নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে আপাতত কিছুই বলতে চাইছি না।

ককচক

ককচক নিকটা মূলত বকবক করার জন্য ওপেন করা হয়েছে

ককচক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতালির ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি এবং বাংলাদেশের একজন বঞ্চিত নাহিদ!

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:২১



একটু আগে সময় টিভির একটা প্রতিবেদনে দেখলাম, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত একটা ছেলে নিজের মেধা ও পরিশ্রমে মাত্র ১২ হাজার টাকা খরচ করে একটি পুরানো বাইসাইকেলকে মোটরসাইকেলে রূপান্তরিত করেছে। মোটরসাইকেলটি ১ লিটার জ্বালানিতে ৯০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে সক্ষম।
বাইসাইকেলকে মোটরসাইকেলে রূপান্তরিত করা ছেলেটির নাম নাহিদ। তার বাবা বাউল, মা গৃহিণী। অর্থাভাবে পড়াশোনা করতে না-পারা নাহিদের (অটোরিকশা মেরামতের) ছোটখাটো একটা গ্যারেজ আছে। সে গ্যারেজে ব্যাটারি চালিত রিকশা ও অটোরিকশা মেরামতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

নাহিদের পুরানো বাইসাইকেল মডিফাই করে সাইকেলে রূপান্তর বা সাইকেল উদ্ভাবনের গল্প শুনে বিখ্যাত স্পোর্টস কার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ল্যাম্বরগিনি'র প্রতিষ্ঠাতা ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনির স্পোর্টস কার তৈরির গল্পটা মনে পড়ছে। গল্পটা সম্ভবত ইউটিউবে শুনেছিলাম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি একটি দ্বীপে ইতিলিয়ান বিমানবাহিনীতে মেকানিক হিসেবে (যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমান ও যানবাহন মেরামত) কাজ করতেন। ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনির বাবা ছিলেন কৃষক। যুদ্ধ শেষে বাড়িতে যাওয়ার পর বাবার কৃষককাজে সহায়তায় উদ্দেশ্যে ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি পরিত্যক্ত যানবাহনের নানা যন্ত্রাংশ জোগাড় করে একটি ট্রাক্টর তৈরি করেন। অল্ল সময়ে তার তৈরী করা ট্রাক্টর জনপ্রিয় হয়ে উঠলে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ল্যাম্বরগিনি ট্রাক্টর ব্রান্ড।

ট্রাক্টর নির্মাতা ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি তখনকার সময়ে বিখ্যাত স্পোর্টস কার ব্র্যান্ড ফেরারীর ২৫০জিটি মডেলের একটি গাড়ি কিনেছিলেন। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, 'ফেরারী ২৫০জিটি' গাড়িটি মেরামতের জন্য ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি একবার ফেরারীর হেড কোয়াটারে যান। গাড়িটি মেরামত শেষ হলে তিনি লক্ষ্য করলেন- ট্রাক্টর তৈরি করতে তিনি যে পার্সটি ব্যবহার করেন, ফেরারী কোঃ সেই পার্সটি তার স্পোর্টস কারে ব্যবহার করেছে। এটা দেখে ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি ফেরারি ব্যান্ডের মালিক এঞ্জো ফেরারীকে পার্টসটি বদলিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন । এতে এঞ্জো ফেরারী ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন “ তুমি একজন ট্রাক্টর নির্মাতা, তুমি স্পোর্টস কারের কি বুঝবে।"
এঞ্জো ফেরারির কথায় ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি অপমান বোধ করেন। এবং স্পোর্টস কার তৈরীর কাজ শুরু করেন। তার বানানো প্রথম ল্যাম্বরগিনি গাড়িটির মডেল ছিল “ল্যাম্বরগিনি৩৫০জিটিভি।
অর্থাৎ
পরিত্যক্ত যানবাহনের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি 'ট্রাক্টর তৈরি' করে শুরু করেছিলেন। তারপর ক্রমশ চমৎকার চমৎকার স্পোর্টস তৈরি করে বিশ্বকে অবাক করেছেন। আমাদের অটোরিকশা ম্যাকানিক নাহিদ পরিত্যক্ত বাইসাইকেল মডিফাই করে তৈরি করেছে মোটরসাইকেল। পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে হয়তো এই নাহিদ একদিন নিজস্ব ব্যান্ডের মোটরসাইকেল তৈরী করবে। গাড়ি তৈরি করবেন। এটা মোটেও অসম্ভব নয়।

