নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মস্তিষ্কের বিক্ষিপ্ত ভাবনার বর্ণমালা সমূহ।

খন্দকার সুমন

আমি একজন সাধারণ মানষ। তবে নিজের সাথে কথা বলতে ভাল লাগে। আমার এই সভাবের কারণে, সবাই ভালবেসে আড়ালে আতেল বলে ঢাকেন। আমি নিজেও আতেলদের পছন্দ করি না।

খন্দকার সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমন দরদি ভবে কেউ হবে না!

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

ফেসবুক খুলেই আশ্চর্য হলাম নিউজ ফিড দেখে। ফ্রেন্ড লিষ্টের প্রায় সাবাই প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেছে। আবার যারা প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেনি তারাও নতুন ছবি শেয়ার দিয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো প্রত্যকের ছবিতে একজন "মা" আছেন। বুঝতে বাকি রইল না আজ মা দিবস।

আজ দির্ঘক্ষণ ফেসবুকের নিউজ ফিড ঘাটলাম। অনেক পরিচিত মুখের পাশে অনেক অপরিচিত মায়ের ছবি দেখতে পাই। অনেকেরই তাদের মায়ের চেহারার সাথে মিল আছে। আবার অনেকের সাথে তাদের মায়ের চেহারার মিল নাই। বুঝতে দেরি হলো না যে, সে তার বাবা অথবা পরিবারের অন্য কারো চেহারা পেয়েছে।

ফ্রেন্ড লিষ্টের মেয়েরা দয়া করে ব্যাক্তিগত ভাবে নিবেন না । আপনাদের চাইতে আপনাদের মায়েরা অনেক! অনেক সুন্দরী! শুধু শুধু পর্লারে গিয়ে এত ঘষামাঝা করেও অর্থ বিসর্জন ছাড়া অন্য কোন উন্নতি কিন্তু আমার চোখে পরল না। এটা আমার চোখের সমস্যাও হতে পারে।

সেলফিবোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যে সকল ভংকর এক্সপ্রেশনে আপনার নিজের ছবি আপলোড করে, আমার সরল অনুভুতি গুলো কে ভ্যাম্প্যায়ার এ পরিণত করেন, মাঝে মাঝে আপনাদের মায়ের ছবি আপলোড করে অন্তত এই ক্লান্ত চোখ দু'টোতে দিতে পারেন স্বর্গীয় প্রোশান্তি।

একটা দিবস কখনই যথার্থ নয় মায়ের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শনের জন্য।
"মায়ের একধার দুধের দাম
কাটিয়া গায়ের চাম,
পাপস বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না
এমন দরদি ভবে কেউ হবে না"
ফকির আলমগীরের গানের কথায় তা স্পষ্ট নির্দিধায়।

আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে মা দিবস বলে কোন দিবস ছিল, আমার বেড়ে ওঠায় কখনো শুনিনি।

অস্তিত্ববাদের মর্মপীড়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর পরিবার গুলো বন্ধনের আকর্ষণ ধীরে ধীরে হারাতে থাকে। তারা মা-বাবা, ভাই-বোনদের ছেড়ে একা বসবাসের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাতে শুরু করে। আধুনিক জীবন যাত্রার বহমান স্রোতে ভেসে যায় তাদের পারিবারিক আবেগ অনুভুতি। এমন অভিশপ্ত জীবনে যে তাদের পরিবারের জন্য কষ্ট হয় না, তা নয়! মানুষ বলে কথা!

জীবনের কোন না কোন বাঁকে পরিবার পরিজনদের জন্য বিশেষ করে মা-বাবার জন্য তাদেরও মন কাঁদে। মা দিবস নামে একটি দিবসে তারা সাধারণত তাদের মা-বার সাথেই সময় কাটায়। ঐদিন তারা তাদের মা-বাবার প্রতি ভালবাসার বহিঃ প্রকাশ ঘটায়।

আসুন একটু পর্যবেক্ষণ করি।
প্রত্যেক সুস্থ মানুষের কাছে তার শরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক অ্যামেরিকান যদি তার শরীরের কোথাও আঘাত পায় সে তার বহিঃপ্রকাশ কিভাবে করে?
উত্তর: আউচ্!

আর যদি আপনি, আপনার শরীরের কোথাও আঘাত পান তাহলে তার বহিঃ প্রকাশ কিভাবে করবেন?
উত্তর: মা-গো! অথবা ও-মা!

হউক না সেই মা বৃদ্ধা, অসুস্থ অথবা মৃত! তবুও মা আমাদের পাশেই থাকে সর্বক্ষণ! কারণ আমাদের প্রতি আমাদের মায়ের সেই ভালবাসার মধ্যাকর্ষণ শক্তি ক্রিয়া করে বিরতিহীন।
আবার বিজ্ঞানী নিউটনের সুত্র মতে "প্রত্যেকটি ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। সেই প্রতিক্রিয়ায় আমারা যে কোন প্রকার বিপদে, কষ্টে বা আঘাতে মাকে ডাকি।

কোন দিবস নয়! কারণ ছাড়াই মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে একবার বলেই দেখুন না "আমি দুঃখিত মা, তোমার ঋণ আমি কোন দিন শোধ করতে পারব না। কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি"।

তারপর কি হলো? নীচে কমেন্টস্ এর ঘর খোলা থাকল, সম্ভব হলে জানিয়ে, বাধিত করবেন-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.