নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি।

সুপারডুপার

শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে; শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি; শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে; শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

সুপারডুপার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থাপত্যকলায় উইপোকা

১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬



আমরা বসবাসের জন্য বিভিন্ন নকশার সুন্দর বাড়ি তৈরি করি। যেখানে অনন্য স্থাপত্য শৈলীর ছাপ থাকে। তবে প্রাণীকূলে শুধু আমরাই সুন্দর বসতি তৈরির ক্ষেত্রে দক্ষ নই। প্রকৃতিতে অনেক পোকামাকড়, পশু-পাখি আছে যারা নিজেদের বাসা গড়ার শৈল্পিক দক্ষতার পরিচয় দেয়। তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখে আমরা সবাই অবাক হই।এই লেখা তেমনই উইপোকার অপূর্ব সুন্দর শিল্পকর্মের বাসা নিয়ে এবং তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষের বাস্তব ভবন নির্মাণ কে নিয়ে।

উইপোকা হালকা হলুদ বা ফ্যাকাশে রঙের নরম দেহবিশিষ্ট Isoptera বর্গের এক দল সামাজিক পতঙ্গ। এটি প্রধানত গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশসমূহে বাস করে। উইপোকার টাওয়ারের মত বাসাকে বলা হয় উইয়ের ঢিবি । শত সহস্র এমনকি লক্ষ কোটি উইপোকা থাকতে পারে একটি ঢিবিতে। উইপোকারা জন্মান্ধ হলেও একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশেষ সঙ্কেত অথবা নিজেদের গা থেকে ফেরোমোন হরমোন বের করে গন্ধ সৃষ্টি করে এবং সেই গন্ধ শুঁকেই সবাই কাজকর্ম চালায়। উইয়ের ঢিবিতে সবাই মিলে পরিশ্রম করে টানেল, কক্ষ গড়ে ও সেখানে বাচ্চাদের যত্ন নেয়। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে এদের সামাজিক পতঙ্গ বলা হয়। উইপোকা বিপদে পড়লে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে এলোমেলো হয়ে ছুটাছুটি করে না। বরং তারা খুব শান্ত ও সুশৃঙ্খলভাবে ধীরে ধীরে স্থান ত্যাগ করে। সারির শুরুতে থাকে দলনেতা আর তার পেছনে কর্মী উইপোকারা। পথ চলতে গিয়ে কোনো কর্মী যদি দলছুট হয়ে যায় তবে সে আবার ফিরে না আসা অব্দি পুরো দল শান্তভাবে অপেক্ষা করে।

কর্মী উইপোকাররা কারিগরি দক্ষতায় নয়নাভিরাম বাসা তৈরি করে। এই বাসা গুলো বাহির থেকে দেখতে পিরামিড বা উঁচু টাওয়ার সদৃশ লালচে রঙের ঢিবির মতো মনে হয়। একেকটি বাসা যেন দক্ষ স্থপতির নিপুণ হাতে গড়া অসাধারণ স্থাপত্যকর্ম। আর্দ্র মাটির নিচে, আবার কেউ কেউ শুকনা মাটির উপরিভাগে এই বাসা বানায়। উষ্ণ এলাকার অনেক প্রজাতির মূল বাসা থাকে মাটির তলায়, তা অনেক সময় মাটির উপরে উঠে নানা টাওয়ার আকৃতি নেয়। প্রজাতি ভেদে ঢিবি হতে পারে বিভিন্ন আকারের, নানা পরিমাপের; বাসা তৈরীর কলাকৌশলও অতি বিচিত্র। তারা অতি উন্নত প্রযুক্তিতে এই জটিল কাঠামো গড়ে তোলে । এদের লালা ও বিষ্ঠা উইয়ের ঢিবির মাটিকে আবদ্ধ করে রাখে। উইদের বেঁচে থাকতে প্রচুর আদ্রতার প্রয়োজন হয়, তারা তাদের ঘরে এই আদ্রতা রক্ষা করে, এমন কি মরুময় পরিবেশেও তাদের ঘরে প্রায় ৯০ শতাংশ আদ্রতা বজায় রাখতে হয়। সেইজন্য উইয়ের ঢিবিতে সুন্দর ভাবে আলো-বাতাস প্রবেশ করে তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে। বেশিরভার উইপোকার ঢিবিগুলোই উত্তর দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে, এটা সত্যিই অবাক করা বিষয়। উইপোকার দিক ঠিক করার বিশেষ ক্ষমতা সবাইকে অভিভূত করে। উত্তর দক্ষিণ মুখী হওয়ায় সূর্যের আলো এবং বাতাস দুটোই পর্যাপ্ত পরিমাণ পেয়ে তাদের প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা ও আদ্রতা রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও উইদের কমপ্লেক্সে থাকে অসংখ্য ছোট ছোট কক্ষ, কড়িডোর, বহুমুখী সুড়ঙ্গ পথ; যাতে করে বায়ু প্রবাহের সহজ পথ থাকে এবং কার্বনডাইঅক্সাইড বের হয়ে যেতে পারে। ফলে ঢিবিগুলো দিনের বেলায় ঠাণ্ডা থাকে আর রাতে থাকে উষ্ণ। এই বিশাল আকৃতির টাওয়ারে ছোট ছোট কুটুরী ছাড়াও থাকে ছত্রাক চাষাবাদের জন্য বাগান ও রানীর জন্য বড় পরিচর্যা কেন্দ্র। বাগানে কর্মী উইপোকারা এক বিশেষ ধরনের কাঠ থেকে ছত্রাক উৎপাদন করে এবং পোকাদের বিষ্টা ছত্রাক চাষে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চাষাবাদে উৎপন্ন ছত্রাক থেকে উইপোকারা ওদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে। এ ছাড়াও ছত্রাক ঢিবির ভেতরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিচের বিবিসি প্রোগ্রামে আসুন দেখি বিজ্ঞানীরা কিভাবে উইদের স্থাপত্য নকশা উদ্ধার করেন।



