![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবু ও মানুষ কাঁদে অধিকার চায় একটি শিশুর তবুও মানুষ বাঁচে কার হাতে অধিকার মানুষ না যীশুর............ অধিকার সবার চাই, মতপ্রকাশের অধিকার নামান্তরে মতদ্বৈততার আধিকার। ইতিহাস সাক্ষী সর্বদা বিজয়ীর ভাষ্য লেখা হয়, রক্তলোলুপ মানুষেরা তরবারি দিয়ে কেটে ইতিহাস লিখে, আমজনতার কথা লিখে রাখে দীক্ষ দ্রাবিড়, সেসব দ্রাবিড়দের মুখপত্র ইতিহাসে ছিলো না, দ্রাবিড়রা কখনই ক্ষমতার বলয়ে যেতে পারে নি, ফিনিশিয়, সুমেরিয় মিশরিয় ,পারসিয় সভ্যতার কিছু কিছু নিয়ে সেমিটিক ধর্মের উদ্ভব, কালের প্রবাহে সেমিটিক ধর্মই টিকে গেছে, অস্ত্রের জোড়ে, শিল্পের জোড় ছিলো না তাদের, আর অনার্য সবাই পৈত্তলিক, শয়তানের অনুচর হয়ে টিকে আছে একত্ববাদী ধর্মগ্রন্থে, আমি এসব দ্রাবিড়দের অধিকার চাই, সভ্যতার ইতিহাসে এরা শিল্পে সংস্কৃতিতে সব সময় গুরুত্বপুর্ন অবদান রেখেছে, তাদের দাবীর সপক্ষে আমি কণ্ঠ মেলালাম।
6 দফার প্রস্তাবসমুহ ছিলো
1. ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানকে একটি সত্যিকারের ফেডারেশন রূপে গড়িতে হইবে। তাহাতে পার্লামেন্ট পদ্ধতির সরকার থাকিবে। সকল নির্বাচন সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের সরাসরি ভোটে অনুষ্ঠিত হইবে। আইনসভা সমুহের সার্বভৌমত্ব থাকিবে।
** লাহোর প্রস্তাবে বলা হয়েছিলো ভারতের উত্তরপশ্চিমাংশের এবং পুর্বাংশের মুসলিমপ্রধান এলকাসমুহ নিয়ে একটা রাষ্ট্র গঠনের কথা, যেই রাষ্ট্রের অংশদ্্বয়ের স্বায়ত্বশাসন থাকিবে। ***
2. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে মাত্র 2টি বিষয় থাকিবে। প্রতিরক্ষা এবং বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট বিষয় সমুহ প্রদেশসমুহের হাতে থাকিবে।
3. পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক অথচ বিনিময়যোগ্য মুদ্্রার প্রচলন করিতে হইবে। অথবা দুই অঞ্চলের জন্য একই কারেন্সি থাকিবে। শাসনতন্ত্রে এমন সুনির্দিষ্ট নির্দেশ থাকিবে যাহাতে পূর্ব পাকিস্তানের মুদ্্রা পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার না হইতে পারে। এই বিধানে পাকিস্তানে একটি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থাকিবে। দুই অঞ্চলে দুইটি আঞ্চলিক রিজার্ভ ব্যাংক থাকিবে।
4. সকল প্রকার ট্যাক্স,খাজনা ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকিবে আঞ্চলিক সরকারের হাতে। আঞ্চলিক সরকারের আদায়কৃত রেভিনিউর একটি অংশ ফেডারেল তহবিলে জমা হইবে। এইভাবে জমাকৃত টাকাই ফেডারেল সরকারের মূলধন হইবে।
5. দুই অঞ্চলের বৈদেশিক মুদ্্রা আদায়ের পৃথক পৃথক হিসাব রাখিতে হইবে। এইসব অর্থ প্রাদেশিক সরকারের এখতিয়ারে থাকিবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মূদ্্রা দুই অঞ্চল সমানভাবে দিবে অথবা সংবিধানের নির্ধারিত হারে আদায় হইবে। বিদেশের সাথে বানিজ্য চুক্তি, বিদেশে ট্রেড মিশন স্থাপন ও আমদানি রপ্তানির অধিকার আঞ্চলিক সরকারের থাকিবে।
6. পূর্বপাকিস্তানের জন্য মিলিশিয়া বা পয়ারা মিলিটারি রক্ষী বাহিনী গঠন করা হইবে এবং প্রতইরক্ষা ব্যাবস্থার ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানকে আরও বেশী আত্মনির্ভরশীল করিতে হইবে।