এখন কথা হচ্ছে, আমাদের এই শিক্ষাবঞ্চিত দরিদ্র নাহিদকে সুযোগ'টা দেবে কে? আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটচুরি করে ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকলেও দেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নাহিদদের শ্রম ও মেধা মূল্যায়ন করার প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেননি। তিনি হাজার কোটি টাকা ব্যায় করে স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছেন। মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর চাইতে দেশের নাহিদদের শ্রম ও মেধা বিনিয়োগের জন্য ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যে বেশি জরুরী... এটা শেখ হাসিনার সরকার ১৩ বছরেও বোঝেনি! আজীবন ক্ষমতায় থাকলেও বুঝবে বলে মনে হয়না। এনিওয়ে,
আমাদের নাহিদদের জন্য, আমাদের পাশ করা বেকার ইঞ্জিনিয়ারদের শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করার জন্য প্রচুর ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা দরকার। সরকারি অর্থ বিনিয়োগ দরকার। আশাকরি, সরকার এসব ব্যাপারে মনোযোগ দিবে।

নাহিদকে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন-



"নাহিদের মতো মেধাবী প্রতিভাবানদের দরকার কারিগরি সহায়তা এবং আর্থিক সহায়তা। তাহলে আমাদের মতো দেশে অনেক উদ্ভাবনী সহায়ক সাফল্য পেতে পারে, দেশের মানুষ উপকৃত হবে। বগুডা ও যশোরে তৈরী কৃষি যন্ত্রপাতি এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। অথচ ওখানকার ইঞ্জিনিয়ারিং শপে যারা মেকানিক হিসেবে কাজ করছেন তাদের বেশীরভাগ মেকানিকদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই, সবাই দেখে দেখে নিজ নিজ চিন্তার প্রয়োগ করে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরী করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করছে।
আমাদের দেশে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বিএ, এমএ পাশ লোকের দরকার নাই। আমাদের দরকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পাশ উদ্যোমী তরুণ যারা মাঠ পর্যায়ে হাতে কলমে কাজ করে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে।"
- জুল ভার্ন



তথ্যসূত্রঃ সময় টিভি, উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

যে জিনিস একবার আবিষ্কার হয়েছে সেটা পুনঃআবিষ্কার করে পন্ডশ্রম করার কোন মানে হয় না।

নতুন কিছু করুক। কম খরচে সোলার প্যানেল। ব্যাটারি এসিস্ট বাই সাইকেল, কম বিদ্যুৎ খরচ করে হাই এফিশিয়েনট মটর ইত্যাদি।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:১৩

ককচক বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই, সুন্দর মতামতের জন্য।
চায়নিজরা পুনঃপুনবার আবিষ্কার করে, কপি করে বা কিঞ্চিৎ মডিফাই করে বিশ্ববাজার দখল করে বসে আছে। আমরাও কিন্তু এটা করতে পারি। অন্তত নিজেদের দেশে ব্যবহারের জন্য। শুরুটা কপি টপি বা কিঞ্চিৎ মডিফাই করে শুরু করলেও একটা সময় মৌলিক কিছু আবিষ্কার করতে পারবে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে,
নতুন কিছু তৈরি করার পরিবেশ আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। সরকার উদ্যোক্তাদের লোন দেওয়ার প্রকল্প নিলেও মাঠপর্যায়ে যারা লোন পাওয়ার যোগ্য তারা পাচ্ছে না। লোন যাচ্ছে চোর বাটপারদের পকেটে। ফলে, অনেকে চাইলেও কিছু করতে পারছেনা।
সরকারের তত্বাবধানে কিছু প্রতিষ্ঠান গঠন হলে বা যারা নতুন কিছু করতে চায় তাদের সরকার লোন দিলে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।
স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে হলে, উন্নত হতে হলে এইসব ব্যাপারে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে।

