![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব যৌনশিক্ষা বলতে আসলে যা বুঝায় তা হলো একটি মানুষে যৌন অঙ্গ অথবা যৌন প্রজনন, যৌনাচার, প্রজনন স্বাস্থ্য,এবং মানসিক সম্পর্ক, প্রজনন অধিকার ও দায়িত্বসমূহ, বিরতি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা অথবা বুঝিয়ে বলা । যৌন শিক্ষার জন্য প্রচলিত পন্থার মধ্যে রয়েছে, পিতা মাতা অথবা অভিভাবক, বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা, এবং জনস্বাস্থ্যের মাধ্যমে প্রচার করা ।
যৌন অঙ্গ অথবা যৌনাঙ্গ অথবা প্রাথমিক যৌন বৈশিষ্ট্য হোল শরীরের সে সকল অঙ্গ যে গুলো যৌন প্রজননে সংশ্লিষ্ট ও প্রজনন তন্ত্রের অংশ বিশেষ ।
পায়ূপথ এবং মলাধার
পায়ূপথ এবং মলাধার প্রজননের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকার কারনে একে সাধারনত ভাবে যৌনাঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় নাই । তবে যেহেতু মানুষ পায়ূকাম করছে এবং এতে পায়ূপথ,মলদ্বর ও মলাধার ব্যবহৃত হয় তাই এই দুটিকে যৌনাঙ্গ হিসেবে গণ্য করা যায় ।
পুরুষদেহের বীর্যের সৃষ্টি
প্রোস্টেট গ্রন্থি হচ্ছে পুরুষ দেহের একটি অংশ যা পুরুষের প্রজননতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত । কেবল পুরুষদেরই প্রস্টেট গ্রন্থি রয়েছে । এটাকে সচরাচর শুধু প্রোস্টেট হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে । এর আকার অনেকটা কাজুবাদামের সমান। মূত্রথলির তলদেশে থেকে যেখানে মুত্রনালীর শুরু সেখানটার চারপাশ জুড়ে এই গ্রন্থিটির অবস্থান । এর মধ্য দিয়েই মূত্র এবং বীর্য প্রবাহিত হয় । এই গ্রন্থির মূল কাজ হচ্ছে বীর্যের অন্যতম উপাদান একটি তরল আঠালো পদার্থ সৃষ্টি করা । শুক্রাণু এবং এই তরলের মিশ্রনেই বীর্যের সৃষ্টি ।
প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি হওয়ার
প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি হওয়ার অর্থ এটি মূলত একটি রোগ । এর কারণে প্রাথমিকভাবে যেসব উপসর্গ দেখা যায় তা হোল স্বাভাবিক প্রস্রাব নির্গমন প্রক্রিয়ার কিছু পরিবর্তন যেমনঃ দিনে কিংবা রাতে অথবা উভয় সময় ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবের ধারা সরু হওয়া, প্রচণ্ড বেগ সত্বেও প্রস্রাবের নির্গমন শুরু হতে দেরি হওয়া এবং প্রচণ্ড বেগ থাকা সত্ত্বেও তৎক্ষণাৎ প্রস্রাব করতে না পারা খানিকটা প্রস্রাব বেরিয়ে এসে কাপড়চোপড় ভিজে যাওয়া, প্রস্রাবের পর দীর্ঘসময় ফোটা ফোটা প্রস্রাব পড়া এবং প্রস্রাব করার পর অতৃপ্তি, যেন কিছু প্রস্রাব রয়ে গেল ইত্যাদি কারন । কেবল উল্লিখিত বয়সসীমার মধ্যে এরূপ উপসর্গ হলে প্রাথমিকভাবে প্রোস্টেটের বৃদ্ধি সন্দেহ করা যেতে পারে । বিলম্বিত উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্রাব আটকে যাওয়া অথবা প্রস্রাবের সাথে রক্তপাত এবং কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়া ইত্যাদি । আমাদের দেশে প্রায়ই রোগীরা প্রাথমিক উপসর্গগুলোকে অবজ্ঞা করেন এবং হঠাৎ প্রস্রাব আটকে গিয়ে প্রস্রাবের থলি ফুলে তীব্র ব্যথা ও অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাবের থলিতে দীর্ঘমেয়াদিভাবে এক লিটারের বেশি প্রস্রাব আটকে থাকে ও পাশাপাশি ঘন ঘন একটু আধটু প্রস্রাব হয় এবং অনেক সময় দেখা যায় ঘুমের মধ্যেও প্রস্রাব হয়ে বিছানা নষ্ট হয় । এ রকম অবস্খায় কোনো ব্যথা হয় না বলে অনেকেই এটাকে স্বাভাবিক মনে করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এসব রোগীই এক সময় দীর্ঘমেয়াদি কিডনি অক্ষমতার উপসর্গ নিয়ে বেহুশ অবস্খায় হাসপাতালে আসেন ।
এ রোগের চিকিৎসা
