নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেসে আগে একটা ব্লগ এখন আর না এই নামেই ছিল । তাই সে নামই রাখলাম । আমার ব্লগ লেখা পাগলা ।

লেখা পাগলা

একজন সাধারন মানুষ,বাংলাদেশের একজন অসচেতন নাগরিক ।

লেখা পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর প্রথম মানব ও রাসুল আদম (আঃ)

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩


আদম আব্রাহামীয় ধর্ম এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীতে উল্লেখিত একজন ব্যক্তি। এছাড়াও ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাস অনুসারে তিনি হলেন প্রথম সৃষ্ট মানব। এবং ইসলাম ধর্মের বর্ণনা মতে তিনি আল্লাহ প্রেরিত রাসুল বা বাণীবাহক ও ইসলাম ধর্মে তাকে হযরত আদম (আঃ) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তার স্ত্রী ছিলেন হাওয়া (আঃ)। আব্রাহামিক ধর্মানুসারে হাওয়া (আঃ) কে হবা বলা হয় আর ইসলাম ধর্মে তাকে হাওয়া (আঃ) বলা হয় এবং তিনিই হলেন পৃথিবীর সর্ব প্রথম নারী ।
তাদের দাম্পত্য সঙ্গী হলেন আদম (আঃ),হাওয়া (আঃ),ও সন্তান হাবিল, কাবিল,শিস,এবং অন্যান্য পুত্র ও কন্যা ।
প্রথম মানব ও প্রথম রাসুল
সকল আব্রাহামীয় ধর্মের ঐশ্বিক গ্রন্থ মোতাবেক আদম ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট প্রথম মানব। পবিত্র কোরানের বর্ননা থেকে জানা যায় আল্লাহ যখন ফেরেশতাদেরকে জানালেন যে তিনি পৃথিবীতে তার প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন তখন ফেরেশতারা বলল,

আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত আপনার গুণকীর্তন করছি এবং আপনার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি?” তখন আল্লাহ বলেন “নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জানো না।


আব্রাহামীয় ধর্মের বিভিন্ন গ্রন্থ অনুসারে ঈশ্বর তাকে খরখরে মাটি থেকে সৃষ্টি করেন। তারপর তার দেহে প্রাণ সঞ্চার করেন। হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয় আদমের পাজর থেকে। সৃষ্টির পর তাদের আবাস হয় বেহেশত বা জান্নাতে । মানুষ যেহেতু সকল সৃষ্টির সেরা তাই আল্লাহ ফেরেশতাকুলকে আদেশ করেন আদমকে সিজদা করার জন্য। ইবলিশ ব্যতীত সকল ফেরেশতা এই আদেশ প্রতিপালন করেন। কুরআনে বলা হয়েছে,

আমি আদমকে পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি নিযুক্ত করিব।(সূরা আল বাকারা, আয়াত: ৩০)

কুরআনে আদম এর নাম ১০টি সুরার ৫০ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা আল বাকারা:২/৩০-৩৭=৭, সুরাআলে ইমরান ৩/৩৩,৫৯ সূরা আল আরাফ, সূরা ইসরা, সূরা আল কাহফ এবং সূরা ত্বোয়া-হাতে তার নাম, গুনাবলী এবং কার্যাবলী আলোচনা করা হয়েছে। সূরা আল হিজর ও সূরা ছোয়াদে শুধু গুণাবলী এবং সূরা আল ইমরান, সূরা আল মায়িদাহ এবং সূরা ইয়াসীনে আনুসঙ্গিক রুপে শুধু নামের উল্লেখ আছে।

আবূ হূরায়রা থেকে বর্ণিত যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন আল্লাহ আদমকে সৃষ্টিকালে তার উচ্চতা ছিল ৬০ কিউবিট এবং মানুষ বেহেশতে প্রবেশকালে আদমের আকার লাভ করবে।

আদম ও হাওয়াকে স্বর্গ থেকে বিতাড়ন
সৃষ্টির পর আদম এবং হাওয়ার অবস্থান ছিল বেহেশতে বা স্বর্গে। সেখানে তাদের জন্য গন্ধম ফল খওয়া নিষিদ্ধ ছিল। শয়তানের প্ররোচনায় হাওয়া গন্ধম ফল খেয়ে ফেলেন এবং আদমকে এ ফল খেতে উৎসাহিত করেন। এটি মানুষের আদিপাপ বলে পরিগণিত হয়। এর শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ তাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়ন করেন এবং শাস্তিস্বরূপ তাদের পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন। আদম এবং হাওয়া পৃথিবীর ভিন্ন দুটি স্থানে অবতরণ করেন। আদম অবতরন করেন সিংহল। দীর্ঘদিন পর আরবের আরাফাত নামক প্রান্তরে তাদের পুনর্মিলন হয়।
পৃথিবীতে আগমনের পর আদম ও হাওয়াকে আল্লাহর তরফ থেকে ক্বাবাগৃহ নির্মাণের আদেশ প্রদান করা হয়। ক্বাবা নির্মিত হয়ে গেলে তাদেরকে তা তাওয়াফ করার আদেশ দেয়া হয়। বর্ণিত আছ আদম কর্তৃক নির্মিত ক্বাবা নূহের মহাপ্লাবন পর্যন্ত অক্ষত ছিল।
পৃথিবীতে আগমনের পর তাদের ১৪০ জোড়া সন্তান হয়। আলোচিত সন্তানগণ হলেনঃ হাবিল, কাবিল, আকলিমা, গাজাহ।এবং তাদের সন্তান শিস (আঃ) ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

রাঘব বোয়াল বলেছেন: এই ধরনের পোস্টে এই সকল ছবি দেয়ার মানে খুঁজে পাচ্ছিনা। দয়া করে ছবিগুলো ডিলিট করে দেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

লেখা পাগলা বলেছেন: রাঘব বোয়াল ভাই অন্য কিছু মেন করে ছবি গুলো দেয়া হয়নি । আসলে এই লেখার সূত্র যেখান থেকে নেয়া সেখানেই ছবি গুলো পাওয়া । তাই পোস্টে সংযোগ করেছিলাম । আসলে বুঝে উঠতে পারিনী ।দুঃখীত ক্ষমা করবেন । ধন্যবাদ সুপ্রভাত ।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আব্রাহামিক ধর্মানুসারে - এই কথাটা বিভিন্ন জায়গায় লিখেছেন। কিন্তু আপনার এই গল্প আব্রাহামিক ধর্মানুসারে ভিন্ন রকম। বাইবেলে একরকম এবং কোরআনে আরেক রকম। সুতরাং যখন আপনি লিখছেন "আব্রাহামিক ধর্মানুসারে"- তখন কোরআন এবং বাইবেল একি কথা বলছে এমনটা মনে হওয়া স্বভাবিক- যা আদৌ সত্য নয়।

আপনি যে গল্পটা লিখছেন তা মুলত ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে নেওয়া। কোরআনে এর কোন কিছুই নেই (কোরআনের আয়াত গুলি ছাড়া- যার অর্থ বুঝতেও ভুল হয়েছে)। কিছু উদাহরণ দেই, তাহলে বুঝতে পারবেনঃ

১। আব্রাহামীয় ধর্মের বিভিন্ন গ্রন্থ অনুসারে ঈশ্বর তাকে খরখরে মাটি থেকে সৃষ্টি করেন- কোরআনে বলা আছে কাদামাটি, খরখরে মাটি না।

২। "হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয় আদমের পাজর থেকে।"- ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে, কোরআনে এইধরনের কোন কথা নেই।

৩। তার স্ত্রী ছিলেন হাওয়া (আঃ)। - ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে (ইভ), কোরআনে তার স্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।

৪। সৃষ্টির পর তাদের আবাস হয় বেহেশত বা জান্নাতে ।- ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে। আপনার দেওয়া কোরআনের আয়াত --"আমি আদমকে পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি নিযুক্ত করিব।(সূরা আল বাকারা, আয়াত: ৩০)" লক্ষ্য করুন।

