নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবোন থেকে নেয়া

আমি নিজের মৃত্যুকে বরণ করে নেয়া অজেয় একিলিস নই । আমি নিজের প্রেমে আত্মহারা নার্কিসাস নই । আমি অসম্ভবকে সম্ভব করা মহাবীর ... হেরাক্লেস নই। আমি পৃথিবীর ভার ধরে থাকা এটলাস নই । দুর্গম পথ পারি দিয়ে আসা ইথাকার রাজা ওডিসিউস নই । আমি সৌন্দর্যের প্রতিরূপ আদোনিস ন

অপ্রকাশিত ছদ্মনাম

কিছু কথা শুধু নিজের ভেতর রাখো। দ্বিতীয় কেউ জানবে না। কোনভাবেই না।

অপ্রকাশিত ছদ্মনাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ব্যাঙ & একজন মানুষ

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২১

"একটি পাত্রে একটি ব্যাঙ

নিয়ে তাতে পানি দিয়ে গরম

করতে শুরু করুন।পানির

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার

সাথে সাথে ব্যাঙটি তার

শরীরের তাপমাত্রার

সামঞ্জস্য করতে শুরু করবে।যতই

বাড়বে ততোই পানির

তাপমাত্রার সাথে নিজের

তাপমাত্রার সামঞ্জস্য

করতে থাকবে। ঠিক যখন

পানি ফোটার তাপমাত্রায়

পৌঁছবে তখন আর সে ওই

তাপমাত্রার

সাথে মানিয়ে নিতে পারবে না।

ওই তাপমাত্রায় সে লাফ

দিয়ে পাত্রের

বাইরে আসার জন্য

চেষ্টা করবে।কিন্তু

সে তা আর পারবে না, কারণ

সে তার সকল শক্তি পানির

তাপমাত্রার

সাথে মানিয়ে নিতে ব্যয়

করে ফেলেছে।এর খুব অল্প

সময়ের

মধ্যে ব্যাঙটি মারা যাবে।

ব্যাঙটি কেন মারা গেল?

অনেকেই উত্তর দিবেন

পানির উচ্চ তাপমাত্রার

জন্য।কিন্তু

ব্যাঙটি মারা গিয়েছে এই

কারণে যে,কখন লাফ

দিয়ে বের হতে হবে সঠিক

সময়ে তার

সিদ্ধান্তে না আসতে পারার

জন্য।"

চাতুর্যপূণ,বিভ্রান্তিকর ও

প্রচন্ড শক্তিশালী শয়তান

আমাদের অবস্তা এই ব্যাঙের

মতো করে ফেলে।মানুষ

এবং ব্যাঙের

রয়েছে অসাধারণ

মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।

একজন মানুষ সকল পাপপরায়ণ

পরিবেশের

সাথে মানিয়ে নিতে পারে।

একটা শিশুর সেন্স আসার পর

থেকেই শয়তান

তাকে ধোঁকা দিতে শুরু

করে।তাকে ইবাদত

থেকে গাফিল করার

চেষ্টা করে।আল্লাহ্

মানুষকে শয়তানের

সাথে মোকাবেলা করার

শক্তি দিয়েছেন।সেই

শক্তি সে শয়তানকে প্রতিহত

করার কাজে ব্যয়

না করে তার

সাথে মানিয়ে নিতে ব্যয়

করে এবং চিন্তা করে আর

কয়েকদিন পর

ভালো হব,নামাজ

পড়ব,মেয়েদের সঙ্গ

ছেড়ে দেব।

এভাবে আসতে আসতে শয়তানের

প্ররোচনা বাড়তে থাকে,মানুষও

সেই

পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে চায়।

এভাবে ধীরে ধীরে শয়তানকে প্রতিহত

করার সকল

শক্তি সে শয়তানের

সাথে আপোষ করার

কাজে ব্যয় করে ফেলে।

ফলশ্রুতিতেতার সকল

চারিত্রিক গুণ

এবং মানবিকতা নষ্ট

হয়ে যায় এবং আর ইসলামের

পথে আসা সম্ভব হয় না।

হালালকে হারাম

এবং হারামকে হালাল

মনে করতে শুরু করে।

প্রথম ক্ষেত্রে ব্যাঙের জন্য

সবচেয়ে করুন এবং মর্মান্তিক

পরিণতি হল তার মৃত্যু কারন

সে একটু সচেতন হলেই

সেটা ঠেকাতে পারত।আর

দ্বিতীয় ক্ষেত্রে একজন

মানুষের জন্য সবচেয়ে করুন

পরিণতি হল তার ঈমান

আমলের ধ্বংস।তাই

একটা ক্ষুদ্র অন্যায়

থেকে নিজেদেরকে বিরত

রাখার সামর্থ্য

থাকলে সেটার

বিরুদ্ধে প্রতিরোধ

গড়ে তোলা আবশ্যক।

কেননা শয়তান মৃত্যু

অপেক্ষাও ভয়ংকর প্রতিপক্ষ।

‘শয়তান তো এটাই চায়,মদ ও

জুয়া দ্বারা তোমাদের

পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও

হিংসা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহ্র

স্মরণ ও নামাজ

থেকে তোমাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখে।

সুতরাং এখনও

কি তোমরা ফিরে আসবে?’

(মায়িদাহ ৫:৯১)

-cltd

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.