![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের জীবন বিপন্ন করে সাভারের গণহত্যার রানা প্লাজা থেকে স্বেচ্ছাসেবক ওমর ফারুক বাবু উদ্ধার করেছিলেন কমপক্ষে ত্রিশজন জীবিত মেহনতি শ্রমিককে। আমাদের মিডিয়াগুলো তাঁকে সেদিন হিরো বানিয়েছিলো। ধ্বংসস্তুপ থেকে আহত শ্রমিকদের দেহগুলো নিজের কাঁধে নিয়ে বেড় হতে হতে এক সময় নিজেই খুব অসূস্থ্য হয়ে যান এই জাতীয় বীর বাবু। পরে তাঁর ঠাঁই হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বারান্দায়। কিন্তু আমরা বাবুর জন্য সিঙ্গাপুর তো দূরের কথা, বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালের একটি বেডও যোগাড় করতে পারিনি। সেখান থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হবার দুইদিন পর বাবুর লাশ পাওয়া গেল ঢাকা মেডিকেলেরই একটি তালাবদ্ধ বারান্দায়।
এখন কী আমাদের মিডিয়াগুলো বাবু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য রহস্য উম্মোচনে মাঠে নামবে? রাষ্ট্র কী তাঁর কফিনে একটি জাতীয় পতাকা দিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? উত্তর,না।
বাবু এখন আর পন্য নয়, বাবুর মৃতদেহ কোন সেলিব্রেটি চরিত্র নয়। তবে একদা বাবু পন্য ছিলেন, তাই সেইদিন বাবু দেশের অনেক পত্রিকার শিরোনামও হয়ে ছিলেন। তাঁর অসূস্থ্যতা নিয়েও পত্রিকা লিখেছিলো যে,উদ্ধার করতে গিয়ে জমাটবাধা রক্তের গন্ধে একসময় বমি করে দেন বাবু। মাথা ঝিম ধরে ওঠে তাঁর। চোখ আবছা হয়ে আসে। তারপরও বাবু উদ্ধার থামাননি। মনোবল নিয়ে আবারও নেমে পড়েন উদ্ধার কাজে।
আমাদের মিডিয়া বা রাষ্ট্র বাবুকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা না দিলেও আসুন এই বিকল্প মিডিয়াতে আমরা বাবুকে যথাযোগ্য সম্মান জানাই। বাবু ,আমাদের ক্ষমা করো। লাল সালাম প্রিয় কমরেড ওমর ফারুক বাবু।
২| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
ধৈঞ্চা বলেছেন: ছোট বেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম "সোনার হরফে লেখা নাম" গল্পটা সম্ভবত সিক্স বা সেভেনের বাংলা বইয়ে ছিল।
বাবুদের মত বীররা মিডিয়া কভারেজ বা লোক দেখানোর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে না। তারা সত্যিকার অর্থেই খাটি সোনা, দরকার নেই কোন রাষ্ট্রীয় মর্যাদার তারা বেচে থাকবে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের হৃদয়ে অনন্তকাল।
৩| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
ইউরো-বাংলা বলেছেন: চোরঞ্চিত বাবুদের কল্যানে আজ অনেক কিছুই ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে, এ ঘটনাটিও তাদের মধ্যে একটি।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
ইয়ার শরীফ বলেছেন: বাবু ,আমাদের ক্ষমা করো