প্রোস্টেট বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা প্রচণ্ডভাবে বিঘ্নিত হলে কিংবা বিলম্বিত উপসর্গসহ তৎসঙ্গে জটিলতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে উপযুক্ত ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে । এখন পর্যন্ত সর্বজনস্বীকৃত চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রোস্টেট গ্রন্থির অপসারন । তবে প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হলেই অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হবে তা না । অনেকের ক্ষেত্রেই প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেয়ার আড়াই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয় না । এমনকি উপসর্গের প্রকোপ অনেক হ্রাস পায় । সে কারণে একজন বয়স্ক ব্যক্তির একটি বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের আগে অবশ্যই সবকিছু বিবেচনা করা আবশ্যয় প্রয়োজন আছে ।
প্রোস্টেট অপসারন করা প্রয়োজন
প্রোস্টেট অপসারণ দুইভাবে করা যায় । সনাতন পদ্ধতিতে তলপেট কেটে প্রোস্টেটের অপসারণ অথবা মূত্রনালীর ভেতর দিয়ে যন্ত্র ঢুকিয়ে এনডোস্কোপিক পদ্ধতিতে প্রোস্টেট অপসারন। আধুনিক বিশ্বে এনডোস্কোপিক পদ্ধতিতে ৯০ শতাংশ প্রোস্টেট অপসারণ করা হয় । যে পদ্ধতিতেই অস্ত্রোপচার করা হোক না কেন তা সুনির্দিষ্ট উপসর্গের কারণেই করা হয়ে থাকে ।প্রাথমিক, মাধ্যমিক কিংবা বিলম্বিত অবস্থার জন্য নয় কিন্ত। কাজেই প্রাথমিক অবস্থায় অপারেশন করাই যে ভালো তা ডাক্তারী শাস্ত্রে এমন কোনো চূড়ান্ত প্রস্তাব নেই।
অপসারণ পরবর্তী জটিলতা বিষয়
শল্যচিকিৎসা অথবা অপসারণের উদ্দেশ্যই হলো রোগীকে সমস্যামুক্ত করে জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক পর্যায়ে উন্নত করা । তবে যে কোনো অপারেশনের মতো প্রোস্টেটের অপারেশনেও বেশ কিছু ঝুকি আছে এবং অপারেশনের কারণে স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতাও দেখা দিতে পারে । ঝুকি এই কারনেই যে বার্ধক্যজনিত অনেক স্বাস্খ্যগত সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি প্রায়ই প্রোস্টেট রোগীদের মধ্যেও থাকে যা অপারেশন এবং এনেসথেসিয়া প্রয়োগজনিত শারীরিক মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে । তা ছাড়াও অস্বাভাবিক রক্তক্ষরন এবং নিয়ন্ত্রতীত সার্বক্ষণিক প্রস্রাব নির্গমন ইত্যাদি অবস্থা অপারেশনের পর সংকটজনক সমস্যা হিসেবেও দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হিসেবে প্রোস্টেট গ্রন্থির অবস্থানে মূত্রনালী শীর্ণ হয়ে পুনর্বার প্রস্রাব নির্গমনের সমস্যা কিংবা প্রস্রাব আটকে যেতে পারে। এছাড়া যৌন অক্ষমতা পরবর্তীকালে এই রোগের জটিলতা হিসেবেও দেখা দিতে পারে
বিলম্বজনিত জটিলতার কারন
প্রোস্টেট অপসারণের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন হলে তা যথাসময়ে করাই সব থেকে ভালো । তা না হলে প্রস্রাব আটকে গিয়ে সংকটময় অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে । যেমন দীর্ঘমেয়াদিভাবে প্রস্রাব আটকে যেতে পারে এবং পশ্চাৎমুখী চাপ বৃদ্ধি করে ক্রমান্বয়ে কিডনির কার্যকারিতা লোপ পেয়ে জীবনহানির কারনও হতে পারে । তা ছাড়া মূত্রথলিতে সার্বক্ষনিক প্রস্রাব জমে থাকার কারণে মূত্রথলির সংক্রমণ ও মূত্রপাথরি রোগও হতে পারে । এ ছাড়াও অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে প্রস্রাব করার কারণে উদর গহরের চাপ বৃদ্ধি পেয়ে হার্নিয়া এবং অর্শ রোগ দেখা দিতে পারে ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৮
ক্থার্ক্থা বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে অভিনন্দন
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৯
সুমন কর বলেছেন: শুভ ব্লগিং..................