নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটি আমার ব্লগ। আমার কথা পড়া যাবে এখানে।

আবুল খায়ের

আবুল খায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদকাসক্তি ও প্রতিকার

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মাদকাসক্তি কি?

মাদকাসক্তি এমন একটি মানসিক বা শারীরিক অবস্থা যা মাদক নিয়মিত গ্রহণ করার জন্য দুর্দমনীয় আকাঙ্খার সৃষ্টি করে এবং গ্রহণে বিলম্ব বা ব্যর্থ হলে অবর্ণনীয় শারীরিক যন্ত্রনার সৃষ্টি হয়। এর ফলে মানুষ ধীরে ধীরে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষণায় দেখা যায়, ‘মাদকাসক্তদের অধিকাংশই প্রথমে তামাক বা ধুমপান দিয়ে শুরু করে।’ তাই বলা যায় ‘ধুমপানই মাদকাসক্তির প্রথম ধাপ।’ মাদকের পরিচিত প্রকারগুলো হলো হিরোইন, গাঁজা, তামাক, আফিম, ইয়াবা, আইস পিল, ফেনসিডিল, পেথিড্রিন প্রভৃতি।



মাদকাসক্তির কারণ সমূহ:

১. মাদকের প্রতি কৌতুহল বা নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের প্রয়াস।

২. খারাপ বন্ধু বান্ধবের প্রভাব।

৩. মাদকের কুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা।

৪. বিদ্রোহী ও বেপরোয়া মনোভাব।

৫. মানসিক বিশৃঙ্খলা।

৬. প্রতিকুল পারিবারিক পরিবেশ।

৭ মাদকের সহজলভ্যতা।

৮. বেকারত্ব, হতাসা ও আর্থিক অনটন।

৯. নৈতিক শিক্ষার অভাব।



মাদকাসক্তির কতিপয় দিক:

১. মানসিক: উত্তেজনা, চরম অবসাদ, আত্মহত্যার প্রবনতা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অসংলগ্ন ব্যবহার।

২. শারীরিক: কর্মক্ষমতার অবনতি, ¯œায়ুবিক দুর্বলতা, যকৃতের তীব্র প্রদাহ, এইডস, হৃদরোগ, অনিদ্রা, পেটে ব্যথা, ব্রণ, বমি বমি ভাব, দৃষ্টি শক্তি ও চিন্তা লোপ, মস্তিস্ক বিকৃতি সহ দেহের প্রধান অংগ সমূহে মারাত্মক রোগ প্রদাহ।

৩. সামাজিক: উন্নতির আকাক্সক্ষা হ্রাস, কর্মদ্যোম হ্রাস, চরম অশান্তি, মারাত্মক অপরাধ প্রবণতা, সমাজে অপাংতেয় হওয়া।

৪. আর্থিক: নিজে সর্বস্বান্ত হওয়া, আর্থিক অনটন, ধার প্রবণতা।

সবচেয়ে বড় কথা মাদকাসক্তির পরিণতি হলো গ্লানিকর ও যন্ত্রণাদায়ক করুণ মৃত্যু।



মাদকাসক্তির বাহ্যিক লক্ষণ:

১. ঝিমুনিভাব,

২. তটস্থতা,

৩. বিরক্তিকর ব্যবহার,

৪. অস্পষ্ট কথাবার্তা,

৫. পোশাক বিষয়ে অমনোযোগিতা

৬. নির্জন স্থানে সময় কাটানো

৭. চোখ ঘোলাটে

৮. ক্ষুধা মন্দা

৯. ঘুমে অনিয়ম,

১০. পরিচ্ছদে পোড়া দাগ বা চিহন এবং সন্দেহজনক লোকের সাথে কথা বলা।

১১. বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক ছেদ।





























মাদকাসক্তি রোধে করণীয়:

১. অভিভাবকদের সচেতনতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব।

২. শিক্ষাক্ষেত্রে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও নিয়মিত পাঠদান।

৩. সামাজিক সংগঠন সমূহের অগ্রণী ভূমিকা পালন।

৪. গণ মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রচার।

৫. প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

৬. চিকিৎসা ও পূনর্বাসন প্রক্রিয়া সহজলভ্যকরণ ও সকলের অংশগ্রহণ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.