![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাক,ভালো লাগছে। এখন অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। হতাশার কিছু নেই,দালাল এবং ভাড়াটে ব্লগারদের যেখানে শেষ, আশা করি দেশপ্রেমিক ব্লগারদের সেখান থেকেই শুরু হবে। গণজাগরণকে বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না,দরকার কাউকে কাউকে লাথি মেরে মঙ্গা এলাকায়, কাউকে আবার সেই চট্টগ্রামেই পাঠিয়ে দেয়া হবে দালালি করার জন্য,ইনশাল্লাহ। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগে তাঁদের যায়গা হবে না, হবে না, হবে না। এটা দালালদের জন্য তিন নম্বর সতর্ক সংকেত।
শাহবাগ আন্দোলন করুণ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা দেখে আমাদের সবার দুঃখ উথলে উঠছে। আমরা এটা ঠিক না, ওটা ঠিক না বলে রায় দিচ্ছি। কিন্তু কেউ বলছি না, এসব কেন হলো? কি করলে আবার এই আন্দোলন চাঙা করা যাবে?
আমার উপলব্ধি হচ্ছে, আমরা যে কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে মাঠে নেমেছিলাম এবং আমাদের অভিযোগের তীরটা ছিল সরকারের দিকেই। গোড়া থেকেই আমরা অভিযোগ করছিলাম, সরকার বিচার নিয়ে টাল্টি পাল্টি করছে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে। যদিও টাল্টি পাল্টি না করে দ্রুত বিচার করলে সরকারই লাভবান হতো, তার সমর্থন আরো বাড়তো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই পথে যায় নাই। কারণ বিচারের বিষয়ে তাদের আন্তরিকতা থাকলেও আদর্শ তাদের অনেক দুর্বল।
৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে শুরু হওয়া শাহবাগ আন্দোলন আসলে গোড়া থেকেই পেট্রোনাইজড বাই আওয়ামী লীগ। ইমরান যে আওয়ামী লীগের লোক এটা আমাদের জানা ছিল। তবে এ নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। আওয়ামী লীগাররা অবশ্যই আন্দোলনে আসতে পারে, নেতৃত্বও দিতে পারে। এটা কোনো বিষয় না। বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ এই আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করে দিতে পারে না। কিন্তু এটাই হয়েছে।
কিছু মানুষ যখন এই আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছিল, তখন এর সঙ্গে যুক্ত হলো ছাত্রলীগ। তারা মঞ্চ দখল করে রাখলো। এসাইনড হয়ে এলো নাসিরুদ্দিন বাচ্চু। বলা হলো এটা ব্লগার-অনলাইন এক্টিভিস্টদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ও বেড়ে চলা আন্দোলন। কিন্তু একের পর এক লোককে মঞ্চে, সামনের সারিতে দেখা যেতে লাগলো, যারা কখনোই ব্লগার-অনলাইন এক্টিভিস্ট ছিলেন না। প্রথম আলোর এসাইনড এক মহিলাও আন্দোলনের নেত্রী হলো। ইমরানদের সংগঠন এককভাবে এই আন্দোলন তৈরি করে নাই। কিন্তু মঞ্চের চা বিড়ি টানার বদৌলতে অনেকে এই সংগঠনের নেতা হয়ে গেল। শাহবাগ আন্দোলনও চলতে থাকলো তাদেরই নেতৃত্বে। ইমরানরা সার্টিফিকেট দেয়া শুরু করল, কে, কারা এই আন্দোলনের সংগঠক! তাদের সংগঠনের না হলে আন্দোলনের কেউ না, এটা পত্রিকা অফিসে ফোন করে জানাইতে কসুর করল না। ফলত দেখা গেল, মঞ্চ থেকে এমন সব কর্মসূচী আসলো যা সরকারকে রক্ষা করল, কিন্তু আন্দোলনকে তার পথ খুঁজে নিতে দিল না।
আন্দোলনের মূল শক্তি ব্লগার-অনলাইন এক্টিভিস্টরা যে ধরণের কর্মসূচীর জন্য গলা ফাটাচ্ছিলেন, তা মঞ্চ থেকে আসেনি। আমরা সমাবেশ এখানে শেষ করে দিচ্ছি বলে ইমরান যখন মাইকে দাঁড়িয়ে সমবেত জনতার মত চাইছিলেন, তখন সবাই না বললেও হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠিত করা হলো। ব্লগার-অনলাইন এক্টিভিস্টদের মধ্যে আস্তিক-নাস্তিক সবাই থাকলেও আওয়ামী আদর্শধারীরা মোল্লাদের অভিযোগ ওঠার সাথে সাথেই ঝাঁপায়া পড়ল এটাকে আস্তিকদের আন্দোলন হিসেবে প্রমাণ করার জন্য। এর উৎস আওয়ামী নির্দেশনাই। তাদের নির্বাচনী প্রচারণাটা তো সিলেটে গিয়ে মাজার থেকেই শুরু হয়।
আমরা এসব নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করলেই ডাক এসেছে ঐক্যের। ঐক্যের ডাক দিয়ে তারা আবার মঞ্চে গিয়ে বসেছেন, পরিবেষ্টিত হয়ে থেকেছেন ছাত্রলীগ দ্বারা। দু একজন এ নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে কিল-ধাক্কা-গুতাও খেয়েছেন বলে শুনেছি। আমি অল্প বুঝি, সেই বুঝ বলে, আওয়ামী নিয়ন্ত্রিত আন্দোলন জনগণ করবে না। কারণ আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হইছে বলেই তার আন্দোলনে নামা লাগছে। জামাতিরা এই আন্দোলনকে এমন কোনঠাসা করতে পারতো না যদি এই আন্দোলন থেকে জামাতবিরোধী কর্মসূচী শুরুতেই দেয়া হতো। আওয়ামী লীগ জামাতকে কি করবে তা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে। এই আন্দোলনকেও তারা জামাতের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে যেতে তাই বাধা দিছে।
