![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানানভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র’—সুনির্মল বসুর এই লাইনগুলোর বাস্তব রূপ দিতেই যেন চেষ্টা করে যাচ্ছেন আমাদের দেশের একদল তরুণ। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার ওয়েবসাইটের আদলে তাঁরা তৈরি করেছেন শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য একটি ওয়েবসাইট, যেখানে শিক্ষকেরা শিক্ষা দেবেন আর শিক্ষার্থীরা সেই শিক্ষা গ্রহণ করে হবে সুশিক্ষিত।
‘রেইনআর্ক’ নামের এই ওয়েবসাইটের অনন্য বৈশিষ্ট্য তবে কী, সেটাই জানালেন সাইটটির সহপ্রতিষ্ঠাতা আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গালিব মুক্তাদির। বললেন, ‘যখন আমরা বুয়েটে পড়াশোনা করতাম, তখন কোনো কারণে ক্লাস করতে না পারলে তা হয়ে দাঁড়াত অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। রেইনআর্কের চিন্তাটা মূলত সেখান থেকেই। শিক্ষক যদি রেইনআর্কে তাঁর বক্তৃতা (লেকচার) দিয়ে রাখেন, তো যেকোনো সময়ে সেই লেকচারের ভিডিও দেখতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। প্রশ্ন কিংবা মতামত দেওয়ার সুযোগও থাকছে। আবার প্রকৌশলের শিক্ষার্থী চাইলেই চিকিৎসাবিদ্যা কিংবা ব্যবসায় শিক্ষার জ্ঞান আহরণ করতে পারছে।’ ওয়েবসাইটির ঠিকানা http://www.rainarc.com।
অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে তৈরি এই রেইনআর্ক। শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশের, সব ভাষার মানুষকে লক্ষ্য করেই এগিয়ে যাচ্ছে তারা। সফল কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। শুরুটা ২০১২ সালে। সদ্য শিক্ষাজীবন শেষ করে গালিব মুক্তাদির, মশিউর রহমান, নাইম হাসান ও সাজিদ-উল-আলম—চার যুবক তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে সচেষ্ট হন। তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামিং দক্ষতা না থাকায় তাঁরা প্রশিক্ষণ নিতে গেলে পরিচয় হয় শামস সাদিক, মোশাহেদ আলম ও ইমতিয়াজ আহমেদ নামের তিন দক্ষ প্রোগ্রামারের সঙ্গে। সবাই মিলে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর কাটাসুরে একটি বাসা ভাড়া করে ফেলেন। তারপর শুরু হয় স্বপ্নের জাল বোনার কাজ। ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে রেইনআর্ক। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে রেইনআর্ক বাস্তব রূপ পেয়েছে। তবে এখনো অনেকটা পথ বাকি, বাকি আছে অনেক কাজ। যদিও ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটটিতে ভিডিও পাঠ যোগ করার সুযোগ যোগ করা হয়েছে, ভার্চুয়াল শ্রেণীকক্ষ আছে যেখানে ছাত্র শিক্ষকদের মাঝে সমন্বয় ঘটানো যাবে, ফেসবুকের মতো লাইক, কমেন্ট এবং প্রাইভেসি পদ্ধতি যোগ করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে গালিব মুক্তাদির জানালেন যে তাঁরা সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে চান। বিভিন্ন শিক্ষকের পাঠের সমন্বয় কিংবা গবেষণার সমন্বয়ের সুযোগ যোগ করা হবে।
গালিব জানান, তাঁরা তাঁদের কাজ করে যাচ্ছেন, তবে এখন সবচেয়ে বেশি দরকার সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব আহসান তাঁদের এই চেষ্টায় শুরু থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের এমন সহযোগিতা চান তাঁরা। সেই সঙ্গে ওয়েবসাইটটিকে সমৃদ্ধ করতে আরও অনেকভাবে সহযোগিতা করার সুযোগ আছে, কেউ চাইলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই প্রচেষ্টায় অংশ নিতে পারেন। সবার সহযোগিতায় রেইনআর্ক একদিন বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিণত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা।
I am one of co-founder of this project.So if you have any suggestion please tell me.
Note:copy from prothom-alo(Click This Link)
২| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লিংক কাজ করছে না। কেন করছে না,বের করুন??
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫০
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: লিংক কাজ করছে না।