৫। সেখানে তাদের জন্য গন্ধম ফল খওয়া নিষিদ্ধ ছিল-ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে, কোরআনে এইধরনের কোন কথা নেই।

৬। সৃষ্টির পর আদম এবং হাওয়ার অবস্থান ছিল বেহেশতে বা স্বর্গে। সেখানে তাদের জন্য গন্ধম ফল খওয়া নিষিদ্ধ ছিল। শয়তানের প্ররোচনায় হাওয়া গন্ধম ফল খেয়ে ফেলেন এবং আদমকে এ ফল খেতে উৎসাহিত করেন। এটি মানুষের আদিপাপ বলে পরিগণিত হয়। এর শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ তাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়ন করেন এবং শাস্তিস্বরূপ তাদের পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন।- এটা মুলত ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা। কোরআনে এই ধরনের কোন কথা নেই।

এই রকম প্রতিটা লাইনে সমস্যা আছে। বুঝতে হবে এই সব গাজাখুরি গল্পের উৎস কোথায়। এইসব ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা কোরআনের নামে চালিয়ে দেওয়া নতুন কিছু না।

আগে জানুন নিজের ধর্ম গ্রন্থ কি বলেছে, তার পর "আব্রাহামিক রিলিজিয়ন"- একি কথা বলেছেন কিনা চিন্তা করুন।

ধন্যবাদ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

লেখা পাগলা বলেছেন: তার স্ত্রী ছিলেন হাওয়া (আঃ)। - ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে (ইভ), কোরআনে তার স্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
[/sb
সেখানে তাদের জন্য গন্ধম ফল খওয়া নিষিদ্ধ ছিল-ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে, কোরআনে এইধরনের কোন কথা নেই।
৫। সেখানে তাদের জন্য গন্ধম ফল খওয়া নিষিদ্ধ ছিল-ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে, কোরআনে এইধরনের কোন কথা নেই।

৬। সৃষ্টির পর আদম এবং হাওয়ার অবস্থান ছিল বেহেশতে বা স্বর্গে। সেখানে তাদের জন্য গন্ধম ফল খওয়া নিষিদ্ধ ছিল। শয়তানের প্ররোচনায় হাওয়া গন্ধম ফল খেয়ে ফেলেন এবং আদমকে এ ফল খেতে উৎসাহিত করেন। এটি মানুষের আদিপাপ বলে পরিগণিত হয়। এর শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ তাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়ন করেন এবং শাস্তিস্বরূপ তাদের পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন।- এটা মুলত ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা। কোরআনে এই ধরনের কোন কথা নেই।
ধন্যবাদ হাানিফ ভাই । আমি জানি ব্লগে এ সম্পর্কে অনেকের ভালো ধারনা আছে তার মধ্যে আপনি এক নাম্বার ।
আমি এ তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করেছি সেখানেও যে ভুল করে নাই তাও বলছি না । তবে ভাই প্রশ্ন হলোঃ
১। হাওয়া আদম আঃ এর কি হতেন ?
২। সৃষ্টির পরে তাদের থাকার স্থান কোথায় ছিল ?
৩। আদম আঃ আর হাওয়াকে কেন পৃথিবীতে পেরণ করা হলো ? কি অপরাধ ছিল তাদের ?
সরি আরেকটি কথা বলে নেই আমি কিন্তু কম বুঝি বলেই বোঝার জন্য বা জানার জন্য প্রশ্ন গুলো করেছি ভুল বুঝবেন না ।
আবারো ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

নতুন বলেছেন: বেশির ভাগ মানুষই ওল্ডটেস্টিমেন্টের কাহিনিগুলিকে কোরানের কাহিনির সাথে গুলিয়ে ফেলে...

