নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুষ্টিয়ারশুভ

কুষ্টিয়ারশুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকজন নাস্তিক বনাম একজন মোল্লা (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

(মোহাম্মদপুরের কোন এক চায়ের দোকানে কিছু তরুণ বসে আলোচনা করছে)
১ম তরুণঃ তাহলে বুঝছ তো? আল্লাহ যদি থাকতই, তাহলে সমাজে কি গরীব থাকতো? ঐ লোকটার কি দোষ যে আল্লাহ তাকে গরীব করে বানাইছে?
(কথাটা কানে যেতেই দাঁড়িয়ে পড়ল মোল্লা। ভাল করে খেয়াল করল তরুণকে। মুখে ফ্রেঞ্চ কাট দাঁড়ি, DON 2 এর শাহরুখ খানের মত ঝুঁটি বাঁধা চুল, চে গুয়েভারার গেঞ্জি গায়ে... যাকে বলা হচ্ছে, সে সাধারণ একজন তরুণ। তাদেরকে ঘিরে বসে আছে আরও কয়েকজন, সবাইকে ভার্সিটি পড়ুয়াই মনে হল... বসল গিয়ে চায়ের দোকানে।)
উৎসুক শ্রোতা পেয়ে ১ম তরুণ আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল...
মোল্লাঃ ভাই, আপনার যুক্তিটা তো বুঝলাম না। সমাজে গরীব আছে বলে স্রষ্টা নেই, এটা কেমন কথা হল?
১ম তরুণঃ স্রষ্টা থাকলে তিনি কি আর গরীব লোকদের কষ্ট দেখে চোখ বুজে থাকতেন? অবশ্যই তিনি তার সৃষ্টিকে কষ্ট দিতেন না।
মোল্লাঃ এটা কোন কথাই হলনা। অনেক মানুষের অনেক টাকা পয়সা আছে, তারপরও তারা কষ্টে আছে। খালি গরীব হলেই কষ্ট, এটা ভুল। কষ্ট নাই, এমন কোন মানুষ পাইনি আমার জীবনে। কারো চেহারা নিয়ে কষ্ট, কারো টাক নিয়ে কষ্ট, কারো GF/BF কে না পাওয়া নিয়ে কষ্ট।
(.. উৎসুক শ্রোতারা, আশেপাশের আরও কয়েকজন, যারা এতক্ষণ নাস্তিকতার কথা শুনছিল, কিন্তু পাল্টা যুক্তি দেখাতে না পেরে মনে মনে কষ্ট পাচ্ছিল, সবাই মনোযোগ দিল)
...আপনার লজিকটা ভুল। অনেকটা এইরকম, NOKIA N8, N97 আর 6210 নিজেদের মধ্যে আলাপ করতেছে, “আমাদের মধ্যে যেহেতু বৈচিত্র্য আছে, সেহেতু NOKIA COMPANY বলে কিছু নাই”। এটা কোন কথা হল?
(বিন্দুমাত্র না দমে...)
১ম তরুণঃ কিন্তু আল্লাহ আছে, এই প্রমাণ কেউ করতে পারেনি, এর কোন প্রমাণই নেই, আপনার কাছেও প্রমাণ নেই, খালি অন্ধ বিশ্বাস।
মোল্লাঃ (দৃঢ়ভাবে) জী না, আমার কাছে প্রমাণ আছে। বরং স্রষ্টায় না বিশ্বাস করাটাই অন্ধ বিশ্বাস।
পাশ থেকে কেউ একজন : “ কিভাবে?? Zakir Nayek এর logic দিবেন তো? ওইটা তো Zakir Nayek না, Joker Nayek, ওর logic এর অনেক flaw আছে।’’
মোল্লাঃ আমি জাকির নায়েকের logic দিবনা। বরং আমি আপনাকে এমন প্রমাণ দিব যা আমাদের বাস্তবতা (Reality)কে পর্যবেক্ষণ করে নেয়া, যা চূড়ান্তভাবে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ করবে।
(এবার তারা কিছুটা উৎসাহিত হল)
দুইজন (সমস্বরে): কিভাবে?
মোল্লাঃ দেখেন, আমাদের এই মহাবিশ্বটার যদি শুরু থাকে, তবে এই প্রশ্নটা সামনে চলে আসে যে, তা কিভাবে শুরু হল?
১ম তরুণঃ কিন্তু মহাবিশ্ব তো শুরু নাও হতে পারে, অনন্তকাল ধরেও তো চলে আসতে পারে?
মোল্লাঃ না, মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে চলে আসতে পারেনা, এর অবশ্যই অবশ্যই শুরু আছে।
১ম তরুণঃ আপনি এত Sure হলেন কিভাবে?
(বাকিরা উৎসাহী নয়নে চেয়ে আছে...)
মোল্লাঃ মনে করেন, আপনি বাসে উঠার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনার সামনে আরও ৫ জন। আপনি কয়জনের পর বাসে উঠবেন?
কেউ একজনঃ ৫ জনের পর।
মোল্লাঃ যদি আপনার সামনে ১০ জন থাকে, তাহলে??
১ম তরুণঃ ১০ জনের পর।
মোল্লাঃ কিন্তু যদি আপনার সামনে অসীম সংখ্যক লোক দাঁড়িয়ে থাকে? তাহলে, কয়জনের পর বাসে উঠবেন?
(ব্যাপারটা হজম করতে সময় লাগল, কেউ কথা বলছেনা)
মোল্লাঃ তারমানে আপনি কোনদিন বাসে উঠতে পারবেন না। কারণ আপনার সামনের লাইন কোনদিনই শেষ হবেনা (যেহেতু অসীম)। সুতরাং আপনার serial কখনই আসবেনা। এখন এই মহাবিশ্ব যদি অনন্তকাল ধরে চলে থাকে, তবে একটা প্রশ্ন করি, পৃথিবীর জন্ম কবে হয়েছে? উত্তর হবে, পৃথিবীর জন্ম এখনও হয়নাই, কখনই হবেনা, কারণ পৃথিবীর জন্ম হওয়ার আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটতে হবে। আর অসীম মানে যার কোনও শেষ নাই, সেই ক্ষেত্রে পৃথিবীকে অনন্তকাল জন্ম হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, যেরকম আপনি লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন বাসে উঠার জন্য। আপনার সামনের লাইন কোনদিনও শেষ হবেনা, আপনিও বাসে উঠতে পারবেন না, পৃথিবীর সামনের লাইনও কোনদিন শেষ হবেনা। এখন মনে করি, পৃথিবীর সামনে সূর্য দাঁড়িয়ে আছে, জন্ম হওয়ার অপেক্ষায়, তারও কোনদিন জন্ম হবেনা, কারণ তার সামনের লাইনও তো অসীম! অসীমের সাথে ১ যোগ করলেও অসীম, ১ বিয়োগ করলেও অসীম, তাহলে আগের ঘটনাগুলোই যদি এখনও শেষ না হয়, তাহলে আমি, আপনি , পৃথিবী, সূর্য কোন কিছুরই অস্তিত্ব সম্ভব হতনা। অবশ্যই একটা ঘটনার মাধ্যমে মহাবিশ্বের শুরু হয়েছে, তারপর ১, ২, ৩, ৪, করে করে ঘটনাগুলো ঘটতে আরম্ভ করেছে... এখন আমি আপনি চায়ের দোকানে আলাপ করছি!
মাঝখান থেকে একজনঃ ভাই, আরেকটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
মোল্লাঃ কঠিন হয়ে গেল? আচ্ছা, মনে করেন, আপনি শত্রু পক্ষের কাউকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি করবেন। আপনার উপর ৫ জন BOSS আছে, পর্যায়ক্রমে যাদের অনুমতি পেলে আপনি গুলি করবেন। এখন আপনাকে যদি অসীম সংখ্যক BOSS এর permission নিতে হয়, তাহলে আপনি কখন গুলি করবেন? আপনার permission নেয়াও শেষ হবেনা, গুলিও কোনদিন করতে পারবেন না। আপনার বাসায় যদি অসীম সংখ্যক মালামাল থাকে তাহলে কোনদিনই বাসা change করতে পারবেন না। কারণ মালামাল নামানো কোনদিনই শেষ হবেনা।
