![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকার শিক্ষা আইন 2015 প্রণয়ন করার জন্য জন-সাধারনের মতামত চাইছে ,আদেও আমার এই মত তারা দেখবেন কিনা সন্দেহ । তারপরও আমার মতামত তুলে ধরলাম।
আইনের বিভিন্ন ধারায় বলা হয়েছে যে স্কুল ,কলেজে কোচিং বাণিজ্য করা যাবে না ।এটা অবশ্যই ঠিক ,যদি কোচিং করা লাগবে, তো স্কুল কলেজে শিক্ষকরা কি পড়াবেন ?
আবার বলা হয়েছে গাইড বই নোট বই প্রকাশ করা যাবে না, তবে সরকারের অনুমতি নিয়ে শিক্ষা সহায়ক বই প্রকাশ করা যাবে ।এটার সাথে আমি একমত না। কারণ যে লাউ সেই কদু , গাইডের বা নোটের নাম বদলে নমুনা বা সহায়ক বই নামে প্রকাশ করা হবে। আমি মনে করি নোট গাইড বাজারে থাকুক । যার দরকার সে কিনবে ,না দরকার হলে নাই। তবে মানহীন গাইড প্রকাশ নিষিদ্ধ করা দরকার। আমার মনে হয় না আজ যারা শিক্ষক বা শিক্ষাবিদ তারাও নোটগাইড ছাড়া পাশ করেছে । কারণ অনেক শিক্ষার্থী সব ক্লাস করতে পারে না, বা গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী ভাল শিক্ষক পায় না ।তাদের শেষ ভরসা নোট গাইড ।তারা ওখান থেকে নমুনা প্রশ্ন দেখে শেখে।
বিবিধ অংশের ৩ নম্বর উপ-ধারায় বলা হয়, সরকার প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এটা বাড়াবাড়ি, সরকার জেলা উপজেলায় এমনকি ইউনিয়ন পযর্ন্ত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ক্লিনিক করেছে । তাই বলে কি তারা বলছে যে ,বেসরকারি কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না ?
যার সামার্থ আছে সে বাসায় শিক্ষক রাখবে, এটা তার নিজের স্বাধীনতা।
আর বাসায় শিক্ষক এর বিকল্প কোচিং। যেখানে কম খরচে শিক্ষা পাওয়া যায়। যদি তাই না হতো তাহলে কোন লোক তার সন্তানদের সেখানে টাকা খরচ করে পড়াতো না । বরং কোচিং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ঘাটতি দূর করে, তাকে উপযুক্ত করে। সেখানে কাউকে জোর করে পড়তে বাধ্য করা হয় না।আর কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এর সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে না।
আর দেশের উচ্চশিক্ষার সাথে জড়িত শিক্ষার্থীরা টিউশুনি ও কোচিং করিয়ে নিজের থাকা খাওয়া ও পড়ালেখার খরচ যোগায় ।তাই এটা বন্ধ হলে উচ্চ শিক্ষায় বিপর্যয় হবে। এর জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর জরিপ করা যেতে পারে । আমার মতে শতকরা 75% শিক্ষার্থী এর সাথে জড়িত।
আমি শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য কিছু সুপারিশ রাখছি
১. আগে শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি করতে হবে। নব্বই দশকের পর বেসরকারি খাত উন্নত হওয়ার কারণে বেশিরভাগ মেধাবীরা শিক্ষক না হয়ে বেসরকারি চাকরি গ্রহণ করছে । কারণ শিক্ষকতার থেকে বেশি টাকা সেখান থেকে আয় করা সম্ভব। আর এ্ জন্য অযোগ্য অদক্ষরা টাকা দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছে। তাই অযোগ্য শিক্ষকদের আগে বাদ দিতে হবে। আর এটা করা খুব সোজা । শিক্ষক নির্বাচন করবে শিক্ষার্থীরা একটি ক্লাসের শির্ক্ষীদের অভয় দিয়ে তাদের কাছে জানতে হবে কোন শিক্ষক ভালো আর কে খারাপ কে ভাল শেখায় আর কে পারে না। এই ভাবে যে শিক্ষক ৭৫ % ভোট পাবে সে থাকবে আর যে পাবে না তাকে বাদ রাখতে হবে। এখানে আপস করা যাবে না আর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে তাদের ছয় মাস পাঠদাননের সুযোগ দিতে হবে সে যদি শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারে তো চাকরি স্থায়ী হবে না পারলে নয়।
২. শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের জন্য আবাশিক সুবিধা, রেশন, চিকিৎসা ও অবসর ভাতা দিয়ে শিক্ষক পদকে লোভনীয় করে মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে হবে।
৩. সরকারের খরচ বাঁচাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিয়নে বিশাল যায়গা নিয়ে স্কুল কমপ্লেক্স করতে হবে সেখানে বড় বড় পুকুর থাকবে, ফসলের জমি থাকবে গরু ,ছাগল ,হাঁস মুরগির খামার থাকবে । আর এর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা খাবার পাবে। বড় মাঠ থাকবে, পযন্ত আলো বাতাস থাকবে । আর এখানে দুই শিফট এ শিক্ষা দান করা হবে ,সকালে মেয়েরা আর দুপুরে ছেলেরা । আর তাদের যাতায়াতের জন্য গণপরিবহণ থাকবে। যা একটি ইনিয়নের গুরুত্বপূণ এলাকা থেকে যাতায়াত সুবিধা প্রদান করবে।
৪. প্রতি উপজেলা বা থানাতে দুটি মাত্র কলেজ থাকবে(প্রয়োজনে একাধিক) একটি ছেলেদের একটি মেয়েদের সেখানে যাতায়াতের জন্য গণপরিবহণ ও আবাসিক সুবিধা থকবে আর এটা হতে হবে বিশাল এলাকা নিয়ে যেখানে কৃষি খামার, পুকুর সব থাকবে বাইরে থেকে কোন খাবার ক্রয় করা লাগবে না। এখানেও দুই শিফটে পাঠ দান করা হবে ।
৫. আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ : কিশ্কা ক্যালেন্ডারে ৮৫ দিন সরকারি ছুটি এছাড়া আমরা দেখতে পায় প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকে। তাই আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্র থাকবে। যেখানে শুধুমাত্র পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। তাহলে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটবে না। আগে যে অযোগ্য শিক্ষকদের আদ রাখা হয়েছিল তাদের এখানে গার্ড শিক্ষক করা যেতে পারে ।এছাড়া এই কেন্দ্র হবে ডিজিটাল এখানে তেমন শিক্ষক লাগবে না এক রুমে মাত্র এক জন শিক্ষক যতেষ্ট। পুরো পরীক্ষা কক্ষ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে যে শিক্ষার্থী অসৎউপায় অবলম্বন করবে তাকে বহিষ্কার করা হবে তার মোবাইলে এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে সামনের পরীক্ষায় তোমার আর পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই, তুমি বহিষ্কার। আর তোমার অপরাধ জানতে অফিসে যোগাযোগ কর। সে আসলে তার অপরাধের ভিডিও ফুটেজ তাকে দেখানো হবে। এর আগে অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রর বিষয়ে তাদের ধারণা দিতে হবে।
৬. প্রতিষ্ঠান কমানোর পরে পূর্বের যায়গায় যাযগার গুরুত্ব বুঝে শপিং সেন্টার , আবাশিস হোটেল, বা টাকা আয় হয় এম কিছু করতে হবে এই এই সব টাকা শিক্ষা ফান্ডে জমা করতে হবে
৭. স্কুল, কলেজ সরকারি করতে হবে, তবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান রাখতে হবে । যাদের সরকার কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে না, সেখানে যাদের ইচ্ছা তারা তাদের সন্তানদের পড়াবে, তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে ভাল সার্ভিস দিবে বলে আশা রাখি।
৮. ইংরেজি শিক্ষার উপর গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে হবে কারণ এটা ছাড়া ভালো কিছু করার সুযোগ নাই।
মো: হেলাল হোসেন
শিক্ষার্থী
Masters of Development Policy Studies
Khulna University
Email: [email protected]
©somewhere in net ltd.