নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই আমেরিকায়- এক দুঃখী পরবাসীর গোপন জীবন খাতা। এ খাতার নাম দিয়েছি চাট্টাহোচি থেকে সুরমা ( এক)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১২

আজ জুমাবার। মুঠোফোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো। ফোন রিসিভ করতে না করতেই লাইন কেটে গেলো। বুঝলাম, এটি মিসড কল। কল ব্যক করলাম।



ঢাকা থেকে ফোন করছে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের তুখোড় মেধাবী বন্ধু শওকত। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে পাশ করে এখন এক সরকারী কলেজে ইংরেজী পড়ায়।



ওর দুঃখের আর শেষ নাই। বেতনের টাকায় সংসার চলেনা। অনেক চেষ্টা করেও আমেরিকা আসতে পারছেনা। আমি যেন যেভাবেই পারি ওকে আমেরিকায় আসায় সাহায্য করি।



আমি দেশপ্রেমের কথা বললাম। বাংলার দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ধান ক্ষেতের কথা বললাম। সুজলা,সুফলা, শস্য, শ্যামলা, গিরি কুন্তলা, শ্যাম সুন্দর আবহমান বাংলার অপরুপ রুপের কথা বললাম। আরো বললাম-জীবনের শিক্ষকতার চেয়ে মহান পেশা আর কি হতে পারে?



বললাম- মনে নেই সেই কবিতার লাইন " বাঁচতে হলে লাঙল ধরো রে , আবার এসে গাঁয়।" আমরা যে বিদেশে এসে ভুল করেছি। বড় দুঃখী পরবাসী জীবন। দেশের কথা ভাবতেই ভাবতেই বিষাদ হয় মন।



ও বললো-আর এসব কথা বলিস না। আমাকে না তোদের খুব ভন্ড মনে হয়। এমনকি , যারা এসব কবিতার লাইন লিখেছে তাদেরও। সব কবি, সাহিত্যিকরাই শুধু গ্রাম, বাংলা, মাঝি , নদী , নৌকা, ধান ক্ষেত , দোয়েলের কথা বলে। কিন্তু কোনো শালারাই ঢাকা শহর ছাড়তে চায়না। ধানমন্ডি লেকের পাশে বসেই, শালিক আর হিজলের কথা বলে। আর সুযোগ পেলেই ইউরোপ, আমেরিকায় পালিয়ে যায়।



বন্ধুর দুঃখের আর দীর্ঘশ্বাসের মাঝে একসময় কথা শেষ হয়।



আমি আনুষঙগিক কাজ শেষ করে জুমার নামাজের উদ্দ্যেশে বের হয়ে পড়ি। এদেশেও জুমার নামাজে প্রচুর ভীড় হয়। পুরো মসজিদ কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায়। উল্টা-পাল্টা গাড়ীর পার্কিং হয়।মাঝে মাঝে ব্যাপারগুলো পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।



মসজিদে নিয়মিত যাওয়া হয়না। তাই বিশেষকরে জুমাবারে আমি নামাজ শেষ করেও অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকি। মসজিদের একাকি নির্জনতা, নীরবতা, ভাবগম্ভীর পরিবেশটা বড় বেশী ভালো লাগে। মনের অস্থিরতা দূর হয়।



মসজিদ থেকে বের হয় এলাম। দেখি পুরো পার্কিং লট ফাঁকা। ডঃ হুমায়ুন কবির ভাই আমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। আমি উনার সাথে কথা বলছি। এমন সময় দেখি একজন লোক আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছেন।



লোকটি নিজের পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে আমাদের দিকে এগিয়ে দিয়ে একেবারে সিলেটের আন্চলিক ভাষায় জিগ্গাসা করলেন- কাগজে নজরুল ইসলাম নামক কারো নাম্বার লিখা আছে কিনা?



এবার আমি লোকটির দিকে ভালো করে নজর দিলাম। একেবারে বাংলার পল্লী গাঁয়ের হাড়ভাঙগা পরিশ্রম করে ঠিক এরকম চেহারা। যিনি ইংরেজি অক্ষরগুলো চিনেন না।



আমি কাগজ থেকে নজরুল ইসলামের নাম্বার টি বের করে দিলাম। বললাম- এটাই নজরুল ইসলামের নাম্বার।

এবার উনি বললেন-ভাই আমাকে নাম্বারটি একটি ধরিয়ে দেন।

আমি আমার ফোন থেকে নজরুল ইসলামের নাম্বারটি ডায়াল করে ফোনটা উনাকে দিলাম। উনি কথা শেষ করে বললেন- ভাই আমি এবার যাই।



এখান খুব কম লোককেই দেখা যায় হেঁটে চলাফেরা করতে। তাই আমি জিগ্গাসা করলাম- আপনি হেঁটে হেঁটে কোথায় যাবেন?

