নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেসে আগে একটা ব্লগ এখন আর না এই নামেই ছিল । তাই সে নামই রাখলাম । আমার ব্লগ লেখা পাগলা ।

লেখা পাগলা

একজন সাধারন মানুষ,বাংলাদেশের একজন অসচেতন নাগরিক ।

লেখা পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নমরুদ ও মশার কাহিনী

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩


বাইবেলের বুকস অব জেনেসিস এবং বুকস অব ক্রোনিকেলস অনুসারে নমরুদ ছিলেন কুশের পুত্র ।অনেকের মতে নমরুদ অর্থ বিদ্রোহী Rebel। নমরুদ খোদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলো। আর আমরা তার সম্পর্কে ইতিহাস এবং অন্যান্য ধর্মপুস্তক গুলিতে যা পাই তা এটা প্রমান করার জন্যে যথেষ্ট যে তার শক্তি ও ক্ষমতা এবং দম্ভের প্রকাশ আকাশ ছুঁয়েছিল যা সহজ ভাবে বলতে হয় তিনি এক রকম ঐশ্বরিক শক্তির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছিলেন। চলুন আমরা দেখি তার প্রতিদ্বন্দ্বীতার ধরণ কেমন ছিল এবং তা কি ধরণের ফলাফল বয়ে নিয়ে এসেছিল।
হিব্রোণে বাস করার সময় এক পর্যায়ে আল্লাহ ইব্রাহিমকে বললেন, হে ইব্রাহিম! তুমি নমরুদকে সতর্ক কর তার উপর শাস্তি আসার আগেই।

সুতরাং ইব্রাহিম আল্লাহুর হুকুম মতে পুনঃরায় ফেরাউনের রাজদরবারে উপস্থিত হলেন। ফেরাউন তাকে চিনতে পেরে বললেন, হে ইব্রাহিম" কি উপলক্ষ্যে তোমার এ আগমন?

ইব্রাহিম বললেন,, হে ফেরাউন !! আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল, যিনি এক এবং যার কোন শরীক নেই, যিনি এই চন্দ্র,সূর্য আর আরশের অধিপতি।
নমরুদ কখনও আল্লাহর কর্তৃত্ব স্বীকারের পক্ষপাতি ছিলেন না। আর ইতিপূর্বে তিনি এই বিষয়ে ইব্রাহিমের সাথে বাদানুবাদেও লিপ্ত হন ! নমরুদ ইব্রাহিমকে তাকে সিজদা দিতে বলে আর সেসময় যখন ইব্রাহিম তাকে সিজদা করতে অস্বীকার করে এবং নমরুদকে উদ্বেশ্য করে বলে- আমি সিজদা করি একমাত্র আল্লাহকে, যিনি আমার প্রতিপালক।
আর তাতে অবাক হয়ে ফেরাউন জিজ্ঞেস করে ! হে ইব্রাহিম, কে তোমার প্রতিপালক ?

এই সংক্রান্ত কোরআনের আয়াতসমূহ সে অর্থাৎ নমরুদ ইব্রাহিমের সাথে তার প্রতিপালক সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যখন ইব্রাহিম বলল, আমার প্রতিপালক তিনি, যিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান।
সে বলল, অর্থাৎ নমরুদ বলল, আমিও জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটিয়ে থাকি।
ইব্রাহিম বলল, নিশ্চয় তিনি সূর্য্যকে উদিত করেন পূর্ব দিক থেকে, এবার আপনি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত করে দেখান। তখন সে অবিশ্বাসী হতভম্ব হয়ে গেল।


আর এ কারণেই সেসময় নমরুদ ইব্রাহিমের সাথে পুনরায় তার প্রতিপালক সম্পর্কে আর কোন বিতর্কে না গিয়ে সরাসরি ফয়সালার পথ বেঁছে নিলেন। এক কথায় নমরুদ ইব্রাহিমের সাথে চ্যালেঞ্জ করলেন, তাই নমরুদ ইব্রাহিমকে বললেন, হে ইব্রাহিম! দুনিয়ার রাজত্ব তো আমার। আর শীঘ্রই আকাশের রাজত্বও আমি তোমার আল্লাহর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেব।আর নমরুদের এ কথার জবাবে ইব্রাহিম বললেন, হে ফেরাউন, কিভাবে আপনি আকাশে পৌঁছিবেন ? তিনি বললেন, আমার বিজ্ঞ পরিষদবর্গই এ ব্যাপারে আমাকে পূর্ণপথ বাৎলে দেবে।