যাইহোক

নাহিদের মডিফাই করা সাইকেলটা বাংলাদেশের বাজারের জন্য ইউনিক। জ্বালানি সাশ্রয়ী এই সাইকেলে ইনভেস্ট করলে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: নাহিদের মতো মেধাবী প্রতিভাবানদের দরকার কারিগরি সহায়তা এবং আর্থিক সহায়তা। তাহলে আমাদের মতো দেশে অনেক উদ্ভাবনী সহায়ক সাফল্য পেতে পারে, দেশের মানুষ উপকৃত হবে। বগুডা ও যশোরে তৈরী কৃষি যন্ত্রপাতি এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। অথচ ওখানকার ইঞ্জিনিয়ারিং শপে যারা মেকানিক হিসেবে কাজ করছেন তাদের বেশীরভাগ মেকানিকদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই, সবাই দেখে দেখে নিজ নিজ চিন্তার প্রয়োগ করে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরী করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করছে।
আমাদের দেশে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বিএ, এমএ পাশ লোকের দরকার নাই। আমাদের দরকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পাশ উদ্যোমী তরুণ যারা মাঠ পর্যায়ে হাতে কলমে কাজ করে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

ককচক বলেছেন: খুব সুন্দর করে পোস্টের মূল বক্তব্যটা বলেছেন প্রিয় ভাই। আপনার মন্তব্যটা আমার পোস্টে সংযোজন করছি । আশাকরি আপনার আপত্তি থাকবেনা।

প্রতিভাবান উদ্যোমী তরুণ তরুণীদের সরকারি ও বেসরকারিভাবে উৎসাহিত করলে সামনে ভালো কিছু হবে।
আপনি ঠিকই বলেছেন। বগুড়া ও যশোরে যে কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন মূলত শুরু হয়েছিলো কামারদের হাত ধরে। ক্রমশ উন্নতি করতে করতে তারা আজ একটা অবস্থায় এসে পৌছেছে। এখন কথা হচ্ছে, কামারশালা ত সারা দেশেই আছে। কিন্তু বগুড়া বা যশোরের কামারশালার মতো যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কারখানা দেশে কয়টা হয়েছে?!
যারা নাহিদকে ছোটভাবে দেখছেন, তারা ভালোকরে বগুড়ার কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরীর কারখানাগুলোর ইতিহাস ঘাটাঘাটি করলে বিষয়টা বুঝতে পারবেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুল ভার্ন ভাই

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১১

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে নাহিদ সাহেব যা করেছেন তার ভেতরে নতুনত্ব কিছু নেই। এমন কাজ অনেক হয়েছে । আপনি কেউ ইউটিউবেই দেখতে পাবেন এমন সাইকেলের সাথে ইঞ্জিন লাগানোর ব্যাপার । আমাদের দেশেই সাইলের সাথে মোটর আর ব্যাটারী লাগিয়ে চালানোর চল আছে । আমি প্রতিদিন অন্তত একটা দেখি !

আর যেমন করে বলা হচ্ছে মাত্র ১২ টাকা ! কিন্তু আসলেই কি ১২টাকা খরচ হয়েছে ? নাহিদ সাহেব গ্যারেজে কাজ করেন, তিনি নানান স্থান থেকে পুরানো জিনিস পত্র যোগার করেছেন তাতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার টা ! কিন্তু বাজারেজাত করতে এই জিনিসপত্র নিশ্চয়ই এভাবে পুরানো যোগার করা যাবে না ! সেগুলো নতুন ভাবে কিনতে হবে ! ইঞ্জিন সহ্য করতে পারে এমন মজবুত একটা সাইকেলের দামই কম করে ১৫/২০ হাজার লাগবে । একটা নতুন ইঞ্জিন কিনতে হবে ! ১২ হাজারে হবে কি ?
কোন ভাবেই না ! এসব পত্রিকা কিংবা টিভি রিপোর্টেই দেখতে ভাল লাগে বাস্তবতা আসলে ভিন্ন !

