নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মস্তিষ্কের বিক্ষিপ্ত ভাবনার বর্ণমালা সমূহ।

খন্দকার সুমন

আমি একজন সাধারণ মানষ। তবে নিজের সাথে কথা বলতে ভাল লাগে। আমার এই সভাবের কারণে, সবাই ভালবেসে আড়ালে আতেল বলে ঢাকেন। আমি নিজেও আতেলদের পছন্দ করি না।

খন্দকার সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপসী বাংলার রুপের মৌমাছিঃ আলকায়দা না কি অ্যামেরিকা!

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

গত ২ মার্চ ২০১৫ বিভিন্ন গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছিল লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকি দেয়া জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর সদস্য শফিউর রহমান ফারাবিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে একটা প্রেস কনফারেন্স করা হয়। শফিউর রহমান ফারাবিকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় প্রেস কনফারেন্সে আসা গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে উপস্থিত করা হয়। শফিউর রহমান ফারাবি হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় দুইজন র‍্যাব সদস্যের মাঝে সিনাটান করে মাথা উচু করে বীরের ন্যায় দাঁড়ায়। দৃশ্যটা আমার চোখে অসস্থি তৈরি করে। সাধারণত আমারা দেখি র‍্যাব বা আইন প্রয়োগকারী কোন সংস্থার কাছে কোন অপরাধী ধরা পরলে তার সিনা এমন টানটান থাকে না। অপরাধীর মুখ মন্ডল কেমন যেন ফ্যাকাসে, লাজুক লাজুক অথবা অনুতাপ অভিব্যাক্তি দেখা যায়। আপনি বলতে পারেন, সে তো অপরাধী না। আপনার কথামত ধরেনিলাম, সে অপরাধী না। অপরাধী না তাই বলে সে বিচলিতও নয়। একজন নিরাপরাধ ব্যাক্তি কে হাতকড়া পরিয়ে, দেশের সকল গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে, দুইজন র‍্যাব সদস্য তার দুই হাত ধরে নিয়ে আসা হল! আর আপনি বলছেন নিরাপরাধ বলেই তার এমন অভিব্যাক্তি। মশাই আপনার স্নায়ুর জোর আছে বটে! এবার আপনি বলবেন, তার স্নায়ু শক্তি ভাল। এবারও আপনার কথা মত ধরে নিলাম, তার স্নায়ু শক্তি ভাল। একজন মানুষের স্নায়ু শক্তি ভাল তখনই হয় যখন সে নিজেকে নিরাপদ অনুভব করে। তাহলে তার নিরাপদ অনুভবের গোপন রহস্য কি? নিশ্চই কোন ক্যাফেন সমৃদ্ধ এনার্জি ড্রিঙ্কস নয়। এবার আসমানে পাখা মেলেন। একটু আলাদা করে ভাবেন! কথা বলার সময় উঙ্গুলি করণ বন্ধ রাখেন। কথা শেষ হলে আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর আপনি হয়ত পেয়ে যাবেন। আর না পেলে শেষ বিনোদন, প্রশ্নউত্তর পর্ব তো আছেই।
দির্ঘদিন ধরে ফারাবি হিযবুত তাহরীর সদস্য। তার স্বসস্ত্র প্রশিক্ষণ আছে। তাকে সিনাটান করে দাঁড়ান শিখান হয়েছে। সে অশিক্ষিত সাধারণ মানুষ নয়। আমাদের সেনা বাহিনী যেমন তীক্ষ্ণ, চৌকস এবং তড়িৎকর্মা। ফারাবি এই সবের কোন অংশে কম না। সে অপরাধী এ নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। শুধু অপরাধী তা নয় দেশদ্রোহী বটে। যুগে যুগে ধর্মকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ব্যাক্তি স্বার্থ, গুষ্টি স্বার্থ সহ নানা ভাবে ব্যাবহার করা হয়েছে। সেই ব্যাবহারের ধারা বাহিকতারই একটি হচ্ছে আস্তিক-নাস্তিক সংঘর্ষ। নাস্তিক আস্তিক অনেক পুরাতন দ্বন্দ্ব। ইংরেজদের "ডিভাইড এন্ড রুল" ফরমুলার মত। অনেকটা নতুন মোড়কে পুরাতন মাল।