রান্ত আবেদন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ায় পাবলিকের হয়রানি আগের থেকে কমেছে।

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "দুতাবাসের কর্মচারীদের সাথে আবার প্রবাসী দলবাজ বাঙালিদের (সরকার দলীয়) সাথে দহরম মহরম থাকে। রাষ্ট্রীয় খরচের অনুষ্ঠানে শুধু সরকার দলীয় নেতারাই দাওয়াত পাই। দূতাবাসে কোন পাসপোর্ট-ভিসা সংক্রান্ত কাজের জন্য গেলে এসব স্থানীয় দলীয় চামচাদের সাথে নিয়ে বা ঘুষ দিয়ে করতে হয়।"..........

ঠিক বলেছেন, ভাই।

১২| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: বিদেশের বুকে দূতাবাস মানে এক টুকরো স্বদেশ। অনেক দিন পরে আজকে নিজের কাজের জন্য গিয়েছিলাম কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে।বিদেশে থাকতে থাকতে কেউ যদি ভুলে যায় দেশের সরকারী অফিসাররা কেমন হয়? বা সরকারী অফিসগুলো কেমন? তবে হাইমিশন বা দূতাবাসগুলোতে ঢুঁ মারা উচিৎ তাদের। সেই নোংরা অফিস........এক গাদা ধান্দাবাজ ও দূর্নীতিবাজ অপদার্থ লোক বসে আছে সেখানে। যারা কাজের কাজ কিছুই করে না কিন্ত বড় বড় কথা বলে।আমার দেখা মালয়েশিয়ার সবথেকে নোংরা অফিস এটা। কথায় আছে। কোন দেশের হাই কমিশন সেই দেশকে রিপ্রেসেন্ট করে। খুবই কষ্ট লাগে যখন আমি আমার দেশের রিপ্রেসেন্ট এভাবে দেখি। এদের কি টাকার অভাব? না, তা নয়। হাই কমিশনে যারা চাকুরি করে তারা এই মালয়েশিয়াতেও আলিশান বাড়িতে থাকে। তাহলে কেনো পারে না অফিসটাকে একটু বসার যোগ্য করতে? বিঃদ্রঃ---দুষ্টলোকেরা বলে মালয়েশিয়া হাইকমিশন হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন মুকুল কমিশন।।

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বিদেশে থাকতে থাকতে কেউ যদি ভুলে যায় দেশের সরকারী অফিসাররা কেমন হয়? বা সরকারী অফিসগুলো কেমন? তবে হাইমিশন বা দূতাবাসগুলোতে ঢুঁ মারা উচিৎ তাদের। সেই নোংরা অফিস........এক গাদা ধান্দাবাজ ও দূর্নীতিবাজ অপদার্থ লোক বসে আছে সেখানে। যারা কাজের কাজ কিছুই করে না কিন্ত বড় বড় কথা বলে।আমার দেখা মালয়েশিয়ার সবথেকে নোংরা অফিস এটা। কথায় আছে। কোন দেশের হাই কমিশন সেই দেশকে রিপ্রেসেন্ট করে। খুবই কষ্ট লাগে যখন আমি আমার দেশের রিপ্রেসেন্ট এভাবে দেখি।"...........

সামছুল ভাই, চরম সত্য কথা বলেছেন। আমরা শুধু দুর্নীতিবাজ নয়, পৃথবীর সবচেয়ে নোংরা জাতি। এটা আমি লন্ডনে বাংলাদেশের দূতাবাসেও দেখেছি।

১৩| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

শামচুল হক বলেছেন: আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শামচুল ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব রসুনের গোড়া এক জায়গাতেই। দুই পরিবার এমন একটা জঘন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে যুগের পর যুগ তা থেকে সহসা বেরিয়ে আসার কোন উপায়ও নেই। রাষ্ট্রদূতদেরও কর্তব্যে অবহেলার জন্য শাস্তি দেয়া উচিত। এম্বেসীগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে এত এত লেখার পরও কয়জন রাষ্ট্রদূত জেল খেটেছেন? আইনের প্রয়োগ যতদিন কঠোর না হবে, যতদিন সবার জন্য সমান আইন না হবে ততদিন এই দেশ পাল্টাবে না...

২১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "কর্তব্যে অবহেলার জন্য শাস্তি দেয়া উচিত। এম্বেসীগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে এত এত লেখার পরও কয়জন রাষ্ট্রদূত জেল খেটেছেন? আইনের প্রয়োগ যতদিন কঠোর না হবে, যতদিন সবার জন্য সমান আইন না হবে ততদিন এই দেশ পাল্টাবে না।"..............


আপনার প্রতিটি কথাই যুক্তিপূর্ণ ও বাস্তব। সহমত..........