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮

ককচক বলেছেন: প্রিয়, অপু তানভীর ভাই
নাহিদ একজন গ্যারেজ মেকানিক। সে ইউটিউব দেখে এটা তৈরি করেছে। ইউটিউব দেখে বা ইউটিউব থেকে কপি করলেও কিন্তু তার কাজটা প্রসংশার দাবীদার।
কারণ বাংলাদেশে নাহিদের মতো হাজার হাজার গ্যারেজ মেকানিক আছেন। কিন্তু কজন নাহিদের মতো এমন কিছু করার চেষ্টা করেছে? সংখ্যাটা খুব সামান্য।

নাহিদ বলেছে সে পুরানো সাইকেলের যন্ত্রাংশ কাজে লাগিয়ে নতুন সাইকেল তৈরি করেছে। নতুন যন্ত্রপাতি কিনে তৈরি করতে গেলে খরচ বেশি হবে এটা ঠিক। তবুও আমার মনে হয়, এক্সপেরিমেন্ট করা দরকার।
'ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা একদমই নেই' - এটা বলা সঠিক হবে বলে মনে হচ্ছেনা।

ধন্যবাদ মতামতের জন্য। শুভকামনা

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৭

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: চেতনাবাজ এ সরকার তো নাহিদদের জন্য না। এমন কত শত নাহিদ যে দেশের আনাচে কানাচে পড়ে আছে, শুধু প্রয়োজন একটু পৃষ্ঠপোষকতার। এরা সাপোর্ট পেলে শুধু নিজেরাই এগুবে না, এগিয়ে যাবে পুরো বাংলাদেশ। এ সরকার মুক্তিযুদ্ধকে পুজি করে চলে। এদের আমলে বিদেশে যে পরিমান টাকা পাচার হয়েছে তা ভাবলেই এদের দেশপ্রেমের পরিচয় মেলে। তাই এদের কাছে কিছু আশা করা বাতুলতামাত্র।
নাহিদরা খেটে খাওয়া সংগ্রামী সন্তান। সংগ্রামটা নিজেদেরই। ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি তাদের প্রেরণার উৎস হতে পারে। এগিয়ে চলতে হবে নিজের সাহসে নিজের পায়ে। থেমে থাকা যাবে না। সাফল্য একদিন দিন ধরা দেবেই। শুভকামনা নাহিদের জন্য, নাহিদের মতো পরশ্রমী ও উদ্যোমী শত নাহিদদের জন্য।
বিষয়টির সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অভিনন্দন ককচক ভাইকে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

ককচক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সেতু ভাই, ইতিবাচক মতামত পেয়ে ভালো লাগছে।

সরকার যথেষ্ট সময় পেয়েছে। ফলে, সরকার চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতো। দেশের উন্নয়নে বড় ভুমিকা রাখতে পারতো।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের বর্তমান সরকার তেমন কিছুই করেনি।

নাহিদরা চাইলেও কিছু করতে পারেনা। নাহিদ'রা কিছু করতে পারলে এবং তাতে গভমেন্ট ও জনগণের ইতিবাচক সাপোর্ট থাকলে আমাদের ডিগ্রিধারী বেকার ইঞ্জিনিয়ার'রাও হয়তো নাহিদদের দেখে অনুপ্রাণিত হইতো। এবং দেশটাও এগিয়ে যেতো।