(চায়ের দোকানদারকে)... ভাই, এক গ্লাস পানি দাও তো...
তারমানে কোনও একটা ঘটনা যদি ঘটে, বুঝতে হবে যে তার আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেনি, ঘটেছে সীমিত সংখ্যক ঘটনা, আর সীমিত ঘটনা মানেই, একটা শুরু আছে, তারপর ঘটনা গুলো ঘটতে ঘটতে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। সুতরাং মহাবিশ্বের অবশ্যই শুরু আছে। যেরকম ৫ জনের বা ১০ জনের পর আপনি বাসে উঠতে পারছেন, সেইরকম ৫টা, ১০টা বা ১০০টা ঘটনা ঘটার পর পৃথিবীর জন্ম হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণ হয়, মহাবিশ্বের শুরু আছে, এটা অনন্তকাল ধরে চলে আসা কোনও মহাবিশ্ব নয়।
(বিংশ শতাব্দীর শুরুতে গণ্ডমূর্খ নাস্তিক INTELLECTUAL দের, যে যুক্তি, উঠতি তরুণ সমাজের মাঝে নাস্তিকতার হাওয়া যুগিয়েছিল, তার এরকম পতন দেখে হতবাক হয়ে গেল তরুণগুলো)
(একটু নমনীয় সুরে...)
১ম তরুণঃ আপনার কথা ঠিক আছে... (অজানা ভয়ে... আমতা আমতা করে...) কিন্তু এতেও প্রমাণ হয়না যে স্রষ্টা আছে।
মোল্লাঃ এখন অবশ্যম্ভাবী প্রশ্নটা চলেই আসে, তাহলে মহাবিশ্ব কিভাবে শুরু হল, মানে সৃষ্টি হল। সে কি নিজেকে নিজে তৈরি করেছে, অর্থাৎ শুন্য থেকে নিজেই নিজেকে তৈরি করেছে নাকি অন্য কেউ তাকে তৈরি করেছে?
১ম তরুণঃ আপনার যুক্তিটা কি? Stephen Hawkings কিন্তু বলেছেন যে, কোন স্রষ্টা ছাড়াই এই মহাবিশ্ব নিজেকে নিজে তৈরি করেছে।
মোল্লাঃ (তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে...) Grand Design বইটার কথা বলছেন তো? ঐ বইয়ের সমালোচনার জবাবে হকিংস নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন যে,
“ স্রষ্টা নেই, এ কথা কেউ প্রমাণ করতে পারবেনা। কিন্তু বিজ্ঞান স্রষ্টাকে অপ্রয়োজনীয় বলে রায় দিয়েছে।’’
সুতরাং, ঐ বই থেকেও প্রমাণ হয়না যে স্রষ্টা নেই। বরং লেখক নিজেই বলছেন যে, স্রষ্টাকে আমাদের দরকার নেই। দরকার নেই, আর স্রষ্টার অস্তিত্ব নেই, দুইটা তো এক জিনিষ না। আর তাছাড়া বইটাতে বোকামিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
(ব্যাপারটা হজম করতে না পারলেও, এই মোল্লার দৌড় যে শুধু মসজিদ পর্যন্ত না, তা তারা ভালই বুঝতে পেরেছে।)
মোল্লাঃ তা ভাই, আপনার নামটা যেন কি?
১ম তরুণঃ রুম্মান।
মোল্লাঃ চা চলবে ভাই?... এই মামা, চা দাও সবাইকে...
রুম্মানঃ যা বলছিলেন, হকিংস...
মোল্লাঃ ও, হ্যাঁ। উনি বলেছেন যে, Gravityর কারণে এ মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকে শূন্য থেকে তৈরি করতে পারে।
রুম্মানঃ তো, এতে সমস্যা কোথায়? Virtual Gravitons এর কারণে এই Gravity তৈরি হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, শূন্য থেকে।
মোল্লাঃ সমস্যা আছে। Gravity একটা গাণিতিক সমীকরণ। দুইটা বস্তুর মাঝে ভর অনুপাতে আকর্ষণ বুঝাতে এটা ব্যবহৃত হয়। তো মহাবিশ্ব যদি শূন্য থেকেই আসে, তাহলে সেখানে কোন বস্তু ছিলনা, তো Gravity কোত্থেকে আসল সেই সময়? এইখানে আপনি বলছেন যে Virtual Gravitons ছিল, তো সেই প্রশ্ন এসে যায়, এরা কি অনন্তকাল ছিল? অনন্তকাল ধরে থাকতে পারেনা। আর একটা জিনিষ নাই, ছিলনা, আবার সেটা হইল, আবার নাই আবার হইল, এইটাত পুরাই Irrational কথাবার্তা। আপনার সামনে আমি দাঁড়াইয়া আছি, আবার গায়েব হয়ে গেলাম, আবার দাঁড়াইয়া আছি, আবার গায়েব হয়ে গেলাম... Science দেখি সিন্দাবাদের দৈত্যের মত কথা বলছে, Infact তার চেয়েও আজগুবি কথা বলেছে হকিংস। এই কারনেই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বেরনেস গ্রিনফিল্ড হকিংস কে তালিবানদের সাথে তুলনা করে বলেছেন যে, “যা খুশি তারা বলতে পারে, তালিবানদের মত তারা যখন বলে আমাদের কাছে সব প্রশ্নের উত্তর আছে, তখন তা আসলেই অস্বস্তিকর।’’ মানে Comment করতে তো আর পয়সা লাগেনা। Science বুঝেনা এরকম নাস্তিকরাই আসলে হকিংস রে নিয়ে কাউ কাউ করে। Richard Dawkins এইরকম একজন। আমাদের দেশের নাস্তিকগুলাও না বুইঝা ফালাফালি করে। অনেক বিজ্ঞানীই হকিংসের সাথে একমত না।
... আর gravity না হয় gravitons থেকে হইল, যেটার কারণে মহাবিশ্ব হইল, তাহলে gravitons কোত্থেকে হইলো? দ্বিতীয় আরেকটা প্রশ্ন হল, হকিংস শূন্য বলতে যে Quantum vacuum বুঝিয়েছেন, তা কিন্তু আসলেই শূন্য (nothing) না। সেখানে energy বিরাজ করত। এখন, energy আর gravity এই মহাবিশ্বেরই অংশ। হকিংসের কথার সাদামাটা মানে হল, আপনি নিজেকে তৈরি করেছেন শূন্য থেকে, নিজেকে তৈরি করার আগে আপনার হাত আগে থেকেই ছিল (যেটা আপনারই অংশ), তারপর সেই হাত আপনাকে তৈরি করেছে। তো প্রশ্ন হল, হাত কিভাবে ছিল? এটা একটা অবাস্তব কথাবার্তা।
মহাবিশ্বের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত একটা জিনিষ, মহাবিশ্ব তৈরি হওয়ার আগে থেকেই ছিল, এরপর মহাবিশ্বকে তৈরি করে সে নিজেই মহাবিশ্বের পেটের ভেতর ঢুকে পড়েছে, How Funny??? Seems like fairy tales!! অর্থাৎ আপনি আগে থেকেই ছিলেন, এরপর আপনার মাকে আপনি বানাইছেন, বানাইয়া তার পেটের ভেতর ঢুকে বসে আছেন, আর মায়ের কাছ থেকে পুষ্টি নিয়ে বেঁচে আছেন। LOL, মজা পাইলাম।
(পুরা দোকান মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনে যাচ্ছে, কেউ বুঝতেছে, কেউ বুঝতেছেনা, তবে সাধারণ জনগণ চাচ্ছে মোল্লাই জিতুক। চায়ে চুমুক দিয়ে...)