পাকিস্তান এর ভৌগলিক বিচ্ছিন্ন 2টা প্রদেশের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের রপ্তানি আয় ছিলো বেশী এবং এই রপ্তানি আয়ের অধিকাংশই ব্যায় হইতো পশ্চিম পাকিস্তানের অঙ্গ সৌষ্ঠব এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে।
ইসলামাবাদ নামক শহরটি স্থাপিত হয় এবং তা কলেবরে বেড়ে উঠে এই পূর্ব পাকিস্তানের টাকায়।
এই 6দফার উপর ভিত্তি করে পূর্ব পাকিস্তানে স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে 66 সাল থেকে। এর ধারাবাহিকতায় 69এর গন আন্দোলন গড়ে উঠে ছাত্রদের 11 দফা দাবির ভিত্তিতে-যা আইয়ুব খানকে পদত্যাগে বাধ্য করে এবং তার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া খান 70এ নির্বাচনের ঘোষনা দেন।
ছাত্রসমাজের 11 দফা দাবি ছিলো
1.
(ক) সচ্ছল কলেজসমুহকে প্রাদেশিক করনের নীতি পরিত্যাগ করিতে হইবে এবং জগন্নাথ কলেজ সহ প্রাদেশিককরনকৃত কলেজসমুহকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হইবে।
(খ) শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য প্রদেশের সর্বত্র বিশেষ করিয়া গ্রামাঞ্চলে স্কুল-কলেজ স্থাপন করিতে হইবে এবং বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কলেজসমুহকে সত্ত্বর অনুমোদন দিতে হইবে। কারিগরী শিক্ষার প্রসারের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পলিটেকনিক্যাল এবং কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট স্থাপন করিতে হইবে।
(গ) প্রদেশের কলেজসুমুহে দ্্ব ীতিয় শিফটে নৈশ শিফটে আই এ, আই এস সি, আই কম ও বি এ বি এস সি বি কম এবং চ=রতিষ্ঠিত কলেজসমুহে নৈশ শিফটে এম এ ও এম কম ক্লাশ চালু করিতে হইবে।
(ঘ) ছাত্র বেতন শতকরা 50 ভাগ হ্রাস করিতে হইবে। স্কলারশিপ ও স্টাইপেন্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে হইবে এবং ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহন করার অপরাধে স্কলারশিপ ও স্টাইপেন্ড কাড়িয়া লওয়া চলিবে না।
(ঙ) হল, হোস্টেলের ডাইনিং হল ও ক্যান্টিন খরচার 50 ভাগ সরকারি সাবসিডি হিসেবে প্রদান করিটে হইবে।
(চ) হল ও হোস্টেল সমস্যার সমাধান করিতে হইবে।
(ছ) মাতৃভাষার মাধ্যমে সর্বস্তরে শিক্ষার ব্যাবস্থা করিতে হইবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত সংখ্যক অভিঞ্জ শিক্ষকের ব্যাবস্থা করিতে হইবে। শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি করিতে হইবে এবং স্বাধীন মতামতপ্রকাশের অধিকার প্রদান করিতে হইবে।
(জ) অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করিতে হইবে।
(ঝ)
**** এই অংশগুলোকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আরও অনেকগুলো উপাংশ আছে-
যা এক করলে এই দাবিটাই স্পষ্ট হয় যে সকল প্রদেশে সকল ছাত্রের জন্য উন্নত শিক্ষা এবং কাজের নিশ্চয়তার দাবি ছিলো***
2. প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্টারি গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিতে হবে। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার উপর হইতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করিতে হইবে।
