![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র
আমরা চাই যে সুন্দর ভাবে পড়াশুনা করবো অত্যন্ত মনযোগের সাথে । আমরা চাই যে পরিক্ষায় রেজল্ট ভালো করার পাশা-পাশি বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করব । কিন্ত বাঁধ সাধে যে, আমাদের প্রচুর সময় নষ্ট হয়ে যায়, আমরা ঠিক মত পড়াশুনা করতে পারি না । আবার পড়াশুনা করেও রেজল্ট ভালো করতে পারি না । রেজাল্ট খারাপ হয়ে যায় ।
আসলে সমস্যাটা কোথায় ?
- কেন আমরা ঠিকমত পড়া শুনা করতে পারি না ?
- কেনইবা আবার পড়াশুনা করার পরও রেজাল্ট ভালো করতে পারি না !?
আসলে এক্ষেত্রে তো বলতে পারি যে, ঠিকমত পড়াশুনা না করলে তো রেজাল্ট খারাপ হবেই, তাতো জানা কথাই । তাহলে পড়াশুনা করেও কেন রেজাল্ট ভাল করতে পারি না !!?
তার উত্তর কি হবে ??
এক্ষেত্রে এই পয়েন্টে আসি যে কেন পড়শুনা করেও রেজাল্ট খারাপ হয়, তাছাড়াও আমরা অনেক সময় পড়াশুনা করেও কোন কিছু আয়ত্ব করা বা বুঝতে পারি না !?
এক্ষেত্রে আমার মনে হয় পড়াশুনা করার ধরন ও মেমোরাইজিং সিস্টেম ও ব্যাবস্থাপনার অবধান বিরাট !!!
[sb]সার্বিক ভাবে আপনাদের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও জানাশুনা দিয়ে আমার উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে আমাকে সহ আমার মত আরো অনেক শিক্ষার্থীর উপকারা করবেন, এই অনুরোধ রইল আপনাদের কাছে ।
আর আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এ সমস্যা সমাধানে কি করবো, কি করতে পারি এ ধরনের কিছু পয়েন্ট তুলে ধরলাম । এ ক্ষেত্রে আপনাদের মতামত ও গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই কাম্য ।
আমার মনে হয়,
কোন কিছুর জ্ঞান হাসিল করা নির্ভর করে, কোন কিছু কি পদ্ধতিতে মেমোরাইজ (মনে রাখা বা তা আয়ত্ব করার টেকনিক) করার ব্যাবস্থাপনার উপরে । এবং এ জন্য তার পূর্ব পরিকল্পনার উপর অর্থাৎ আমি কি শিখতে বা অর্জন করতে চাই ? কেন চাই ? এই আলোকে মনস্তাত্বিক প্রস্তুতি নেওয়া । সুতরাং এ ক্ষেত্রে আমাকে কি করতে হবে ? অন্য যারা এ ক্ষেত্রে সফল হয়েছে তারা কিভাবে এগিয়েছিলো ?
কিছু সাধারন ভিত্তি রয়েছে যার উপর নির্ভর করে কোন কিছু কে কার্যকরীভাবে মেমোরাইজ করা বা আয়ত্ব করার ক্ষেত্রে :
১. আমি বিষয়টি হতে কি শিখতে চাই তার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা, যা আমাকে বিষয়টি সহজে বুঝতে ও অর্জন করতে সহায়তা করবে ।
২. বিষয়টি বুঝার উপরে জোর দেওয়া, রুটিন মাফিক পড়াশুনা করা ও নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া ।
৩. কোন কিছুকে অর্জন করতে হলে বার বার চেষ্টা করা পদ্ধতিকে ব্যাবহার করা । বেশী বেশী করে অনুশীলন করা বা প্রাকটিস করা । বেশী বেশী প্রাকটিস ও অনুশীলন এবং সমাধান করণের চেষ্টার মাধ্যমে তা ব্রেনে সেট করে ফেলা । ব্রেনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া ।
৪. শিক্ষার্থীর উচিত হবে নিজেকে পরিক্ষা করা, কতটুকু অর্জন বা শিক্ষা হল তা জানার জন্য নিজেকে পরিক্ষা করা । কোন কিছু পড়ে নিজের মত বুঝে বানিয়ে লিখার চেষ্টা করা, এবং যা কিছু শিখা হয়েছে বা মুখস্ত হয়েছে, তা অন্যদের কে বলা, বুঝানো বা শোনানো বিশেষ করে সহপাঠিদের কে। অর্থাৎ সহপাঠীদের সাথে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা ।
৫. শিক্ষার্থীর নিজের ভেতর আত্ব-বিশ্বাস রাখা যে আমি পারব, বুঝবো, অর্জন করতে পারবো ।অর্থাৎ শিক্ষার্থী নিজের ভেতর, নিজের সাথে নিরাপত্তা, আস্থা রাখবে বিষয়টি আয়ত্ব করতে দক্ষতা অর্জন করতে ।
