![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্য হচ্ছে মধবিত্তের আত্মরতি। সমাজে মধ্যবিত্তের মত বালাই আর নেই। নিম্নবিত্ত নিচু, সবার চেয়ে নিচুতে। এটা মেনে নিয়েই তার দিন কাটে। অন্যদিকে মধ্যবিত্ত যে নিম্নবিত্ত নয়, তা তাকে নিরন্তর প্রমাণ করে চলতে হয়। এই প্রমাণের অংশ হিসেবে সে সৃষ্টি করে সাহিত্য। সে বালছাল কিছু লেখে, কোনটার নাম দেয় কবিতা, কোনটার নাম দেয় উপন্যাস। তারপর এসব বগলদাবা করে নিয়ে বিত্তবানের দরজায় দাঁড়ায়। বলে, দেখুন, আমি সাহিত্য রচনা করি, আমি সৃষ্টিশীল, আমি সংস্কৃতিবান, আমি চাষাভুষো নই! বিত্তবান রোস্ট চাবাতে চাবাতে হাসিমুখে দেখে, তারপর চাবানো শেষে হাড্ডিটা ছুঁড়ে দেয়। মধ্যবিত্ত সেই আধখাওয়া হাড্ডিটা লুফে নেয়। তারপর 'নট-নিম্নবিত্ত' স্বীকৃতি নিয়ে হাসিমুখে ঘরে ফেরে!
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৯
লা অ্যালবাট্রস বলেছেন: ক্ষোভটা মধ্যবিত্তের উপর, মধ্যবিত্তের একধরনের স্টেরিওটাইপ সংস্কৃতিমনস্কতার উপর। খুব কাছ থেকে দেখেছি!
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল মধ্যবিত্ত ছিলেন না। তাই তারা প্রমাণ করবার জন্য কিছু লিখেনও নি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ!
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: লা অ্যালবাট্রস ,
মনে হয় ঠিক বলেন নি । বলতে পারেন - সাহিত্য হচ্ছে মধবিত্তের ভীমরতি । সম্ভবত অনেক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত আপনার এই লেখা ।
রবীন্দ্র নাথ এই বাঙলারই জমিদার , মাইকেল এর কাপড় লন্ড্রী হয়ে আসতো প্যারিস থেকে , বঙ্কিম সমাজের উঁচু তলার মানুষ, টলষ্টয় একজন কাউন্ট, ভাইস অ্যাডমিরাল জন ফাউলউইদার জ্যাক বায়রন এর নাতি লর্ড বায়রন ।
মনে হয় আপনি বুঝতে পেরেছেন....................
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩
লা অ্যালবাট্রস বলেছেন: আমি এতটা সফট হতে পারছি না, অনেক ক্ষোভ তো, তাই 'আত্মরতি'ই বলবো!
মাইকেল কিন্তু তৎকালীন সাদা চামড়াদের কাছে মধ্যবিত্তই ছিলেন। ভাত পাওয়ার জন্য ক্যাপটিভ লেডিফেডি লিখেছিলেন।
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপনার লেখায় অনেকগুলো পয়েন্টের সাথে দ্বিমত।
মধ্যবিত্ত সমাজের বালাই না। মধ্যবিত্ত হল সমাজের সিড়ি। কীভাবে? একজন মধ্যবিত্ত নিন্মবিত্ত কারোর সাথে তার মত করে চলতে জানে - আবার সে উচ্চবিত্ত কারোর সাথেও উচ্চবিত্তের রীতিতেই চলতে পারে। নিন্মবিত্তরা নিন্মকে ঘৃণা করে, উচ্চবিত্তরা কারোরই কোন খোঁজ রাখে। খোঁজ রাখে একমাত্র মধ্যবিত্তরাই।
তাদের মাঝে ভাবনা আসে সমাজ নিয়ে, সমাজের সমস্যা নিয়ে, প্রতিকার নিয়ে। সেই ভাবনার সঞ্চারটা হয় নিজেদেরকে নিয়েও। নিজের ক্ষোভ, রাগ, ভালবাসা, আবেগ এসব নিয়েও ভাবতে হয়। যেটা করতে হয় না কোন নিন্মবিত্তকে, যেটা করার কোন প্রয়োজনই পড়ে না উচ্চবিত্তের।
সেই ভাবনাগুলো থেকেই সৃষ্টি হয় সাহিত্যের। নিজেকে নিয়ে ভাবার কারণে নিজের মাঝের সৃষ্টিশীলতাকে ধরতে পারে। সেখান থেকেই তৈরি হয় - আপনার ভাষামত বালছাল লেখা - যেটাকে পরবর্তীতে উপন্যাস বা কবিতা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।