একজন রাজা এবং একজন রানীর দ্বৈত-শাসনে উইপোকার রাজপ্রাসাদ শাসিত হয়। উইপোকার বিশেষ সৈন্যবাহিনী রাজপ্রাসাদকে পাহারা দেয়। সৈন্য-উইপোকারা যেমনি দক্ষ তেমনি হিংস্রও।শত্রু এলেই সম্মিলিতভাবে সৈনিকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শত্রুকে তাড়িয়ে দেয়। শ্রমিক উইপোকার সারাক্ষণ সক্রিয় পরিশ্রমে মুখরিত থাকে রাজ্য। তাদের যেন কাজের শেষ নেই। নতুন নতুন সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ করা, কক্ষ এবং প্রাচীর নির্মাণ করা ছাড়াও তারা খাদ্য জোগানোর বাগানটির পরিচর্যা করে রাজা, রানী, শিশু-উইপোকা, সৈন্য সবার খাবার জোগান দেয়াও তাদের কাজ। এমনকি রানীর ডিমগুলিকেও তাদের যত্ন নিতে হয়। একমাত্র ডিমপাড়া ছাড়া রানী-উইদের কোনো কাজ নেই। একটি রানী-উই দিনে চল্লিশ হাজারেরও বেশি ডিম পেড়ে থাকে। আর এই বড় কাজটি করতে গিয়ে রানীকে সারাক্ষণ খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত থাকতে হয়। বেশি বেশি খাবার খেয়ে রানী মেদবহুল এবং আকারে বড়ো হয়ে পড়ে। এত ভারী শরীর নিয়ে রানীর পক্ষে নড়াচড়া করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।উইদের শ্রম-বণ্টন প্রক্রিয়াও তাদের বাসা বোনার স্থাপত্যকলার মতনই বিস্ময়কর। উইপোকাদের জগৎ সমন্ধে আরো জানতে আসুন আমরা নিচে বিবিসির আরেকটি ভিডিও দেখি।



অত্যন্ত ক্ষুদে প্রাণী হয়েও অন্ধ উইপোকাদের বাসা তৈরির অদ্ভুদ শিল্পকর্ম ও কারিগরি দক্ষতা দেখিয়ে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছে তা সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষকেও হার যেন মানায়। এতেই আশ্চর্যের শেষ নয়। মানুষের গড়া রাজত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ব্রাজিলের উত্তর- পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিল তিল করে প্রায় চার হাজার বছর ধরে সুপার-কলোনি গড়ে তুলেছে।

--------------------------------------------- চিত্র : ব্রাজিলে উইদের সুপারকলোনি -----------------------------------------

