নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইয়াসিন কবির

আমার সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানিনা । তবে অনেকের কাছে আমি ভালো ,আবার অনেকের কাছে ফালতু বলে পরিচিত। অনেক কিছু করার চেষ্টা করি। কিছু হয় কিছু কিছুটা হয়ে থেমে যায়। হওয়া এবং না হওয়ার মাঝেই আমাদের জীবন। চাইলে ঢু মারতে পারেন:

ইয়াসিন কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

শূন্য

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

জীবন যুদ্ধে হতাশ এমন একজনের নাম ছিলো শূন্য। নামটা তার বাবা-মায়ের দেয়া নাম নয়। কিছু না করতে পারার জন্য হতাশা থেকে নিজের এই নাম দেয় সে। নিজের মাঝে সে কিছুই খুঁজে পায় না, তাই এই নাম।



একদিন অবসন্ন মনে শূন্য রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। হঠাৎ দেখে একলোক ভিক্ষা করছে। লোকটার দুই চোখ নেই। করুণ সুরে সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছে সে। শূন্য ভাবলো সেও কিছু টাকা দিবে। কিন্তু পকেটে হাত দিয়ে দেখে তাও শূন্য। ভাবলো যার কপাল ফুটো, তার পকেটও ফুটোই থাকে। আরও হতাশ হয়ে হাটতে থাকে সে।



হঠাৎ দেখে এক পিচ্চি বাদাম বিক্রি করছে। শূন্যের বাদাম খুব পছন্দ। কিন্তু টাকাতো নেই। পিচ্চি এসে বলে, ভাইজান বাদাম নিবেন? শূন্য তার দিকে তাকিয়ে একটু মাথা নাড়ে। বলে টাকা থাকলে নিতাম। তাকে অবাক করে দিয়ে পিচ্চিটা তার হাতে কিছু বাদাম তুলে দেয়। বলে খান। আপনার অবস্থাও আমার মতো। আমিও রাস্তায় অনেক কিছুই দেখি। কিন্তু টাকার জন্য কিনতে পারি না। এটা বলে চলে যায় পিচ্চি।



তার গমন পথের দিকে তাকিয়ে থাকে শূন্য। ভাবে পৃথিবীটা কত অদ্ভুত। বাদাম খেতে খেতে উঠে দাড়ায় শূন্য। ভাবে জীবনটা আর একবার শুরু করতে হবে। কারও জন্য না হোক অন্তত বাদামের পিচ্চি এবং সেই অন্ধের জন্য হলেও কিছু করতে হবে। পিচ্চির পিছে হাটা দেয় সে। ফিরিয়ে দেয় বাদাম। বলে আজ বাদাম লাগবেনা। আর একদিন এসে বাদাম কিনে নিবো। পিচ্চির নাম এবং কোথায় থাকে জেনে নেয় সে। জানতে পারে পিচ্চিও তার মতো, পার্থক্য হলো শূন্য পড়ালেখা না করে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে, আর পিচ্চি বাদাম বেচে।



শূন্যের নতুন জীবন শুরু হয়। ৯টায় ঘুম থেকে উঠা শূন্য এখন ৬টায় উঠে। পাশের ইলেকট্রিক দোকানে সে কাজ নেয়। ঘর বাড়ির বিদ্যুতের লাইন ঠিক করবে। ফ্যান, এসি, লাইট লাগাবে এসবের কাজ। এগুলো নিয়ে তার আগে থেকে ঝোঁক ছিল। কাজ করতে করতে টাকা জমায় সে। প্রস্তুতি নেয় ২য় বার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার।



পরীক্ষা দিয়ে দেয়। মনে অনেক শান্তি তার। সে জানে ভালো সে করবেই। জমানো টাকা দিয়ে কোচিংয়ে ভর্তি হয় সে। দেখতে দেখতে রেজাল্ট দেয় তার। ভর্তি পরীক্ষা দেয় একটি ভার্সিটিতে। টিকেও যায় প্রথম দিকে। ঠিক করে ফেলে ইইই নিবে সে। ইলেক্ট্রিক্যাল এ পড়বে। ভার্সিটিতে টিকার পর সে দেখে তার কাছে জমানো আর কতো টাকা আছে। ৩০০০টাকার মতো খুঁজে পায়। চলে যায় সেই অন্ধের কাছে। দুপুরে অন্ধসহ পেটভরে খায়, হাতে দিয়ে দেয় কিছু টাকা। খাওয়ার পরে পিচ্চিকে খুঁজে বের করে। তার থেকে ১০টাকার বাদাম কিনে। তারপর পিচ্চিকে নিয়ে যায় একটা স্কুলে। ভর্তি করে দেয় সেখানে। বলে তোর আর বাদাম বেচতে হবে না। তুই স্কুলে যাবি, মন দিয়ে পড়বি।



পকেটে থাকা বাকি টাকাগুলো পিচ্চির মাকে দিয়ে আসে। বলে ওর পড়ালেখা যাতে বন্ধ না হয়। খরচ সে দিবে।



আবার রাস্তায় বের হয় শূন্য। ঠিক আগের মতই এখনও তার পকেট শূন্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২

কালোপরী বলেছেন: :)


পকেট শুন্য হলেও জীবন কিন্তু আনন্দ পূর্ণ হয়ে গেল। তাহলে শুন্য কি আর শুন্য রইল ??

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৮

মাক্স বলেছেন: +++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.