১৫| ২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ধন্যবাদ।

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: বিদেশে থাকতে থাকতে কেউ যদি ভুলে যায় দেশের সরকারী অফিসাররা কেমন হয়? বা সরকারী অফিসগুলো কেমন? তবে হাইমিশন বা দূতাবাসগুলোতে ঢুঁ মারা উচিৎ তাদের। সেই নোংরা অফিস........এক গাদা ধান্দাবাজ ও দূর্নীতিবাজ অপদার্থ লোক বসে আছে সেখানে।
সহমত |

২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সত্যি, সামছুল ভাইয়ের কমেন্টটি চমৎকার হয়েছে।

১৬| ২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিদেশে অবস্হিত বাংলাদেশের দূতাবাস নিয়ে অভিযোগের অন্ত নাই। আপনার লেখায় অনেক কথা উঠে এসেছে।

২২ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, যারা বিদেশে যায় তারা ভোক্তভূগী। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ, শাহাদাৎ ভাই।

১৭| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

পবন সরকার বলেছেন: চৌধুরী ভাই, কাইকর একটা বেয়াদপ, ওর ছদ্মনাম দেখেই বুঝেছিলাম ওর লেখার স্টাইল ভালো হবে না।

২২ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পবন সরকার ভাই, আমি আপনার কমেন্টটি পড়ে আসলাম। যারাই কমেন্ট করছেন প্রায় সবাইকে একটি জ্ঞান দিচ্ছেন তিনি-

"আপনি বেশী বেশী বই পড়লে এইভাবে দেখতেন না লেখাটা। যারা প্রকৃত বইপোকা তারা এই গল্পকে ভাল চোখেই নিবেন।"............

বাহ!! চমৎকার উপদেশে। তার মানে উনি ছাড়া বাকি ব্লগাররা না পড়েই লেখালেখি করেন, গল্প/কবিতার বই লেখেন!!! আমার আগে শ্রদ্ধেয় @চাঁদগাজী কমেন্ট করেছিলেন, উনাকেও তিনি জ্ঞান দেন। আর আমার কমেন্টে তো রীতিমত ক্রিটিসাইজ করেন!!!

ছবি দেখে মনে হয় এখনো স্কুলের গন্ডি পার হয়নি।

১৮| ২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: "পাহাড়ের প্রতিশোধ। ওঁরা পাহাড় কাটছিলেন এবং
কাটা পাহাড়ের মাটি চাপা পড়েই মারা গেলেন।"........

রাজীব ভাই, চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্ট।

কেবল মাত্র ঈশ্বরই জানেন 'পিপড়া আর মশা' এই দুই শ্রেণীর প্রাণীর সাথে আমার কোন জন্মে দ্বন্দ্ব আছিলো! সারাটা দিন শুধু কামড়ের উপরে রাখে...

২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "কেবল মাত্র ঈশ্বরই জানেন 'পিপড়া আর মশা' এই দুই শ্রেণীর প্রাণীর সাথে আমার কোন জন্মে দ্বন্দ্ব আছিলো! সারাটা দিন শুধু কামড়ের উপরে রাখে..."


আপনার রক্তে কোন ভেজাল নেই, ফরমালিন মুক্ত।

১৯| ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে / এ্যাম্বাসীতে যাওয়ার সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য দুটোই আমার হয়েছে, আমার বড়ভাই বলেন বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশী বাজার । আসলে কয়লা দুধ দিয়ে ধোয়ার পর ও কালো ই থাকে ।

২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশী বাজার।" আসলে কয়লা দুধ দিয়ে ধোয়ার পর ও কালো ই থাকে।"..................

চমৎকার বলেছেন।

মাহমুদ ভাই, আপনাকে মিস করি, ব্লগে পাইনা বলে।

২০| ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সমাধানের উপায় তো বললেন না ভাই। সমাধানের উপায় বের করা দরকার।

২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সমাধানের একমাত্র উপায় মাহাথিরের মতো একজন নেতা আর জবাবদিহিতা।

২১| ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: বিদেশে আরেকটুকরো বাংলাদেশ। হাহাহা.....।

২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা....... ঠিকই বলেছেন।

২২| ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: বাংলাদেশের হাইকমিশারগুলো যদি আরো সচেতন হয় তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।

২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মাহাথিরের মতো একজন নেতা আর জবাবদিহিতা থাকলে হতো।

২৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৭

সোহানী বলেছেন: আপনি কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবেন???? দেশে বা দেশের বাইরে সমান তালেই চলে। আপনি কি বিশ্বাস করবেন কানাডায় বসে ও আমার পার্সপোর্ট রিনিউ করতে ঘুষ দিতে হয়েছে। নতুবা তারা এমন ঝামেলা করে যে আপনি পাগল হতে বাধ্য.............. হায়রে দেশ!

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা ঠিকই বলেছে। শুধু কানাডা কেন? আমি তো লন্ডনে ঘুষ দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করেছি। তারপরও সময়মতো পাসপোর্ট পাইনি!!! তবে ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশিরা বেশি হয়রানির শিকার হন।

২৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

নীল মনি বলেছেন: পোস্ট পড়লাম।আমি পড়েছি আর ভেবেছি আপনি কত কিছু জানেন। জানলাম অনেক কিছু। :)

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কি যে বলেন আপনি? জানার কি কোন শেষ আছে? প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করি।

২৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

নীল মনি বলেছেন: সত্যি ও সঠিক কথাটি বলেছি।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, জানার কোন শেষ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.