এর চেয়ে অবাস্তব কথা আর কি হতে পারে? এ থেকেই বুঝা যায়, মহাবিশ্ব শূন্য থেকে আপনা আপনি তৈরি হয়েছে, এরকম কোন সত্য প্রমাণ বিজ্ঞানের কাছে আদৌ নেই। এটা শুধু থিওরি হিসেবে হকিংসের কল্পনায় (Fantasy) আছে, যার বাস্তব ভিত্তি নেই। না হলে কি আর হকিংস সাহেব বলতেন, “স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব নয়”
এজন্যই আল্লাহ কুরআনে সুরা আত তুরে বলেছেন, “ তারা কি এমনি এমনিই তৈরি হয়েছে, নাকি তারা নিজেরাই নিজেদের স্রষ্টা? না তারা নভোমডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেছে? বরং তারা বিশ্বাস করেনা।’’
রুম্মানঃ (ব্যঙ্গ করে), এ কথা আপনি মহাজ্ঞানী বুঝলেন, আর হকিংস বুঝলনা??
মোল্লাঃ (তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে) হকিংস অজ্ঞানান্ধ (বিজ্ঞানে অন্ধ= অজ্ঞানান্ধ)। একজন রিকশাওয়ালাও তার চেয়ে Rational। এক রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিলো, “ চাচা, আল্লাহ আছে, এটা বুঝলেন ক্যামনে?” কিছুক্ষণ চুপ থেকে তিনি উত্তর দিলেন,
“ বাবারে, আমি প্যাডেল চাপি, চাক্কা ঘুরে, আর এতবড় দুনিয়া ঘুরতাছে, প্যাডেল তো কেউ একজন মারতাছে...”
হকিংস সাহেবের এই বোধ বুদ্ধিটাও নাই। হাহাহাহাহা, দেখেন না, এখন কমেডি শোতে অভিনয় করা শুরু করেছেন! এদের ব্যাপারেই আল্লাহ কুরআনে সুরা আল আরাফে বলেছেন, “ আর আমি সৃষ্টি করেছি দোজখের জন্য বহু জিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করেনা, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখেনা, তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শুনেনা। তারা চতুষ্পদ জানোয়ারের মত, বরং তার চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, উদাসীন।’’
২য় তরুণঃ তাহলে কি দাঁড়ালো? মহাবিশ্ব অসীম নয়, এর শুরু আছে। শুরুটা সে নিজে নিজে করেনি। তারমানে অবশ্যই কেউ একজন এই মহাবিশ্বকে শুরুতে সৃষ্টি করেছেন। ... (কিছুক্ষণ ভেবে) কিন্তু একটা সমস্যা তো রয়েই যাচ্ছে। তাহলে ঐ স্রষ্টা আসল কোত্থেকে? উনাকে কে বানাইছে?
★ (মোল্লাকে আটকানো গেছে ভেবে কতগুলো চোখ জ্বলজ্বল করে উঠল। বাকিরা দম বন্ধ করে ফেলল)
(চায়ে ধীরেসুস্থে চুমুক দিল মোল্লা। সবাই উৎসুক চোখে চেয়ে আছে।)
পাশ থেকে একজন খোঁচা মেরে বললঃ এটা তো শয়তানের প্রশ্ন। তুই তো শয়তান হয়ে গেলিরে।
(হাসির রোল উঠল...)
মোল্লাঃ স্রষ্টাকে যদি অন্য কেউ বানায়, তাহলে প্রশ্ন আসে, তাকে কে বানাল? সেই স্রষ্টার স্রষ্টা কে? এইভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় স্রষ্টার স্রষ্টা কে? এবং এভাবে ব্যপারটা আবার অসীম পর্যন্ত চলতে থাকবে। একটু আগেই কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি, কোন অসীম সংখ্যক ঘটনা সম্ভব নয়। তারমানে হোল, এই মহাবিশ্বের যিনি স্রষ্টা, তার কোন স্রষ্টা নেই।
রুম্মানঃ তাহলে তিনি অস্তিত্বে আসলেন কিভাবে? তিনি কি নিজেকে নিজেই বানিয়েছেন ?
মোল্লাঃ তাও সম্ভব নয়। একটা জিনিষ নাই, সে আবার নিজেকে নিজে কিভাবে বানাবে? আর নিজে যদি নিজেকে বানায়, তারমানে, নিজেকে বানানোর আগে তিনি ছিলেন না। নিজেকে যখন বানালেন তখন থেকে তার শুরু, তো কি দিয়ে বানালেন? আর শুরু মানেই তিনি সীমিত। আর তাকে যদি কেউ বানায়, তা নিজেই নিজেকে বানাক আর অন্য কেউ তাকে বানাক, এখানে physical properties চলে আসে। physical properties মানে তিনি নিয়ন্ত্রিত, তার উপর বৈশিষ্ট্য আরোপ করা হয়েছে, তাকে অন্য কারো ইশারায় চলতে হয়, তিনি স্বাধীন না। অথচ স্রষ্টা হতে হলে তাকে হতে হবে নিয়ন্ত্রণমুক্ত, স্বাধীন এবং অনির্ভরশীল। আর মূল কথা হল, একটা জিনিষ নাই, সে আবার নিজেরে কিভাবে, কি দিয়ে বানাবে? শূন্য থেকে আপনা আপনি কিছু হয়না, এটা তো আমরা একটু আগেই আলোচনা করলাম।
রুম্মানঃ তাহলে স্রষ্টা আসল কোথা থেকে?
মোল্লাঃ তিনি অসৃষ্ট। তিনি কোথাও হতে আসেন নাই। তিনি আগে থেকেই ছিলেন, চিরকাল থাকবেন।
(গুঞ্জন উঠল ভিড়ের মধ্যে, “এটা কি হল, বুঝলাম না”... “অসৃষ্ট মানে?”...“তাহলে মহাবিশ্বের অসৃষ্ট হতে সমস্যা কোথায়...?”)
(কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল মোল্লার।)
মোল্লাঃ আমার বক্তব্যটা একটু গুছিয়ে বলি। মহাবিশ্বকে Study করে আমরা বুঝলাম যে তার একজন স্রষ্টা আছে, তাইনা?
(আশপাশে তাকিয়ে তেমন একটা support পেলনা মোল্লা। দুই একজন হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল)
মহাবিশ্ব, স্রষ্টা ছাড়া সম্ভব না। এখন এই স্রষ্টাকে, হয়, কেউ তৈরি করেছে, না হয় তিনি নিজেকে নিজে তৈরি করেছেন। এ দুইটা বাদ দিলে মাত্র একটাই Option থাকে। আর তা হল স্রষ্টা অসৃষ্ট। এর বাইরে আর কোন Option নাই। প্রথম দুইটা Point যে ভুল, তা আমি আলোচনা করেছি। আর বাকি একটাই Option থাকে যে, তিনি একজন অসৃষ্ট স্রষ্টা (Uncreated Creator)। তিনি যদি অসৃষ্ট (Uncreated) না হন, তাহলে তিনিও ‘সৃষ্টি’ (Created) হয়ে যান। আমাদের বুঝতে হবে যে, ‘স্রষ্টা’ (Creator) আর ‘সৃষ্টির’ (Created) মধ্যে পার্থক্য আছে। সৃষ্টি মানেই সীমাবদ্ধতা (Limitation), নির্ভরশীলতা (Dependency), দুর্বলতা (weakness)। কিন্তু স্রষ্টা এসকল সীমাবদ্ধতার ঊর্ধে। এজন্যই স্রষ্টাকে সৃষ্টি করা যায়না। তাকে হতে হবে অসৃষ্ট (Uncreated)।
(এতক্ষণে কয়েকজন বুঝল, কিন্তু প্রশ্ন শেষ হয়নি)
