![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত শীতে গ্রামের বাড়ীতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আনন্দ করার একটা ছোট উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ছবি তুলে ফেললাম। অনেক অনেক দিন পর এই জিনিসটা দেখলাম। জিনিসটার নাম “হাওয়াই বাজী” এর পর জিনিসটা নিয়ে লেখার প্রয়েজন অনুভব করলাম। এটা হয়তো অনেকেই চেনে না। হাওয়াই বাজী এক প্রকার নয়নাভিরাম দেশী FIRE WORKS । এটার উ্ৎপত্তি খেজুর গাছ প্রধান এলাকায়। প্রথমে খেজুর গাছের পাতার নিচের ছাল গুলি একত্র করা হয়। স্থানীয় ভাষায় এগুলোকে বলা হয় শর্পা। এরপর একটি বড় কচুপাতা সংগ্রহ করে খেজুর গাছের কাটা দিয়ে ছোট ছোট অনেক গুলি ফুটো করা হয়। হাওয়াই বাজী এর সৌন্দর্য নির্ভর করে সুক্ষ সুক্ষ ছিদ্রের উপর, সেই জন্যই খেজুরের কাটার ব্যাবহার। এরপর শর্পাগুলি পুড়িয়ে কচুপাতার মাঝে তোলা হয়। তারপর পাতার চারপাশ দড়ি দিয়ে বেধে আস্তে আস্তে মাথার চার পাশ দিয়ে ঘোরানো হয়।
কচুপাতার ছিদ্রগুলি দিয়ে আস্তে আস্তে আগুনের ফুলকিগুলি বের হয়। এভাবেই সৃষ্টি হয় সুন্দর নয়নাভিরাম একটি দেশী FIRE WORK যার নাম "হাওয়াই বাজী।" হাওয়াই বাজী আমি নিজে দেখলাম অনেক বছর পর। এখন শেীর ভাগ গাছী আর খেজুর গাছ কাটতে চায় না। তাদের বংশধরেরাও পেশা বদল করে অন্যান্য পেশাকে জীবন ধারনের মাধ্যম হিসাবে নিচ্ছে। শর্পা সংগ্রহ ছোট ছোট শিশুদের জন্য এখন কষ্টসাধ্য ব্যাপার। একারনে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় অসাধারন একটা শিল্প হাওয়াই বাজী।
আমার কাছে ক্যামেোটি থাকায় খুব সুন্দর ভাবে ছবিগুলি তোলা সম্ভব হয়। জানিনা অদুর ভবিষ্যতে হয়তো এই শিল্পটা হারিয়ে যাবে। তখন পরবর্তী প্রজন্মের কছে এই লেখাটি পৌছুলে তার হয়তো জানবে আমাদের দেশ একটি অসাধারন শিল্প ছিল যার নাম “হাওয়াই বাজী” এবং সেটি অনেক বিদেশী FIRE WORK থেকেও অনেক সুন্দর।
স্থানঃ মাগুরা।
ক্যামেরাঃ Nikon D 3200
সেটিংসঃ S. Speed : 1.3/s , F. Rate: 3.5, ISO: 3200, Without Flash
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪
ক্ষ্যাপাপাগলা বলেছেন: ভালতো? আসেলই আমাদের ছোট বেলার সোনালী দিনগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
শীলা শিপা বলেছেন: শুনেছি... দেখিনি কখনো!!!!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
ক্ষ্যাপাপাগলা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। দেখে ক্যামন লাগল?
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯
আদ্রিজা বলেছেন: অদ্ভূত সুন্দর।
কখনো দেখার সৌভাগ্য হয় নি।
এত সুন্দর পোস্ট দেখে মুগ্ধ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
ক্ষ্যাপাপাগলা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলেই আমাদের নিজেস্ব কিছু অসাধারণ শিল্প আছে, যা অদ্বিতীয় এবং একান্তই আমাদের।
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
aoaiii বলেছেন: অসাধারন একটা জিনিস দেখলাম।কত সুন্দর সুন্দর জনিস ছড়িয়ে আছে আমাদের দেশের আনাচে কানাচে।পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে সব।পোস্টে প্লাস।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮
ক্ষ্যাপাপাগলা বলেছেন: কত সুন্দর সুন্দর জনিস ছড়িয়ে আছে আমাদের দেশের আনাচে কানাচে।পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে সব। মন্তব্য ও প্লাস এর জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর জিনিস দেখলুম। আর হ্যাঁ আধুনিকতা আর সময়ের প্রয়োজনে এসব জিনিসকে হারিয়ে যেতেই হবে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৯
ক্ষ্যাপাপাগলা বলেছেন:
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০০
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ছবিগুলিতে কি লাইট ফটোগ্রাফী।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩
ক্ষ্যাপাপাগলা বলেছেন: ছবিগুলো রাতের বেলা তোলা, ফ্লাশ ছাড়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
উদাস কিশোর বলেছেন: অসাধারন ।
ছোট বেলায় আমিও এগুলো করতাম বন্ধুদের সাথে ।
আমরা আরো একটা কাজ করতাম । তাহলো , মাটির বল বানাতাম ভেতরটা ফাপা করে । আর অনেকগুলো ছিদ্র করতাম ।
ঐ ছিদ্র দিয়ে পাঠকাঠি আর পাকা নারিকেলের ছিবলা পুড়িয়ে দিতাম । তারপর ওটা ছুড়ে মারতাম । ওটা উল্কার মত দেখাতো