বললেন- উনি প্রায় তিন ঘন্টা হেঁটে মসজিদে নামাজ পড়তে এসেছেন।

আর নজরুল ইসলাম নামক ভদ্রলোকের কথা ছিলো উনাকে বাসায় পৌঁছে দিবেন। এখন নজরুল ইসলাম উনাকে ফেলেই চলে গেছেন।



আমি চিন্তা করলাম, আজ জুমাবার। আমার কোনো কাজ নেই। কোনো তাড়া নেই। উনাকে বললাম, আপনি আমার গাড়ীতে আসুন। আপনাকে বাড়ী পৌঁছে দেই।



গাড়ীতে বসে উনার সাথে নানারকমের আলাপ হলো। উনি নিজ থেকেই গল্প করা শুরু করলেন। ভদ্রলোকের নাম হলো- মনফর আলি।

৮ মাস হলো ইমিগ্রান্ট হয়ে আমেরিকায় এসেছেন। বাংলা খবরের কাগজ কোনো রকমে পড়তে পারেন। উনার ছেলেমেয়ে ৮ জন। ৪ছেলে ১ মেয়ে আর উনি একসাথে এসেছেন। স্পন্সরের ঘাটতি হওয়ায় ৩ ছেলেমেয়ে আর বউকে দেশে রেখে এসেছেন। উনি একটা বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে কিচেনে কাজ করেন। ছেলে মেয়ে ৫ জনকেই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কাজে লাগিয়েছেন। এই ৮ মাসে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১১ লক্ষ টাকা।



উনাকে বাসায় নামিয়ে দিলাম। উনি বললেন, ভাই বাসায় আসুন- পান, সিগারেট খেয়ে যান। বলতে বলতেই উনি একটি সিগারেট ধরালেন। আমি বললাম, আমিতো ভাই পান সিগারেট খাইনা।



রাত প্রায় ১১ টা বাজে। আমি বসে বসে ইন্টারনেটে ব্রাউজ করছি। এমন সময় আমার অত্যন্ত প্রিয় অনেক শ্রদ্ধাভাজন এক বড়ভাই ফোন করলেন। পুরো পরিবার নিয়ে আছেন।

এতো বিনীত, বিনম্র ,সজ্জন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। উনার আব্বা ছিলেন বাংলাদেশে জাজ। নিজেও উচ্চশিক্ষিত। বললেন- যেভাবেই হোক ৯০০ ডলার উনার একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে, না হয় উনি এ মাসে রেন্ট দিতে পারবেন না।



রাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চিন্তা করলাম- আমার মেধাবী বন্ধুটি কত চেষ্টা করছে আমেরিকা আসতে পারছেনা। এ দেশে একবার আসতে পারলেই যে সোনার হরিণ ধরা যাবে। আর আমার শ্রদ্ধাভাজন বড়ভাই, যার আব্বা ছিলেন বাংলাদেশের জাজ। যিনি নিজেও উচ্চশিক্ষিত। পুরো পরিবার নিয়ে সোনার হরিণের আশায় এ দেশে এসে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনো রকমের টানা পোড়নের সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। আর অন্যদিকে অজ পাড়াগাঁয়ের বলতে গেলে একেবারে নিরক্ষর লোকটি এ দেশে এসে ৮ মাসেই পাঠিয়েছেন ১১ লক্ষ টাকা। সোনার পাহাড়তো সবে মাত্র খনন করা শুরু করেছেন।

মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৭

নেমলেসবেসট বলেছেন: ভালো লাগলো

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: পড়ার জন্য , মন্তব্য করার জন্য আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

মুগ্ধ মাহি বলেছেন: অধিকাংশ মানুষ নিজের অবস্থানটাকে ছোট করে দেখে আর অশান্তিতে ভোগে। আসলে আমরা যে কি চাই , কেন চাই , যা চাই তা কি আসলেই সুখকর ?? সেটাই মনে হয় জানি না /:) /:) /:)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: মুগ্ধ মাহি ভাই, একেবারে মুগ্ধ হওয়ার মতোই কথাটি বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
হুম, এমনই হয়। আমার কিছু ক্লাসমেট ক্লাসে আসত না, কাজ করে। কত টাকা, ফেইসবুকে স্ট্যাটাস ব্যাঙ্কে এত টাকা, এত টাকা ট্যাক্স রিটার্ন পেয়েছে। আর আমি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই খুলেছি কয়েকদিন আগে।

ফলাফল- তাদের একজনও পাস করতে পারেনি, গ্র্যাজুয়েশান হয়নি। আর আমি ইউনিভার্সিটিতে।

আপনার বড়ভাই এর অবস্থা একদিন পরিবর্তন হবে আশা করি। সবার জন্য শুভ কামনা।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনারও সাফল্য কামনা করছি। রাব্বুল আলামীন সবার মনে শান্তি দিন।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আসলেই জীবন বড় বৈচিত্রময়। ভাল লাগল লেখাটা। বিভিন্ন আঙ্গিকে আমেরিকার লাইফকে তুলে ধরেছেন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যটির জন্য।
আপনার নিকটি দেখলেও কেমন যেন একটা শান্তি শান্তি ভাব আসে।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২২