তারপর নমরুদ যখন এই ব্যাপারে পরিষদবর্গের পরামর্শ চাইলেন! তখন পরিষদবর্গের একজন পরামর্শ দিল সূউচ্চ এক টাওয়ার নির্মাণের, যাতে করে তার চূঁড়া থেকে বেহেস্তে লুকিয়ে থাকা ইব্রাহিমের খোদাকে সহজেই ধরাশায়ী করা যায়।

তার পর দীর্ঘ দিনে হাজার হাজার শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমে টাওয়ার অব বাবেল নির্মিত হল। এই টাওয়ার অব বাবিল (Tower of Babel) সম্পর্কে বাইবেলে আছে "....and a tower, whose top may reach unto heaven....". -(Genesis 11:4)

যাহোক তারপর নমরূদ টাওয়ারের চূঁড়ায় আরোহণ করলেন। এই দু:সময়ে পরিষদবর্গের একজন ইবলিস হয়ে নমরুদকে একটি অদ্ভূত পরামর্শ দিল। তার পরামর্শে চারটি বৃহৎ শকুনকে লালন পালন করা হল। অতঃপর একটি সিন্দুক তৈরী করে শকুন চারটিকে কয়েক দিন অভুক্ত রেখে ঐ সিন্দুকের চার কোনায় বেঁধে দেওয়া হল। তারপর সিন্দুকের উপর দিকে শকুনের নাগালের বাইরে কিন্তু দৃষ্টির সীমানায় ঝুলিয়ে দেওয়া হল মাংসের টুকরো।ফেরাউন ও তার সেনাপতি প্রস্তুত হয়ে সিন্দুকে আরোহণ করলেন। যাহোক, শকুনেরা মাংসের টুকরো খেতে চাইল, আর তাদেরকে নিয়ে সিন্দুকসহ উর্দ্ধপানে উড়ে চলল। এ সম্পর্কে ইহুদি রাব্বানিক সাহিত্য জানায়- "Nimrod goes on to try storming Heaven, throwing arrows in person, in a chariot driven by birds." আর তাই বাইবেলেও তার সম্পর্কে বলা হয়েছে- He was a mighty hunter against the Lord. -(Genesis 10:9).

উর্দ্ধ আকাশে পৌঁছে অর্থাৎ যেখান থেকে আকাশ বা পৃথিবীর কিছুই আর দৃষ্টি গোচর হল না, নমরূদ প্রস্তুতি নিলেন তীর নিক্ষেপের। তারপর তারা একের পর এক তীর উপরের দিকে নিক্ষেপ করলেন। ওই সময় আল্লাহ জিব্রাইলকে বলেন ! আমার এই বান্দা যেন নিরাশ না হয়। Gabriel thereupon sent the arrows back stained with blood, so that Nimrod was convinced that he had avenged himself upon Abraham's God.

এদিকে সকল তীর নিক্ষেপ শেষে নমরুদ পৃথিবী পৃষ্ঠে ফিরে আসতে চাইল। সেজন্যে শকুন গুলিকে নিম্নগতি করার লক্ষ্যে সিন্দুকের উপরের দিকে ঝুলিয়ে দেয়া মাংস একই ভাবে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। অবতরণের সময় সিন্দুক প্রচন্ড শব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে গুড়িয়ে যায়। নমরুদ নিজে অবশ্য এই পতনে কোনরূপ আঘাত প্রাপ্ত হননি।

মাটিতে অবতরণের পর নমরুদের রক্ষীরা নিক্ষিপ্ত তীরগুলি কুড়িয়ে আনল। যেগুলো পাওয়া গেল তার সবগুলোই রক্তরঞ্জিত। ফেরাউন রক্তমাখা তীরগুলি দেখে সফলতার আনন্দে আত্মহারা হয়ে সঙ্গীদেরকে বললেন, নিশ্চয় আমরা ইব্রাহিমের খোদাকে হত্যা করেছি, তীরে লেগে থাকা রক্তই তার সাক্ষ্য বহন করে।

