![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নায়লা নাইম বৈশাখী অফারের এড দিয়েছে। বৈশাখী শাড়ি কিংবা জামা না... এডটা ডার্বির বৈশাখী লঞ্জেরির।
মেয়েদের রাত্রিকালিন পড়ে থাকার জন্য আকর্ষণীয় অন্তর্বাসকে লঞ্জেরি (Lingerie) বলে। ফ্রান্সে প্রথম চালু হয়, এরপর সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
বুঝলাম না বৈশাখের সাথে এই লঞ্জেরির কি সম্পর্ক!!
আসলে মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে বৈশাখের যে সম্পর্ক, নায়লা নাইমের লঞ্জেরির সাথেও একই সম্পর্ক।
মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো কিংবা মঙ্গল শোভাযাত্রা কখনোই আমাদের বাঙ্গালি সংস্কৃতির অংশ ছিল না। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীরা এটি প্রথম চালু করে।
প্রাচীনকালে একসময় মানুষ সূর্য, পেচা, ভুত, আগুন, ঈগল কে তাদের দেবতা মানত এবং এদের কাছেই মঙ্গল চাইতো। বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশ পড়ে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা সেই প্রাচীন পূজারই আধুনিক রুপ। আধুনিতার মোড়কে পুরোনো বর্বরতা।
আমাদের বাঙ্গালি সংস্কৃতি হল দোকানে হালখাতা খোলা, ইলিশ খাওয়া, ঘুড়ি ওড়ানো, নাগরদোলায় চড়া, বৈশাখি মেলায় যাওয়া, পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে বা দাওয়াত খেতে যাওয়া ইত্যাদি।
প্রাচীনকালে অগ্রহায়ন মাসকে ফসলি বছরের প্রথমদিন হিসেবে ধরা হত। এরপর আকবরের আমলে এসে পহেলা বৈশাখকে প্রথম দিন ধরা হয়।
বৈশাখ থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত প্রতি মাস ৩১ দিন ও আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত ৩০ দিন গণ্য করা হয়। ইংরেজিতে যেমন লিপইয়ার আছে, বাংলাতেও লিপইয়ার আছে। লিপইয়ারে ইংরেজিতে ফেব্রুয়ারি মাস হয় ২৯ দিনে, আর বাংলাতে ফাল্গুন মাস হয় ৩১ দিনে।
পান্তাভাত খাওয়ার গরিবি রেওয়াজ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অংশ কখনোই ছিল না। আমাদের অতীত ঐতিহ্য সমৃদ্ধের ঐতিহ্য। গোলাভর্তি ধান, পুকুরভর্তি মাছ, গোয়ালঘরে দুধেল গাভির ঐতিহ্য।
নতুন বছর আসলেই সবাই নতুন কাপড় পড়ে ভাল ভাল খাবার (যেমন- ঘি, দই, বড় মাছ, চিকন চালের ভাত, মিষ্টি) খেয়ে নববর্ষ উদযাপন করতো।
পান্তাভাত খেয়ে নববর্ষ পালন করা মানে আমাদের অতীতের গৌরবের ঐতিহ্যকেই অস্বীকার করা।
আসলে এভাবে নতুন নতুন বৈশাখী সংস্কৃতি চালু করতে থাকলে, ক'দিন বাদে নায়লা নাইমের লঞ্জেরিও আমাদের বৈশাখী সংস্কৃতিরই অংশ হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: নায়লা নাইম আমার বাল একটা।