![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কল্পনা বিলাসী কৌতুহলি একজন বাস্তববাদী মানুষ। ইচ্ছা শুধু মানুষ হয়ে মানুষ থাকার।
বাংলাদেশের সেনাবহিনী তাদের মানবতাবোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠার জন্য পৃথিবী বিখ্যাত। জাতিসংঘ মিশনে অংশ নিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করছে। মানবাধিকার রক্ষার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রশিক্ষিত সৈনিকরা অবতার রূপে আভির্ভূত হচ্ছে।যে সকল দেশ জ্বরা দুর্ভিক্ষে জর্জরিত তাদের পাশে আজ আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলে জীবনের ঝুকি নিয়ে উদ্ধার করছে অসহায় বিপন্নদের। এজন্য বিশ্ববাসী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্বরণ করে। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অসামান্য। দেশ বিদেশে এমন অসামান্য অবদানের জন্য বাঙালি জাতি এ বাহিনীর জন্য গর্ববোধ করে।সাধারণ মানুষের মধ্যেও শ্রদ্ধাবোধ সবসময় কাজ করে। কিন্তু ব্যতিক্রম হল পার্বত্য চট্টগ্রামে। এ দুর্গম অঞ্চলে কঠোর পরিশ্রমকরেও তারা নির্যাতন কারী হিসেবে ধিক্কার পেয়েছে। তারা নির্যাতনকারী কারন - তারা এ অঞ্চলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অবাধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে বাধা দেয়। কারন তারা চাদাবাজীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়।কারন তারা জুলুম সহ্য করে না। কারন তারা মানবাধিকার রক্ষায় তৎপর। কারন তারা নির্বিচারে হত্যা, গুম, অপহরণে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল। কারন তারা মাদক চোরাচালান বন্ধকরে দিয়েছিল। কারন এ অঞ্চলকে নাগরিক সুবিধা দিতে শুরু করেছিল। সর্বোপরি তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভালবেসে উন্নত করতে চেয়েছিল।এতসব কারনে এখানকার সন্ত্রাসীরা তাদের অপকর্ম চালাতেগিয়ে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। আর তার জন্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে অন্ধকারের সম্রাটরা। শুরু হয় তাদের বিরুদ্ধে কালিমা লেপন। বানানো কিছু অভিযোগের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকার এখান থেকে সকলঅস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি মিথ্যা কালিমাকে যেন মেনে নেয়া হল। জাতির কাছে প্রশ্ন হল সেনাবাহিনী সড়িয়ে নেয়ার মাধ্যমেকারা সুবিধা পেল? র্যাব মোতায়েনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অর্থ কি? কি উদ্দেশ্যেঅভয়ারণ্য নিশ্চিত করা হল? নিরাপত্তা বাহিনী সড়িয়ে দিয়ে সায়ত্ব শাসিত নতুন কোন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রহচ্ছে এখানে? নাকি একক আধিপত্য কায়েমের অপচেষ্টা এক ধাপ এগিয়ে গেল? যথাযথ কর্তৃপক্ষ এখুনি পদক্ষেপনা নিলে সাম্প্রদায়িক দাঙাগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে কোথায় নিয়ে যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
©somewhere in net ltd.