রুম্মানঃ মহাবিশ্বের অসৃষ্ট হতে সমস্যা কোথায়? আর স্রষ্টার যে বৈশিষ্ট্য আপনি বলেছেন, তা তো কল্পনায়ও আনতে পারছিনা। পুরোপুরি বোধগম্যও হচ্ছেনা!
মোল্লাঃ মহাবিশ্বের ব্যপারটা তো বললামই, সে সীমিত (Finite), সে অস্তিত্বের জন্য নির্ভরশীল। আর যে অস্তিত্বের জন্য অন্য কারো উপর নির্ভরশীল, সে তো সৃষ্টি (Created)। এজন্যই তো সে অসৃষ্ট (Uncreated) নয়, তার একজন স্রষ্টাকে দরকার, কিন্তু স্রষ্টার অন্য কোন স্রষ্টাকে দরকার নেই। আর স্রষ্টার বৈশিষ্ট্য বোধগম্য হচ্ছেনা, স্বাভাবিক। স্রষ্টার Reality আর আমার আপনার Reality এক না। একটা Unknown Reality কে আপনি Known Realityর সাথে Match করাতে পারবেন না।
২য় তরুনঃ বুঝলাম না।
মোল্লাঃ মনে করেন আপনি কোনদিন আমেরিকার সাদা চামড়ার মানুষ দেখেন নি। এখন কেউ যদি আপনাকে এসে বলে, আমেরিকার মানুষের চামড়া সাদা, তো, আপনি কি বুঝবেন? আপনি বলবেন, দুধের মত সাদা? সে বলবে, না লাল সাদা। আপনি হয়ত বলবেন, দুধের মধ্যে আলতা দিলে যেরকম হয়, সেরকম?
(চায়ে চুমুক দিয়ে মোল্লা দেখল চা ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। পাশে রেখে দিল)
মোদ্দা কথা হচ্ছে, একটা অজানা Reality সম্পর্কে যদি আপনাকে এসে বলা হয়, আর আপনি যদি তা Sense করতে না পারেন, তবে কোনদিনই বুঝবেন না ঐ Reality কেমন। ঐ Reality বুঝতে হলে আপনাকে ঐ Reality তে অবস্থান করতে হবে। স্রষ্টার Reality আমাদের বুঝার বাইরের Reality, যা আমরা কখনই বুঝবনা। এজন্যই, হাদিসে, আল্লাহ কেমন, কিভাবে কাজ করেন, কেমনে থাকেন এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ একটা অজানা Reality সম্পর্কে চিন্তা করতে গিয়ে আমরা শুধু Fantasy নিয়ে পড়ে থাকব... এ কারনে আমরা মহাবিশ্বকে Study করে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারি, কিন্তু তিনি কেমন, কিভাবে থাকেন, কিভাবে কাজ করেন, তা প্রমাণ করতে পারিনা, এটা আমাদের আয়ত্তের বাইরে।
মাঝখান থেকে একজনঃ ও, সেজন্যই বুঝি স্রষ্টার কোন মূর্তি থাকতে পারেনা! ছবি থাকতে পারেনা? কারণ, তাকে যদি নাই দেখলাম, তার বাস্তবতা যদি নাই বুঝলাম, তাহলে তার মূর্তি বানালে তো তাঁর উপর মিথ্যা আরোপ করা হয়। তাকে তো দেখিইনাই কোনদিন, মূর্তি বানাব কেমনে? মূর্তি তো বানাব আমার কল্পনা দিয়ে, কিন্তু সেটা তো আর স্রষ্টা নয়!
(প্রশংসার দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাল মোল্লা, ভাবল, “নাহ, সব নাস্তিক গাধা না।”)
মোল্লাঃ Exactly! আপনি সঠিক Point টাই ধরেছেন। এ কারণেই ইসলাম বলেছে স্রষ্টার সাথে এ মহাবিশ্বের কোন কিছুর তুলনা করা যায়না। তিনি অতুলনীয়। তাই, মূর্তি বানালে স্রষ্টার উপর মিথ্যা আরোপ করা হয়।
(রঙ্গমঞ্চে এবার নতুন একজন আবির্ভূত হলেন।)
তিনি বললেনঃ তার মানে, আপনি বলতে চাচ্ছেন, স্রষ্টা Unlimited এবং Independent?
(মোল্লা ঘুরে তার দিকে তাকাল। মাঝবয়সী ভদ্রলোক, এক কোণায় বসে মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছিলেন এতক্ষণ। এঁর কাঁচাপাকা চুলও ঝুঁটি বাঁধা, চওড়া কপাল, ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি, ফুলরীমের চশমা সেইরকম একটা ভাব এনে দিয়েছে চেহারায়... মোল্লা বুঝল, Tough Guy... মজাটা শুরু হবে এখন...)
মোল্লাঃ জী, স্রষ্টা Unlimited এবং Independent।
(মৃদু হাসলেন ভদ্রলোক)
মাঝবয়সী বাবুঃ আপনি কি Quark এর কথা শুনেছেন? Quark কে কিন্তু আমরা প্রকৃতিতে আলাদাভাবে ... মানে স্বাধীনভাবে বিচরণশীল পাইনা। সুতরাং একে আপনি Limited বলতে পারবেন না। আবার একে নিয়ন্ত্রণও করা যায়না, মানে অন্য কেউ ওর উপর খবরদারি করতে পারেনা, সুতরাং একে Independent বলতে পারেন। তাহলে কি বলতে চাচ্ছেন, Quarkই আপনার আল্লাহ?? (হা হা হা)
মোল্লাঃ আপনার এই কথাটাই Atheist Bangladesh Group এর Admin আমাকে বলেছিল। তখন আমি Quark সম্পর্কে জানতাম না। তাই একটু ধোঁকায় পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখি, (হাত দিয়ে মাছি তাড়াবার ভঙ্গি করল মোল্লা)। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, Quark কে Laboratory তে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, এর ভর আছে, এর ঘূর্ণন আছে। সুতরাং একে আপনি Independent বলতে পারেন না। আর ধারণা করা হয়, Big Bang এর শুরুতে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ে এরা প্রকৃতিতে বিরাজ করেছিল, সুতরাং ‘Unlimited’ একটা জিনিষ ‘Limited’ মহাবিশ্বে বিরাজ করতে পারেনা। আপনি আমার আলোচনা এতক্ষন শুনে থাকলে বুঝবেন।
মাঝবয়সী বাবুঃ আল্লাহর ও তো বৈশিষ্ট্য আছে, তিনি কি জানি... (মনে করার ভান করলেন) আর রহমান, আর রহিম, বেগারা, বেগারা, তাহলে তাকে Dependent আর Limited বলছেন না কেন?
(ব্যাটার নির্বুদ্ধিতায় বিরক্ত হল মোল্লা, ভাবল, “গাধা কি আর গাছে ধরে?” চেহারায় ফুটে উঠল বিরক্তির ছাপ)
মোল্লাঃ উনি যে রহমান, রহিম এগুলা উনার Personality, এগুলা কোন Physical বৈশিষ্ট্য না। Quark এর বৈশিষ্ট্যগুলা Physical বৈশিষ্ট্য, Personality না। আর ফিজিক্যাল বৈশিষ্ট্য মানেই এগুলো আপনার উপর আরোপ করা হয়েছে, তার মানে আপনি Independent না, আপনি খাঁচার ভেতর অচিন পাখি। আপনার হাত দেড় ফুট লম্বা, এটা Physical বৈশিষ্ট্য, কিন্তু আপনি মানুষের সাথে ভাল আচরণ করেন, এটা আপনার Personality, Physical Property কাউকে Limited করে তোলে কিন্তু Personality কাউকে Limited করেনা।
