নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেসে আগে একটা ব্লগ এখন আর না এই নামেই ছিল । তাই সে নামই রাখলাম । আমার ব্লগ লেখা পাগলা ।

লেখা পাগলা

একজন সাধারন মানুষ,বাংলাদেশের একজন অসচেতন নাগরিক ।

লেখা পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানীর বিধান সম্পর্কে জানুন

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫১


কুরবানী হল আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য অর্জন এবং তার এবাদতের জন্য পশু জবেহ করা। আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু জবেহ করা তিন প্রকার হতে পারেঃ যেমন: ১। হাদী ২। কুরবানী ৩। আকীকাহ। তাই কুরবানী বলা হয় ঈদুল আজহার দিনগুলোতে নির্দিষ্ট প্রকারের গৃহপালিত পশু আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য জবেহ করা। ইসলামি শরিয়তে এটি এবাদত হিসেবে সিদ্ধ যা কোরআন, হাদিস এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমত দ্বারা প্রমাণিত। কোরআন মজীদে যেমন এসেছে: فصل لربك وانحر (الكوثر-১। অর্থ- তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানী কর। কাওছার: ২।
قل ان صلاتي ونسكي ومحياي ومماتي لله رب العالمين لاشريك له وبذلك أمرت وأنا أول المسلمين (الانعام–১৬২-১৬৩)
অর্থ- বল, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তার কোন শরিক নাই এবং আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম মুসলিম। (আনয়াম: ১৬২-১৬৩) হাদিসে এসেছে: বারা ইবনে আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন: যে ঈদের সালাতের পর কুরবানীর পশু জবেহ করল তার কুরবানী পরিপূর্ণ হল এবং সে মুসলিমদের আদর্শ সঠিকভাবে পালন করল। (বুখারী: ৫৫৪৫, মুসলিম: ১৯৬১)
আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল (স.) নিজ হাতে দু’টি সাদা কালো বর্ণের দুম্বা কুরবানী করেছেন। তিনি বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর বলেছেন। তিনি পা দিয়ে দুটো কাঁধের পাশ চেপে রাখেন। (বুখারী: ৫৫৬৫, মুসলিম-১৯৬৬) তবে বুখারীতে ‘সাদা-কালো’ শব্দের পূর্বে সিংওয়ালা কথাটি উল্লেখ আছে।

কুরবানীর হুকুম কি ? ওয়াজিব না সুন্নত ?

উপরক্ত বিষয়ে ইমাম ও ফকীহদের মাঝে দুটো মত রয়েছে।
প্রথম মত: কুরবানী ওয়াজিব। ইমাম আওযায়ী, ইমাম লাইস, ইমাম আবু হানীফা (রহ.) প্রমুখের মত এটাই। আর ইমাম মালেক ও ইমাম আহমদ (রহ.) থেকে একটি মত বর্ণিত আছে যে তারাও ওয়াজিব বলেছেন।
দ্বিতীয় মত: কুরবানী সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। এটা অধিকাংশ উলামাদের মত। এবং ইমাম মালেক ও শাফেয়ী (রহ.) এর প্রসিদ্ধ মত। কিন্তু এ মতের প্রবক্তারা আবার বলেছেন: সামর্থ্য থাকা অবস্থায় কুরবানী পরিত্যাগ করা মাকরূহ। যদি কোন জনপদের লোকেরা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সম্মিলিতভাবে কুরবানী পরিত্যাগ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে। কেননা, কুরবানী হল ইসলামের একটি শিয়ার বা মহান নিদর্শন। (আহকামুল উযহিয়্যা: মুহাম্মদ বিন উসাইমীন, পৃষ্টা: ২৬)

(১) আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন: তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানী কর। (কাওসার: ২) আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ পালন ওয়াজিব হয়ে থাকে।
(২) রাসূলে কারীম (স.) বলেছেন: যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে। (মুসনাদ আহমাদ, ইবনে মাজা: ৩১২৩, হাদিসটি হাসান) যারা কুরবানী পরিত্যাগ করে তাদের প্রতি এ হাদিস একটি সতর্ক-বাণী। তাই কুরবানী ওয়াজিব।
(৩) রাসূলে কারীম (স.) বলেছেন: হে মানব সকল ! প্রত্যেক পরিবারের দায়িত্ব হল প্রতি বছর কুরবানী দেয়া। (মুসনাদ আহমাদ, ইবনে মাজা: ৩১২৫, হাদিসটি হাসান)