মনে হয় , এক দিকে মিশরে পিরামিড তৈরি হচ্ছিল, অন্য দিকে ব্রাজিলে সুপার-কলোনি বিস্তার করা শুরু করেছিল উইপোকারা। এই কলোনি প্রায় গ্রেট ব্রিটেনের আয়তনের সমান। উল্লেখ্য , গ্রেট ব্রিটেনের আয়তন ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার। কলোনিতে প্রায় প্রায় ২০ কোটি উইপোকার ঢিবি আছে। এক একটি ঢিবি গড়ে প্রায় আড়াই মিটার উঁচু ও নয় মিটার চওড়া। উইপোকার এই সুপার কলোনিকে দূর থেকে দেখে মনে হবে পরিপাটি ভাবে সাজানো অসংখ্য ছোট ছোট টিলা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ভুলটা ভাঙে অবশ্য কাছে যেতেই। টিলার মতোই সেগুলো, তবে পাথুরে নয়, সেগুলো এক একটা বিশাল কাঠামোর উইয়ের ঢিবি । নিন্মের ভিডিওটিতে আসুন সুপার কলোনিটি দেখি।



এখন আমরা দেখি উইদের টাওয়ার তৈরির পদ্ধতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষ কিভাবে নিজ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার ভবন নির্মন করে। জিম্বাবুয়ের হারারে শহরের ইস্টগেইট সেন্টারের নকশা করেন স্থাপত্যবিদ মেক পিয়ার্স। এই নকশা করার ক্ষেত্রে পিয়ার্সের চ্যালেঞ্জ ছিল এমন একটি ভবনের নকশা করা যেখানে খুবই কম খরচে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকবে।

ছত্রাকের সুষ্ঠু জীবন বিকাশের জন্য ৮৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা প্রয়োজন, কিন্তু জিম্বাবুয়ের রাতগুলি হয়ে থাকে বরফশীতল, ৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট, আর দিনগুলি ছড়ায় ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উত্তাপ। এরকম বৈরী পরিবেশেও চমৎকারভাবে সঠিক তাপমাত্রাটি বজায় রাখে উইপোকারা, দিনের বিভিন্ন সময়ে ঢিবির গায়ে উষ্ণ এবং শীতল রন্ধ্রপথ ক্রমাগত খুলে দিয়ে। তাপ প্রবাহের পরিচলন প্রক্রিয়ায় , ঢিবির নিচের রন্ধ্রপথগুলি দিয়ে বাতাস ভেতরের দিকে যায়; তারপর মাটির দেয়ালের ভেতর বানানো নিঃসরণ পথের মধ্য দিয়ে তা উপরের দিকে প্রবাহিত হয়। ঢিবির বিভিন্ন প্রকোষ্ঠ থেকে তাপ গ্রহণ করে ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়ে উঠে বাতাস, এবং এক সময় বেরিয়ে যায় চূড়ার উষ্ণ রন্ধ্রের ভেতর দিয়ে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, পরিশ্রমী উইপোকা প্রতিনিয়ত খুঁড়ে চলে নতুন নতুন রন্ধ্রপথ, আর বুঁজে দেয় পুরাতন পথ। এই ভাবে সেখানে উইপোকা এমন বিল্ডিং তৈরী করে যেন এনার্জি খুব কম প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ আমি আপনি যে বিল্ডিংয়ে থাকি সেই বিল্ডিং কিন্তু আমাদের বিল্ডিং এর তাপের প্রয়োজন আছে আলোর প্রয়োজন আছে গরম লাগলে ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশন এর প্রয়োজন আছে। কিন্তু উইপোকার বিল্ডিং এ এসবের কিছুই প্রয়োজন পড়ে না। প্রফেসর স্কট টার্নার উইয়ের ঢিবিতে বাতাস চলাচলের কৌশল গুলো বিস্তারিত ভাবে মাইন ভেন্টিলেশন আফ্রিকা ২০১১ কনফারেন্সে -এ উপস্থাপন করেন। যেসব পাঠক এই বিষয়ে আরো অধিক জানতে আগ্রহী তাদের জন্য নিম্নে সেটির ভিডিও সংযুক্ত করা হলো।



