নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্রন্দসীর সুর

অদ্ভুত সব লোক থাকে ওখানে। শুধু ভাবো, ওরা কখনো ঘুমায় না! কেন, কী কারণে? কারণ ওরা কখনো ক্লান্ত হয় না। কেন, কী কারণে? কারণ ওরা সব বোকা। বোকারা কি ক্লন্ত হয় না? বোকারা আবার কী করে ক্লান্ত হবে!

ক্রন্দসীর সুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসি বিনিময়

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

আমার কষ্টগুলো খুব কম সময়ই আমি কষ্ট হিসেবে প্রকাশ করতে পারি। অভিমান বা মন খারাপ এর মতন অনুভূতিগুলোর বহিঃপ্রকাশ বেশির ভাগ সময়ই চরম বিরক্তি নাহয় মোটামুটি মাত্রার একটা রাগ দিয়ে প্রকাশ হয়।



শুক্র, শনির মত বন্ধের এই দিনগুলোর জন্য যে আমি মুখিয়ে থাকি তার জন্য আজকের এই শুক্রবারের সাথে বারতি পাওনা হিসেবে ছিল অসাধারণ এক অবহাওয়া। চৈত্রের একদম শেষভাগের এই দিনে সারাদিনই বাজে রকমের গরমের পরিবর্তে ছিল ঝিরি-ঝিরি, বৃষ্টি আসি-আসি, ঝড় উঠি-উঠি ধরণের একটা মন ভালো করে দেওয়া সুন্দর বাতাস। হয়তো এই কারণেই বুক চাপা কষ্টটা খুব বেশি একটা ভারী হয়ে উঠছিল না, নাকি এমন একটা সুন্দর ছুটির দিনেও সারাদিন তোমার উপর অভিমান করে এই দূরত্ব বজায় রাখার খেলা খেলতে খেলতে বুকটা ক্লান্ত হয়ে যতটুকু ভারী হয়ে আছে সেটা অন্য আর কোনো দিন বা ঘটনার চেয়ে একটু বেশিই- ঠিক জানিনা।



খুব বাজে রকমের একটা জান্তব অনুভূতি এটা। কপালের দুই পাশটা সর্বক্ষণের জন্য কুঁচকে থাকতে চায়, যেন সেঁধিয়ে যাবে মাথার একদম ভেতরের দিকে। মাথার দু'পাশ থেকে দু'টা অদৃশ্য আলোর রশ্মি মাথার ভেতরের একদম মাঝ অংশ বরাবর একটা সরল রেখার তৈরি করছে আর একটানা আমাকে একটা যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ-হঠাৎ যখন যন্ত্রণাটা বেড়ে ওঠছে, মনে হচ্ছে যেন আলোক রশ্মিটা একটা উজ্জ্বল সাদাটে-বেগুনী রঙের বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ হয়ে গেছে।



এখন বাইরে গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টির শব্দ পাচ্ছি, সাথে বেশ অনেকক্ষণ থেমে-থেমে মৃদু বজ্রপাত। উপমা খুঁজতে গিয়ে কোন উপমাই মনে পড়ে না আমার। আমি জানি চট করেই আমার সুন্দর কোন উপমা মনে পড়ে যায়না। তার উপর এমন দিনে তো আরো নয় যেদিন তোমার সাথে একবারের জন্যও আমার হাসি বিনিময় হয়নি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.