নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিত্য নতুন স্বপ্ন দেখি,দূর থেকে তাই আড়াল করি।

কুশল রাজ রায়

আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে\nআসে নাই কেহ অবনি পরে\nসকলের তরে সকলে আমরা\nপ্রত্যেকে আমরা পরের তরে।\n\nএই আমার পরিচয়, আমার নীতি।\nফেইসবুকঃ- www.facebook.com/kushal.raj120

কুশল রাজ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কি বেনামী বাবা হয়ে জীবিত ছিলেন?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

অনেকদিনপর লিখতে বসলাম, যে সত্যটি নিয়ে লিখতে বসেছি তা কখনো এদেশেরও অংশ ছিলো। তিনি হচ্ছেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু যার মৃত্যু নিয়ে পর পর তিনটি কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ নেতাজীর মৃত্যুর সত্যিকার প্রমাণ খুঁজে পায়নি। ব্রিটিশ থেকে ভারতবর্ষের মুক্তির জন্য যিনি আমৃত্যু চেষ্টা করেছিলেন তার মৃত্যু রহস্য উৎঘাটনে কেন ভারতবাসী নীরব? তিনি বাঙালী বলে নাকি ভয় ছিল তৎকালীন তথাকথিত নেতাদের। আজ উনসত্তর বছর হতে চলল এখন পর্যন্ত নেতাজীর মৃত্যুর সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।




১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্টে তাইওয়ান এর তাইহুকু এয়ারপোর্ট। সময় দুপুর বারটা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বম্বার বিমান শেলী ৯৭-২ তাইপাই শহরে অভ্যাগমন করে। সেখানে জাপানী এবং বার্মার সেনাসদস্যদের সাথে ছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানায়ক সুভাষচন্দ্র বসু এবং তার সহযোগী কর্নেল হাবিবুর রহমান। দুইঘন্টার বিশ্রামের পর নেতাজী এবং তার সহযোগীরা তাইহুকু শহর থেকে একই বিমানে রওনা হয়েছিলেন সোভিয়েত রুশের উদ্দেশ্যে এবং সেদিনই ঘটলো ভারতবর্ষের ইতিহাসে শোকের ছায়া। তেইশ আগস্ট জাপানী এক সংবাদ মাধ্যম জানান দেয় নেতাজীর মৃত্যু খবর, জাপানী সংবাদ মাধ্যম মতে, তাইওয়ানে বিমান দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সুভাষ চন্দ্র বসুর কিন্ত নেতাজীর মৃত্যুর খবর অস্বীকার জানিয়েছিলো উনার জাপানী বন্ধুরা।



দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নেতাজীর স্ত্রীর নিকট কিছু লোক এসেছিলো টাকার বিনিময়ে কাগজে স্বাক্ষর করার জন্য কিন্তু পতিব্রতা স্ত্রী কেনো ছিড়ে দিয়েছিলো সেইসব কাগজ? রহস্যের মায়াজালে ঘেরা নেতাজীর মৃত্যুতে যেমন হারিয়ে গেছে একটি দেশ তেমনি সেই দেশের ইতিহাস।

ভারত স্বাধীন হওয়ার নয় বছর পর ১৯৫৬ ভারত সরকার নেতাজীর মৃত্যুর চার্জ গঠনের জন্য শাহনেওয়াজ কমিটি গঠন করে ১৯৭০ এও আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল কিন্ত বিভিন্ন প্রশ্নের বেড়াজালে থেমে যায় এই দুই কমিটি। এই কমিটি কখনোই তাইওয়ান সরকারের সহিত যোগাযোগ করেনি, স্থবির হয়ে যায় সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু রহস্য!



১৯৯৯ সালে মুখার্জী কমিশন নেতাজীর মৃত্যুর চার্জ নতুন করে শুরু করে তখনই আসল পর্দা ফাস হয় , তাইওয়ান সরকার থেকে জানানো হয় ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে কোনো প্লেন ক্রাশ হয়নি। ২০০৫ সালে মুখার্জী কমিশন রিপোর্ট ভারত সরকারের কাছে পেশ করলে তা খারিজ করা হয়। এতেই বোঝা যায় কোনো মহলের নিজস্ব ফায়দার জন্য নেতাজীর মৃত্যু রহস্য এখন পর্যন্ত শতকোটি ভারতীয় কাজে অজানা রাখা হয়েছে।



দেশ স্বাধীন হওয়ার পাচ বছর পর এক গুমনামী বাবার আবির্ভাব ঘটে। স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে রোল উঠে উত্তর প্রদেশের ফাইযাবাদ এর গুমনামী বাবা ই হলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। দেখতে হুবহু নেতাজীর মতন, মুখের অবয়ব, বলার ধরণ , চালচলন সবকিছুই ছিলো নেতাজীর মত। ধারণা করা হয় নেপালের রাস্তা হয়ে নেতাজী উত্তর প্রদেশে এসেছিলেন। তিনি প্রথমে ১৯৭৪ সালে অযোধ্যার নয়াঘাট এলাকায় এক পুরনো বাড়িতে থাকেন। তারপর তিনি চলে যান ফাইযাবাদ এর রামভবনে সেখানে তিনবছর থাকেন, অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে। সেখানকার সাধারন মানুষের ভাষ্যমতে যখন লোকজন উনাকে নেতাজী বলে সম্বোধন করতেন তখন তিনি উক্ত স্থান ত্যাগ করে নতুন জায়গায় চলে যেতেন । উনি তার সাথে সাক্ষাতকার করতে আসা মানুষের সাথে পর্দার আড়ালে কথা বলতেন।




গুমনামী বাবা মাঝে মাঝে স্থানীয়দের মাঝেপ্যারিস এর গল্প বলতেন, বলতেন তিনি প্যারিস গিয়েছিলেন সেখানকার মানুষ এবং অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতেন। ১৯৮৫ এর দিকে এই গুমনামী বাবার মৃত্যুর পর নেতাজীর ভাতৃকন্যা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন গুমনামী বাবার ঘরে পাওয়া ২৩ টি পেট্রায় নেতাজীর প্রিয় বই, উনার ব্যবহৃত তিনটি ঘড়ি, পারিবারিক ছবি আরো ও অনেক কিছু যা নেতাজী ব্যবহার করতেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.