(১) রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন: তোমাদের মাঝে যে কুরবানী করতে চায়, যিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর সে যেন কুরবানী সম্পন্ন করার আগে তার কোন চুল ও নখ না কাটে। (মুসলিম- ১৯৭৭) এ হাদিসে রাসূল (স.) এর বাণী (যে কুরবানী করতে চায়) দ্বারা বোঝা যায় এটা ওয়াজিব নয়।
(২) রাসূল (স.) তার উম্মতের মাঝে যারা কুরবানী করেনি তাদের পক্ষ থেকে কুরবানী করেছেন। তার এ কাজ দ্বারা বুঝে নেয়া যায় যে কুরবানী ওয়াজিব নয়।
শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ.) উভয় পক্ষের দলিল-প্রমাণ উল্লেখ করার পর বলেন: এ সকল দলিল-প্রমাণ পরস্পর বিরোধী নয় বরং একটা অন্যটার সম্পূরক। সারকথা হল যারা কুরবানীকে ওয়াজিব বলেছেন তাদের প্রমাণাদি অধিকতর শক্তিশালী। আর ইমাম ইবনে তাইমিয়ার মত এটাই।
কুরবানীর নিয়মাবলি: কুরবানীর পশু কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করা:
কুরবানীর জন্য পশু পূর্বেই নির্ধারণ করতে হবে। এর জন্য নিম্নোক্ত দুটো পদ্ধতির একটি নেয়া যেতে পারে।
(ক) মুখের উচ্চারণ দ্বারা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। এভাবে বলা যায় যে ‘এ পশুটি আমার কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করা হল’। তবে ভবিষ্যৎ বাচক শব্দ দ্বারা নির্দিষ্ট হবে না। যেমন বলা হল আমি এ পশুটি কুরবানীর জন্য রেখে দেব।’
(খ) কাজের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা যায় যেমন: কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করল অথবা কুরবানীর নিয়তে জবেহ করল। যখন পশু কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করা হল তখন নিম্নোক্ত বিষয়াবলী কার্যকর হয়ে যাবে।
প্রথমত: এ পশু কুরবানী ছাড়া অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না, দান করা যাবে না, বিক্রি করা যাবে না। তবে কুরবানী ভালভাবে আদায় করার জন্য তার চেয়ে উত্তম পশু দ্বারা পরিবর্তন করা যাবে।

দ্বিতীয়ত: যদি পশুর মালিক ইন্তেকাল করেন তাহলে তার ওয়ারিশদের দায়িত্ব হল এ কুরবানী বাস্তবায়ন করা।
তৃতীয়ত: এ পশুর থেকে কোন ধরনের উপকার ভোগ করা যাবে না। যেমন দুধ বিক্রি করতে পারবে না, কৃষিকাজে ব্যবহার করতে পারবে না, সওয়ারী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না, পশম বিক্রি করা যাবে না। যদি পশম আলাদা করে তাবে তা সদকা করে দিতে হবে,বা নিজের কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবে, বিক্রি করে নয়।
চতুর্থত: কুরবানী দাতার অবহেলা বা অযত্নের কারণে যদি পশুটি দোষযুক্ত হয়ে পড়ে বা চুরি হয়ে যায় অথবা হারিয়ে যায় তাহলে তার কর্তব্য হবে অনুরূপ বা তার চেয়ে ভাল একটি পশু ক্রয় করা। আর যদি অবহেলা বা অযত্নের কারণে দোষযুক্ত না হয়ে অন্য কারণে হয়, তাহলে দোষযুক্ত পশু কুরবানী করলে চলবে।
যদি পশুটি হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়ে যায় আর কুরবানী দাতার উপর পূর্ব থেকেই কুরবানী ওয়াজিব হয়ে থাকে তাহলে সে কুরবানীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করবে। আর যদি পূর্ব থেকে ওয়াজিব ছিল না কিন্তু সে কুরবানীর নিয়তে পশু কিনে ফেলেছে তাহলে চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে তাকে আবার পশু কিনে কুরবানী করতে হবে।