৬. শিক্ষার্থী যে পদ্ধতিতে পড়াশুনা করছে, যে ভাবে নোট করছে, শিখছে, তাতে কোন ভুল আছে কিনা দেখা । যাতে করে জানা যাবে কোথায় সমস্যা হচ্ছে? কেন সমস্যা হচ্ছে ? সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করা । এ ক্ষেত্রে শিক্ষক কে নিজের নোট গুলো দেখানো, মুখস্ত করা বিষয়গুলো শিক্ষকে শোনানো, যাতে সমস্যা চিন্থিত করা যায় এবং নিজ পড়া-শুনা ও দক্ষতা অর্জনে নিজেকে আরো উন্নত ও সংশোধীত করা যায় ।
৭. যে বিষয়গুলো কঠিন, যা বুঝতে, আয়ত্ব করতে ব্রেনের গভীর স্তরের কার্যকারিতা প্রয়োজন হয়, তা এমন সময়ে অধ্যয়ন করা যখন শাররিক ও পড়াশুনার পারিপাশ্বিক অবস্থা বেশ ভাল থাকে তখন, যেমন সকাল বেলা ভোরে তাড়াতাড়ি ঘুম হতে উঠে ফ্রেশ হয়ে, হালকা নাস্তা করে চাঙ্গা মনে পড়তে বসা, তখন ব্রেনের কার্যকারিতা বেশী থাকে । এক্ষেত্রে রাতে সময়মত যথা সম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়াই উত্তম, যাতে ঘুমের পর্যাপ্ত চাহিদা পূর্ণ হয় । এ জন্য রুটিন করা ও রুটিন মাফিক চলা বেশ জরুরী ।
৮. পড়া-শুনার সময় সব সময়, কলম-কাগজ কাছে ও খোলা রাখা যাতে সাথে সাথে মুখস্ত করা বিষয়গুলো লিখা যায় এবং নিজের মত করে বুঝে নোট করা যায় ।
৯. কোন কিছু পড়ার ক্ষেত্রে শিরোনাম ও ভিতরের পয়েন্টগুলোর সাথে মিলিয়ে পড়া, এবং পয়েন্টগুলো ধরে ধরে বুঝা, এবং মনে রাখার ক্ষেত্রে শিরোনাম এবং পয়েন্টগুলো ধরে নিজের ভাষায় বুঝা এবং মনে রাখা । এবং রচনা-প্রবন্ধ বা অন্য কিছু লিখার ক্ষেত্রে পয়েন্ট ধরে ধরে পয়েন্ট তৈরী করে শিরোনাম ও পয়েন্টের আলোকে লিখা । যাতে প্রাসঙ্গিক ও সামন্জস্যতাপূর্ণ হয়ে ওঠে ।
১০. কোন কিছু জানতে, শিখতে বুঝতে, কোন দ্বিধা-সংকোচ ও লজ্জ্বাবোধ না করে, যত উপকরণ আছে, আশে-পাশের মানুষজন, পরিবার, সহপাঠি ও শিক্ষক-শিক্ষিকা সবার কাছ হতে উপকৃত হওয়া ও উপকার নেওয়া । অর্থাৎ পড়াশুনা সংক্রান্ত যা জানার দরকার হবে, ছোট বা বড় প্রশ্ন, অনায়েসেই প্রশ্ন করে জেনে নেওয়া ।
১১. কোন একটি পাঠ বা অনুচ্ছেদ না বুঝে বা আয়ত্ব না করে পরবর্তী পাঠে না যাওয়া, কেননা বইয়ের অনুচ্ছেদগুলো শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী পাঠ হতে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে তৈরী করা হয় । তাই কোন একটি পাঠ বুঝে বা আয়ত্ব করে পরবর্তী পাঠে যাওয়া । যাতে করে পরবর্তী পাঠটি বুঝতে ও আয়ত্ব করতে সহজ হয়ে ওঠে ।
১২. উত্তম হচ্ছে, নি:শব্দে পড়ার অভ্যাসে অভ্যস্থ হওয়া, যা কোন পড়া বুঝতে বা আয়ত্ব করতে বেশী সহায়তা করে ।
১৩. পড়তে পড়তে খারাপ লাগলে একটু উঠে দাঁড়ানো, একটু পানি পান করা, ক্লান্তি ও অলসতা দূরে করে । আর অনেক বেশী সময় একটানা কোন বিষয় পড়ার পর ক্লান্ত হয়ে গেলে বিষয়টি পরিবর্তন করে একটি তুলনামূলক বেশী সহজ কোন বিষয় পড়া বা প্রয়োজনীয় অন্য কোন কাজ সেরে এসে আবার পড়তে বসা ।
১৪. পড়া-শুনা ও অধ্যাবসায়ের জন্য এমন একটি উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করা, যাতে পড়াশুনার কোন বিঘ্ন না ঘটে । যেখানে কারো ডিস্টার্ব করার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে । যথা সম্ভব, রাস্তার কোলাহল বা অন্য মানুষের বিভিন্ন কথা বার্তা । বা টিভি রুম হতে দূরে ।
১৫. পড়তে বসার পর অন্য কোন চিন্তা মাথায় আসলে, পার্শ্বে আলাদা কাগজ রেখে তাতে লিখে ফেলা, এবং অধ্যয়নকালীন সময়ে সে বিষয়ে আর চিন্তা না করা । এবং যে চিন্তাগুলো মাথায় আসে তা চিন্তা করতে বা সে আলোকে কাজ করতে প্রয়োজনে কাগজে অধ্যয়নকালীন সময়ের বাহিরে অন্য সময় নির্ধারন করা ।
©somewhere in net ltd.