এ সম্পর্কে বুক অব জাসের (Book of Jasher, -Hebrew, Sefer ha-Yashar" = "Book of the Righteous One") জানায়- ...they cast the arrows toward the heavens, and all the arrows fell upon them filled with blood, and when they saw them they said to each other, Surely we have slain all those that are in heaven. -(Jasher, 9:29) ..They thought that they killed God. -(Jasher, 9:30)

থোদা ইব্রাহিমকে জানালেন, ইব্রাহিম! নমরুদকে সতর্ক কর তার উপর শাস্তি আসার আগেই।সুতরাং ইব্রাহিম হাজির হলেন রাজদরবারে। এবার তাকে দেখে উৎফুল্ল হলেন নমরূদ। বললেন, নিশ্চয় আমরা তোমার খোদাকে হত্যা করতে সমর্থ্য হয়েছি।‘ তিনি তার সিংহাসনের পাশ থেকে একটা তীর হাতে নিয়ে, আত্মগর্বে সেটিকে পরখ করতে করতে বললেন, তীরে লেগে থাকা এই রক্তই তার সাক্ষ্য বহন করে।
ইব্রাহিম বলেন, আমার স্রষ্টা চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।
তখন নমরুদ বলেন, তিনি যদি মারা গিয়ে না থাকেন, তবে তার সৈন্যদলকে একত্রিত করতে বল। আমিও আমার সৈন্যদল ময়দানে সমবেত করছি।

ইব্রাহিম তাকে বলেছিলেন, আল্লাহকে ভয় করেন, তিনিই তো আপনাকে রাজ্য ও রাজত্ব দান করেছেন। আর তিনিই পরজগতের প্রতিফল দাতা। কিন্তু ফেরাউন তার কথায় কান না দিয়ে বলেন যে, দুনিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি কেবল তিনি and challenged God to fight with him. আর তিনি তিন দিনের সময়ও বেঁধে দিলেন।

নির্দিষ্ট দিনে নমরুদ তার সেনাবাহিনী ময়দানে সমবেত করলেন। বেঁধে দেওয়া তিন দিনের ওই স্বল্প সময়ে তিনি যথেষ্ট সংখ্যক সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন।ময়দানে নমরূদ তার সেনাবাহিনী নিয়ে অপেক্ষা করছেন কিন্তু প্রতিপক্ষের কোন দেখা নেই। ইব্রাহিমকে একাকী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি অবাক হয়ে তাকে ডেকে বললেন, ওহে ইব্রাহিম! তোমার প্রতিপালকের সেনাদল কোথায়? তিনি নিশ্চয় আমার শক্তিবল দেখে ভীত হয়ে পশ্চাৎপসারণ করেছেন।

ইব্রাহিম বললেন, আমার রব ক্ষমতায় মহান, কোনরূপ ভীতি তাকে আচ্ছন্ন করতে পারে না, বরং তিনিই তা প্রদর্শণ করে থাকেন। একথা নিশ্চিত যে তার সেনাদল ময়দানে এসে পৌঁছিবেই-আর তা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই।
নমরুদ সেনাপতিদের বললেন, যুদ্ধ পতাকা উড়িয়ে দাও, সতর্ক হও, নাকাড়া বাজাও।

ষাট লক্ষ সেনার শোরগোলে ভূমি প্রকম্পিত হল। ফেরাউন পুনঃরায় ইব্রাহিমকে বললেন, ইব্রাহিম কোথায় তোমার রবের সৈন্যদল ?
ইব্রাহিম দূরে আকাশের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করলেন। দূরে কাল রঙের একটা মেঘ দেখা যাচ্ছে। যখন সেটা কাছে, মাথার উপর চলে এল, লক্ষ লক্ষ মশার গুণ গুণ কলতানে চারিদিক মুখরিত হল। মশা! ক্ষুদ্র এই প্রাণীটি সন্ত্রাসী, বেপরোয়া। রক্তের নেশায় জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা আক্রমণ করে মানুষ, পশুকে। আর এই মশা তো আল্লাহ প্রেরিত, যুদ্ধের নিমিত্ত। কিন্তু ফেরাউন এদের ব্যক্তিত্বকে খাটো করে দেখলেন। অবজ্ঞার সূরে বললেন, এ তো মশা! তুচ্ছ এক প্রাণী, তার উপর নিরস্ত্র। তোমার রবের কি অস্ত্র-ভান্ডার বা মালখানা নেই ?