এই রকম প্রতিটা লাইনে সমস্যা আছে। বুঝতে হবে এই সব গাজাখুরি গল্পের উৎস কোথায়। এইসব ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা কোরআনের নামে চালিয়ে দেওয়া নতুন কিছু না।

সহমত হানিফ ভাই...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ঠিক এগুলো আমাদের ভুল ধারনা ।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

মশিউর বেষ্ট বলেছেন: শুভকামনা রইল আপনার জন্য

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

মশিউর বেষ্ট বলেছেন: পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা ফেতনা-বিভেদ সৃষ্টি করে বেড়ায় আবার কিছু মানুষ আছে যারা মিলন ঘটায়, আপনি মিলনের দলে। শুভেচ্ছা।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । শুভকামনা রইল ।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: একটু ক্যাচাল টাইপের মনে হচ্ছে বুঝতে হবে ঘটনা আসলে কি ?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান ভাই যদি মনে করেন তাহলে ক্যাচাল; আর কিছু বোঝা বা জানার ও সকলকে জানার জন্য মাঝে মধ্যে কিছু ক্যাচাল হলে মন্দ কিছু নয় । ধন্যবাদ ।
হু বুঝতে থাকুন আর বুঝা শেষ হলে আমারে জানাইয়েন ভাই কি বুঝলেন ?

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ১। হাওয়া আদম আঃ এর কি হতেন ?

ূউত্তরঃ ওল্ড টেস্টামেন্টে আদমের স্ত্রীকে বলা হয় "ইভ"। আমাদের ট্র্যাডিশনে বলে "হাওয়া"। কোরআনে কোথাও এই হাওয়া নামটি আসে নাই। সেই ক্ষেত্রে "হাওয়া" আদমের স্ত্রী - এইটা কোরআন দ্বারা সিদ্ধ নয়। অন্যভাবে বলা যায় আদমের স্ত্রীর নাম হাওয়া ছিল কিনা -সেটা আমরা জানি না। আপনি আদমের স্ত্রীকে হাওয়ায় বলতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে একটু কষ্ট করে- মুসলিম ট্র্যাডিশন অনুযায়ী, আব্রাহামিক ধর্ম অনুসারে না বলে বলতে হবে। এতে মিস কন্সেপশনের সুযোগ কম থাকে।


২। সৃষ্টির পরে তাদের থাকার স্থান কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ পৃথিবীতে। রেফারেন্স ত আপনি নিজেই আপনার লেখাতেই উল্লেখ করেছেনঃ২৩৩০। আমার আগের মন্তব্যে আপনা দেওয়া রেফারেন্স আন্ডার লাইন করে দিয়েছি।

৩। আদম আঃ আর হাওয়াকে কেন পৃথিবীতে পেরণ করা হলো ? কি অপরাধ ছিল তাদের ?
উত্তরঃ তাদেরকে তৈরি করা হয়েছে পৃথিবীতে, সুতরাং অন্য কোনখান থেকে পৃথিবীতে প্রেরন করার কোন গল্প কোরআনে নেই, ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং মুসলিম ট্র্যাডিশনে আছে। কোরআন অনুসারে রুপক অর্থে তাঁদেরকে একটি গাছের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। এই আদেশ অমান্য করার ফলে পৃথিবীতে তাদেরকে দেওয়া আরাম আয়েশ, সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই রুপক অর্থে "গাছ" বলতে কি বুঝানো হয়েছে এ নিয়ে অনেকের মধ্য মতপার্থক্য আছে।

আপনি আপনার লেখায় একটা শব্দ লিখেছেন সেটা হচ্ছে "আদি পাপ"- এটা খৃষ্টানদের ৩/৪ টা মুল ভিত্তির একটা- যেটা কোরআন কোনভাবেই সমর্থন করে না। ]"আদি পাপ" বলে কোন কনসেপ্ট ইসলামে নাই। মুসলমানেরা না জেনে এইটা এডপ্ট করেছে।

" আমি জানি ব্লগে এ সম্পর্কে অনেকের ভালো ধারনা আছে তার মধ্যে আপনি এক নাম্বার ।"- এই ধরনের কথা না বললেই পারতেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।