মেক পিয়ার্স উইপোকার বাসায় এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অনুকরণে বায়োমিমিক্রি নীতি প্রয়োগে ইস্টগেইট সেন্টারের নকশা করে ফেললেন। জিম্বাবুয়েতে সমান আকারের একটি গতানুগতিক ভবনের চেয়ে ইস্টগেইট সেন্টারে ৩৫% শক্তি কম ব্যায় হয়। গতানুগতিক কোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই ভবনটিতে, কিন্তু সারাবছরই এটি থাকে তাপীয় নিয়ন্ত্রিত। সবুজ স্থাপত্য এবং বাস্তুসংস্থানগত অভিযোজনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটি। ইস্টগেইট সেন্টার, যা মূলত কংক্রিট দিয়ে তৈরি, কাজ করে উইপোকার ঢিবির মতো। ভবনটির নিচতলার অল্পশক্তির পাখাগুলি বাতাস চুষে নিয়ে উপরের তলার দিকে ছুঁড়ে দেয়, মেঝের ভেতরের ফাঁপা জায়গার সাহায্যে। সেখান থেকে বেসবোর্ড ছিদ্রের মধ্য দিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে প্রতি তলায়। সবশেষে বেরিয়ে যায় ছাদের চিমনির মধ্য দিয়ে। ঋতুর পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে ভবনটিতে বায়ুপ্রবাহের হারেরও তারতম্য করা হয়। নিচের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিও থেকে আসুন আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত দেখি।



আমরা হয়তো ভাবতে পারি পৃথিবীতে আমরাই সবচেয়ে সুদক্ষ আর্কিটেক্ট। ৪ মিলিমিটার আকৃতির উইপোকারারা একত্রিত হয়ে প্রায় ৮ মিটারের সুউচ্চ উই টাওয়ার নির্মাণ করতে পারে অর্থাৎ তারা তাদের আকৃতির চেয়ে প্রায় ২০০০ গুন বড় উচ্চতার টাওয়ার নির্মাণ করতে পারে। আমাদের গড় আকার ১.৬ মিটার হলে ,আমরা এখনো ২০০০ * ১.৬ = ৩২০০ মিটার বা প্রায় ৩ কিলোমিটার উচ্চতার টাওয়ার নির্মাণ করতে পারি নি।

খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাবো যে প্রকৃতি থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের পরিচিত পরিবেশে একটি উইপোকার ঢিবি দেখে খুব নগন্য ও বিরক্তিকর কিছুই মনে হতে পারে । কিন্তু তা থেকে অসাধারণ শিক্ষা নিয়ে যে আমরা আমাদের আবাসস্থলকে আরো প্রশান্তিময় করে তুলতে পারি সেটা হয়তো কখনো ভাবা হয়নি। সামান্য একটি মাটির ঢিবি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আমাদের এনার্জি সেভিং ও পরিবেশবান্ধব সিস্টেম গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে, বিষয়টা ভাবতেই বিস্ময়কর লাগে। ছোট্ট একটি পোকা এত জটিল কাঠামো তৈরি করতে পারে তা হয়তো আমাদের স্বাভাবিক ভাবনার বাইরে ছিল। এই ক্ষুদ্র উইদের আবাসস্থল নির্মাণ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে স্থাপত্যকলায় এক নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হতে পারে, তেমনটি ভাবলে হয়তো অত্যুক্তি হবেনা।


তথ্যসুত্র ও কৃতজ্ঞতাঃ

[১] ছবি - ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

[২] উকি - উইপোকা

[৩] উপরের ইউটিউব ভিডিওগুলো

[৪] Inhabitat - Biomimetic Architecture: Green Building in Zimbabwe Modeled After Termite Mounds

[৫] American Society of Civil Engineers (ASCE) - Journal of Structural Engineering - Termite Mounds: Bioinspired Examination of the Role of Material and Environment in Multifunctional Structural Forms.


* ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে মানুষজন যেমন বিভিন্ন নকশার বাড়িঘর নির্মাণ করে, তেমনি উইপোকাদের বাসস্থানের ক্ষেত্রেও অঞ্চলভেদে বিভিন্নতা দেখা যায়। প্রিয় ব্লগার শের শায়রী ভাইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, এই বিষয়ে আমার পরবর্তী পোস্টের লিংক "বৈচিত্র্যময় উইয়ের ঢিবি - ছবি ব্লগ" সংযুক্ত করলাম। পোস্টটিতে উই শিল্পীদের কারুকাজে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ঢিবিগুলোর ছবি দেখতে পাবেন।

** উইপোকারা ভূগর্ভের বিভিন্ন স্তর থেকে মাটি তুলে এনে ঢিবি নির্মাণ করে। কাজেই তাদের ঢিবির মাটিতে ভূ -অভ্যন্তরে মূল্যবান খনিজ ও ধাতব পদার্থর খনি খুঁজে পাওয়ার পথচিহ্ন থাকতে পারে। প্রিয় ব্লগার শের শায়রী ভাইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, এই বিষয়ে আমার পরবর্তী পোস্টের লিংক "মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইপোকা" সংযুক্ত করলাম। পোস্টটিতে উইয়ের ঢিবির মাটির বৈশিষ্ট্য জেনে কিভাবে আমরা নতুন খনির সন্ধান পেতে পারি তার বিস্তারিত জানতে পারবেন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকা ও চট্রগ্রামেযর গিন্জি এলাকার মানুষজন আসলে ঊইপোকার ঢিবিতেই বাস করে।

১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সুপারডুপার বলেছেন: সেইজন্যই মনে হয় ঐসব এলাকার লোকদের লোডশেডিং নিয়ে মাথা ব্যথা নাই !

২| ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

জুন বলেছেন: প্রেইরি প্রান্তরের জলাভুমিতে মাস্ক র‍্যাটরাও মাটি আর গাছের ডাল দিয়ে এমন ঢিবির মত উচু বাসা তৈরি করে। তবে এই সব প্রানীর শুধু একই উপকরণ দিয়ে, একই নকশায় যুগ যুগ ধরে বাসা বানিয়ে চলেছেব। মানুষের মত বৈচিত্র্যময় হয়না শুধুমাত্র তারা বুদ্ধিমান প্রানী নয় বলে।

১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

সুপারডুপার বলেছেন: এটা ঠিক, তাদের বাসাগুলো আমাদের মত বৈচিত্র্যময় হয় না। কিন্তু জুন আপা, তাদের কাছে থেকে কিভাবে এনার্জি সেভিং ও পরিবেশবান্ধব বিল্ডিং নির্মাণ করা যায় তা শেখার আছে।

১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৪৭

সুপারডুপার বলেছেন: জুন আপা, উইপোকার ঢিবি নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখলাম, তারা বিভিন্ন নকশার বাসা বানাতে পারে। এর উপর আমি একটি ছবি ব্লগ পোস্ট করেছি : বৈচিত্রময় উইয়ের ঢিবি - ছবি ব্লগ

৩| ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পোস্টটা খুব তথ্যবহুল। ভালো লাগলো বেশ। উঁইপোকাদের সম্পর্কে আগে কিছু কিছু জানলেও এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলেই মানুষ যদি নিবিড়ভাবে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তাহলেই অসংখ্য এবং বিচিত্র জ্ঞানের সন্ধান পায় সে। লেখকের জন্য অনেক শুভকামনা এবং ধন্যবাদ।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩১

সুপারডুপার বলেছেন:



আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত , "আসলেই মানুষ যদি নিবিড়ভাবে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তাহলেই অসংখ্য এবং বিচিত্র জ্ঞানের সন্ধান পায় সে।" আমরা বুঝতে পারি বা না পারি, প্রকৃতিতে প্রতিটি উপাদান-ই অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি আমরা যদি সবসময় কি, কেন, কিভাবে প্রশ্ন নিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি, তবে অনেক অজানা বিষয় জেনে তা আমাদের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারি। বিজ্ঞানীরাও প্রকৃতি থেকেই শিক্ষা নিয়ে অনেক অনেক নতুন জিনিস আবিষ্কার করছেন। প্রকৌশলীরাও প্রকৃতিলব্ধ বিচিত্র জ্ঞান থেকে কম সময় ও কম খরচে জটিল সমস্যার সমাধান করছেন।

পোস্টটি পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা :-

৪| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তথ্যবহুল একটা লেখা । শেখার আছে আশেপাশে জিনিস ও মানুষ হতে

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩২

সুপারডুপার বলেছেন:



নেওয়াজ আলি ভাই , পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন, শেখার আছে আশেপাশে জিনিস ও মানুষ হতে। তা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। এই শিক্ষাকে যখনই আমরা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করব, তখনি সফলতা আমাদের হাতে ধরা দিবে।

ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা :-

৫| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: দারুন এক পোষ্ট পড়লাম সুপারডুপার ভাই। উই পোকাদের ঢিবি নিয়ে আমাদের ছোট বেলায় অনেক স্মৃতি আছে, যেমন গুলতির গুলি বানানো, সেকালে তো এখনকার মত প্লাষ্টিকের এত রমরমা অবস্থা ছিল না, তাই দাদী, নানী গোত্রের মানুষ গুলো বিভিন্ন মাটির তৈরী খেলনা যেমন ধরুন ঘোড়া, চুলা (ছোট আকারের খেলনা) বানিয়ে দিত ঐ উই পোকার ঢিবির মাটি দিয়ে, কি কারনে যেন এই মাটি দিয়েই ওগুলো তৈরী করা হত। জানি না বৈজ্ঞানিক কোন কারন আছে কিনা। তবে উইয়ের ঢিবি ছিল আমাদের শৈশবে এক লোভনীয় বস্তু। তবে এই মাটি সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রচুর কামড় খেতে হত।

প্রায় কিছুই জানতাম না এই উই পোকার ব্যাপারে। আপনার পোষ্ট পড়ে একটা ভালো ধারনা হল, এখন আমার কিশোর ছেলেকে দেব এটা পড়ার জন্য। আমি আপনার পোষ্টটা আমার প্রিয় সংকলনে নিয়ে রাখলাম, আশা রাখি অনুমতি দেবেন। শের শায়রীর রহস্যের দুনিয়ায় স্বাগতম

ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৮

সুপারডুপার বলেছেন:



শের শায়রী ভাই, প্রথমেই পোস্টটি পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার প্রিয় সংকলনে আমার পোস্টটি নেওয়ার জন্য আমি আনন্দিত। আপনার ছোটবেলার স্মৃতিচারণ শুনে অনেক ভালো লাগলো। একটি জটিল কাঠামোকে মজবুত করার জন্য উইরা উপযুক্ত মাটি বাছাই করে। তাই ঐ মাটি থেকে বানানো খেলনাগুলোও হয়তো মজবুত হতে পারে।

আপনার কিশোর ছেলেকে পড়তে দেওয়ার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। এটা থেকে প্রকৃতির প্রতিটি ক্ষুদ্র উপাদানের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। যখন বাস্তুসংস্থান নিয়ে পড়বে তখন এটা আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবে। এই পোস্ট থেকে হয়তো বুঝতে পারবে প্রকৃতির ক্ষুদ্র উপাদান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা কিভাবে তা সৃষ্টিশীল কাজে লাগাতে পারি। আপনি যদি ওকে গ্রামে নিয়ে গিয়ে সব কিছু ধরে ধরে শিখিয়ে দেন তাহলে আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবে। ইউরোপে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের বনে -জঙ্গলে , বোটানিক্যাল গার্ডেন-এ এক্সকারসনে নিয়ে গিয়ে শিক্ষকরা প্রকৃতিতে উদ্ভিদ, প্রাণী, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের গুরুত্ব হাতে কলমে শেখায়। ফলে স্বভাবতই এখানকার বাচ্চারা অযথা গাছের পাতা, ফুল ছিড়ে না; কীটপতঙ্গও মারে না। ছোটবেলা থেকেই ওরা নিবিড়ভাবে প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করা শেখে। ভার্সিটিতে এদেরকে দেখেছি সহজেই প্রকৃতির সাথে জটিল বিষয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক করতে পারে। আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা যেন সৃষ্টিশীল ভাবনা-চিন্তা নিয়ে জীবনে সফল হতে পারে।

৬| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উইপুক দেখলেই আমার বমি আসে।

শিট

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৩

সুপারডুপার বলেছেন: চায়না ট্যুর দিয়ে স্ট্রিট ফুড ট্রাই মারতে পারেন :-) :-) :-)

৭| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:

অজানা তথ্য জানালেন । কত বিচিত্র প্রকৃতি । শেষ ও শুরু জানা নেই।ইদানীং খুব ভাল ভাল পোস্ট আসছে। খুব ভাল লাগছে। আপনার পরিণত লেখা সত্যিই মুগ্ধ করলো। প্রত্যাশা বেড়ে গেল। এভাবেই উপহার দিয়ে যাবেন কামনা করি। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।পরিশ্রমী ,তথ্যবহুল,বিশ্লেষণী পোস্ট। শুভরাত্রি।