এই আন্দোলনের এই পরিণতি আবারো প্রমাণ দিল, আজকের যুগে শাসক শ্রেণী আর জনগণের কোনো লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম না। তারা এতটাই পঁচেছে। আওয়ামী লীগের দখল করার প্রবণতাই এই আন্দোলনের এই বেহাল দশার কারণ। এর চেয়ে বরং বামপন্থীরা এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকলে আরো ভালো ফল আসতো। সবচেয়ে ভালো হতো তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনটা তরুণদের হাতে থাকতে দিলেই। বুড়ারা এইটা গলাধঃকরণ করতে পারবে না, এটাই স্বাভাবিক।
এখনো সময় আছে। এই আন্দোলনকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়া সম্ভব। সেজন্য আগে নেতৃত্ব পাল্টাতে হবে। বর্তমান নেতৃত্ব ব্যর্থ হইছে। পদ আঁকড়ে দরে রাখার আগের কালচারেই যদি আমরাও থাকি তাইলে কিছু হবে না। আগের চক্রেই থাকা লাগব। নেতৃত্ব না পাল্টালে শাহবাগের আর সম্ভাবনা নাই বলেই আমার মনে হয়। শুধু নেতৃত্ব বদল না, গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে নেয়া ওপর মহলের সিদ্ধান্তকে আগে নাকচ করতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা, আন্দোলনকারিদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচী তৈরি করতে হবে। দলীয় পদধারী, দলবাজদের নেতৃত্ব থেকে সরাতে হবে। জামাত নিষিদ্ধে সরকারকে বাধ্য করার কর্মসূচী দিতে হবে। সরাসরি জামাতের বিরুদ্ধে কর্মসূচী দিতে হবে। অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স, স্যার!
(আনিস রায়হানের লেখা থেকে নেওয়া)
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৬
লতাদেশী বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৬
সিলেটি জামান বলেছেন: আর যাই হোক চাদর সরকার দিয়ে আর আন্দোলন হবেনা
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৫
লতাদেশী বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
ফরহাদুল হাসান অভি বলেছেন: @পিচ্চি পোলা কিসের ভিত্তিতে ছাগু টেস্ট পজিটিভ হয় একটু জানায় যাবেন। আমি আসলেই আজকে জানতে চাই কিসের বিবেচনায় ছাগু ট্যাগ দেয়া হয়। তারপর পোস্ট নিয়ে আলোচনায় আসব
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৬
লতাদেশী বলেছেন: শালাকে ব্লক করে দিয়েছি
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯
আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: পিচ্চি পোলা একজন বিখ্যাত ছাগু বিশেষজ্ঞ আওয়ামী হাম্বা। তাই তিনি তৃনভোজী প্রানী মানে উনার জাত ভাইদের সহজে চিনতে পারেন!
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
জোছনা কন্যা বলেছেন: আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: পিচ্চি পোলা একজন বিখ্যাত ছাগু বিশেষজ্ঞ আওয়ামী হাম্বা। তাই তিনি তৃনভোজী প্রানী মানে উনার জাত ভাইদের সহজে চিনতে পারেন!
সহমত
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৭
লতাদেশী বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
খালিদ মুহাম্মদ ইফতেখার আবেদীন বলেছেন: আপোষ করে আন্দোলন হয় না । যে ব্যাপক জনজাগরণ নিয়ে শাহবাগের যাত্রা শুরু হয়েছিল নেতৃত্বের ব্যর্থতা, সরকারের সাথে আপোষ ও আন্দোলনটিকে আওয়ামীকরণের জন্য সেটি তার আবেদন হারিয়েছে । এ কারণেই আশুলিয়ার বলার মতো কোন জনসমাগণ হয়নি । সাধারণ মানুষ এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে ।
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
রাফা বলেছেন: এটা কোন এক বা কতিপয় ব্লগারের আন্দোলন নয়।এই আন্দোলনের সৈণিক লক্ষ লক্ষ ব্লগার ছাড়াও সাধারন মানুষ।মুলত জনগণই এই আন্দোলনের প্রাণ।কাজেই এই আন্দোলন ব্যার্থ হোতে পারেনা।থমকে দাড়িয়ে পেছনে দেকছে শুধু।
জয় বাংলা।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৯
লতাদেশী বলেছেন: আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে না, হতে দেয়া যাবে না। দেশের তরুন সমাজ আন্দোলনকে এগিয়ে নিবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৯
মোঃ উরমান বলেছেন: সহমত