3) নিম্নলিখিত দাবিসমুহ মানিয়া লইবার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ন স্বায়ত্বশাসন দিতে হইবে।
ক) দেশের শাসনতন্ত্র হইবে ফেডারেশন শাসনতান্ত্রিক রাষ্ট্রসংঘ।এবং আইন পরিষদের ক্ষমতা হইবে সার্বভৌম।
খ) ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা দেশরক্ষা, বৈদেশিক নীতি ও মুদ্্রা এই কয়েকটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকিবে। অপরাপর সকল বিষয়ে অঙ্গ রাষ্ট্রসমুহের ক্ষমটা হইবে নিরংকুশ।
গ) দুই অঞ্চলের একই মুদ্্রা থাকিবে, এই ব্যাবস্থায় মুদ্্রা কেন্দ্রর হাতে থাকিবে,কিন্তু এই অবস্থায় শাসনতন্ত্রে এমন সুনির্দিষ্ট বিধান থাকিতে হইবে যে যাহাতে পূর্ব পাকিস্তানের মুদ্্রা পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হইতে না পারে।
ঘ) সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা ও কর আদায় ও নির্ধারনের ভার থাকিবে আঞ্চলিক সরকারের হাতে, ফেডারেল সরকার কোনো প্রকার কর ধার্য বা আদায় করিতে পারিবে না।
ঙ) **
এই অংশের দাবিগুলো 6 দফার সাথে সংগতি পূর্ন।
তবে মৌলিক যেই দাবিগুলো এসেছে তা হলো
সকল প্রদেশের স্বায়ত্ব শাসনের দাবি, ভারি শিল্পসমুহকে জাতিয়করনের দাবি, কৃষকের উপর করের চাপ হ্রাস করা, শ্রমিকদেরর্ন্যায মজুরি, বোনাসের দাবি, তাদের বাসস্থানের সুবিধা এবং চিকিৎসা সুবিধার দাবি
পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ন্ত্রনের ব্যাবস্থা গ্রহন এবং জনসম্পদের ব্যাবহার
জরুরি আইন সহ সকল নিবর্তনমূলক আইনের বিলোপের দাবি।
সকল প্রকার জোটভিত্তিকচুক্তি যা পাকিস্তান সরকার গ্রহন করেছিলো তা বাতিল করে জোট ভির্ভুত স্বাধীন নিরপেক্ষ রাষ্ট্র তৈরি দাবি
এবং সর্বশেষ দাবি ছিলো আটক সকল নেতা ও রাজনৈতিক কর্মিদের মুকক্তির দাবি-
যেহেতু এই 11 দফা ঘোষনায় সবার কথাই জাতি নির্বিশেষে বলা হয়েছিলো তাই এই আন্দোলন সাফল্যের মুখ দেখে।
শিক্ষা, নিরাপত্তা, স্বায়ত্বশাসনজাতীয় মৌলিক দাবি, এবং শিক্ষার ব্যাবহার নিশ্চিত করার ব্যাবস্থা নিয়ে এই দাবির সর্বশেষ পরিনাম হলো আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর।
এই দাবিগুলোর ভিত্তিতেই আওয়ামি লীগ 70এ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে এবং পূর্বপাকিস্তানে এবং সমস্ত পাকিস্তানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
আওয়ামি লীগের প্রাপ্ত আসনের পরিমান ছিলো সর্বমোট আসনের 67% এর বেশি। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তারা ইচ্ছা করলেই সংসদে নিজেদের দাবির আইনি প্রতিষ্ঠা করতে পারতো।
অথচ পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য এই স্বায়ত্বশাসনের দাবি গৃহীত হওয়ার বিষয়টা ছিলো নিজের পায়ের কুড়াল মারার মতোই ভয়ঙ্কর বিষয়। তাদের আমদামি রপ্তানি ব্যাবধান ছিলো দ্্বিগুনের বেশী। মূলত পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনীতি আমদানি নির্ভর ছিলো- এই আমদানি ব্যায়ের অধিকাংশের যোগানদার ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের রপ্তানি আয়-