সরকারি সহায়তা নেই, জনগণের সমর্থন নেই; ফলে দেশের ইঞ্জিনিয়াদের কাজের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। কাজের পরিবেশ না থাকায় মেধাবীরা বিদেশে গিয়ে স্যাটেল হচ্ছে। আমাদের পিছিয়ে পড়ার এটাও একটা অন্যতম কারণ।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার হাসান কালবৈশাখী ও ব্লগার অপু তানভীর-এর সাথে আমি একমত!
পুরনো পার্টস দিয়ে ইউটিউব দেখে আর কিছু কারিগ্রি জ্ঞান থাকলে এগুলো অতি সস্তায় বানানো খুব কঠিন নয় বৈ কি!
মোদ্দা বিষয়টা হচ্ছে, ছেলেটা গরিব ও অল্প শিক্ষিত! সেজন্যই সবাই ভাবছে এমন অবস্থাতেই তার প্রতিভা উপচে পড়ছে, রাষ্টের তত্ত্বাবধান বা বিশেষ কারো অনুগ্রহে সে ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি'র পর্যায়ে একদিন পৌছে যেতে পারে। ধরে নিন এই কাজটা একটা বুয়েটের ছাত্র করত যদি; সবাই কি এভাবে বলত? অথচ বুয়েটের একটা ছাত্রের অনেক অনেক বেশিদুর এগিয়ে যাবার সামর্থ ও প্রতিভা আছে ওইসব আনুকুল্য বা সহযোগীতা পেলে। যেই ছেলেটার অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সন্মন্ধে কোন ধারনাই নাই- সম্পুর্ন অন্যের প্রযুক্তি আর কিছু ঝালাই জোড়া দিয়ে, হয় একটা সাইকেলকে হেলিকপ্টার বানিয়ে ফেলল- তাতে কি মনে হবে সে চরম জিনিয়াস?
মনে হয় না। এর একটা মোটর সাইকেলের পুরো পার্স দেশে উতপাদন প্রায় অসম্ভব( তেমন প্লান্ট করতে হলে কয়েক'শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে)! এর একটা বড় অংশ চায়না থেকে আমদানী করতে হবে। দেশে কিছু অংশ উতপাদন ও সংযোজন করতে ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে নিশ্চিত- এবং আপনি বছরে ২/৩ হাজারের বেশী এই মাল বিক্রি করতে পারবেন না! যেখানে এর কাছাকাছি দামে ফুয়েল সাশ্রয়ী স্কুটি পাওয়া যায় সেখানে এগুলো বিশেষ কেউ কিনবে বলে মনে হয় না। যার ফলে প্লান্টের খরচ উঠাতেই জিন্দেগী কাবার!
তবে এসব প্রতিভার যত্ন করা উচিত -ভাল গাইডেন্স দরকার( বিকল্প কোন জ্বালানী বা সোলারআদ্বারা চালিত হলে ভাল হয়), সাথে কিছু আর্থিক সহযোগীতা করলে হয়তো এর থেকে বেটার কিছু বের হতে পারে। প্রথমেই সবাই এমন করে এদের মাথাটা বিগড়ে দেয়, যে এরা নিজেদের ভাবতে থাকে পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানীদের একজন। অর্থ আর সহযোগীতার অভাবে কিছু করতে পারল না। গরিব বলে সবাই তাদের উপেক্ষা করল। এই হতাশা একসময় বাজে কোন আসক্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ওকে রিয়েলিটিটা বোঝাতে হবে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫০

ককচক বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই, গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

আমার মনে হচ্ছে ছেলেটার মেধা ও মনন আমাদের ৮-১০ ছেলের চেয়ে বেটার। কারণ, যে বয়সে তার সমবস্থার ছেলেরা কাজ করে ইভটিজিং করছে, আকাম কুকাম করে বেড়াচ্ছি,৷ সেই বয়সে সে সংসারের দায়িত্ব নিয়েছে। পাশাপাশি জোড়াতালি দিয়ে কিছুএকটা তৈরি করার চেষ্টা করেছে।

