![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সাধারন মানুষ,বাংলাদেশের একজন অসচেতন নাগরিক ।
জমজম কুয়া মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক কুয়া। এটি কাবা থেকে প্রায় ২০ মি ৬৬ ফুট দূরে অবস্থিত। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী নবী ইবরাহিম (আঃ) তার স্ত্রী হাজেরা (আঃ) এবং শিশুপুত্র ইসমাইল (আঃ) কে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়। মসজিদুল হারামে আগত লোকেরা এখান থেকে পানি পান করেন।ইসলামের ইতিহাসে জমজম কুয়ার উৎপত্তি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। নবী ইবরাহিম (আঃ) তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরা (আঃ) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আঃ) কে আল্লাহর আদেশে মক্কার বিরান মরুভূমিতে রেখে আসেন। তার রেখে যাওয়া খাদ্য পানীয় শেষ হয়ে গেলে হাজেরা (আঃ) পানির সন্ধানে পার্শ্ববর্তী সাফা এবং মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার ছোটাছুটি করেছিলেন। সেসময় ক্রন্দনরত শিশুপুত্র ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারা বেরিয়ে আসে। ফিরে এসে সেই দৃশ্য দেখে হাজেরা (আঃ) পাথর দিয়ে পানির ধারা আবদ্ধ করলে তা কুয়ায় রূপ নেয়। সেসময় হাজেরা (আঃ) পানিকে জমজম তথা থামো বলায় তখন থেকেই এর নাম জমজম হয়েছে।পরবর্তীতে নবী ইবরাহিম (আঃ) এর পাশে কাবা পুননির্মাণ করেন। পূর্বে আদম (আঃ) এর সময় এটি নির্মিত হলেও পরবর্তীকালে ধ্বংস হয়ে যায়। মুসলিমরা নামাজ পড়ার সময় কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। জমজম কুয়া কাবা থেকে প্রায় ২০ মি (৬৬ ফুট) দূরে।জমজম কুয়া বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়। প্রথমে এটি পাথর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে খলিফা আল মনসুরের সময় ৭৭১ সালে এর উপর গম্বুজ এবং মার্বেল টাইলস বসানো হয়। পরবর্তীতে খলিফা আল মাহদি এটি আরো সংস্কার করেন। বর্তমানে কুয়া কাবা চত্বরে দেখা যায় না।
এটি ভূগর্ভস্থ অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং সেখানে থেকে পানি পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলন করা হয়। মসজিদুল হারামের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করা হয়।বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন সউদ জমজমের পূর্ব এবং দক্ষিণে পানি পান করানোর জন্য দুটি স্থান নির্মাণ করেন। দক্ষিণ দিকে ৬টি এবং পূর্বদিকে ৩টি টেপ লাগানো হয়। বর্তমানে কাবা ঘরের ২১ মিটার দূরে অবস্থিত এই কূপটি থেকে ২০ লক্ষাধিক ব্যারেল পানি উত্তলিত হয়। এই কূপটি বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ডে রয়েছে। এই কূপের পানি বণ্টনের জন্য ১৪০৩ হিজরিতে সৌদি বাদশাহের এক রাজকীয় ফরমান অনুযায়ী হজ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইউনিফাইড জামাজেমা দফতর গঠিত হয়। সেই দফতরে একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্টসহ মোট ১১ জন সদস্য এবং ৫ শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:২৪
লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যববাদ ভাইজান । শুভ সকাল ।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:২৫
লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ সকাল ।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখা পাগলা, এসব তথ্য পরিবেশনের জন্য। 'জমজম' মানে থামো, এটা আগে জানা ছিলনা।
১০ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৫
লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।