সাদাত চৌধরৗ বলেছেন: চমৎকার এবং বাস্তব লেখা, কানাডাতেও একই পরিস্থিতি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। কানাডার গল্প শুনতে চাই।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সুন্দর লিখসেন, ভাল্লাগলো পড়ে।
শুভকামনা ||

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে অনেক খুশী হলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ,

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫২

বটের ফল বলেছেন: মুগ্ধ মাহি ভাইয়ের সাথে একমত পোষন করছি।

আশা করি অনেক ভালো আছেন আপনি খেয়া ঘাট ভাই।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বটের ফল।
অনেক ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। আপনি কেমন আছেন?

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৯

আদম_ বলেছেন: অদ্ভুত লাগলো। জানিনা শান্তি কোথায়।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমিও জানিনা ভাই আসলেই শান্তি কোথায়।
তবে দেখেছি একাকি, নিরবে, নিভৃতে , গোপনে, রাতের নির্জনতায় শ্রষ্টার সামনে বসে থাকলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: লিখাটি অনেক সুন্দরভাবে দ্বিমাত্রিক লাইফকে তুলে এনেছেন....... কিন্তু আপনার এই টাকা ইনকাম দিয়ে লাইফের সরলীকরনটা আমার কাছে ঠিক মনে হল না......

আশেপাশে অনেককেই চিনি যারা ইচ্ছা করলে অনেক আয়েশী জীবন যাপন করতে পারেন কিন্তু তার সুখ..ঘন্টায় ১৫ ডলারে কাজ না করে, কম খেয়েও
Gabriel García Márquez এর One Hundred Years of Solitude পড়তে চেস্টা করাটা, একটা ভাল মুভি দেখাতে সে যে আনন্দ পায়, সেটা হয়ত BMWতে চড়ে ও সে পাবে না...... এই ওয়াশিংটন ডিসিতে ৭-১১ এর ব্যবসা করে মিলিনিওয়ার আছে ডজন ডজন বাংগালী কিন্তু এর মধ্যে কয়জন সুখে আছেন!!!! সারাক্ষন টেনশন.... তাদের ছেলেমেয়েরা কিন্তু যারা অল্প আয় করছেন তাদের ছেলেমেয়েদের কাছে পিছিয়ে পড়ছে

আমার কথা হল.... লাইফ পুরাটাই হল আপেক্ষিক একজনের চোখে টাকা ইনকামই হল এইম ইন লাইফ, আরেক জনের কাছে মিনিংফুল কিছু করাটাই এইম.........

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: কোথাও বলিনি টাকাতেই সব সুখ।
আমি নিজেও চিন্তা করি , খুব গভীর ভাবেই চিন্তা করি। এই যে মিলিয়ন ডলারের মালিকরা। কিন্তু সারা জীবনেও একটি কবিতা পড়লোনা, একটা গল্পের বইয়ের প্বষ্ঠা উল্টিয়ে দেখলোনা..তাদের সুখটা কেমন?

কিন্তু আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য না থাকলেও জীবনে চলে না। যা কিছুই বলা হোক।

"আমার কথা হল.... লাইফ পুরাটাই হল আপেক্ষিক একজনের চোখে টাকা ইনকামই হল এইম ইন লাইফ, আরেক জনের কাছে মিনিংফুল কিছু করাটাই এইম..."

মিনিংফুল করার জন্যই ব্লগিং করছি। কিন্তু যদি ল্যাপটপটা না থাকতো এই মিনিংফুল কাজটাই করা হতো না।

কাড়ি কাড়ি টাকার দরকার নেই, তবে টাকার দরকার আছে। আর সৎ মানুষের সবচেয়ে বেশী বেশী টাকার দরকার। কারণ সৎ মানুষের কাছে টাকা থাকলে তা ভালো যায়গায় ব্যয় হবে।

আর আপনি যেভাবে পুরো জিনিসটা চিন্তা করেছেন। আমি কিন্তু সেভাবে লিখিনি। শুধুমাত্র একদিনের তিনটি ঘটনা তুলে ধরলাম।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ। .