(একটু যেন দমে গেলেন ভদ্রলোক)
মাঝবয়সী বাবুঃ কিন্তু... সবপারে, অর্থাৎ Omnipotent একজন স্রষ্টার কিন্তু সমস্যা আছে। আত্মবিরোধের সমস্যা।
(মোল্লা বুঝতে পারল অবশ্যম্ভাবী প্রশ্নটা এবার ধেয়েই আসছে...)
মাঝবয়সী বাবুঃ বলেন, আল্লাহ কি এমন কোন পাথর তৈরি করতে পারেন, যেটা উনি ধ্বংস করতে পারেন না? আপনি যদি বলেন, পাথর তৈরি করতে পারে, তাইলে তিনি ধ্বংস করতে পারবেনা, আর যদি বলেন এমন পাথর তৈরি করতে পারেন না, তাইলে তো আর এই স্রষ্টা সবকিছু পারেনা। দুইদিকেই সমস্যা। আত্মবিরোধ, সুতরাং আল্লাহ সবকিছু পারেন না!
(সবগুলা চোখ এখন মোল্লার দিকে)
মোল্লাঃ এটা একটা Logical প্রশ্ন, রাইট?
মাঝবয়সী বাবুঃ (মৃদু হেসে) হ্যাঁ।
মোল্লাঃ Logic সবসময় একটা Premise এর উপর ভর করে চলে। এই প্রশ্নটার Premise হল, “আল্লাহ সবকিছু পারেন”। এই কথাটার উপর ভিত্তি করে প্রশ্নটা করা হয়েছে। আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিব, তার আগে বলেন, আল্লাহ সবকিছু পারে, এটা আপনাকে কে বলেছে?
মাঝবয়সী বাবুঃ তারমানে, আল্লাহ সবকিছু পারেনা?
মোল্লাঃ না, আল্লাহ সবকিছু পারেনা।
(বোম্ব ফাটল যেন। উল্লাসধ্বনি শোনা গেল নাস্তিক শিবির থেকে। এই স্বীকারোক্তিতে মাঝবয়সী বাবুও হতভম্ব হয়ে গেলেন। আস্তিকরা দুরুদুরু বুকে তাকিয়ে আছে মোল্লার দিকে। মোল্লা চুপচাপ, শান্ত।)
মাঝবয়সী বাবুঃ তাহলে আপনার আল্লাহ সবকিছু পারেনা? হাহা (ব্যঙ্গ করে), তাহলে তিনি স্রষ্টা হওয়ার যোগ্যতা হারালেন। এরকম অযোগ্য স্রষ্টার দরকার নেই।
(রুম্মান চুপচাপ, সে নিবিড়ভাবে তাকিয়ে আছে মোল্লার দিকে। বুঝতে পারল, এত সহজে ঘায়েল করা যাবেনা মোল্লাকে)
মোল্লাঃ আল্লাহ সবকিছু পারেন না। তিনি ঘুমাতে পারেন না, খেতে পারেন না, মিথ্যা কথা বলতে পারেন না, অবিচার করতে পারেন না। কারণ এ কাজগুলো যদি তিনি করেন, তবে তিনি আর স্রষ্টা থাকেন না। এ কাজগুলো যদি তিনি পারেন, তবে তিনিও আমাদের মত ঘুম, খাওয়া দাওয়া স্বার্থপরতা এইসবের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন। আর স্রষ্টার পক্ষে এই ধরনের কাজ সাজেনা। সব কিছু যদি উনি পারেন, তাহলে উনার পক্ষে স্রষ্টা হিসেবে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে, আমি আপনি না হয় স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা বলি, ক্লান্ত হলে ঘুমাই, কিন্তু স্রষ্টার মিথ্যা বলার দরকার কি? ঘুমানোর দরকার কি? তিনি এসব দুর্বলতা থেকে মুক্ত বলেই তিনি স্রষ্টা। এই ব্যপারে কুরআনে আয়াতুল কুরসিতে বলা আছে। এইসব কাজ স্রষ্টার বৈশিষ্ট্যের সাথে সাঙ্ঘর্শিক। তিনি এই ধরনের Ungodly কাজ করতে পারেন না। আর আল্লাহ নিজেও কখনও দাবি করেন নি যে, তিনি “সব পারেন” বরং তিনি বলেছেন, “সবকিছুর উপর তিনি ক্ষমতাবান।’’ মানে সবকিছুকে control করার, destroy করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।
(একটু ইতঃস্তত ভাব যেন দেখা গেলো মাঝবয়সী বাবুর মাঝে, তবে হার মানতে নারাজ তিনি)
মাঝবয়সী বাবুঃ কিন্তু আমার প্রশ্নের সাথে তো আপনার উত্তরের কোন মিলই নাই। আমি কি জিজ্ঞাসা করলাম, আর আপনি কি উত্তর দিলেন?
মোল্লাঃ আমি ভেবেছিলাম, আপনি জ্ঞানী, বুঝে নিবেন। (দুইপাশে হাত ছড়িয়ে) যাই হোক, ঐ যে বলছিলাম, প্রশ্নটার premise ভুল। এই প্রশ্নে ধরা হয়েছে যে, “স্রষ্টা সবকিছু পারে”। এই ভিত্তিতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, “স্রষ্টা কি এমন কোন পাথর বানাতে পারে যা তিনি ধ্বংস করতে পারেন না?’’ premise ভুল এই কারনে যে, আমি একটু আগেই বললাম, স্রষ্টা আসলে সবকিছু পারেনা, উনি Ungodly জিনিস করতে পারেন না। দ্বিতীয়ত, এই প্রশ্নটার structure এও ভুল আছে। এই প্রশ্নটা logical প্রশ্ন। একটা Universal truth কে base ধরে এই method এ logic দাঁড় করান হয়। এই method কে বলা হয় logical deduction method। কিন্তু এই প্রশ্নটায় universal truth কে base ধরে করা হয়নি।
(একটু চিন্তা করে)
যেমন ধরুন, ‘মানুষ মরনশীল’ এটা একটা সার্বজনীন সত্য। এটাকে premise ধরে প্রশ্ন করা হল, ‘রহিম একজন মানুষ, রহিম কি মরণশীল?’.. কিন্তু আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তাতে বলা হয়েছে, এমন কোন বস্তু তৈরি করা যাবে কিনা, যা স্রষ্টা ধ্বংস করতে পারেনা? আমাদের আশপাশে এমন কোন উদাহরন নাই যেখানে কেউ কোন কিছু বানাল অথচ তা নষ্ট করতে পারেনা। আপনি যদি একটা গ্লাস বানান, আপনি জানেন, কত জোরে আঘাত করলে তা ভেঙ্গে যাবে। আপনি একটা কম্পিউটার বানালে জানেন যে, পানিতে চুবাইলে এইটা শেষ। এটা কখনই সম্ভব না যে, কেউ কোন একটা জিনিসকে তৈরি করেছে অথচ তা ধ্বংস করতে পারছেনা। তৈরি করার সাথে সাথেই ঐ জিনিষটার দুর্বলতা এবং নাড়ী নক্ষত্র স্রষ্টার জানা হয়ে যায়, যেভাবে আপনি জানেন আপনার তৈরি করা মেশিনটা কয়দিন সার্ভ করবে, কি করলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। এটা স্রষ্টার দুর্বলতা নয়, বরং সৃষ্টির, স্রষ্টাকে অতিক্রম করতে না পারার অক্ষমতা!
(ফাটা বেলুনের মত চুপসে গেলেন মাঝবয়সী বাবু। এ প্রশ্নের এরকম উত্তর তিনি জীবনেও শুনেন নি। মোল্লা যেভাবে প্রশ্নটার সার্জারি করে আবর্জনার স্তূপে ছুঁড়ে ফেলল, তাতে তিনি স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। অথচ এ প্রশ্ন দিয়েই তিনি কত তরুণকে নাস্তিক বানিয়েছেন, কত হুজুরকে ঘোল খাইয়েছেন, অপমান করেছেন!)