যদি পূর্ব পাকিস্তান স্বায়ত্বশাসন পেয়ে যায় তাহলে এই মুফতে পেয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থাটা বলবত থাকতো না- এই একটা কারনেই ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিব এবং আওয়ামী লিগের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে চান নি, এই নিয়ে আলোচনার কথা বলে সময় নষ্ট করা এবং পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত সৈন্য সমাবেশ সমাপ্ত হলে 25শে মার্চ সর্বাত্বক আক্রমনে নামে- এবং এটা যে একটা পরিকল্পিত আক্রমন ছিলো তা নির্ণয় করে এ ঘটনাই, পুরানো ঢাকার শাখারি বাজার লুটপাটের সময় সৈন্যবাহীনির সাথে যুক্ত হয় মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মিরা।
এখন প্রশ্ন হলো শেখ মুজিব কি পাকিস্তানের বিলুপ্তির দাবি করেছিলান? মুজিব সব সময়ই স্বায়ত্বশাসনের পক্ষে, এবং তা অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে- সংসদীয় গনতন্ত্রের ভিত্তিতে এবং তা সংসদে সংবিধানে সংশোধনের মতো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়-
বিচ্ছিন্নতাবাদী বা উগ্রতার বিষয়টা অনুপস্থিত একটা বিষয় এই আন্দোলনে, কিন্তু যখন পশ্চিম পাকিস্তানের সৈন্যরা আক্রমন করলো তখন তাদের দাবি ছিলো পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য তারা বাঙালি নিধন করছে-
এই দাবিটা এবং একই দাবি করছে জামায়াত, পাকিস্তানের অখন্ডতার জন্য টারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে।
আশ্চর্য দাবি- শেখ মুজিব যদি পাকিস্তান ভাঙার চেষ্টা করতো তাহলে এই দাবিটার গোড়ার সামান্য পানি থাকতো।
এটা একেবারে নির্ভেজাল মিথ্যাচার।
কিন্তু এর পক্ষ নিয়ে কথা বলছে এখানে অধিকাংশ জামায়াতের কর্মিরা এবং তাদের অন্ধ সমর্থকরা।
অন্যায় করা এবং তা অব্যাহত রাখার বিষয়টা বিবেচনা করে তাদের নব্য রাজাকার বলটে কোনো সমস্যা নেই। এই ধর্মভিত্তইক ইসু্য নিয়ে রাজনীতি যা বাঙালি সংস্কৃতির ধারার বীপরিতে যায় তা বেগবান করার কোনো অর্থ নেই।
২| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ২:০৬
অপ বাক বলেছেন: এইটা যদি তুমি বুঝতা তাহলে বিষয়টা ভালো হইতো-
যদি নিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতাবদল হইতো তাহলে ইতিহাসের ধারা হইতো আলাদা।
কিন্তু মূল প্রশ্নটার উত্তরটা দিলা না-সেইটা হইলো পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী এবং তাদের সহায়ক হিসেবে রাজাকার নেতৃবৃন্দ কিজন্য অখন্ড পাকিস্তানের জন্য বাঙালি নিধন শুরু করলো।
এই পোষ্টের মুল প্রশ্ন এইটাই।
৩| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
অতিথি বলেছেন: শেখ মুজিব চায় নি, সেটা কারোই অজানা নয়। তবে স্বাধীনতা বিরোধী দলগুলো, যেমন শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনী কবে গঠিত হয়েছে সেটা অনেকের অজানা। শান্তি কমিটি গঠিত হয়েছে এপ্রিলের শেষের দিকে। 25শে মার্চের আক্রমনে তাই জামায়াত কি করে অংশগ্রহণ করল বুঝলাম না, কারণ স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হতেই সময় লেগেছে, তেমনি জামায়াতের মত সংগঠনেরও বুঝতে সময় লেগেছে দেশ স্বাধীনের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
৪| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
ওয়ালী বলেছেন: স্বাধীনতা কি তাহলে পূর্বপরিকল্পিত ছিলো নাকি?