সাহিত্য মধ্যবিত্তের কোন আত্তরত্মি বা ভিমরতি নয় - এটা হচ্ছে মধ্যবিত্তদের নিজেদের চিন্তাধারা, সৃষ্টিশীলতা প্রকাশের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। সবচেয়ে সহজ মাধ্যম।
হ্যাঁ - সাহিত্যে উচ্চবিত্তরাও আছে, নিন্মবিত্তরাও আছে - কিন্তু গুটিকয়েক ছাড়া মধ্যবিত্ত সংগ্রামী সমাজের সিড়ি জাতীয় মানুষের সাহিত্যকর্মের আকর্ষণটাই বেশি।
আপনার ক্ষোভ কী নিয়ে জানিনা - কিন্তু মধ্যবিত্তদের বলতে গেলে আপনি অপমানই করেছেন।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৪
লা অ্যালবাট্রস বলেছেন:
প্রথমত, মধ্যবিত্ত কখনোই নিম্নবিত্তের সাথে দ্বিধাহীনভাবে মিশতে পারে না। তার মনে সবসময় ভয় কাজ করে, যদি মানুষ তাকেও নিম্নবিত্তের দলে গণ্য করে বসে। নিম্নবিত্তের সাথে কথা বলার সময় তার গলার স্বরই অন্যরকম হয়ে যায়। বেশিরভাগই কর্তৃত্বের সুরে কথা বলে, ঠিক তাদের সাথে যেভাবে বিত্তবানেরা বলে। আর কিছু শিক্ষিতরা বলে খুব দুখী দুখী ভাব নিয়ে। এই দুখী ভাব দেখে প্রতারিত হওয়ার কিছু নেই। মধ্যবিত্ত ভাবে শ্রমিক, চাষা ইত্যাদি গতরখাটা মানুষেরর কোনো সংস্কৃতি নেই, কোনো আনন্দ নেই, জীবনের ঘানি টেনেই তাদের দিন চলে ইত্যাদি। তারপর নিম্নকে উদ্ধারের অভিলাষে তাদের নিজস্ব ধ্যানধারণার আধিপত্য চালিয়ে রতিসুখ লাভ করে।
মোতাহের হোসেন চৌধুরীর 'শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব' প্রবন্ধটা দেখেন। মানুষের জীবনকে দোতলা ঘরের সাথে তুলনা করে বলেছেন:
" জীবসত্তা সেই ঘরের নিচের তলা আর মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব ওপরের তলা। জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই হচ্ছে শিক্ষা। "
টিপিক্যাল শিক্ষিত মধ্যবিত্তের বক্তব্য। তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন শিক্ষা মানে কোন শিক্ষা। তারা বলবে বইপত্র পড়ে শিক্ষা, সংস্কৃতির শিক্ষা।.....'সংস্কৃতি', 'শিক্ষা' খুব কনফিউজিঙ টার্ম!!
আর বিত্তবানদের সাথে মধ্যবিত্তের মেলামেশার ধরন তো আমার পোস্টে বলেছিই।
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
মেহেদী রবিন বলেছেন: তাই নাকি ! ! হাসালেন। আমি যদি বলি সমাজ মানেই মধ্যবিত্ত ? উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীরা হল সমাজের ক্যান্সার। একে অপরকে তৈরি করেছে। আর সাহিত্য সৃষ্টিশীল ব্যাপার। গান,চিত্রাংকন এর মত। সাহিত্য নিয়ে কেউ কারো কাছে ধর্না দেয় না। কোন প্রমাণ বা উদাহরণ নেই। বরং মানুষ নিজ তাগিদেই সাহিত্যকে গ্রহণ করে।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
লা অ্যালবাট্রস বলেছেন: আমার তো মনে হয় সাহিত্য নিয়ে সবসময় মানুষ অন্যের কাছে ধর্না দেয়। বই, পত্রপত্রিকা এসব ধর্না দেওয়ার এক একটা মাধ্যম।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০২
মানবী বলেছেন: ক্ষোভটা সাহিত্য, সাহিত্যিক না মধ্যবিত্তের উপর বুঝতে পারছিনা!
রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত ধনাঢ্য এবং ক্রিম অফ দ্যা সোসাইটির একজন ছিলেন!
নজরুল ইসলাম বিত্তহীণ হত দরিদ্র ছিলেন!
পোস্টের বক্তব্যের সাথে সহমত না হলেও লেখায় ঝাঁঝালো প্রকাশ ভালো লেগেছে পড়ে।
ধন্যবাদ লা অ্যালবাট্রস।