![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র
আমাদের সকলকেই জীবনের কোনও না কোনও সময়ে সাময়িক ভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়। ব্যক্তিগত বা কর্মজীবনের চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে গিয়ে অনেক সময়েই মানসিক অবসাদ এবং উদ্বিগ্নতার শিকার হতে হয়। যখন আমরা দেখি আমাদের স্বাভাবিক কাজগুলি ব্যাহত হচ্ছে, তখনই মানসিক অসুস্থতার প্রশ্নটি সামনে আসে। শারীরিক সুস্থতার বিষয়ে আমাদের মনে একটা স্পষ্ট ধারণা ক্রমশই গড়ে উঠছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের সঙ্গে যে অসুখগুলি জড়িয়ে রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা যতটা সচেতন, মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে ততটা সচেতনতা তো দেখাই যায় না, বরং এর বিষয়ে কোনও কথা বলাই যেন নিষেধ। বেশিরভাগ সময়েই মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাটি একটা ভুল ধারণার উপরে ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
মানসিক স্বাস্থ্য বলতে শুধুমাত্র বিভিন্ন মানসিক রোগ ও মানসিক ডিসঅর্ডার সমূহ হতে মুকত থাকা কেই বুঝায় না !
মানসিক স্বাস্থ্যের ধারণার সঙ্গে মানসিক দুর্বলতা বা অস্বাভাবিকতার কোনও সম্পর্ক নেই !
সুতরাং তা হলে মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায় ?
মানসিক স্বাস্থ্য হচ্ছে মনের একটি স্থায়ী অবস্থা, যেখানে ব্যাক্তি মানসিক ভাবে ভারসাম্যপূর্ণ অবসস্থায় থাকে । এবং ব্যাক্তি নিজের সাথে এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে মানিয়ে নিয়ে ভাল থাকতে পারে । এবং ব্যাক্তি নিজেকে উপলব্ধি করা সহ নিজেকে জানতে পারা অর্থ্যৎ ব্যাক্তি নিজের শক্তিশালী ও দুর্বল দিক গুলো সম্পর্কে জানতে পারার মত সামর্থ্য থাকে । এবং ব্যাক্তির জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক বিষয়গুলো অর্জনে মানসিক সামর্থ্য থাকা । মানুষের ব্যাক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্য হতে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকা । অস্বাভাবিক ও হিংস্র আচরণ হতে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক আচার-আচরণের বৈশিষ্ট্য ব্যাক্তির মধ্যে বিদ্যমান থাকা ।
মানসিক স্বাস্থ্যের দরুন একজন মানুষ সেই ক্ষমতা অর্জন করে, যা তাকে নিজের সঙ্গে এবং তার চারপাশে থাকা অন্যান্যদের সঙ্গে যুক্ত হতে বা একাত্ম হতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই দক্ষতার জোরে মানুষ তার জীবনের নানাবিধ চ্যালেঞ্জকেও গ্রহণ করতে সক্ষম হয়
মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে অত্যন্ত ইতিবাচক দিক দিয়ে বিচার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু'। তাদের মতে স্বাস্থ্য হল শরীর, মন এবং সমাজের ভাল দিকগুলির মেলবন্ধন। এই ভাবনার সঙ্গে রোগ বা দুর্বলতার দিকটি যুক্ত নয়। 'হু' আরও বলেছে যে, সুচিন্তার অধিকারী মানুষ তার দক্ষতা বাড়াতে সব সময়ই সচেষ্ট, এই দক্ষতাই তাকে জীবনের বিপর্যয়গুলির মোকাবিলা করে সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করে, উৎপাদনশীল কাজে সে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে এবং নিজের গোষ্ঠী ও সমাজের জন্যও অবদান রেখে যেতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য হচ্ছে একটি ইতিবাচক অবস্থা যেখানে ব্যাক্তি শরীর ও বিবেকের সুস্থতা কে উপভোগ করতে পারে ।
মানসিক সমস্যার সমাধানের জন্য উপসর্গগুলিকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত চিকিৎসা করলে সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অন্যান্য রোগের চিকিৎসার মতোই এই রোগ নিরাময়ের জন্য
কাউন্সেলিং, সাইকোথেরাপি এবং মেডিকেশনের সাহায্য নেওয়া হয়।
মানসিক সমস্যাগুলি নিরাময়ের জন্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন।
সাধারণ ভাবে দেখা যায় যে, মানসিক সমস্যা দেখা দিলে তা বেশিরভাগ সময়ই চিকিৎসা করানো হয় না। বিষয়গুলিকে অবহেলা করা হয়। অধিকাংশ সমস্যাকেই ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।সারা বিশ্বের মানসিক সমস্যার বিষয়ে জানতে গেলে অনেক পড়াশোনো করা দরকার।
মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবার জন্য কাউন্সেলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পর্বে আমরা আরো জেনে নিব কাইন্সেলিং কি এবং কাউন্সিলং বলতে কি বোঝায় ?
কারা এ সেবা দিবেন ?
এবং কোথায় আমরা এ সেবা পাব ?
আসুন আমরা কাউন্সেলিং এবং গাইডেন্স সম্পর্কে জেনে নেই
কাউন্সেলিং সংক্রান্ত বিষয়েও মানুষের মধ্যে রয়েছে ভুল ধারনা ।
কাউন্সেলিং এন্ড গাইডেন্স সার্ভিস
©somewhere in net ltd.