৫| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
ওয়ালী বলেছেন: 3য় মন্তব্যটি অপ বাকের জন্য।।
৬| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
ওয়ালী বলেছেন: ধূর 3য় না 4র্থ হবে
৭| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
অপ বাক বলেছেন: উহু রাজাকার বাহিনি গঠিত হইছে কবে এই বিষয়টা নিয়া যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে বলতে হবে 25শে মার্চ আর 26শে মার্চ লুটপাটের জন্য যেই মানুষগুলা অংশগ্রহন তারা কি ভাবে খবর পাইলো এই হত্যাকান্ড ঘটতে যাচ্ছে।
অন্য বিষয়টা হইলো পাকিস্তানের অখন্ডতা বিনষ্টের জন্য দায়ি পাকিস্তানী সৈন্যবহীনীকে সমর্থন করার জন্য কেনো জামায়াত রাজী হলো? যৌক্তিকতা বিচার করতে শিখো- এটাই বিবেচনার কাজ।
পিয়ালের লেখা পড়তে থাকো।
৮| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
অপ বাক বলেছেন: আর একটা সংগঠন তৈরি হওয়ার জন্য একটা ভিত্তি তৈরি হওয়া লাগে- যাচাই বাছাই কর্মি সংগ্রহ সব শেষ হইলে কমিটি গঠনের রূপ রেখা চুড়ান্ত হইলে সংগঠনের প্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়-22শে এপ্রিল যখন আল বদর বাহিনীর ঘোষণা দেওয়া হয় তখন তাদের নীতিনির্ধারক- কমিটির পদ সবই ঠিক হয়ে আছে- তাদের লক্ষ্যও ঠিক হয়ে গেছে- আর এখন বলতে চাচ্ছো এই বিষয়টার কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিলো না??
৯| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
হযবরল বলেছেন: শেখ মুজিব বিপ্লবী রাজনীতির প্রোডাক্ট না। সিরাজ শিকদার না , কমরেড ফরহাদ না এটা বুঝতে হবে। মুজিব সোহরাওয়র্াদীর হাতে দীক্ষিত , একটা বর্ুজোয়া দলে র প্রোডাক্ট । আমাদের সবার মত উনি ও চেয়েছে , স্বায়ত্বশাসন । গায়ে পড়ে কেউ যুদ্ধে যায় না। আলোচনার নামে সময় নেওয়ার পাকিস্তানিদের
মনস্তত্ব বুঝলেও উনার পক্ষে
সম্ভব ছিলনা , ঘোষণা করা যে স্বাধীনতা চাই । তাইলে সত্যি সত্যি দেশদ্্রোহিতার অভিযোগে গরাদে ঢুকতে হইত।
এইসব সিলি কথা কও কেন ? শান্তিবাহিনী গঠিত হইছে এপ্রিলে , তাই 25 শে মর্াচে জামাত জড়িত না।
গোলাম আযম তার জীবনিতে লিখেছে , 26 শে মর্াচ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হয়ে , নয়াবাজার , পুরান ঢাকা , গুলিস্তান হয়ে আসার সময় দেখলেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাশ পড়ে আছে কয়েকটা। উনার মনে হল আহা কি নৃশংসতা। তারপর মনে হল সমর নায়কদের কে বুঝাইবে , ওরা শত্রু মারিবার মতন করিয়া মারিয়াছে , অথচ আমরা তো শত্রু না। এইটুকুই উনার 25 শে মর্া চ দেখা । যা হোক কয়েকটা লাশ অন্তত দেখিয়াছেন। উনি নিজে মনে করেন যে পাকিস্তানি র্উ দিধারী রা শত্রু র মতন মারিয়াছে । তবুও যারা আমাদের শত্রুর মত মারিয়াছে তাদের পক্ষ অবলম্বন করিয়া দেশ ত্যাগ করেন।
এখন আমি দেখলাম আড্ডাবাজ , অপ বাক এর মাথায় চাটি মারিতেছে । আমি কোন প্রতিবাদ করলাম না । সেখান হইতে চলিয়া গিয়া মাইক নিয়া আড্ডাবাজের গান গাইলাম । পরে বললাম যে আড্ডাবাজর চাটি মারাটা আমি সর্ম থন করি নাই । কিন্তু কিছু বলি নাই , কারন আমি চাই নাই তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হোক ।
সস্তা দরের ফাৎরামির একটা সীমা থাকে।
১০| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
ওয়ালী বলেছেন: কথার কথা
হত্যাকান্ড যে ঘটতে যাচ্ছে এটা তাদের জানা ছিলো এই ব্যাপারে কি ভাবে নিশ্চিত হলেন?