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: অপ্রাসংগিক হলেও আরেকটা কথা বলে রাখি, সৎ মানুষের বেশী বেশী টাকা আর বেশী বেশী ক্ষমতা দরকার।

সৎ মানুষের কাছে যখন টাকা আর ক্ষমতা আসবে তখন সমাজ পুরোটাই বদলে যাবে। কিন্তু আমাদের সমাজে সবচেয়ে অসৎ মানুষের কাছা টাকা বেশী, সবচেয়ে অসৎ মানুষের কাছে ক্ষমতা বেশী। আবারো ধন্যবাদ।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

মিনেসোটা বলেছেন: নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: ঐ পারও সবসময় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে,
যা কিছু সুখ আছে সবই ঐ পারে।

সুখ হলো এক অলীক জিনিস। সুখের সন্ধানের শেষ নেই।
বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: এদেশে আসলে আমার মতো অলসদের জন্য ওই আগের দিনের "কালাপানির দেশের নির্বাসনের মতোই"।
টাকা কতো কামাচ্ছি বা কামাবো.......সেটা কেয়ার করিনা.........কিন্তু পরিশ্রম করে বাসায় ফিরে সবাই একসাথে ডিনার করে ঘুমিয়ে পরাটা যে কত শান্তির.........সেটা দেশে বসে মোটা বেতনের চাকরী করে বুঝিনি........ :( :(
একটা কথা বিশ্বাস করি......হয়তো এই নিউইয়র্কের পরিশ্রমী জীবন যাপন আমার গড় আয়ু আরো কয়েক বছর বাড়িয়ে দিয়েছে......।

ভালো কথা....... আমি না হয় নিউইয়র্কে নতুন মানুষ.........আপ্নারা বুড়ারা পারেননা একটা ইভেন্ট তৈরী করে সবাইরে এক করতে....??

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আসলেই ঠিক বলেছেন ভাই,
রাতে বাসায় এসে আপনজনের মুখ দেখার মাঝে যে প্রশান্তি তার সাথে কোন তুলনা নেই।

বুড়ারা রা কি কোনোদিন কোনোকিছু করতে পেরেছে। সেই জন্যইতো ওরা বুড়া।
" ওরে সবুজ ওরে আমার কাঁচা, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।"

ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

তোমোদাচি বলেছেন: তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় গেলাম না;
একদম বাস্তব অবস্থা তুলে ধরেছেন !!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ডঃ তোমোদাচি ভাই।

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

ঢাকাবাসী বলেছেন: বাস্তব ছবি। ভাল লেগেছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী।

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

আহমেদ আলিফ বলেছেন: আপনি সহ সকল প্রবাসী ভাইদের স্যালুট !
যখনই কোন প্রবাসী ভাই এর সংগ্রামী জীবনের গল্প শুনি তখনই মনে প্রেরণা পাই ।
মনে মনে বলি "আলহামদুলিল্লাহ" গার্মেন্টস এ চাকরি করলেও দেশে ভালো আছি !
ভালো থাকবেন !

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো আছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন, সুখে থাকুন। বিনীত ধন্যবাদ।

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

সেতু আমিন বলেছেন: ভালো লাগলো লেখা পড়ে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করায় আমারও অনেক ভালো লাগলো। বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: পরবাসী জীবনের ছবি অনেক ভাল লাগলো। তবে কি, দেশ থেকে অনেক আগেই জীবনের শান্তি বিদায় নিয়েছে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মেধাবী বন্ধুর frustration বেশ বুঝতে পারছি। এদেশে সবচেয়ে বেশী খারাপ আছে/ রাখা হয়েছে মেধাবী এবং সৎ মানুষদের। আমার স্কুল/ কলেজ জীবনের সবচেয়ে মেধাবী বন্ধুটিরও একই অবস্থা, বোর্ড পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম হওয়া আমার এই বন্ধুটা বাবা মার জোরাজুরিতে বিসিএসএ ঢুকে ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছিল। এখন সরকারী বাল/ বিন্পি থেকে নিয়োগপাওয়া মল মুত্র শ্রেণির লোকেরা তাকে নিয়ে খেলাধুলা করে।
এদেশে এখন সবচেয়ে ভাল আছে চোর, চোট্টা, গুণ্ডা, কালোবাজারী, খুনে রাজনীতির লোকেরা আর তাদের মুত্র শ্রেণির চেলা চামুণ্ডেরা। দেশটা এখন এদেরই, কোন সুস্থ ভাল লোকের নয়। আমার বিশ্বাস আপনার ঐ বন্ধুটি বিদেশে দিয়ে কে,এফ,সিতে চাকরি করলেও ভাল থাকবে। বাইরে পরাধীন হলেও অন্তত মনের ভিতরে সে স্বাধীন থাকবে। অন্তত বাল/ বিন্পির মল মুত্রেরা তার উপর চোটপাট করবে না...............।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

খেয়া ঘাট বলেছেন: এখন সরকারী বাল/ বিন্পি থেকে নিয়োগপাওয়া মল মুত্র শ্রেণির লোকেরা তাকে নিয়ে খেলাধুলা করে ।
একজন বিসিএস কর্মকর্তা যখন এইসব রাজনৈতিক চুনোপুটি থেকে শুরু করে বোয়াল , হাঙরের খেলায় পরিণত হয় তখন এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে। দেশের রাজনৈতিক নেতার প্রতি অন্ধ ভক্তি, চাটুকারিতা, লেজুড়বৃত্তি, চামচামি, দালালি ইত্যাদি যদি দূর হতে তবে এ দেশ আসলেই সোনা হয়ে ওঠতো।

ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা রইলো অনেক।

১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “যারা এসব কবিতার লাইন লিখেছে তাদেরও। সব কবি, সাহিত্যিকরাই শুধু গ্রাম, বাংলা, মাঝি , নদী , নৌকা, ধান ক্ষেত , দোয়েলের কথা বলে। কিন্তু কোনো শালারাই ঢাকা শহর ছাড়তে চায়না। ধানমন্ডি লেকের পাশে বসেই, শালিক আর হিজলের কথা বলে। আর সুযোগ পেলেই ইউরোপ, আমেরিকায় পালিয়ে যায়।” -মজার কথা বললেন, ভাই।

সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনের প্রতি সহানুভূতি রেখেই বলছি, এবিষয়টি আমার মাথায় একদম ঢুকে না। একসময় ধনী মানুষগুলোই বিদেশে যেতো। বেশিরভাগই শ্রমিক শ্রেণীর। তখন আলাদা একটি আর্থসামাজিক পরিস্থিতি ছিলো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশেষত ইংরেজি প্রভাষক বন্ধুটির কথা যদি বলি, কেন তাকে স্বদেশ ছেড়ে, সরকারি চাকুরি আর সমাজ-পরিজন ছেড়ে বিদেশে যেতেই হবে? যেদেশ তাকে এতটুকু যোগ্যতা দিয়েছে, সেদেশে কি তার থাকার প্র্য়োজন একটুও নেই? সুখের জন্য মানুষের কতগুলো টাকা লাগে? এদেশের মানুষগুলো কি সকলেই খুব দুঃখী?

আপনার লেখাগুলো আমি খুবই উপভোগ করি। এধরণের লেখাগুলো আমি খুঁটেখুটে পড়ি। জানতে চাই প্রবাসের জীবনকে, আমার দেশের মানুষগুলো কীভাবে দিনাতিপাত করছে। বিশেষত, পশ্চিমের ধনী দেশগুলো সম্পর্কে জানতে খুবই ইচ্ছে হয়। আপনার লেখাটিতে কৌতূহলীদের জন্য অনেক খাবার আছে।

আশা করছি এরকম চালিয়ে যাবেন। শুভেচ্ছা :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য চমৎকার ধন্যবাদ সাথে অতি চমৎকার একটা শুভেচ্ছা।

১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। একটা প্রাইভেট জব করছি। কোন রকমে সংসার চলছে। মাঝে মাঝে বিদেশ চলে যেতে মনচায়। আবার ক্ষনে ভাবি কি হবে? আমার ঘরে নিয়মিত তালিম হয় ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাই।
আপনার ঘরে নিয়মিত কীসের তালিম হয়?

১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। প্লাস দিতে পারলাম!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।

২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

আল ইফরান বলেছেন: এই ইলিউশ্যান এর নামই হয়তো বিজ্ঞজনরা দিয়েছেন "আমেরিকান ড্রিম"।
স্বপ্ন আর বাতবতার মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল; সেটা কেউ বুঝে, কেউ বুঝে না আবার কেউ বুঝেও না বুঝার ভান করে :(

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: কিন্তু ঐ যে গ্রামের ভাই ৮ মাসেই ১১ লক্ষ টাকা পাঠালেন- এইটাতো সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।

এরকম আরো স্বপ্ন আছে- আপনি ভালো জিনিস মনে করিয়ে দিয়েছেন। সামনে লিখার ইচ্ছে রইলো। শুভকামনা ভাই।

২১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বোকামন বলেছেন:





প্রিয় ভাই,
আপনার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো।
লেখাটি পড়ে মনটা সাময়িক বিষন্ন হলো।

আমি আশাবাদী মানুষ তাই বলি-

“বাঁচতে হলে লাঙল ধরো রে , আবার এসে গাঁয়।”

যদি দেশপ্রেম থাকে তবে সে লাঙলের অনেক রুপ হতে পারে। বহূদুরে থেকেও গাঁয়ের মাটি অঙ্গে মাখা যেতে পারে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বাহঃ দারুন বলেছেনতো। শেষের লাইনটি খুবই মনে ধরেছে।
বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় বোকামন ভাই।

২২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমমমমমমম

আমি চাইছিলাম একটা লেখা লেখতে যেখানে ব্যাখ্যা করবো কোন টাইপের মানুষ আমেরিকাতে আসবে। কোন টাইপের মানুষ আসা ঠিক না! কিন্তু লেখিনি পাবলিক লেখাটা নেগেটিভলি নেবে.............। আশা করি বুঝতাছেন নেগেটিভ ভাবনাটা কি!