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। যে দেশের সাধারণ মানুষেরা ভিক্ষা এবং ঋণ নিতে লজ্জা পায় কিন্তু সেই দেশের সরকার বাহদুরেরা বহিঃবিশ্বের কাছে দেশের মানুষকে হত দরিদ্র এবং গরিব প্রতিষ্ঠিত করে ভিক্ষা এবং ঋণ নিয়ে সেই টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের বাহিরে সেকেন্ড হোম বানিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করে। আমরা সাধারণ মানুষেরা সেই ঋণের বোঝা আমাদের মৌলিক চাহিদা অপূর্ণ রেখে বিভিন্ন করের মাধ্যমে পরিশোধ করি। তারপরও সন্তানদের সুশিক্ষা দিচ্ছি, বউয়ের জন্য শাড়ী কিনছি, মায়ের জন্য ঔষধ কিনছি, বাবার স্যান্ডেল পুরাতন হওয়ার আগেই পরিবর্তন করছি। এক কোথায় বলতে গেলে অভাবে থাকলে আমাদের সুখী হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।
সুন্দরি মেয়ের রূপই তার বড় শত্রু। ঠিক তেমনি রূপসী বাংলার রূপ আর ভৌগলিক অবস্থানই হয়েছে তার সব চাইতে বড় শত্রু। ভৌগলিক দিগ থেকে বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর এবং পুর্ব দিগের কিছু অংশ জুড়ে ভারতের অবস্থান। আবার দক্ষিণ পূর্ব দিগে মায়েনমার। দক্ষিণ পূর্বের অদূরে সিঙ্গাপুর, মালাশিয়া ও থাইল্যান্ড। মায়েনমার এবং ভারতের সাথে চীনের বর্ডার। বাংলাদেশে কি পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে তার অনুসন্ধান যেন না হয় সে জন্যও এই দেশের সরকার এবং রাজনৈতিক নেতাদের জন্য মোড়ল রাষ্ট্রের কাছ থেকে অর্থ আসে। ওই মোড়ল রাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যের পতিতা রাষ্ট্র গুলো কে ব্যাবহার করে বিরক্ত। আর তাই তাদের স্বাদ পরিবর্তনের জন্য একটি কুমারী দেশ প্রয়োজন। তারা অনুসন্ধান করে দেখেছে বাংলাদেশে তেমনি একটা দেশ, যার আছে অনাবিষ্কৃত অপার সম্ভাবনা। এই দেশের ভৌগলিক অবস্থান থেকে সম্ভাব্য মোড়ল দেশ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সহজ দূরত্ব। সেই মোড়ল দেশটির নাম- "ইউনাইটেড এস্টেট অফ অ্যামেরিকা"।
ইংরেজদের যেমন একটা ফর্মুলা ছিল "ডিভাইড এন্ড রুল"। ঠিক অ্যামেরিকানদেরও একটা ফর্মুলা আছে। নিজেদের পৃষ্ঠ পোষকতায় সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি করবে এবং যে সকল দেশ তাদের দরকার সেই সকল দেশে তাদের তৈরি সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়িয়ে তারা অযাচিত ভাবে নিজ উদ্যোগে সেই সব দেশে সন্ত্রাসী নিধনে তার সামরিক বাহিনী কে নামিয়ে দিয়। অর্থাৎ অ্যামেরিকান সামরিক বাহিনী কোন ভূখণ্ডে অবতরণের পূর্বেই আলকায়দা, আই, এস, আই, এস, এর মত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন গুলো অবতরণ করে। কিন্তু বাংলাদেশের মুল ভূখণ্ড সমতল হওয়ায় কোন সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন বেশিদিন তাদের কার্যক্রম চালতে পারে না। আমাদের জনসংখ্যা ঘনত্ব বেশ হওয়ায় আমাদের দেয়ালেরও কান থাকে। তাই কোন গোপন কার্যক্রম বেশিদিন চাপা থাকে না। এই কারণে আমাদের সরকার বাহাদুরের অনেক সদস্যও অসংখ্য বার বিভিন্ন কুকর্মে সাধারণ মানুষের কাছে হাতে নাতে ধরা পরেছেন এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আবার পূর্বের প্রসঙ্গে ফিরে যাই। শত শব্দের মাঝে একটা অপূর্ণতা থেকে যায় আর সেই অপূর্ণতা হচ্ছে অভিজিত রায়। তার যে বিশেষণই দেই না কেন, আপনি চুপ থাকতে পারবেন না উঙ্গুলি চালান শুরু করবেন। এই লেখা পড়ার আগ্রহ হারাবেন। দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কিছু দিতে না পারলেও এই লেখা শেষে কিছু নতুন ভাবনা দেয়ার নিশ্চয়তা দিলাম। অভিজিত রায় প্রগতিশীল, বিজ্ঞানে অনেক দক্ষ ব্লগার ছিলেন। এই ব্যাপারে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। বেশিদূর যেতে হবে না। ৯ম শ্রেণির জীব বিজ্ঞান বইয়ের এক কোষী প্রাণী অ্যামিবা কে বিশ্বাস করলেই কিন্তু আপনার ধর্মের দড়ি আলগা হয়ে যায়। তাছাড়া যারা ব্যালেন্স ধার্মিক; পাপ এবং পূর্ণের হিসাব সমান সমান করে বিয়োগের মাধ্যমে শূন্য ফলাফল এনে নিষ্পাপ হতে চান তাদের জন্য এককোষী প্রাণী অ্যামিবা কে বিশ্বাস করাও অনেক ভারি হয়ে যায়। কারণ শুধুমাত্র অ্যামিবার জন্য আপনি আপনার স্বর্গের টিকিট হাতছাড়া করতে চান না। অথচ পৃথিবীতে সকল ধর্ম যাজকগণ দের এর চাইতেও অনেক বেশি তার প্রচারিত ধর্মের বিপক্ষে শুনতে হয়েছে। তাদের জীবনীতে কখনোই তার মতাদর্শের বিপক্ষের ব্যাক্তি বা গুষ্টিদের নোংরা ভাষায় গালাগালি করার ইতিহাস পাওয়া যায় না। আপনি গালাগালি করেন মানে আপনি অসুস্থ। বিজ্ঞানের অনেক শক্ত শক্ত বই পড়ে কোন ব্যাক্তি যদি তার স্বজাতির জন্য স্বভাষায় সহজ করে উপস্থাপন করে জাতীকে সমৃদ্ধ করতে চায় তাহলে তা অন্যায় কোন রূপে হয় আমি বুঝি না। যতদিন ওই শক্ত বিজ্ঞানের বই গুলো অন্য ভাষায় ছিল ততদিন আপনি কিছু বলেননি। কারণ আপনি জানতেনই না যে আপনার বিশ্বাস বা মতবাদের সাথে মিল না রেখে ওই বই গুলো লেখা হয়েছে। ঠিক যেদিন নিজের ভাষায় আপনার বোঝার উপযোগী হল অমনি গালাগালি শুরু করলেন। বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা আপনি না হয় না বুঝলেন কিন্তু স্রষ্ঠা তো পৃথিবীর সব ভাষাই বুঝেন। অতএব স্রষ্ঠা জানতেন শক্ত শক্ত ভাষায় বিজ্ঞানের ওই বই গুলোতে কি লেখা ছিল! তিনি তো তাদের কিছু বলেননি তাহলে আপনি কেন উত্তেজিত হয়ে গালাগালি করেন। আপনি তো খুব ভাল মানুষ আপনার আশপাশে কেউই আপনাকে কখন কাউকে গালি দিতে দেখেনি। তাহলে আজ কেন আপনি গালিবাজ?
উত্তর খুব সহজ আপনাকে উত্তেজিত করে আপনার মত ভদ্র লোকের মুখ থেকে গালি বের করে নেয়া হচ্ছে। সে কে? সে আর অন্য কেউ নয়, যার লেখা পড়ে আপনি অভিজতের মত একজন মেধাবী বাঙ্গালিকে গালাগালি করছেন। যে অভিজিত আপনার জন্য শক্ত বই গুলোকে নরম করে আপনার গ্রহণ যোগ্য করেতে কষ্ট করেছে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত! তার চাওয়া তো এতটুকুই ছিল যে বই গুলো পড়ে আপনি বিজ্ঞান সম্পর্কে জানুন। সে কখনোই বলেনি আপনি আপনার পৈত্রিক ধর্ম ত্যাগ করে তার অনুসারী হন। সে তো আপনাকে হত দরিদ্র বানিয়ে অন্য কোন দেশ থেকে ভিক্ষা সংগ্রহ করেনি। সে চেয়েছিল আপনি সমৃদ্ধ হবেন সেই সাথে দেশও সমৃদ্ধ হবে। এই দেশের সরকার-রাজনৈতিকেরা দেশের হাত ছাড়লেও, অভিজিত জানত তার মত আপনিও সমৃদ্ধ হলে বাংলদেশের হাত ছাড়বেন না।
ফারাবির মত লোকেরাও মেধাবী, তবে তার মেধা বিক্রয় করা। সে তার মেধাকে বিক্রয় করেছে হিযবুত তাহরীরের মত জঙ্গি সংগঠনের কাছে। তার এজেন্ডা ছিল, যে আলো দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ জ্বলে উঠবে সেই আলো নিভিয়ে দেয়া। কারণ বিজ্ঞান সমৃদ্ধ দেশে জঙ্গিবাদ অচল। ফারাবি অভিজিতের মুল লেখার কিছু অংশের স্ক্রীন শট নিয়ে সেই লেখাকে তার মেধা এবং আপনার অনুভূতির দুর্বল বিষয় গুলোকে একটা মিশ্রণে ফেলে আপনার সামনে উপস্থাপন করে। আপনি অতুটুকু দেখেই নায়জুবিল্লাহ! হে রাম! বলে অস্থির। ধর্ম নষ্টের ভয়ে আর কোনদিন অভিজিতের লেখা পড়ার সাহস আপনি করলেন না। ফারাবি ভাল করে জানত, যে নোংরামির এই মিশ্রণ খাওয়ার পর আপনি আর অন্য কোথাও যাওয়ার সাহস করবেন না। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি- নাস্তিক ব্লগাররা যত না ধর্ম সম্পর্কে খারাপ বলেছে তার চাইতে অনেক বেশি খারাপ ভাবে এই এজেন্টরা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছে। অর্থাৎ ধর্মকে নোংরা ভাষায় আখ্যায়িত করার জন্য একজন এজেন্টই যথেষ্ট যাদের উদ্দেশ্য একটাই আপনাকে উত্তেজিত করা। উত্তেজনার একপর্যায়ে তাদের হয়ে আপনি নিজেই তাদের কাজ সম্পাদন করলেন। অর্থাৎ অভিজিত রায়কে হত্যা করলেন।