০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ হানিফ ভাই ।
আমার কামকাইজ এরকমই ভাই মাঝে মধ্যে শেখা বা জানার জন্য এরকম উল্টা পাল্টা বা খোঁচা মারা পোস্ট দিতে পারি মাইন্ট কইরেন না ভাই। শুধু আমিই না ভাই অনেকেরি অনেক কিছু জানা বা শেখার আছে । অনেক ধন্যবাদ হানিফ ভাই ।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: ২ঃ৩০

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

লেখা পাগলা বলেছেন: " আমি জানি ব্লগে এ সম্পর্কে অনেকের ভালো ধারনা আছে তার মধ্যে আপনি এক নাম্বার ।"- এই ধরনের কথা না বললেই পারতেন।
পোস্ট জানা বা শেখার জন্য ভুল লেখলেও মনে হয় উপরের কথাটুকো ভুল বলি নাই ভাই ।আবারও ধন্যবাদ ভাই ।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ হানিফঢাকা বলেছেন-
৩। আদম আঃ আর হাওয়াকে কেন পৃথিবীতে পেরণ করা হলো ? কি অপরাধ ছিল তাদের ?
উত্তরঃ তাদেরকে তৈরি করা হয়েছে পৃথিবীতে, সুতরাং অন্য কোনখান থেকে পৃথিবীতে প্রেরন করার কোন গল্প কোরআনে নেই, ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং মুসলিম ট্র্যাডিশনে আছে। কোরআন অনুসারে রুপক অর্থে তাঁদেরকে একটি গাছের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। এই আদেশ অমান্য করার ফলে পৃথিবীতে তাদেরকে দেওয়া আরাম আয়েশ, সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই রুপক অর্থে "গাছ" বলতে কি বুঝানো হয়েছে এ নিয়ে অনেকের মধ্য মতপার্থক্য আছে।

এটি কিসের ভিত্তিতে বল্লেন???

অথচ বিভিন্ন সূরা যেখানে স্পষ্ট বর্ণনা রেয়েছে জান্নতা থেকে অবতরন/বিতারিত করণ এবং নামিয়ে দেয়া প্রসংগে!

ইবলীস তার প্রথম টার্গেট হিসাবে আদম ও হাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার জাল নিক্ষেপ করল। সেমতে সে প্রথমে তাদের খুব আপনজন বনে গেল এবং নানা কথায় তাদের ভুলাতে লাগল। এক পর্যায়ে সে বলল, ‘আল্লাহ যে তোমাদেরকে ঐ গাছটির নিকটে যেতে নিষেধ করেছেন, তার কারণ হ’ল এই যে, তোমরা তাহ’লে ফেরেশতা হয়ে যাবে কিংবা তোমরা এখানে চিরস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবে’ (আ‘রাফ ৭/২০)। সে অতঃপর কসম খেয়ে বলল যে, আমি অবশ্যই তোমাদের হিতাকাংখী’ (ঐ, ২১)। ‘এভাবেই সে আদম ও হাওয়াকে সম্মত করে ফেলল এবং তার প্রতারণার জালে আটকে গিয়ে তারা উক্ত নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল আস্বাদন করল। ফলে সাথে সাথে তাদের গুপ্তাঙ্গ প্রকাশিত হয়ে পড়ল এবং তারা তড়িঘড়ি গাছের পাতা সমূহ দিয়ে তা ঢাকতে লাগল। আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করিনি এবং বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? (ঐ, ২২) তখন তারা অনুতপ্ত হ’য়ে বলল, قَالاَ رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ- ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের উপর যুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’ (২৩)। ‘আল্লাহ তখন বললেন, তোমরা (জান্নাত থেকে) নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু। তোমাদের অবস্থান হবে পৃথিবীতে এবং সেখানেই তোমরা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত সম্পদরাজি ভোগ করবে’ (২৪)। তিনি আরও বললেন যে, ‘তোমরা পৃথিবীতেই জীবনযাপন করবে, সেখানেই মৃত্যুবরণ করবে এবং সেখান থেকেই তোমরা পুনরুত্থিত হবে’ (আ‘রাফ ৭/২০-২৫)।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগুঃ

ইবলীস তার প্রথম টার্গেট হিসাবে আদম ও হাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার জাল নিক্ষেপ করল। সেমতে সে প্রথমে তাদের খুব আপনজন বনে গেল এবং নানা কথায় তাদের ভুলাতে লাগল।- ইবলিশ /শয়তান কোন স্বত্নন্ত্র্য ব্যাক্তি, স্বত্বা কি না সেটা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। যদিও এই কাহিনীর সাথে এই কনসেপ্টটা গুরুত্বপুর্ন, তারপরেও এইটা এইখানে লেখার সুযোগের বাইরে।

সুরা আরাফে যা লেখা আছে সেখানে আমি যা বলেছি তার সাথে কোন রকম কন্ট্রাডিক্ট করেনা, বরং যা বলেছি তাই সমর্থন করে। দেখি সংক্ষেপে বুঝানো যায় কি না।

আল্লাহ আদম কে তৈরী করেছিলেন পৃথিবীতে প্রতিনিধি বানানোর জন্য।

আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি... (২:৩০)

সুতরাং বিশ্বাস করার কোন কারন নেই যে আল্লাহ আদমকে অন্য কোন জায়গায় বানিয়ে রেখে দিয়েছিলেন এবং আদম কখন ভুল করবে সেই অপেক্ষা করছিলেন যাতে শাস্তি হিসাবে পৃথিবীতে পাঠানো যায়।

“জান্নাত”- শব্দটার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে বাগান। এটা দ্বারা সাধারণত পরকালের মানুষের কাজের পুরস্কার হিসাবে দেওয়া আবাস স্থল কে বুঝায়। এর রুট হচ্ছে “জিম, নুন, নুন”- একি রুট দিয়ে তৈরি শব্দ হচ্ছে জ্বিন। জান্নাত অর্থে গাছ দ্বারা ঘনভাবে আচ্ছাদিত/ লুকায়িত স্থান কে বুঝায়।

আদম যদি পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথাও থাকত তবে, আদমকে সূর্যের তাপের প্রখরতা সম্পর্কে বলার কোন কারন থাকত না।

আদমকে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল ঃ
এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম যে, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাক, কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। (২:৩৫)

তোমাকে এই দেয়া হল যে, তুমি এতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং বস্ত্রহীণ হবে না।এবং তোমার পিপাসাও হবে না এবং রৌদ্রেও কষ্ট পাবে না। (২০:১১৮-১১৯)

অর্থাৎ তাদের কে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্য দেওয়া হয়েছিল যার ফলে তারা ক্ষুধা, তৃষ্ণার কষ্ট পেতে হতনা, সূর্যের তাপের থেকে কষ্ট পেতে হতনা (জান্নাত)।

কিন্তু তাদের ভুলের দরুন তারা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ঃ

আল্লাহ বললেনঃ তোমরা নেমে যাও। তোমরা এক অপরের শত্রু। তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে বাসস্থান আছে এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফল ভোগ আছে।বললেনঃ তোমরা সেখানেই জীবিত থাকবে, সেখানেই মৃত্যুবরন করবে এবং সেখান থেকেই পুনরুঙ্খিত হবে। (৭:২৪-২৫)

এখানে না বুঝার মত কিছু দেখছিনা। এইখানে বলা হয়েছে, তারা তাদের পুর্বের প্রদত্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

আপনি এটা বলতে পারেন, মুসলিম ট্র্যাডিশন অনুযায়ী আদমকে বেহেস্ত থেকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং এই বেহেস্ত অন্য কোথাও অবস্থিত, পৃথিবীতে নয়। আপনার আর্গুমেন্টের পক্ষে ৭:২৪ উল্লেখ করতে পারেন, যেখানে বলা হয়েছেঃ

“আল্লাহ বললেনঃ তোমরা নেমে যাও...”