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

আমি সোহান !! বলেছেন: মহাবিশ্বের শুরু নিয়ে দুটো থেওরি প্রচলিত ছিল , একটা ফ্রেডরিখ হয়েলের steady state and the other one is big bang. একটা সময় steady state বাতিল হয়ে যায় কারন, হাবল টেলিস্কোপএ দেখা যায় নক্ষত্র, নীহারিকা সমুহ প্রসারণমান এটা প্রমানিত সত্য তাহলে অবশই এক সময় তারা একসাথে ছিল । এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই মহাবিষের একটা শুরু আছে প্রায় সব বিজ্ঞানীরা এতে একমত কিন্তু কিভাবে হল , কেন হল সেটা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: তথ্য দেবার জন্য ধন্যবাদ

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

আমি সোহান !! বলেছেন: ১৯৯২ সালে সু লেসলি কে দেওয়া হকিং এর সাক্ষাতকারের কিছু অংশ অনুবাদ করে দিলাম,
.................................
সু ঃ কিন্তু অনেকেই মনে করেন যে , আপনি কার্যকর ভাবে সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়েছেন, তাহলে আপনি কি সেটা অস্বীকার করেন ?
হকিং ঃ আমার গবেষণা যা দেখিয়েছে সেটা হল মহাবিশ্ব কিভাবে শুরু হয়েছে সেখানে সৃষ্টিকর্তার বেক্তিগত খেয়াল এ কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই । কিন্তু তবুও আপনার একটা প্রশ্ন থেকে যায় যে, মহাবিশ্ব অস্তিত্তের ঝামেলা কেন নিলো ? আপনার পছন্দ হলে আপনি বলতে পারেন এ প্রশ্নের উত্তরই সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞা।
..........................

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: তথ্য দেবার জন্য ধন্যবাদ

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

আমি সোহান !! বলেছেন: bigbang এর সাপেক্ষে যথেষ্ট প্রমান আছে , এক মাত্র মুসলিম নোবেল পাওয়া পদার্থ বিজ্ঞানি আব্দুস সালামও এতে একমত ,
আমি কিছু অনুবাদ করে দিলাম,
আপানদের কখনো টিভি দেখার সময় ডিশ চলে গেলে ঝির ঝির করে নাই ? করছে তো অবশ্যই আমি যদি বলি ওইটাই হচ্ছে বিগবাং এর রেডিয়েশন । অবাক হওয়ার কিছু নাই বিগবাং এর সময় যে রেডিইয়েশন হইছে তাঁর কিছুটা এখনো বিদ্যমান আছে এমনকি আপনি যে ঘরে এই মুহূর্তে আছেন সেখানেও রেডিও একটিভ ফোটন কনা ঘোরাঘুরি করতেছে । তবে এর রেডিয়েশন খুব কম ।
after glow of bigbang
is the universe free launch

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: তথ্য দেবার জন্য ধন্যবাদ

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

আমি সোহান !! বলেছেন: আমি যেখান থেকে লেখাটি নিয়েছেন সেটার সাথে আমি পরিচিত, তারা মাঝে মাঝেই সত্যের সাথে মিথ্যা ঢুকিয়ে দেয়, আগে থেকে জানা না থাকলে সেটা ধরা মুশকিল ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: যেখান থেকে লেখাটি নিয়েছি সেটা আমার পরিচিত নয়।
এই লেখাটিতে কোনো মিথ্যা তথ্য আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে যুক্তিগুলো অনেক সঠিক মনে হয়েছে। আমি হচ্ছি চায়ের দোকানের সাধারণ শ্রোতা মাত্র। তবে একজন ইমানদার শ্রোতা। যেই তথ্য/যুক্তি কোরআনকে সমর্থন দেবে তা আমি গ্রহণ করবো, প্রচার করবো। আর যেই তথ্য/যুক্তি কোরআনকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চাইবে, আমি বুঝে নেব সেই তথ্য/যুক্তি প্রদানকারী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত(অথবা কমপক্ষে, পুরোটা না জেনেই) মিথ্যা বলছে।
পুনশ্চ, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মো কবির বলেছেন: অনেক তথ্য দিয়েছেন। দারুন হয়েছে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

সজিব্90 বলেছেন: Excellent post, সাহস পেলাম ,এই blog এ কিছু আনাড়ি আছে তারা চুপ করে কেন বসে আছে কেন comments করছে না ,হয়ত বা ভয় পাইছে, এগিয়ে যান ,জাজাকাল্লাহ খায়ের।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: "সাহস পেলাম" মানে বুঝলাম না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: আমি সোহান !! বলেছেন: মহাবিশ্বের শুরু নিয়ে দুটো থেওরি প্রচলিত ছিল , একটা ফ্রেডরিখ হয়েলের steady state and the other one is big bang. একটা সময় steady state বাতিল হয়ে যায় কারন, হাবল টেলিস্কোপএ দেখা যায় নক্ষত্র, নীহারিকা সমুহ প্রসারণমান এটা প্রমানিত সত্য তাহলে অবশই এক সময় তারা একসাথে ছিল । এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই মহাবিষের একটা শুরু আছে প্রায় সব বিজ্ঞানীরা এতে একমত কিন্তু কিভাবে হল , কেন হল সেটা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এক কথায় উত্তর দিবেন আপনার মেধা পরীক্ষা চলছে।
প্রশ্ন: আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছে কিন্তু আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে?
--------------------------------------------------------------------
এর পর কথা হবে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫১

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: কোথায় আমার মেধার পরীক্ষা চলছে?
আপনার প্রশ্নের জবাব এই পোস্টেই দেয়া আছে।