ইদানিং কিছু পাবলিক আসতাছে স্টুডেন্ট ভিসায়, যেসব স্কুলে আসাতাছে সেগুলা প্রাইভেট স্কুল, শুধু ব্যবসাই যাদের উদ্দ্যেশ্য। যেসব ছেলেমেয়েরা আসতাছে তাদের না আছে থাকার জায়গা, না আছে খাওয়ার জায়গা, না কাজ করার পারমিশন। কাজ না থাকলে এখানে থাকবে কি করে, খাবে কি, চলবে কি করে? সবার তো আর বাংলাদেশ থেকে টাকা এনে চলার অবস্তা নাই! এই জন্য ফাস্ট সেমিস্টার স্কুলে গিয়েই ওদের স্টুডেন্ট লাইফ শেষ। অথচ সে বাংলাদেশের থাকলে ঠিকিই পড়াশুনা শেষ করতে পারতো !

এসব কিছু ঘটনা ইদানিং ফেইস করতাছি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি বুঝতে পেরেছি।
আপনি যে কথাগুলো বললেন-সেগুলো আমিও খেয়াল করেছি।
স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নের জীবন। তবে এদেশে এখনো স্বপ্ন পূরণ হয় এবং কাদের কীভাবে পূরণ হয় তা লিখার ইচ্ছে রইলো। শুভকামনা আর ধন্যবাদ প্রিয় মাসুম ভাই।

২৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: হুম ভালো বলেছেন খেয়া

এই বিষয় নিয়ে আবার কমেন্ট করবো,লেখা শুরু করতেই একটু অন্য মনষ্ক হয়ে গেলাম,দেশ বিদেশ ভালো থাকা মন্দ থাকা নিয়ে অনেক কথা বলার আছে,আসবো আবার।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।

২৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

রুপ।ই বলেছেন: বাস্তবতা কে তুলে ধরেছেন । ভাল লাগলো ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় রুপাই।

২৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল বলেছেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রোফেসর স্যার।

২৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হায়রে বাস্তব , অনেক অনেক কঠিন , নিজেকে নিজের ভিতর থাকতে দেয় না ।
ভাল থাকুন খেয়াঘাট ভাই ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুখ নাইকো মনে,
সুখ পাখীটা হারিয়ে গেছে হলুদ বনে বনে।

বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদভাই।

২৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

রাখালছেলে বলেছেন: হায়রে সুখ ...কোথায় গেলে পাওয়া যাবে কে জানে । হয়ত এরই আশায় সারাজীবন ঘুরে মরবে ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুখ নাইকো মনে,
সুখ পাখীটা হারিয়ে গেছে হলুদ বনে বনে।
বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় রাখালছেলে।

২৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০২

না পারভীন বলেছেন: জানলাম ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমিও জানাতে পেরে খুশী হলাম। বিনীত ধন্যবাদ ডাঃ আপা।

২৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪১

মিনেসোটা বলেছেন: বিদেশে প্রবাসী শিক্ষিত বাংলাদেশিদের সিংহভাগ ড্রইংরুমের রাজনীতি ও পরশ্রীকাতর কূটনামিতে ব্যাস্ত, আপনার দেখা ব্লুকলার পাঁচকের মত কর্মই ধর্ম বানিয়ে থাকতে পারলে এদের সব লাটসাহেব হতে পারত

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: রাজনীতি আর পরশ্রীকাতর কূটনামী'র যে কথা বললেন আপনার সাথে পুরোপুরি একমত।

কিন্তু পরের লাইনটির সাথে একমত না।
পোস্টের কলবর বৃদ্ধি পাবে বলে-সেই সিলেটের অজপাড়াগাঁয়ের ভাইয়ের ৮ মাসে ১১ লক্ষটাকা দেশে পাঠানোর হিসাবটা ডিটেইলস বলিনি।এবার বলি,
উনি কিচেনে কাজ করে মাস আয় করেন ১৬০০ ডলার। আর পাঁচ ছেলেময়ে উরা সবাই কাজ করে রেস্টুরেন্টে। ওরা কেউ পায় ১৯০০ ডলার আবার কেউ পায় ১৮০০ ডলার। মোট মাসে আয় হয় উনার প্রায় ১০৮৫০ ডলার। মাসে সবকিছু মিলে উনার খরচ হয় প্রায় ২০০০ ডলার। বাকি ৮৮৫০ ডলার মাসের শেষে জমা থাকে।

আর যে ভাইয়ের কথা বললাম, উনিও প্রায় নয় ডলার আওয়ারে চাকুরি করেন। সপ্তাহে কাজ করেন প্রায় ৬০ ঘন্টা। মাসে আয় হয় ২১০০ ডলারের মতো। বউ বাচ্চা নিয়ে চারজনের সংসার। বাসা ভাড়া, গ্যাস বিল, পাওয়ার বিল, গাড়ীর খচর, বাচ্চা কাচ্চার খরচ, ইন্সুরেন্স এসব দিয়ে উনার চলবে কেমন করে ?