যে সরকার বর্তমান আছে সেই সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ার যেমন যুক্তি আছে তেমনি অবশ্যই যুক্তি আছে তাদের পক্ষে থাকার।
১১| ২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬
অপ বাক বলেছেন: স্বাধীনতার পটভুমি লিখছে পিয়াল- আমি শুধু ছয় দফার দাবি এবং বাস্তবাতাটা কি রকম হতো তা বলছি এখানে-
যদি স্বাধীনতার বিষয়টা বলো তাহলে বলতে হবে- নির্বাচনের পর থেকে যখন সাংবিধানিক ক্ষমতা হস্তান্তরে গরিমসি করছিলো ইয়াহিয়া খান এবং এর পরে যখন বাংলাদেশের মাটিতে সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো শুরু হইলো এবং যখন বাঙালি অফিসারদের ক্রমশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা শুরু হইলো তখন লোকজন একটা অমংগল আশংকা করেছিলো- এই পর্যায়েও ঠিক প্রতিরোধের বিষয়টা আসে নাই।
7ই মার্চের ঘোষণার সময়ও এই বিষয়টা নিয়ে তেমন ভাবে উচ্চকিত ছিলো না ।শেখ মুজিবের ধারনা ছিলো জন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো ইয়াহিয়া নিয়মতান্ত্রিক প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
১২| ২৪ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
অপ বাক বলেছেন: প্রশ্ন করতে শেখাটাও একটা সুশিক্ষার অংশ।
ছয় দফার দাবিতে আন্দোলন এবং এর পর নির্বাচনে অংশগ্রহন এবং সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা- সম্পূর্ন আন্দোলনটাই অখন্ড পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ব শাসনের পক্ষে- এই দাবিটার যৌক্তিকতা নিয়া প্রশ্ন উঠতে পারে- কিন্তু যদি এইটা প্রমান হয় যে স্বায়ত্বশাসনের দাবিটা একেবারে লাহোর প্রস্তাব- যা পাকিস্তান গঠনের মূল ভিত্তি সেখানেই ছিলো তাহলে এই প্রশ্নে গরিমসি করাটা পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক সরকারের ভুল।তাহলে ঘটনা দাড়াইলো যে পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ লাহোর প্রস্তাবকে সমর্থন করে না- বাঙালিদের শোষণ করতে চায়। এবং পাকিস্তানের অখন্ডতার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করেছে পূর্ব পাকিস্তানের জনগন।
যদি পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষে জামায়াতের অংশগ্রহন থাকতো টাহলে তারা আন্দোলনে থাকতো লীগের পক্ষে- তা থাকে নাই- বরং তারা নৈতিক সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তানের অখন্ডতা বিনষ্ঠকারী রাজনৈতিকদের সাথে।
2য় যেই প্রশ্নটা সামনে আসে তা হলো- বর্বর হতয়াকান্ডের সূচনার বিষয়টার কোনো নৈতিক ভিত্তি নাই- মুজিবের বিচক্ষনতার ফলে - পাকিস্তান সৈন্যবাহীনি বর্বরতা শুরুর পর স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া হয়- এই ক্ষেত্রে অনৈতিক অবস্থানটা ছিলো পাকিস্তানি বাহিনীর। যা বাংলাদেশের কিংবা পূর্বপাকিস্তানের জনগনের মতামতের মূলত বীপরিত- কিন্তু জামায়াত বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষের নৈতিকতার বিরুদ্ধে অনৈতিক একটা অবস্থান গ্রহন করেছে- এই ভাবে েিবচনা করলেও জামায়াতের নেতৃবৃন্দের অবস্থান সব সময় পশ্চিম পাকিস্তানীদের তোষণ এবং বাঙালিদের শোষনের পক্ষে ছিলো- এই ভিত্তইতেও তারা রাষ্ট্রদ্্রোহী অবস্থানে চলে যায়- কোনো ভাবেই জামায়াতের আলবদর বাহিনী এবং আল শামস বাহিনী এবং অন্য সব বর্বরতার পক্ষে সাফাই গাওয়ার সুযোগ থাকে না।