এখানে বলে রাখা ভাল অনেকের মতে ওগুলো মশা ছিল না, ছিল মশার আকৃতির, আকারে আরও ক্ষুদ্র প্রাণী, মাংসাশী ।
ইব্রাহিম বললেন, আমার রবের সেনাবাহিনী সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নেই। আপনার এই সেনাবাহিনীর জন্যে তিনি এই তুচ্ছ, নিরস্ত্র মশাকেই যথেষ্ট মনে করেছেন। আর নিরস্ত্র হলেও এরা তাদের যুদ্ধ কৌশল জানে। এখন আপনি শুধু এই বাহিনীর মোকাবেলা করে আপনার শক্তি, সামর্থ্য ও মেধার পরিচয় দিন।অন্যদিকে এই মশা বাহিনীর সঙ্গে কিরূপে যুদ্ধ করতে হবে তা ভেবে পাচ্ছিল না নমরুদের সেনারা। এত ক্ষুদ্র প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের পূর্ব কোন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বা ট্রেনিং কোনটাই নেই। সুতরাং তারা হতভম্ভ হয়ে আদেশের অপেক্ষায় সাঁরিবদ্ধ ভাবে নিশ্চল দাঁড়িয়ে রইল।

এই অবসরে প্রতিটি সৈন্যের মাথার উপর একটি করে মশা অবস্থান নিল। অতঃপর কেউ কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই তারা তাদের নাসিকা পথে মস্তিস্কে প্রবেশ করল। তারপর দংশন। সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল। হিতাহিত জ্ঞান শুণ্য হয়ে তীরন্দাজগণ উর্ধ্বে তীর নিক্ষেপ করতে লাগল। আর পদাতিক সেনারা নিজেদের চতুষ্পার্শ্বে অন্ধের মত তরবারী চালনা শুরু করল। এভাবে একে অপরকে নিজেদের অজান্তেই তারা আহত বা নিহত করে ফেলল।

নমরুদ পালিয়ে প্রাসাদে ফিরে আসছিলেন। এসময় একটি দূর্বল মশা তাকে তাড়া করল। সে কিছুক্ষণ তার শিরোস্ত্রাণের চতুষ্পার্শ্বে কয়েকবার প্রদক্ষিণ শেষে সুড়ুৎ করে তার নাসিকা পথে মস্তিস্কে ঢুকে পড়ল। তারপর ধীরে সুস্থ্যে মগজে দংশন শুরু করল। যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে পড়লেন নমরুদ। উন্মাদের ন্যায় প্রাসাদে প্রবেশ করলেন। এক সময় দিশেহারা হয়ে পাদুকা খুলে নিজের মাথায় আঘাত করতে শুরু করলেন তিনি। এতে মশা দংশনে বিরত রইল। তিনি একটু আরাম বোধ করলেন। কিন্তু আঘাত বন্ধ করতেই মশা পুন:রায় দংশন শুরু করল। অবশেষে নমরুদ তার মাথায় মৃদু আঘাত করার জন্যে একজন সার্বক্ষণিক কর্মচারী নিযুক্ত করলেন। সূদীর্ঘ ৪০ বৎসর তিনি ওই দু:সহ যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন।

এটা অদ্ভূত ছিল যে, পাদুকা ব্যতিত অন্যকিছুর আঘাতে মশা দংশনে বিরত থাকত না। সেসময়ই ইব্রাহিম তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, হে ফেরাউন! স্বীয় মস্তকে, স্বীয় পাদুকা দ্বারা আঘাতের জন্যে, স্বীয় অর্থেই গোলাম নিযুক্ত করে রাখা জঘণ্য। সুতরাং এখনও সময় আছে আল্লাহকে সর্বশক্তিমান এবং অদ্বিতীয় বলে স্বীকার করে নিন। তাতে তিনি আপনার পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং আপনি এই কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন।