এসব ক্ষেত্রে এক পরিবারে যদি দু তিন জন আয় করেন, তবে দেশেও সাহায্য করা যায় আবার নিজের পরিবারকেও স্বাচ্ছন্দ্যে রাখা যায়।

বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

৩০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০৭

মিনেসোটা বলেছেন: বুঝলাম, তবুও এখন পর্যন্ত আমি আমেরিকান ড্রিম এ বিশ্বাস করি, যদি আসলেই কারো সদিচ্ছা ও প্রেরণা থাকে, আমেরিকাতে সে উপরে উঠবেই

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: নিজের দেখা একটি অতি সাধারণ আমেরিকান ড্রিম নিয়েই একটা লিখা লিখবো। আমিও বিশ্বাস করি। আমেরিকা এখনো. হোম অফ দ্য ব্রেইভ, ল্যান্ড অফ দি অপরচুনিটি।

ভালো থাকবেন ভাই।

৩১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

মাহবু১৫৪ বলেছেন: ভাল লাগলো লেখা

আসলে আমি দেখেছি বেশি উচ্চ বিলাসী যারা তাদের হরহামেশাই ডলার ফুরিয়ে যায়। যে যত আয়ই করবে সে ততই খরচ বেশি করবে।

অথচ কেউ চাইলেই খরচের হাত কমাতে পারে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই।
খরচ কমাতে বললে উনার বলেন কি জানেন-
যত বড় হাড়ি তত বড় ঢাকনা।

বিনীত ধন্যবাদ ।

৩২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

ঝটিকা বলেছেন: আপনার লেখাটা বেশ ভালো লাগলো। অল্প কথায় অনেক কিছু উঠে এসেছে। মন্তব্য গুলোও পড়ে ভালো লাগলো। বিশেষ করে শ্রাবণধারা, মেহেদী_বিএনসিসি, মিনেসোটা ভাই এর মন্তব্যে ++।

লাইফে শান্তি জিনিসটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ধর্মেও কিন্তু উল্লেখ করেছে মানুষের দুই জীবনের শান্তিটাই আল্টিমেট লক্ষ্য। সুখের সাথে জড়িত আছে সম্পদ, আর শান্তির সাথে জড়িত আত্মিক পরিতৃপ্তি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: লাইফে শান্তি জিনিসটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ধর্মেও কিন্তু উল্লেখ করেছে মানুষের দুই জীবনের শান্তিটাই আল্টিমেট লক্ষ্য। সুখের সাথে জড়িত আছে সম্পদ, আর শান্তির সাথে জড়িত আত্মিক পরিতৃপ্তি ।- এতো সুন্দর বলেছেন, একেবারে হৃদয়ে গেঁথে নিলাম। বিনীত ধন্যবাদ।

৩৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই। শুভকামনা থাকল সকল প্রবাসীদের জন্য।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ। আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা।

৩৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

আহলান বলেছেন: সবার জন্য সব কিছু না .... অনেক কিছুই এদেশে আমরা করতে পারি না, ঐ দেশে ঠিকই পারি .... ১ ডলার মানেই ৮০ টাকা .... এই কারনেই ...

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: ১ ডলার মানেই ৮০ টাকা।
এইটা একটা বড় ফ্যাক্টর।

বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

৩৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মেধাবী বন্ধু কেন মেধা খাটাচ্ছে না দেশে ? একজন ভাল ইংলিশ জানা শিক্ষক আমাদের দেশে কতটা জরুরী জানো?

আমার দেখা এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা দ্বিগুণ পরিশ্রম করে প্রচুর রোজগার করেন ।প্রাইভেট টিউশন দিতে গেলে, ক্লাসে ভাল করে পড়ানো যাবে না , এই তত্ত্ব আবার এনে না কিন্তু...


লেখা ভাল লেগেছে ...

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: দেশে মেধাবীদের অনেক প্রয়োজন।
কিন্তু ঐ যে সোনার হরিণ।

অনেকদিন পর দেখা হলো..............

৩৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাচ্চা দের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে .. এম্নিতেই সময় কম পাই
তার সাথে আছে সামু নখরা ...।

জুম্মা মোবারক ...।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: সামু নখরা...........
বুঝিনাই.....
ঝেড়ে কাশেন................

৩৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহ লগইন হয় না তারপর পেজ ওপেন করা যাচ্ছে না , লাইক বাটন অকেজো ...।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: এবার বুঝলাম।
বিশাল সমস্যা।
সমস্যার দীঘীতে সাঁতরে বেড়াচ্ছি।

৩৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভালো লাগল

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।

৩৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

খাটাস বলেছেন: দুটি ভিন্ন ধারার অভাবী জীবন, তাও আবার বাস্তবতা থেকে- ভাল লাগছে। সুন্দর করে লিখেছেন আরিফ ভাই।
প্লাস দিয়ে ২য় পর্বে যাচ্ছি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। অনেক খুশী হলাম পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৪০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

ভাইটামিন বদি বলেছেন: সুখ পাখি নদীর দু'পাড়েই আছে.....শুধু খুজে নিতে জানতে হয়....
খুবই ভাল লাগল আপনার লেখাটি:):):)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

