নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাজী নিয়াজ

কাজী নিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একতাবদ্ধ বাঙালি জাতি--হেইডা আবার কী? এইডা কি খায় না মাথায় দ্যায়?

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

জাতি ও দেশ দুইভাগে বিভক্ত হইয়া গেলো কইয়া চরিদিকে মাতম শুরু হইয়া গ্যাছে। ওরে আমার একতাবদ্ধ জাতি রে! কানার নাম পদ্মলোচন আর কি! আরে, বাঙলাদেশ আর বাঙালি জাতি তো ভাগ হইয়া গ্যাছে ১৯৪৭ এর আগস্ট মাসে, যেইদিন আপন্যারা গুজরাটি জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ব মাইনা নিয়া গলা ছাড়ছিলেন, “হাত মে বিড়ি মু মে পান, লাড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান”; আর মাড়োয়াড়ী ঘনশ্যামদাস বিড়লার টাকায় চলা হিন্দু মহাসভার ব্রাহ্মণ্যবাদী-হিন্দুজাতীয়তাবাদের ঢাকের তালে খ্যামটা নাচন দিছিলেন। অহন যা হইতেছে তা তো সেই বিভক্তিরই ভাগ-উপভাগ মাত্র। ১৯৪৬ এর ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ এর কাছে এইসন তো নস্যি! বৃহত্তর বাঙলায় হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি মিল্যা-মিশ্যা আছিলো। তারা কেউই সংখ্যায় নিরঙ্কুশ বড় আছিলো না। তারা চলতো ভাগে-যোগে। কিন্তু, বাঙলার হাজার বছরের সেই স্থিতি আপন্যারা একদিনের ভোটে ভাইঙ্গা দিলেন! এই ভোট হইলো কোনসুম? যখন দুই পক্ষ’রই ভালা-মন্দ জ্ঞান লোভ পাইলো। তাদেরকে থিতাইবারও সময় দিলেন না। হ্যার লাইগ্যাই এই পারে আমরা ৯০ ভাগ মুসলমান-৯০ ভাগ মুসলমান কইয়া ফাল পাড়ি, আর ওই পারে ওরা ‘হিঁদুর দেশ’ কইয়া বড়াই করে। তাইলে, দোনো দেশের জাতভাইরে আপন্যারা বানাইলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। মাগার, আসলে লাভ হইছে কার? বাঙলা ও বাঙালি এক থাকলে যে হ্যারা ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা-ভিত্তিক জাত হয়, হেইডা না হওনে সুবিধা কাগো? ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ কাগো খিলাফ গিয়া স্বাধীন সুলতানী আমল শুরু করছিলেন? ঈসা খাঁ কাগো বিরুদ্ধে লড়ছিলেন? বাঙলা-ভাগে কি উপমহাদেশের বৃহত্তম জাতি, মানে হিন্দুস্তানি ভাষী (হিন্দি-উর্দু দোনোটাই) জাতি আর তাগো রাজধানী দিল্লিই বেশি আখের গোছায়নায়? বাঙালি জাতির দুই অংশরে ‘ছোট-ছোট টুকরা কইরা খাও’ নীতিতে কি পারতপক্ষে (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে) দিল্লিই শাসন করতাছে না? কাজে কাজেই, পরথমে বিসমিল্লাহর গলদ ঠিক করেন, হ্যার পর আইসেন জাতির বিভক্তি লইয়া ছিচঁকান্তে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৯

এস দেওয়ান বলেছেন: আপনার লেখার প্রসংগ আমাকে টেনেছে তাই পড়ে মন্তব্য করলাম । আপনি লিখেছেন ১৯৪৭-এর আগস্টে বাঙালি বিভক্ত হয়েছে । আপনার এই তথ্য যা সঠিক নয় । আরো অনেক আগে বিভক্ত হয়েছিল; মানসিক ভাবে ১৯০৬-এর আগে বিভক্ত হয়েছিল এবং ১৯০৬-এ পূর্ণাঙ্গ ভাবে বিভক্ত হয় । ১৯৪৭ ছিল সেই বিভক্তিরই ধারাবাহিকতার ফল ।
আমি মনে করি বঙ্গভঙ্গ বাঙালির কপাল ভেঙেছে । বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে বাঙালি জাতি নিজেদেরকে উপমহাদেশে দুর্বল করেছে । এক সময়ের প্রভাবশালী বাঙালি জাতি আজ হিন্দুস্তানিদের সামনে দুর্বল হয়ে আছে । দুঃখের ব্যাপার হলোএখনো আমাদের দেশের একটি রাজনৈতিক জোট এই জিনিষটা বোঝে না ।

২| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

কাজী নিয়াজ বলেছেন: তথ্যগত ভাবে আপনার কথা সঠিক। আমি চূড়ান্ত বিভক্তি অর্থে ১৯৪৭ বলেছি। আপনার সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.