নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেসে আগে একটা ব্লগ এখন আর না এই নামেই ছিল । তাই সে নামই রাখলাম । আমার ব্লগ লেখা পাগলা ।

লেখা পাগলা

একজন সাধারন মানুষ,বাংলাদেশের একজন অসচেতন নাগরিক ।

লেখা পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামায়ন মহাভারতে অপরাধী দেবতা

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭


সাধারণত হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের কাছে রামচন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ পরম পূজনীয়। কিন্তু রামায়ন এবং মহাভারতে তাদের দুইজনকে একেবারে প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখেননি রচয়িতা বাল্মীকি এবং ব্যাসদেব। তারা সর্বদাই ন্যায়পরায়ণ এমনটা কখনওই তারা দাবি করেননি। বরং এমন কিছু কাজ তারা করেছেন যা নৈতিক হিসেবে গণ্য হতে পারে না।
প্রকৃতপক্ষে সে কাজগুলির জন্য অবতারও পার পেয়ে যাননি। তাদেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মাথা পেতে নিতে হয়েছে অভিশাপ। কী ছিল সে অন্যায়গুলো যা করেছিলেন স্বয়ং অবতাররাও ?
১। রামায়ন এ রামচন্দ্রের অন্যতম বিতর্কিত কাজ সম্ভবত শম্বুক হত্যা। রাম রাজা হওয়ার পরে জানতে পারেন শূদ্র বর্ণভুক্ত শম্বুক এমন তপস্যায় রত রয়েছেন যা একান্তভাবে ব্রাহ্মণদের জন্যই নির্দিষ্ট। রাম প্রজাদের একাংশের প্ররোচনায় শম্বুককে হত্যা করেন। রামায়ন এর কোনো ভাষ্যকারই তার জন্য রামচন্দ্রকে ছেড়ে কথা বলেন না।
২। মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের বেশ কয়েকটি অনৈতিক কাজের উল্লেখ আছে। তবে সেগুলির মধ্যে সব থেকে বিতর্কিত বোধ হয় দুর্যোধন বধে তার ভূমিকা। কৃষ্ণ জানতেন মাতা গান্ধারীর প্রসাদে দুর্যোধন প্রায় অপরাজেয়। তার একমাত্র অরক্ষিত অঙ্গ হলো তার উরু। তাই তিনি ভীমকে পরামর্শ দেন দুর্যোধনকে গদাযুদ্ধে আহ্বান করতে। গদাযুদ্ধে কটির নীচে আঘাত করা রীতি বহির্ভূত। যুদ্ধের সময়ে কৃষ্ণ ভীমকে ইঙ্গিতে প্ররোচিত করতে থাকেন দুর্যোধনের উরুতে আঘাত করার জন্য। ভীম তার ইঙ্গিতে সাড়া দেন। দুর্যোধনকে অন্যায় যুদ্ধে পরাস্ত করেন মধ্যম পাণ্ডব।
৩।মহাভারতে ভীম এবং হিড়িম্বার পুত্র মহাবলী ঘটোৎকচের মৃত্যুকেও ত্বরান্বিত করেন শ্রীকৃষ্ণ। ঘটোৎকচকে এমন দিনে এমন অবস্থায় কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ করানো হয় যাতে তিনি অবধারিতভাবে মারা যান। বলা বাহুল্য এই পরিকল্পনা শ্রীকৃষ্ণের। আসলে তিনি চেয়েছিলেন কর্ণ ঘটোৎকচের বিরুদ্ধে তার দিব্যাস্ত্র বাসবী শক্তি প্রয়োগ করুন। এই অস্ত্র কর্ণ অর্জুনের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করবেন বলে তুলে রেখেছিলেন। কৃষ্ণ এভাবেই ঘটোৎকচকে এগিয়ে দিয়ে অর্জুনকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
৪। রামায়নে বালী ও সুগ্রীবের দ্বন্দ্বকে অন্যায়ভাবে মদত দেন রামচন্দ্র। বালী এবং সুগ্রীবের দ্বৈরথের সময়ে আড়াল থেকে তির মেরে বালীকে বধ করেন রাম। একাজ যে নৈতিক না তা স্বীকার করেন রামায়নের বেশিরভাগ ভাষ্যকার।
৫। রামচন্দ্রের সবচেয়ে অনৈতিক কাজটি সীতা-ত্যাগ। সন্দেহের বশে দুই বার সীতার অগ্নিপরীক্ষা গ্রহণের পরেও তিনি সীতাকে ত্যাগ করেন। মহাকবি বাল্মীকিও তার লেখনিতে সীতার প্রতিই তার সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। রামচন্দ্র অবতার হওয়া সত্ত্বেও এই কাজটি যুগে যুগে রামভক্তদের দ্বারাই সমালোচিত হয়েছে।

তথ্যঃ ইন্টারনেট সংগ্রহীত ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

জুন বলেছেন: দেবতাদের এই ধরনের অন্যায় আচরণ আপনি গ্রীক দেবদেবীরর মাঝেও খুজে পাবেন। সমুদ্র মন্থনে অসুরদের সহায়তা নেয়া ও পরে সেই অমৃতের ভাগ না দেয়ার জন্য যে কূটচাল হিন্দু দেবতারা করলো তাতো সবারই জানা। এদের বেশিরভাগ আচরনই নিকৃষ্ট।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু । সেটাই আপু বুঝতে পারছি না দেবতারা কি করে অন্যায় করে । এসব অন্যায় করার আগে তাদের বোঝা উউিত
ছিল; যুগে যুগে তাদের কত ভক্ত কত আশেক গণ পৃথিবীতে আসবে তারাও তাদের মত এক রাস্তা বেছে নিতে পারে । :)

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

নুরুল মিলন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পড়ে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করে পোস্ট পড়ার কথা জানানোর জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.