![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাই মুযাফফর বিন মুহসিন। দু'দিন ধরে ডিবির কার্যালয়ে আটক থাকার পর আজ অবশেষে তাকে আদালতে চালান দিয়েই বসল আমাদের দূর্নীতিগ্রস্ত, অথর্ব প্রশাসন। যথারীতি ৭দিনের রিমাণ্ডও চাওয়া হল। সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আমাদের সাধারণ জনগণের অনাস্থার পারদ আরো এক দফা নিম্নমুখী হল। 'গুড় গভর্নেন্স' একটি দেশের স্বার্থক রাষ্ট্র হয়ে উঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। অথচ এই মানদন্ডে আমাদের সরকারগুলো সবচেয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে দিনের পর দিন। প্রশাসনযন্ত্রের কাজ-কারবার দেখলে মনে হয় স্রেফ বন-জঙ্গলে বসবাস করছি আমরা। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যেন নেই এখানে। ২০০৫ সালে আমরা দেখেছিলাম কোন প্রকার ক্লু ছাড়া পুরোপুরি ধাপ্পার উপর ভিত্তি করে আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রায় অর্ধশত নেতা কর্মীর উপর কারা নির্যাতন করা হল। প্রফেসর ড. আসাদুল্রাহ আল-গালিবের মত একজন শ্রদ্ধেয় বিদ্বজনকে পর্যন্ত রাতারাতি 'জঙ্গী' বানিয়ে একের পর এক আরব্য রজনীর কাহিনীর মত মিথ্যা রূপকথার মামলায় জড়ানো হল। তাও দু'এক মাসের জন্য নয়, তাঁকে আটকিয়ে রাখা হল জেলখানার চৌদ্দ শিকের মধ্যে টানা সুদীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর। আমরা আমজনতা কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলে আক্ষেপ করে বলি, "সব সম্ভবের দেশ এই বাংলাদেশ"। আজও ঠিক একইভাবে মুযাফফর ভাইকে এক ফালতু অভিযোগে আটক করা হল।
সূত্র হল, কোন একদিন তার খুৎবায় নিহত টিভি আলোচক নূরুল ইসলাম ফারুকীর কোন শিরকী কার্যকলাপের প্রতিবাদে কিছু কথা বলেছিলেন, যা ফেসবুকে ক্লিপ আকারে কিছু ভাই শেয়ার করেছিলেন। ব্যাস! এইটুকুতেই আমাদের কারিৎকর্মা প্রশাসন নুরূল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডের সাথে তার মহাসম্পর্ক আবিষ্কার করে বসল, অপরাধ নির্ণয়ে কোন প্রমাণপঞ্জি, কোন আইন-বিচারের ধারা অনুসরণ করার দরকার নেই।
জানিনা এদেশের জনপ্রশাসনে যারা কাজ করেন, তারা কোন বিদ্যা-বুদ্ধি, কোন পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করেন। কোন বিবেকে তারা একটি সুশৃংখল প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্য হয়ে রাস্তার মুর্খ বর্বর ডাকাতের মত জনগণের জানমাল নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলেন। জনগণের সেবক হয়ে কিভাবে শিশুসুলভ কল্পনার উপর ভিত্তি করে মানুষের উপর মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দেন। আল্লাহর কাছে জওয়াবদিহিতার ভয় না করেন, কমপক্ষে নিজের বিবেকের কাছে জওয়াবদিহিতার তো একটা দায় আছে। এইটুকুও যদি তারা হারিয়ে ফেলেন, তবে এ সমাজকে স্রেফ পশুর সমাজ ভাবা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
'গুড গভর্নেন্স'-এর দরকার নেই, ন্যুনতম পক্ষে মনুষ্যত্বের পরিচয়টা কিছুটা অক্ষুণ্ন রাখুক প্রশাসন, এটুকুই শুধু কামনা। নিজ দেশে বাস করাটাকে যেন অভিশাপ না ভাবতে হয় আমাদের। অপরাধী যদি হই গ্রেফতার করুন, শাস্তি দিন, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বিনা কারণে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে এইভাবে হয়রানী করে মযলূমের অভিশাপ কুড়াবেন না। গত সরকারের সময় যারা যারা ড. গালিবকে যতটুকু হয়রানী করেছিল, তাদের প্রত্যেকের ভয়াবহ পরিণতি আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করুন। আল্রাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন। আমীন!
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১
মোসতফরকস বলেছেন: মুযাফফর বিন মুহসিন হয়রানী বন্ধ করো।মুক্তি দেও
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
জইনালবেস্ট বলেছেন: কথিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাথে তার কোনরূপ সম্পর্ক নেই। অনুরূপভাবে ফারূকী হত্যার সাথেও তার দূরতম কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রখ্যাত মজলুম আলেম শায়খ মুযাফফর বিন মুহসিন নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
রনিকবেস্ট বলেছেন: মজলুম আলেম শায়খ মুযাফফর বিন মুহসিন এর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২
ট্রপিকানা বলেছেন: গালিব সাহেব এবং মুযাফফর বিন মুহসিন কে কাছ থেকে দেখেছি এবং অনেক আলাপও হয়েছে উনাদের সাথে, উনারা অত্যন্ত সজ্জন এবং কোন রকম চরমপন্থা বিরোধী।
আর ইসলাম সম্পর্কে উনাদের থেকে বেশী নির্ভরযোগ্য কথা বাংলাদেশে আর কোন গোস্ঠী বলে না।
আল্লাহ উনাদেরকে জুলুম থেকে রক্ষা করুক।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৫
Rojob ali বলেছেন: গুড গভর্নেন্স'-এর দরকার নেই, ন্যুনতম পক্ষে মনুষ্যত্বের পরিচয়টা কিছুটা অক্ষুণ্ন রাখুক প্রশাসন, এটুকুই শুধু কামনা। নিজ দেশে বাস করাটাকে যেন অভিশাপ না ভাবতে হয় আমাদের। চমৎকার বলেছেন।ভালো পোষ্ট