১২ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:৩৬

সুপারডুপার বলেছেন:



রাকু ভাই, অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন । সত্যিই বৈচিত্র্যময় প্রকৃতিতে আমাদের জানার শেষ নাই। যতই আমরা প্রকৃতিকে গভীরভাবে অনুধাবন করি, ততই আমরা নতুন কিছু জানি ও শিখি। প্রকৃতি থেকে এই লব্ধ জ্ঞান প্রয়োগ করে আমাদের জীবন যাপনকে সহজ করে তুলতে পারি।

কবিগুরু বলেছেন,

" বহু দিন ধরে' বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি,বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু। "

প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করে এবং অনেক কষ্ট করে আমরা দূর-দূরান্তে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে ছুটে যাই। কিন্তু আশেপাশেই থাকা অবহেলিত উইয়ের ঢিবির বিস্ময়কর শিল্পকর্ম দেখা হয় নাই। কবিগুরুর 'একটি শিশির বিন্দু' কবিতাটির অন্তনিহির্ত অর্থটি বুঝে, আমাদের চারপাশের জীববৈচিত্র্য নিয়ে একটু চোখ বুলালে হয়তো আরো অনেক নতুন কিছুই জানা সম্ভবপর হবে। ভালো থাকবেন রাকু ভাই। শুভরাত্রি।

৮| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুর্দান্ত একটা ফিচার পোষ্ট। চমৎকার। আসলে মানুষের জানার কোন শেষ নেই। কত বিচিত্র মাধ্যম থেকে মানুষ তথ্য সংগ্রহ করে। গ্রাম দেশে খুশকি দূর করার জন্য বা ত্বকের সমস্যায় অনেক সময় এই উইঢিবির মাটি ব্যবহার করতে দেখেছি।

১২ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:১৩

সুপারডুপার বলেছেন:



কাভা ভাই,

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমার পোস্টটি পাঠে ও আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

প্রকৃতির অজানা রহস্যের অনুসন্ধানে আমরা সব সময় নতুন নতুন তথ্য পাই। উইপোকাগুলো ভূমির অনেক গভীর থেকে মাটি উত্তোলন করে। এই মাটি অনেক মিনারেল সমৃদ্ধ হয়। মানুষের অভিজ্ঞতায় হয়তোবা খুশকি দূর করার জন্য বা ত্বকের সমস্যা সমাধানে মিনারেল সমৃদ্ধ উইয়ের ঢিবির মাটি কার্যকর প্রমাণিত হয়ে থাকতে পারে। একটি অজানা বিষয় জানানোর জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন কাভা ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা।

৯| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলা আমি উইপোকাকে বললাম, উলু পোকা।

১২ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:১৯

সুপারডুপার বলেছেন: ছোটবেলায় মনে হয় আপনি আহ্লাদ করে উলু পোকা বলতেন।

১০| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৪৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমি পড়েছিলাম আমাদের জাতীয় সংসদের ডিজাইন লুই আই কান এমনভাবে করেছিলেন যাতে সাশ্রয়ী ভাবে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।আসলে ব্যাপারটা কি সেটা অবশ্য বিস্তারিত জানি না।তবে সম্ভবত গরীব দেশে বড় স্থাপনা ডিজাইনের সময় একটা টার্গেটই থাকে কিভাবে বিদ্যুত খরচ কমানো যায়।উন্নত দেশগুলোও সচেতন হওয়া উচিত।বাসা বাড়ির ক্ষেত্রে এরকম এনভাইরনমেন্ট ফ্রেন্ডলি কিছু আর্কিটেকচেরাল ডিজাইন ইউটিউবে দেখছিলাম।ডিজাইনাররা খুব আশাবাদী ভবিষ্যতে জাকজমকের চেয়ে মানুষ এই ধরণের বাড়ির দিকে বেশি ঝুঁকবে।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৮

সুপারডুপার বলেছেন:



কল্পদ্রুম ভাই,

জাতীয় সংসদের ডিজাইনের মূলে ছিল স্থানের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং স্থাপত্যশৈলীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা। ডিজাইনে সাশ্রয়ী ভাবে তাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল কি না, তা উকি -গুগলে খুঁজে পেলাম না।