বিষয়টা যদি নৈতিকতার হয় তাহলে= অবশ্য অনৈতিকতার চর্চা এবং অযৌক্তিক প্রশ্ন করতে চাইলে বলা যায় কেনো লাহোর প্রস্তাব আসলো- কেনো এই খানে ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানি আসলো- কেনো ইংরেজরা এইখানে আসলো-
১৩| ২৪ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
ওয়ালী বলেছেন: আমি "কথার কথা" মনে হয় বলছিলাম? যাই হোক আর আগ্রহী না।
১৪| ২৪ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৬:০৬
অতিথি বলেছেন: ইতিহাসের র্নিমোহ সত্য কখনই সব পক্ষকে খুশি/সন্তুষ্ট করতে পারবে না।
১৫| ২৪ শে জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: জামায়তের মতো সংগঠনের দেশ স্বাধীন হওয়ার আন্দোলন শুরু হইছে বুঝতে সময় লাগছে কিন্তু ওরা আবার স্বাধীনতার বিপক্ষে দাড়ায়া গেলো।
তা গোলাম আযমেরা যে মার্চের প্রথম থেকে মিটিংগুলা করছে তা কি জন্য করছে?
শেখ মুজিবের সাথে মিটিং করে নাই ভুট্টোর সাথে দলীয় ভাবে দেখা করছে- কেনো করলো কওতো দেখি?
১৬| ২৪ শে জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
মদন বলেছেন: জামায়াতের সাথে আরও যারা ছিল তাদের বিরুদ্ধেও কিছু কথা আশা করি। তাদের অবস্থান এখন যে দলেই হোক বা যেখানেই হোক।
১৭| ২৬ শে জুন, ২০০৬ রাত ১:০৬
উৎস বলেছেন: মন্তব্যের বিতর্কটা আরো গড়ালে মন্দ হতো না।
১৮| ২৬ শে জুন, ২০০৬ রাত ১:০৬
অতিথি বলেছেন: আমি জামাতের নীতিকে শতকরা 100 ভাগ সমর্থন করি। 'সরকারের পক্ষে থাকারও যুক্তি আছে, বিপক্ষে থাকারও'। জামাত ঝামেলা এড়াতে চায়, তাই চেষ্টা করে সরকারের েপক্ষে থাকতে। এতে আপনাদের গায়ে ফোসকা পড়ে ক্যান?
১৯| ২৬ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
অপ বাক বলেছেন: মদন যদি তাদের সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য হাতে আসে তাহলে জানাবো-কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চার জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাবস্থা সেভাবে গড়ে না উঠায় এসব তথ্য সামনে আসছে না।
চোর- কারো গায়ে ফোসকা পড়লো কোথায়? জামায়াত হিসাব করেছিলো যে 71এ সংগঠিত সৈন্যবাহিনী অবশ্যই বাঙালিদের প্রতিবাদী চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে- সেই হিসাবটা মিলে নাই- এখন নতুন ভাবে ছক কষছে- এবারেও তারা সফল হবে এমন নিশ্চয়তা নেই- এই মাটির মানুষদের অহেতুক ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার অভ্যাস নেই। অপেক্ষকৃত সচ্ছল মানুষেরা অনেকরকম নিয়মবদ্ধতা গ্রহন করতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সচ্ছল মানুষের সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে কম-80 শতাংশ শ্রমিক দিনমজুরের দেশে এইসব কল্পনা করা ভুল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০০৬ রাত ২:০৬
ওয়ালী বলেছেন: আমিও বলি শেখ মুজিব পাকিস্তানের ভাঙ্গন চায় নাই। এইটা নতুন কোন কথা না। কিন্তু প্রশ্ন হইতেছে জনগন কি তাহলে মুক্তিযুদ্ধ কইরা ভূল করলো নাকি? আর শেখ মুজিব শুধু যার যা কিছু আছে তা নিয়া নামতে বইলা জাতির পিতা হয়ে গেল। এই মিথ্যাচার তবে কেন???