কৃষি সংশ্লিষ্ট মেশিনারি যন্ত্রাংশের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে মেকানিকরা বগুড়ার কামারশালায় লোহা পিটিয়ে বিকল যন্ত্র সারাতেন। সময়ের বিবর্তনে লোহা পিটিয়ে যন্ত্রাংশ তৈরি করা ছোটছোট কামারশালাগুলো আজ সেন্টিফিউগাল পাম্প সহ বিভিন্নরকম মেশিনারি যন্ত্রপাতি তৈরী করছে। এবং দেশের বাইরে রপ্তানি করছে। অর্থাৎ জোড়া তালি দেওয়ার কাজ করা সেইসব কামারশালাগুলো কারখানায় রূপান্তরিত হয়েছে।
আমাদের দেশে শতশত গ্যারেজ আছে। কিন্তু কজন জোড়া তালি দিয়ে নতুন কিছু তৈরির কথা ভেবেছে?

এইসব বিবেচনা করে আমার মনে হচ্ছে, যে কজন ইতিপূর্বে নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে বা ভবিষ্যতে কিছু করার চেষ্টা করবে তাদের প্রচেষ্টাকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ ভালো কিছু করতেও তো পারে।

ভালো থাকবেন।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: * ১২টাকার বদলে, ১২ হাজার টাকা হবে

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫১

ককচক বলেছেন: বুঝতে পারছি, অপু ভাই

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ল্যম্বরগিনি যখন জিনিসে হাত দিয়েছে তখন বিশ্ব নতুনত্ব দেখে চমকিত হয়েছে,নাহিদের মাঝে নতুনত্ব নেই ; তবে পরিবেশ অনুকুলে না থাকার পরেও সে চেস্টা করেছে , এটাই বলার মত।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫

ককচক বলেছেন: একজেক্টলি, আমি সেটাই বলার চেষ্টা করছি।

পরিবেশ অনুকূলে থাকলে হয়তো সে ভালো কিছু করতে পারতো। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ইন্ডিয়ার প্রতাপ নামের একটা ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বেই ড্রোন তৈরি করে তাক লাগিয়েছে। তার তৈরি করা ড্রোন সম্ভবত এখন ইন্ডিয়ান সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে।

ধন্যবাদ শূন্য সারমর্ম, চমৎকার মতামতের জন্য

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: যারা এতো নতুনত্বের কপচানি কপচাচ্ছেন, তারা নাহিদের শিক্ষা এবং আর্থিক পটভূমির কথাটি ভেবেছেন? তার মেধা আর অধ্যাবসায় কেন আপনাদের চোখে পড়েনা, ভাবে অবাক হই!!!!

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

ককচক বলেছেন: তাদের নিয়ে সমালোচনা করার সময় প্রতিকূল পরিবেশের কথা মাথায় রাখা উচিত।

আবারও ধন্যবাদ প্রিয় সেতু ভাই

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌এমন নানা উদ্ভাবককে মাঝে মাঝেই সংবাদ মিডিয়ার মাধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। এবং তাদের প্রায় কেউই পরে আর কোনো কিছু করতে পেরেছেন বলে খবর পাওয়া যায় না।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০১

ককচক বলেছেন: পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। নাহিদের কথাই ধরুন। ছেলেটা গ্যারেজের ম্যাকানিক। তার বাবা বাউল, মা গৃহিণী। সুতরাং বলা যায় তারউপরই পুরো সংসারের দায়িত্ব।

এইসব চিন্তা তার জন্য বিলাসিতা!