নমরুদ মনে করতেন খোদাকে স্বীকার করে নিলে তার ক্ষমতা ও প্রভাব বিলুপ্ত হবে। তাই তিনি উত্তর দিলেন, হে ইব্রাহিম! আমিই দুনিয়ার অধিশ্বর। অন্য কাউকে আমি স্বীকার করি না। ইব্রাহিম বুঝতে পারলেন যাকে আল্লাহ পথ প্রদর্শণ করেননি, সে কখনও পথ খুঁজে পাবে না। তিনি হতাশ হয়ে ফিরে এলেন।

এ কারণেই তার সম্পর্কে বলা হয়েছে- Whether or not conceived as having ultimately repented, Nimrod remained in Jewish and Islamic tradition an emblematic evil person, an archetype of an idolater and a tyrannical king. In rabbinical writings up to the present, he is almost invariably referred to as "Nimrod the Evil".- (Hebrew: נמרוד הרשע)
অন্যদিকে নমরুদের সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারী অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল। এক মুহুর্ত অবসর নেই। সামান্য বিরতিতেই তিরস্কার। একসময় তার মনে এমন বিরক্তি ও ক্রোধের সৃষ্টি হল যে, সে তার হস্তস্থিত পাদুকা দ্বারা সজোরে এক আঘাত হানে। সেই আঘাতেই নমরুদের মৃত্যু হয়।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: পড়াও হল জানাও হল ধন্যবাদ ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১০

লেখা পাগলা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা কাহেনী জানানোর জন্য লেখককে ধন্যাবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

লেখা পাগলা বলেছেন: আপনাকেও ভাই পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: যালিমরা এভাবেই ধ্বংস হয়। তাদের মৃর্ত্যু হয় অত্যান্ত জঘন্যভাবে।
ধন্যবাদ অাপনাকে, অামাকে একবার রিভাইজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য।
এরকম অারো লেখার অনুরােধ রইলো।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

লেখা পাগলা বলেছেন: যালিম আর ফ্যাসিবাদদের শেষ স্থান হল নরক বা জাহান্নাম । ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

আহলান বলেছেন: সবারই জানা উচিৎ ... ধন্যবাদ!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ আহলান ভাই ।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

হাকিম৩ বলেছেন: সকল যালিমের একদিন বিচার হবে

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

লেখা পাগলা বলেছেন: যালিম আর ফ্যাসিবাদদের শেষ স্থান হল নরক বা জাহান্নাম । ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

প্রামানিক বলেছেন: নিয়েমের বাইরে নিজেকে নিয়ে দম্ভ করা কারোরই উচিৎ না। পতন একদিন হবেই।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাইয়া । আর সব থেকে আসল কথা হল যারাই এই হিংসা বিদ্ধেশ ফ্যসাদ সৃষ্টি করেছে এই পৃথিবীতে তাদেরি হয়েছে করুন পরিণীতি ।

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১০

নিউ সিস্টেম বলেছেন: কোন কিছুই অতিরিক্ত ঠিক না । তার পরিনতি ভালো হয় না । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

লেখা পাগলা বলেছেন: সব থেকে বড় কথা হল ভাই কুরআনের কোন কথাই মিথ্যে না এবং বিফলে যায় নাই ।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শিরোনামে নমরুদের ম টা ফসকে গেছে!!!

অহংকারীরা তারপরও কি শিক্ষা নেয়? মৃত্যুর ফেরেশতা দেখার আগ পর্যন্ত!!!!!?????

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ভুলটি খেয়াল করার জন্য ঠিক করে দিছি । পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়া ।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ইতিহাস জানা হল। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫১

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

নতুন বলেছেন: এই অবসরে প্রতিটি সৈন্যের মাথার উপর একটি করে মশা অবস্থান নিল। অতঃপর কেউ কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই তারা তাদের নাসিকা পথে মস্তিস্কে প্রবেশ করল।