৪১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আট মাসে ১১ লক্ষ !!!!! আল্লাহ ওনাকে বাঁচিয়ে রাখুক। অনেকেই ভাবে আমেরিকা মানেই সুখ আর সুখ, টাকা আর টাকা। অস্বীকার করব না আমিও এটাই ভাবতাম। কিন্তু ভাবনা আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক অনেক। আমার এখন মনে হয় জীবনে টাকা অনেক বড় ব্যাপার হলেও সব নয়। একা একা খাবার সময়, ঈদের দিনে একা নামাজ পড়ার সময় এই জিনিসটা আরো বেশি উপলব্ধি করি। একা একা অমানুষিক পরিশ্রম করে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামানো কোনো জীবন নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: কিন্তু যে ভাই ৮ মাসে ১১ লক্ষ টাকা দেশে পাঠালেন , উনি কিন্তু পরিবার -পরিজন সাথে নিয়েই আছেন। একেবারে অক্ষরহীন মানুষ। এমেরিকাতো এখানেই স্বর্গ।

আর একাকিত্বের কথা কী বলবো। এর চেয়ে বড় যন্ত্রণা আর নেই।

বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

৪২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: কে জানে শেষমেস সুখ কিসে ! পোস্টে ভালো লাগা । :) :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুখ নাইকো মনে,
সুখ পাখিটা হারিয়ে গেছে হলুদ বনে বনে।

বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

৪৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আট মাসে এগার লাখ টাকা কামাইল কিভাবে?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১০

খেয়া ঘাট বলেছেন: এভাবেই কামাইলো ভাই,
পোস্টের কলবর বৃদ্ধি পাবে বলে-সেই সিলেটের অজপাড়াগাঁয়ের ভাইয়ের ৮ মাসে ১১ লক্ষটাকা দেশে পাঠানোর হিসাবটা ডিটেইলস বলিনি।এবার বলি,
উনি কিচেনে কাজ করে মাস আয় করেন ১৬০০ ডলার। আর পাঁচ ছেলেময়ে উরা সবাই কাজ করে রেস্টুরেন্টে। ওরা কেউ পায় ১৯০০ ডলার আবার কেউ পায় ১৮০০ ডলার। মোট মাসে আয় হয় উনার প্রায় ১০৮৫০ ডলার। মাসে সবকিছু মিলে উনার খরচ হয় প্রায় ২০০০ ডলার। বাকি ৮৮৫০ ডলার মাসের শেষে জমা থাকে।

শুভকামনা । ভালো থাকুন ভাই।

৪৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

লিবিব বলেছেন: কি অসাধারন লিখা। ভাল লাগ লো খুবই। রাজন আল মাসুদ ভাইর লিখা তো আগেই পরেছি...আপনাদের অভিজ্ঞতা অনেকরই কাজে লাগবে

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
বিনীত ধন্যবাদ রইলো। অনেক শুভকামনা রইলো।

৪৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: দেশের রাজনৈতিক দস্যুতার কারনে, যে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, আমাদের মনে প্রতিনিয়ত, এই অনিশ্চয়তাই এই সোনার বাংলাকে ছাড়ার জন্য প্রতি নিয়ত মন কে গুতা গুতি করে। কিন্তু দেশ ছাড়বার আগে একবার ভাবা উচিৎ যে এই সোনার বাংলায় একটু ভালো কামাই করলে এখনো ১০ জন মানুষ কে ভরন পোষন দেয়া যায়।

সুখ নিজের মনের ভিতরে খুজতে হবে, একটু বেশি হলে মনের বাইরে কিন্তু ঘরের ভিতর। সুখ খুজতে বাড়ির বাইরে, দেশের বাইরে, পৃথিবীর বাইরে গেলে চলবে না, তাইলে সুখ খুজতে খুজতে জীবন শেষ।

আমি একটা বাচাল। :( :( :| :|

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: খুবই গোছানো এবং তাৎপর্যপূর্ণ আপনার কথাগুলো। অনেক ভালো লাগলো ভাই। বিনীত ধন্যবাদ আর নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

আমি একটা বাচাল- এই কথাটা কেন বললেন?

৪৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৪

তাসজিদ বলেছেন: আসলে জীবন সত্তেই অদ্ভুত।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি দেখি আমার লিখা আর একটাও বাকি রাখবেন না।

খুব ভালো লাগছে আমার। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৪৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে গেলে এ ধরণের লেখা মনে সাহস দেয়। ভাল থাকুন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগলো জেনে অনেক খুশী হলাম।
বিনীত ধন্যবাদ আর অনেক শুভকামনা রইলো।

৪৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মনে হচ্ছিল বেশি কথা বলে ফেললাম :!> :!> :!> :!>

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আরে কী যে বলেন।

সব ঠিক ঠিক বলেছেন ভাই।
বিনীত ধন্যবাদ রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.