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৩

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ , অসাধারণ একটা লেখা । সামুতে অনেকদিন পর একটা লেখা পড়লাম ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: ভালো লেগেছে লেখাটা।
তবে বাস্তব সমাজের মোল্লারা কিন্তু আপনার মোল্লার মত এত যৌক্তিক,জ্ঞানী ও শান্ত নয় বরং অন্ধ,উদ্ধত,সবশেষে মারমূখী। আপনার লেখার প্রধান চরিত্র মোল্লা কয়েক উঠতি নাস্তিকের সামনে প্রমান করতে চেয়েছেন শুধুই স্রষ্টার অস্তিত্ব। অথচ নাস্তিক মানেই এই নয় যে স্রস্টায় বিশ্বাস নেই।নাস্তিক শব্দটা একটা প্রপাগান্ডা।প্রচলিত ধর্মগুলোতে বিশ্বাস না করলেই নাস্তিক লেভেল লাগিয়ে দেওয়া হয়। যেমনটা আজকের বিশ্বে টেরোরিষ্ট আখ্যা দেয়া হয় একজন ইসলামিষ্ট মুসলিমকে।কথিত নাস্তিকদের খুব কম সংখ্যকই স্রষ্টায় অবিশ্বাসী।কোন বিজ্ঞানী বা সচেতন নাস্তিক প্রচলিত কোন ধর্মে বিশ্বাস না করলেও মহাবিশ্ব সৃষ্টি পেছনের অজ্ঞাত শক্তিকে অস্বীকার করতে পারেনা। আমার মতে স্রষ্টায় অবিশ্বাসী নাস্তিকরাও সমাজের প্রতিক্রিয়াশীল মোল্লাদের মত অন্ধ মুর্খ। সুতরাং আপনার গল্পের মোল্লা সাহেব ওয়াজ ট্রায়িং টু কিল এ ডেড হর্স।
তাঁর উচিত প্রচলিত ধর্মগুলো যে মহান স্রষ্টা প্রফেটদের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠিয়াছেন পারলে সেটার বৈজ্ঞানিক প্রমান দেয়া এবং উনার এবং আমাদের ধর্ম ইসলামের শ্রেষ্টত্ব-মহত্ব প্রচার করা।
ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: ১। "সুতরাং আপনার গল্পের মোল্লা সাহেব ওয়াজ ট্রায়িং টু কিল এ ডেড হর্স"
২। "আমার মতে স্রষ্টায় অবিশ্বাসী নাস্তিকরাও সমাজের প্রতিক্রিয়াশীল মোল্লাদের মত অন্ধ মুর্খ"
কথা দুইটি কিঞ্চিৎ পরস্পর বিরোধী। আমার গল্পের মোল্লা সাহেব ওয়াজ ট্রায়িং টু কিল দেয়ার অন্ধত্ব , মূর্খতা।

৩। "তাঁর উচিত প্রচলিত ধর্মগুলো যে মহান স্রষ্টা প্রফেটদের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠিয়াছেন পারলে সেটার বৈজ্ঞানিক প্রমান দেয়া এবং উনার এবং আমাদের ধর্ম ইসলামের শ্রেষ্টত্ব-মহত্ব প্রচার করা।" - আশা করছি সেটা করা যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: কিছু লিংক দিচ্ছি। কষ্ট করে পড়লে ও তার পরে মন্তব্য করলে উপকৃত হবো।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Nights/30046095
http://www.somewhereinblog.net/blog/Nights/30042619
http://www.somewhereinblog.net/blog/Nights/30043213
http://www.somewhereinblog.net/blog/Nights/30043747
http://www.somewhereinblog.net/blog/Nights/30044167
http://www.somewhereinblog.net/blog/Nights/30045843

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

ক্যাটম্যান বলেছেন: আচ্ছা ভাই ঘটনাটি ২ বছর আগের? সেই মোল্লার নাম মনে হয় Hamza Tzortzis আর নাস্তিক মনে হয় Lawrence Krauss। আর চায়ের দোকানটা মনে হয় iERA. যদি হয়ে থাকে তাহলে আমিও মনে হয় চায়ের দোকানের পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিলাম। আরও কেউ সেই দোকানে গিয়ে চায়ের চুমুক দিয়ে আসতে চাইলে সেই দোকানের লিঙ্ক দিলাম ।

আচ্ছা ধরেন ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ সংখ্যা আছে। ১ আর ২ এর মধ্যে পার্থক্য আমরা জানি ১। কিন্তু আপনি যদি দশমিকভাবে চিন্তা করেন তাহলে ১ আর ২ এর মাঝে পার্থক্য অসিম কিভাবে। ১.০০০০(অসিমসংখ্যকশূন্য)১, ১.০০০০(অসিমসংখ্যকশূন্য)২ এভাবে যদি যায় তাহলে ১ থেকে ২ এ আসতে অসীম সংখ্যা আছে। আবার ২ থেকে ৩ এর ক্ষেত্রেও ঠিক সেম। এখন আপনি এটাও তো বলে ফেলতে পারেন ১ + ১ = ৩
কারন ১ + অসীম = ২ বা ২ - ১ = অসীম
আবার ১ + অসীম + অসীম = ৩।
মানে ১ + অসীম = ৩
অর্থাৎ ১ + ১ = ৩ কারন ( অসীম = ১ )
এখন সেই অসীমকে আপনি যেঁকোন ভাবে ব্যবহার করতে পারেন । আপনার উদাহরে আপনি ব্যবহার করেছেন মহাবিশ্বের অনন্তকাল ধরে চলে আসা সময়ের যুক্তিকে প্রমান করার জন্য, আর স্রষ্টার স্রষ্টা নেই সেটা প্রমান করার জন্য । অসীমকে ব্যবহার করে যেঁকোন গাণিতিক জিনিস বানানোকে বলে “ প্যারাডক্স অফ ইনফিনিটি” । “অসীম” কে নিপাতনে সিদ্ধ চলক হিসেবে বসিয়ে যেঁকোন কিছু প্রমান করার জন্য। এটা দিয়ে এটাও প্রমান করা যাবে যেঁ পৃথিবী অবিনশ্বর এমনকি একটা সাপও অবিনশ্বর এটাও প্রমান করতে পারবেন । এটা খুবই অসাধু উপায়ে যুক্তিখণ্ডন বটে।

উল্লেখিত মোল্লা সাইন্সের কিছু অজানা বিষয় কিছু হাইপথেটিকাল বিষয়গুলো আর লগিক প্যারাডক্স ব্যবহার করেছেন খুব ধূর্ততার সাথে। চায়ের দোকানের আড্ডাটা কিন্তু ভালই জমে উঠেছিল। ধন্যবাদ, ব্লগটির জন্য।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: ১.০০০০(অসিমসংখ্যকশূন্য)১, ১.০০০০(অসিমসংখ্যকশূন্য)২।
এটা সম্ভব না। ১ দশমিক "অসিমসংখ্যকশূন্য" এর পরে ১,২ আসতে পারে না। কারণ অসীম এর পরে কিছুই থাকতে পারে না। "অসীম"-এর সংজ্ঞাই তাই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভালঐ

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ওয়াহিদ সাইম এবং ক্যাটম্যান খুব সুন্দর বলেছে, তাদের কমেন্টস গুলো আমার বশে ভালো লেগেছে। লেখককে আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম সে উত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে গেছে। আমার কমেন্টস এর উত্তর আমাকেেই দেয়া উচিত। কেন পাশ কাটিয়ে গেছে সেটা মনে আমি বুঝতে পেরেছি। কারন মানুষের ধারকরা লিখা পেস্ট করেছে মনে হয়, নিজের পেতে কিছু নােই।
আবারো প্রশ্নটা করলাম: আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছে কিন্তু আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে?