খুবই ভালো বলেছেন। বাংলাদেশের মতন দেশগুলোর জন্য শক্তির সংকটে স্বল্প শক্তি ব্যয়ে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণে এই ধরণের বাড়ির ডিজাইনে এখনই ঝুঁকে পড়া উচিত।

ভালো থাকবেন।

১১| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০১

সিয়াম০৯ বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার একটি লেখ তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু উইপোকার ঢিবি উত্তর দক্ষিন মুখি হওয়াতে কিভাবে বাতাসের প্রবাহ বাড়ে তার ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে। ঢিবি উত্তর দক্ষিনে লম্বা হওয়াতে বড় দুটি দেয়াল থাকে পূর্ব ও পশ্চিমে। এতে যেটি হয় তা হলো, দুপুর হওয়ার আগ পর্যন্ত সূর্যের তাপ পূর্ব দিকের দেয়ালে পড়ে। ফলে সেই দিকের দেয়াল গরম হয়ে ওঠে, সাথে সেই দিকটার বাতাসও গরম হয়ে ওঠে। অপরদিকে, তখন পশ্চিম দিকের দেয়ালে সূর্যের তাপ না পড়ার কারনে তা তুলনামূলক ঠাণ্ডা থাকে এবং সেই পাশের বাতাসও ঠাণ্ডা থাকে। এক পাশের গরম বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং অপরপাশের ঠাণ্ডা বাতাস নিচে নামে। ফলে সেখানে পরিচলন স্রোত (Convection Current) তৈরি হয় এবং বাতাসের প্রবাহ বাড়ে। দুপুরের পর পশ্চিম দিকের দেয়াল গরম হয় কিন্তু পরিচলন স্রোত চলতে থাকে।

HVAC Suppliers

১৪ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:০৬

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট বলেছেন। এটা ব্যাখ্যা করলে পরিষ্কার হয় কেন ঢিবিগুলো ম্যাগনেটিক বা উত্তর- দক্ষিণ মুখী হয়। ঢিবি উত্তর দক্ষিন মুখি হওয়াতে কিভাবে বাতাসের প্রবাহ বাড়ে তার সুন্দর ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। নিম্নের ABC Science চ্যানেলের এনিমেটেড ভিডিও থেকেও আমরা তা সচিত্রে দেখতে পাই।




ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা :-

১২| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পিঁপড়ের ঢিবিতে ফুটন্ত ধাতু ঢেলে কলোনির ছাঁচ নিতে দেখেছি। খারাপ লেগেছিল, সেই সাথে অবাকও হয়েছিলাম।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৯

সুপারডুপার বলেছেন:



প্রোফেসর শঙ্কু ,

ব্লগে স্বাগতম। Anthill Art ইউটিউব চ্যানেলে দেখলাম গলিত এলুমিনিয়াম ঢেলে দিতে।



খারাপ লাগলো। এটা করা একদমই উচিত না। হাঁ, সত্যিই কলোনির ছাঁচ দেখে অবাকই হতে হলো।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১১

সুপারডুপার বলেছেন:






১৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৩১

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন।অনলাইনে লুই কানের ডিজাইনগুলোতে লাইট এবং স্পেসের ব্যবহার নিয়ে কিছু কথা লেখা আছে।কিছু আর্টিকেলে জাতীয় সংসদের ব্যাপারে "The large assembly hall is surrounded by a mosque and meeting rooms of square and cylindrical towers that also give shade and cooling air flows." র‍্যানডমলি এরকম টাইপের কথা লেখা।কিন্তু এয়ার ফ্লো কিংবা হিট ইনসুলেশনের ব্যাপারে বিস্তারিত নেই।হয়তো স্থাপত্যবিদ্যার মানুষরা ভালো কোন বইয়ের রেফারেন্স দিতে পারতেন।আমি স্থাপত্যবিদ্যার মানুষ নই।আমার দৌড় এই পর্যন্ত।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০১

সুপারডুপার বলেছেন: কল্পদ্রুম ভাই, মন্তব্যে আবার ফিরে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অন্যভাবে, জাতীয় সংসদ ভবনে বিদ্যুৎ খরচ কেমন হয়, অন্যান্য ভবনের সাথে তার একটা তুলনামূলক চিত্র পাওয়া গেলে ভবনটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা, তা জানা সম্ভব হতে পারে । এই রকম কোনো আর্টিকেল আপনার চোখে পড়লে প্লিজ শেয়ার করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.