মতামতের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় মরুভূমির জলদস্যু ভাই

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অনেকেই বলছেন, নাদিদের আবিস্কারে নতুনত্ব নেই। সে ইউটিউব দেখে দেখে এটা করেছে।
আমাদের নাদিদের বয়সী ছেলেদের যে অবস্থা, তারা বই দেখে দেখে, প্রশ্নফাস করেও ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। নাহিদের শিক্ষা নেই, সে ইউটিউব দেখে বাইসাইকেলকে সাইকেলে রূপ দিয়েছে, এটা প্রশংসা করার মতন।

ইউটিউব দেখলেই সবাই নাহিদ হতে পারবেন না।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০২

ককচক বলেছেন: তার প্রচেষ্টাকে মূল্যায়ন করা উচিত। দেশে নতুন কিছু আবিষ্কারের পরিবেশ তৈরি করা উচিত।

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: উন্নত দেশে এই ধরনের প্রচেষ্টা কে উৎসাহিত করা হয় অথচ বাংলাদেশে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে বাব দাদার নাম ভুলিয়ে বাড়ি বসিয়ে রাখা হয়।

যারা তার ছোট্ট এই পুনঃপ্রক্রিয়া করন প্রচেষ্টা কে অবহেলা করছেন মনে রাখুন আপনি আমি একটি প্রচেষ্টা কে মৃত ঘোষণা করছি।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৫

ককচক বলেছেন: রাইট। প্রতিবেশি দেশ ভারতেও এমন প্রচেষ্টাকে সম্মান করার নজির আছে৷ কিন্তু আমাদের দেশে নেই বললেও চলে।

এইসব প্রচেষ্টাকে অবহেলা করা মানে নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনা মেরে ফেলা।

প্রিয় রানার ব্লগ, অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মতামতের জন্য

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ৪ ও ৮ নং মন্তব্যে সহমত।

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

ককচক বলেছেন: সহমত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ গোফরান ভাই

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২০

জটিল ভাই বলেছেন:
লিখা ভালো হয়েছে। অবশ্য এসব নিয়ে লিখা ছাড়া আমরা আর কিবা করতে পারি! :(

২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৫

ককচক বলেছেন: লিখা আমাদের আসলে কিছু করার নাই। আমরা নিজেরাই কোনরকম বেঁচে আছি।

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ২:১২

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সহমতের জন্য মেজবানীরর দাওয়াত রইল গোফরান ভাই, সাথে ককচক(!) ভাইকেও।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৬

ককচক বলেছেন: দাওয়াতের জন্য ধন্যবাদ সেতু ভাই। হয়তো কোনোএকদিন একসাথে বসে আড্ডা হতেও পারে।

১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সহযোগিতা না পেয়ে ও পৃষ্টপোষকতার অভাবে আমাদের দেশের অনেক মেধাই ঝরে যায়।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

ককচক বলেছেন: হ্যাঁ, মাইদুল ভাই। সহযোগিতা ও সুযোগের অভাবে আমাদের দেশের অনেক প্রতিভা বিকাশিত হতে পারেনা।
ধন্যবাদ মতামতের জন্য।

১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯

অপ্‌সরা বলেছেন: ১. ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:১২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

যে জিনিস একবার আবিষ্কার হয়েছে সেটা পুনঃআবিষ্কার করে পন্ডশ্রম করার কোন মানে হয় না।

নতুন কিছু করুক। কম খরচে সোলার প্যানেল। ব্যাটারি এসিস্ট বাই সাইকেল, কম বিদ্যুৎ খরচ করে হাই এফিশিয়েনট মটর ইত্যাদি।


কথাটা ভেবে দেখার মত।

তবুও বসে বসে একটা মোটর সাইকেল নাই ভাবার থেকে নিজের সাইকেলকে মোটর সাইকেল বানাবার বুদ্ধিটা অনেকের জন্যই অনুপ্রেরনামূলক হবে নিশ্চয়!!

১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯

অপ্‌সরা বলেছেন: আচ্ছা তোমার কি খবর! প্রদীপের শিখার মত দপ করে জ্বলে উঠে কদিন আবার নিভু নিভু কেনে!!!

২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৭

ককচক বলেছেন:
ধুপ করে জ্বলে ওঠে, টুপ করে নিভে যাওয়াই আমার স্বভাব। হা হা.... আসি ত প্রায়ই, লগইন না করায় কেউ টের পায় না।

১৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগিং শেষ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.