![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় হাতিয়ার মানুষ ছিল খুব সহজ সরল শান্ত। প্রত্যেকে যেন প্রত্যেকের নিবিড় আত্মীয়। মনোরম শান্তিপ্রিয় ছিল হাতিয়ার পরিবেশ। বাংলাদেশের দক্ষিণে এই হাতিয়ার আয়তন ছিল বিশাল। ৬০ এর দশক থেকে হাতিয়ার উত্তর প্রান্ত থেকে সর্বনাশা মেঘনা নদী গ্রাস করতে থাকে। ফলে হাতিয়ার অনেক পরিবার ভূমিহীন ও সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। নদীর একূল ভাঙ্গে ওকূল গড়ে, কথার সত্যতা প্রমান মিললো। হাতিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে আলাদা অনেকগুলো চর উঠতে লাগলো। মেঘনা নদীর বুকে অনেক ভূমিহীন পরিবার বাঁচার তাগিদে ওইসব নতুন চরগুলোতে ঘর বাঁধতে যায়। সেখানে চলে ওইসব সাধারণ পরিবারের উপর চাঁদা আদায়। হত্যা, ধর্ষণলীলা চালায় হাতিয়ার জাহাঙ্গীর, ডাকাত বাশার মাঝি, ইব্রাহিম, কোপা শামছ, গিয়াস উদ্দিন, মাকসুদ, কালা বাদশা ও তাদের বাহিনীরা। হাতিয়ার মেঘনা নদীতেও চলে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তারা সাধারণ জেলেদের থেকে নৌকা প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায়। আর সাধারণ জেলেরা চাঁদা দিতে না পারলে তার হাত-পা কেটে ফেলাসহ হত্যা করে। ২০০৩ সালে ডিসেম্বর মাসে চরগুলোতে যৌথ অভিযান চালালে ধরা পড়ে জাহাঙ্গীর ডাকাতসহ আরো অনেকে। বেশ কথা মাস আগে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় সন্ত্রাসী কালা বাদশা। পুলিশের ব্যাপক অভিযান চললেও অনেক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে পারছে না। মুকুট বিহীন সম্রাট বাশার মাঝি পুরো হাতিয়ার সন্ত্রাসীদের গডফাদার হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। হাতিয়ার চরের সাধারণ মানুষ ও মেঘনা নদীর জেলেরা একন র্যাব’র অভিযান কামনা করছে।
©somewhere in net ltd.