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন, ধার করা লেখা পোস্ট করেছি। পোস্ট-এর শিরোনামেই তা লিখে দিয়েছি। আপনি শিরোনামটা পড়েন নাই?
"নিজের পেটে কিছু নাই"- কথা সত্য।
আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আমার এই পোস্ট থেকেই তা কপি-পেস্ট করতাম। তা কেন করবো? আপনি কি পোস্টটা পড়েন নাই?
না পড়েই মন্তব্য করে চলেছেন?

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০১

সজা১২৩ বলেছেন: এ লেখাটা বিতর্কের ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবে। স্রষ্টায় বিশ্বাস: কারা সঠিক? (আশা করি আস্তিক-নাস্তিক উভয়ে একমত হবেন)

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকটি পড়লাম। মোটেই আস্তিকেরা একমত হবেন না।
কোনো ধর্মই বা কোনো কিছুই মানুষের সৃষ্ট না। মানুষ শুধু পরিবর্তন করে। কিছুই সৃষ্টি করে না।

১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: এখানে যারা তর্ক করছেন ধরে নিলাম তারা আর ষাট বছর বাঁচবেন! স্রষ্টা কি এই ষাট বছর পার হয়ে যাওয়া মাত্র উনি তার সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন!!! কাউকে এ উত্তর পেতে এইরকম ষাট বা একশ বছরের বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। জাস্ট এই কয়েক টা বছর ধৈর্য ধরেন!!!

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন ভাই।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। তবে আমি যা জানি তা হলো, এসব ব্লগ সাইটে এত তথ্য ও যুক্তি সম্পন্ন যে মানুষগুলো তর্ক-বিতর্ক করে তাদের একটাও বিনা স্বার্থে (বা এমনকি কম স্বার্থে) তা করে না। সাধারণত কেউই নিজে জানার জন্য বিতর্ক করে না এরা। প্রত্যেকেই অন্যকে প্রভাবিত করতে চায় (জেতার আশায় নয়, বরং কিছু পাবার আশায়)। যারা ইসলামের পক্ষ নেয় তাদের একটা অংশ আখিরাতের স্বার্থেই কাজ করে। বাদবাকি সবাই কাজ করে মোটা বিনিময় পাবার জন্যেই। যাদের পেটে এত তথ্য, এত যুক্তি তাদের সময়ের যথেষ্ট দাম আছে। অযথা ব্লগিং করে সময় নষ্ট করার মানুষ এরা না।
তাই কারো কোনো মন্তব্যে/পোস্টে বিচলিত হবার কিছু নেই। প্রত্যেকেই পেইড, প্রত্যেকটি লেখাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রত্যেকটি লেখার পেছনেই থাকে বড় বিনিময়ের প্রতিশ্রুতি ও আশা অথবা নগদ বিনিময়।

১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার ও অসাধারণ হয়েছে আপনার যুক্তিপূর্ন লেখা।

তবে পুরোটা পড়তে পারলাম না। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

পুরোটা পড়ে আবার আসব।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
লেখাটির আসল লেখককে আপনার প্রশংসাটা পৌছে দেয়া সম্ভব হবে না; দুঃখিত।
আবার আসলে খুশি হবো। ওয়েলকাম ব্যাক।

১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

কাবিল বলেছেন: চমৎকার শেয়ার, ভাল লাগল।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৭

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: ধন্যবাদ

১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

জেকলেট বলেছেন: একটা অসাধরন পোষ্ট পড়লাম সেই সঙ্গে দেখলাম চায়ের দোকানের সেই নাছোড় বান্দা ভদ্রলোকের মত কিছু ব্লগারের নিজের মতের উপড় নাছোড় মনভাব। উনারা জানার জন্য ব্লগিং করেননা। বরং কিভাবে জয়ী হওয়া যায় তার চেষ্টায় থাকেন।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২০

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: এসব ব্লগ সাইটে এত তথ্য ও যুক্তি সম্পন্ন যে মানুষগুলো তর্ক-বিতর্ক করে তাদের একটাও বিনা স্বার্থে (বা এমনকি কম স্বার্থে) তা করে না। সাধারণত কেউই নিজে জানার জন্য বিতর্ক করে না এরা। প্রত্যেকেই অন্যকে প্রভাবিত করতে চায় (জেতার আশায় নয়, বরং কিছু পাবার আশায়)। যারা ইসলামের পক্ষ নেয় তাদের একটা অংশ আখিরাতের স্বার্থেই কাজ করে। বাদবাকি সবাই কাজ করে মোটা বিনিময় পাবার জন্যেই। যাদের পেটে এত তথ্য, এত যুক্তি তাদের সময়ের যথেষ্ট দাম আছে। অযথা ব্লগিং করে সময় নষ্ট করার মানুষ এরা না।
তাই কারো কোনো মন্তব্যে/পোস্টে বিচলিত হবার কিছু নেই। প্রত্যেকেই পেইড, প্রত্যেকটি লেখাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রত্যেকটি লেখার পেছনেই থাকে বড় বিনিময়ের প্রতিশ্রুতি ও আশা অথবা নগদ বিনিময়।

১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৭

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। যথেষ্ট যুক্তি উত্থাপন করেছেন।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২২

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: এই লেখার প্রকৃত লেখককে আপনার প্রশংসাটি পৌঁছে দেয়া সম্ভব নয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৯

ক্যাটম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ,প্রতিউত্তরের জন্য। আপনি যেঁকোন সংখ্যার ডেসিম্যাল পয়েন্টে ইনফিনি পরিমান ঘর বসাতে পারবেন। এখন আপনি যদি ১. এর পর এককোটি শূন্য দেন এরপর এক দেন এভাবে করে করে ২.০ পর্যন্ত আসেন তাহলে আপনি একটা লিমিটেড ডেসিম্যাল পয়েন্ট পর্যন্ত আনতে পারবেন। সেটাও শেষ মাথা না। ডেসিম্যাল পয়েন্ট এর পর আপনি অসংখ্য সংখ্যা বসাতে পারবেন। আপনাকে বোঝানোর জন্য ধরে দিলাম ১.০০০ (অসীম-১ সংখ্যক শূন্য) তারপর ১ এভাবেও যদি যানপারও উত্তর অসীমই আসে। এভাবে গেলে ১ ও ২ এর পার্থক্য অসীমই হয়। আপনাকে আগের কমেন্টে যেঁ লিঙ্ক দিলাম সেটায় এ কথাই বলা হয়েছে। এভাবে প্রমান করা হচ্ছে প্যারাডক্স। নেট থেকে "প্যারাডক্স অফ ইনফিনিটি" একটু দেখে নিয়েন।

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পুনরায় মন্তব্যের জন্য। "প্যারাডক্স অফ ইনফিনিটি" সম্বন্ধে পড়লাম। কিন্তু আমার পোস্টের নায়ক মোল্লা সাহেব তো তা ব্যাবহার করেননি, বরং তার প্রতিপক্ষ নাস্তিকেরাই তা করছিলো- মোল্লা সাহেব তাদের ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন। আরেকবার ভালভাবে পড়লে বুঝবেন আপনার পূর্বের মন্তব্য ভুল ছিল।

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোস্টে কিছু নেই

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৪

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.