গত ২ এবং ৩ মার্চের সংবাদ দেখে আমি অবাক হলাম। এ কিসের আলামত?
২ মার্চ ২০১৫ সাক্ষাতকার দিলেন ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি তে জনাব মনিরুল ইসলাম, যুগ্ন কমিশনার, ডিবি। তিনি তার সাক্ষাতকারে বললেন, জঙ্গিদের রয়েছে আলাদা আলাদা সুনির্দিষ্ট গ্রুপ। যাদের বলা হচ্ছে স্লিপার সেল। তাদের কাজ টার্গেট করা মানুষকে হত্যা করা। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, একেকটি স্লিপার সেলের সদস্য ৫ থেকে ৭ জন। একটি সেলের সাধারন সদস্যদের সঙ্গে আরেকটি সেলের সদস্যদের যোগাযোগ, এমনকি পরিচয়ও থাকে না। মূল নেতৃত্বের পাঠানো সংকেতের মাধ্যমে পরিচালিত হয় সেলের তৎপরতা। হত্যা মিশন চলে কাট-আউট পদ্ধতিতে। উগ্র ধর্মীয় মতবাদ ছড়িয়ে এই স্লিপার সেলে টানা হচ্ছে মূলত সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের।
৩ মার্চ ২০১৫ সাক্ষাতকার দিলেন র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। তিনি তার সাক্ষাত কারে আল কায়দার স্লিপার সেল সম্পর্কে বলেন। আল কায়দা তাদের অপারেশন বাংলাদেশে চালাচ্ছে সুনিশ্চিত ভাবে বললেন। পূর্বেই বলেছিলাম আল কায়দা অবতরণের পরই অ্যামেরিকান স্বসস্ত্র বাহিনী অবতরণ করে। এবার সেই ভিন্ন ভাবনার বিষয়ের কাছা কাছি চলে এসেছি! ভাবনা গুলোকে প্রশ্ন করে প্রকাশ করছি।
১। অভিজিত রায়কে দুই বছরেও অধিক সময় ধরে ফারাবি হুমকি দিয়ে আসছে। একজন মৃত অ্যামেরিকানের জন্য অ্যামেরিকা এফবিআই এর মত একটা গুরুত্ব পূর্ণ সংস্থাকে বাংলাদেশে ব্যবহার করাতে চায়। তাহলে অভজিত রায়ের জীবিত অবস্থায় কেন তাকে সাহায্য করেনি?
২। ধরে নেই অভিজিত রায় অ্যামেরিকান সরকারে সাহায্য চায়নি। এবার প্রশ্ন হল কেন?
৩। অভিজিত রায় হত্যার ২:৩০ মিনিট পূর্বে কেন মুক্তমনা ব্লগ বাংলাদেশে বন্ধ হল।
৪। ফারাবির চিন্তা মুক্ত, ফুরফুরে চেহারায় সিনাটান করা শক্ত স্নায়ুর ভিতরে কোন শক্তি লুকিয়ে আছে?
৫। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল পদের কর্মকর্তা কেন এতদিন পর আল কায়দাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে?
৬। কেন এতদিন বলা হয়েছিল বাংলদেশ জঙ্গি মুক্ত দেশ, এখানে আল কায়দার কোন অস্থিত্ব নেই?
৭। অভিজিত রায়ের মৃত্যুর পর কেন সরকার এবং প্রশাসন নীরব ছিল?
৮। জনসাধারণের কাছে ফারাবি সম্পর্কে তথ্য থাকলে বাংলাদেশর গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কাছে কেন এমন তথ্য ছিল না?
৯। একজন মার্ডার কেসের আসামী জামিনে ছিল; কেন তাকে নজর দারির মঝে রাখা হয়নি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

নতুন বলেছেন: সমস্যা না থাকলে জনগনের মোড়লের কাছে যায় না...

তাই মোড়ল কখনোই চায়না সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাক...

আর দুই চারটা লাশ পরলে কোন না কোন পক্ষের তো লাভই হয়...

শুধু লোকশান হয় করি আমরা জনগন...

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০২

খন্দকার সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.