এই দ্বারা অনেকে বুঝতে চাচ্ছেন, আদমকে আল্লাহ স্বর্গ (যা উপরে অবস্থিত) থেকে নিচে পৃথিবীতে নামিয়ে দিয়েছেন।
আসলে এইটা বুঝার ভুল। যেমন আরবী যে শব্দটা এসেছে তা হচ্ছে “ইহবিতু”। এর অর্থ নেমে যাওয়া না, যেমন ঃ ...তোমরা কোন নগরীতে উপনীত (“ইহবিতু”) হও ...(২:৬১)

বিদ্রঃ
এই কাহিনী পরাপুরি বুঝতে হলে, আমার মতে নিচে উল্লেখিত জিনিশগুলি সম্পর্কে জানা জরুরী।

১। এই কাহিনীতে বেশ কিছু শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে, যেমন “গাছ”, “শয়তান”, “ইবলিশ”। এই কাহিনী বুঝার জন্য এই শব্দ গুলি দিয়ে কি বুঝানো হচ্ছে সেটা বুঝা জরুরী।

২। আদম বলতে একজন বিশেষ মানুষকে বুঝানো হয়েছে নাকি প্রথম মানবজাতিকে বুঝানো হয়েছে সেটা নিয়ে মতপার্থক্য আছে। (আমি ব্যাক্তিগত ভাবে দ্বিতীয় মতবাদ সমর্থন করি)

৩। আদম প্রথম মানব বা প্রথম মানবজাতি যাই হোক না কেন তার আগেও এইরকমের প্রাণী (বাংলায়/ ইংরেজীতে এর প্রতিশব্দ খুজে পাওয়া কঠিন, আরবীতে “বাশার”) পৃথিবীতে ছিল। “বাশার, ইনসান, আদম” এই শব্দ গুলি কোরআনে এসেছে।

৪। বিবর্তনবাদের প্রক্রিয়া (ডারউইনের বানর থেকে মানুষ- এইসব না) সম্পর্কে কোরআনে বেশ কিছু হিন্টস দেওয়া আছে।

৫। কোরআনে “রুহ” শব্দ দ্বারা “আত্না” বা soul বুঝানো হ্য় নাই। সুতরাং রুহু ফুকে দেওয়া মানে কোন জড় পদার্থকে প্রান দেওয়া এইটার কোন বেসিস কোরআনে নাই।

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২৩

লেখা পাগলা বলেছেন: @হানিফঢাকা এবং @বিদ্রোহী ভৃগু ভাই চলুক আপনাদের আলাপন । দেখি আমরা সাধারন কম জ্ঞানীরা আপনাদের কাছ থেকে ভালো কিছু জেনে বা শিখে নিতে পারি কি না। চালিয়ে যান :)
আর হ্যা এসব বিষয় নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে খোলা মেলা আলোচনা করার জন্য আপনাদের দুজনকেই অভিনন্দণ । :)

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৩

সূচরিতা সেন বলেছেন: Balo logo

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জেনেটিক্স অনুসারে এক পিতা মাতা থেকে মানবজাতির উন্মেষ সাপোর্ট করে না। খুব বেশী হলে ৭-৮ প্রজন্ম পর্যন্ত কন্টিনিউ করবে তারপর ইম্পোট্যান্সি, জটিল জেনেটিক্যাল অসুখ ও প্রতিবন্ধী হবার ফলে বংশগতি সেখানেই রহিত হবে। এরকম ইনসেস্টের ওপর নির্ভর করে অনেক রাজপরিবার উধাও হয়ে গেছে, নির্বংশ হইছে। বৈজ্ঞানিকভাবে এটা শুধুই একটা মিথ ও ভ্রান্ত ধারনা... জুরুসথ্রিয়ানদের আদি কাহিনীর কপি পেস্ট বা উন্নত তর সংস্করন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.