নমরুদ পালিয়ে প্রাসাদে ফিরে আসছিলেন। এসময় একটি দূর্বল মশা তাকে তাড়া করল। সে কিছুক্ষণ তার শিরোস্ত্রাণের চতুষ্পার্শ্বে কয়েকবার প্রদক্ষিণ শেষে সুড়ুৎ করে তার নাসিকা পথে মস্তিস্কে ঢুকে পড়ল। তারপর ধীরে সুস্থ্যে মগজে দংশন শুরু করল। যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে পড়লেন নমরুদ। উন্মাদের ন্যায় প্রাসাদে প্রবেশ করলেন। এক সময় দিশেহারা হয়ে পাদুকা খুলে নিজের মাথায় আঘাত করতে শুরু করলেন তিনি। এতে মশা দংশনে বিরত রইল। তিনি একটু আরাম বোধ করলেন। কিন্তু আঘাত বন্ধ করতেই মশা পুন:রায় দংশন শুরু করল। অবশেষে নমরুদ তার মাথায় মৃদু আঘাত করার জন্যে একজন সার্বক্ষণিক কর্মচারী নিযুক্ত করলেন। সূদীর্ঘ ৪০ বৎসর তিনি ওই দু:সহ যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন।

নাসিকা রন্ধ দিয়ে কি মস্তিস্কে মশা প্রবেশ করতে পারে??????????????????????????????????????????????



এই সব কল্পকাহিনি বিশ্বাস করতে হলে প্রমানিত সত্যকে অবিশ্বাস করতে হয়।

মানুষের মস্তিস্কে মশা প্রবেশ করতে পারেনা। এটা সম্পকে একটু খোজ নিলেই বুঝতে পাররেন। তবে কিভাবে এই কাহিনি বিশ্বাস করবেন?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫২

লেখা পাগলা বলেছেন: কথা মিথ্যা না আল্লাহ চাইলে আরো কঠিন ভাবেও শাস্তি দিতে পারেন ।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

নতুন বলেছেন:

বাস্তবে মানুষের নাশিকা রন্ধের ছবি দেখতে অনেকটাই এই রকমের। যদি সত্যি করারের ছবি দেখতে চান তবে সেটাও ইন্টারনেটে পাবে।

নাক দিয়ে কিছু ঢুকলে সেটা ফুসফুস বা পেটে যাবে এর বাইরে মস্তিস্কে কিভাবে যাবে একটু বোঝাবেন কি?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫৭

লেখা পাগলা বলেছেন: আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে আমার বিশ্বাস আমার কাছে । তাই আমি বিশ্বাস করি ।
কথা মিথ্যা না আল্লাহ চাইলে আরো কঠিন ভাবেও শাস্তি দিতে পারেন ।

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ভাবে লিখেছেন বিষয়টি । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ব্লগার নতুন সুন্দর একটা প্রসংগ তুলেছেন। আমরা তো ছোটবেলা থেকে এই কেচ্ছাকাহিনী শুনেছি যে নমরুদের নাক দিয়ে মশা ঢুকে মাথায় যায়। মাথাব্যথা কমাতে জুতার বাড়ি প্রয়োজন হয়। আসল ঘটনাটা কি ছিল সেটা একটু খতিয়ে দেখা দরকার যদিও নমরুদ যে আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত শাস্তি পেয়েছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই।

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

নতুন বিচারক বলেছেন: ভালো লাগল বিষয়টি ।

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

নতুন বলেছেন: @ অশ্রুকারিগর আমরা তো যৌক্তিক চিন্তা করি না।

যখন কেউ কাহিনি বলতে থাকে যে মশা নমরুদের নাকের ভেতর দিয়ে মাথায় গিয়ে মস্তিস্ক খেতে থাকে ... ৪০ বছর বেচে থাকে তখন কেউই যৌক্তিক ভাবে চিন্তা করে প্রশ্ন করেনা এটা কিভাবে সত্যি হতে পারে?

আগের দিনে মানুষের এনাটমি সম্পকে জানতো না তাই সবাই বিশ্বাস করতো ....

কিন্তু এখন আমি কিভাবে বিশ্বাস করবো যে এই কাহিনিটা সত্য?????

আর অতীতের ঘটনাতে সবাই মসলা মাখায় এটা সবারই জানা.... তাই তিল থেকে তাল হবার সম্ভবনা ১০০%

১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

সিগনেচার নসিব বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪০

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ বিষয়টি যদিও আগেই কিছু জানা ছিল । আবার পূর্ণরাই জালাই দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

১৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনেক কিছুই অতিরন্জিত। মূলত: বাইবেল ও তৌরাতের গল্পগুলি কোরআনের নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। কোরআনে তো নমরুদের নামও উল্লেখ করা হয়নি ঘটনার কিছু বর্ননা ছাড়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.