কুরবানীর বিধান।

حديث مرفوع) حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ زُبَيْدٍ ، عَنْ الشَّعْبِيِّ ، عَنْ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِهِ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ ، ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ ، مَنْ فَعَلَهُ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا ، وَمَنْ ذَبَحَ قَبْلُ ، فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ قَدَّمَهُ لِأَهْلِهِ ، لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَيْءٍ ، فَقَامَ أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ وَقَدْ ذَبَحَ ، فَقَالَ : إِنَّ عِنْدِي جَذَعَةً ، فَقَالَ : اذْبَحْهَا وَلَنْ تَجْزِيَ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ ، قَالَ مُطَرِّفٌ : ، عَنْ عَامِرٍ ، عَنْ الْبَرَاءِ ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ ذَبَحَ بَعْدَ الصَّلَاةِ تَمَّ نُسُكُهُ ، وَأَصَابَ سُنَّةَ الْمُسْلِمِينَ


মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……….বারা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের এ দিনে আমরা সর্বপ্রথম যে কাজটি করব তা হল সালাত আদায় করব। এরপর ফিরে এসে আমরা কুরবানী করব। যে ব্যক্তি এভাবে তা আদায় করল সে আমাদের নীতি অনুসরণ করল। আর যে ব্যক্তি আগেই যবাহ করল, তা এমন গোশত রূপে গণ্য যা সে তার পরিবার পরিজনের জন্য আগাম ব্যবস্থা করল। এটা কিছুতেই কুরবানী বলে গণ্য নয়। তখন আবু বুরদা ইবনে নিয়ার রা. দাঁড়ালেন, আর তিনি (সালাতের) আগেই যবাহ করেছিলেন। তিনি বললেন, আমার নিকট একটি বকরীর বাচ্চা আছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাই যবাহ কর। তবে তোমার পরে আর কারোর পক্ষে তা যথেষ্ট হবে না। মুতাররাফ বারা রা. থেকে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাতের পর যবাহ করল তার কুরবানী পূর্ণ হল এবং সে মুসলমানদের নীতি পালন করল।

কুরবানীর বিধান। (২)


حديث مرفوع) حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ، عَنْ أَيُّوبَ ، عَنْ مُحَمَّدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَإِنَّمَا ذَبَحَ لِنَفْسِهِ ، وَمَنْ ذَبَحَ بَعْدَ الصَّلَاةِ ، فَقَدْ تَمَّ نُسُكُهُ ، وَأَصَابَ سُنَّةَ الْمُسْلِمِينَ


মুসাদ্দাদ রহ আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের আগে যবাহ করল সে নিজের জন্যই যবাহ করল। আর যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পর যবাহ করল, তার কুরবানী পূর্ণ হল এবং সে মুসলমানদের নীতি অনুসরণ করল।
ইমাম কর্তৃক জনগণের মধ্যে কুরবানীর পশু বণ্টন।
حديث مرفوع) حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ ، عَنْ يَحْيَى ، عَنْ بَعْجَةَ الْجُهَنِيِّ ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ ، قَالَ : قَسَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ ضَحَايَا ، فَصَارَتْ لِعُقْبَةَ جَذَعَةٌ ، فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ صَارَتْ لِي جَذَعَةٌ ، قَالَ :ضَحِّ بِهَا

মুআয ইবনে ফাযালা রহ উকবা ইবনে আমির জুহানী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে কতগুলো কুরবানীর পশু বণ্টন করলেন। তখন উকবা রা.-এর ভাগে পড়ল একটি বকরীর বাচ্চা। উকবা রা. বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমার ভাগে এসেছে একটি বকরীর বাচ্চা। তিনি বললেন, সেটাই কুরবানী করে নাও।

মুসাফির ও মহিলাদের কুরবানী করা।
حديث مرفوع) حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَحَاضَتْ بِسَرِفَ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَ مَكَّةَ ، وَهِيَ تَبْكِي ، فَقَالَ : مَا لَكِ أَنَفِسْتِ ؟ ، قَالَتْ : نَعَمْ ، قَالَ : إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ ، فَاقْضِي مَا يَقْضِي الْحَاجُّ ، غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ ، فَلَمَّا كُنَّا بِمِنًى أُتِيتُ بِلَحْمِ بَقَرٍ ، فَقُلْتُ : مَا هَذَا ؟ ، قَالُوا : ضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَزْوَاجِهِ بِالْبَقَرِ

মুসাদ্দাদ রহ আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাছে প্রবেশ করলেন। অথচ মক্কা প্রবেশ করার করার পূর্বেই সারিফ নামক স্থানে তার মাসিক শুরু হয়েছিল। তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার কি হয়েছে? মাসিক শুরু হয়েছে না কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা তো এমন এক বিষয় যা আল্লাহ তায়ালা আদম আ.-এর কন্যা সন্তানের উপর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি আদায় করে যাও, হাজীগণ যা করে থাকে, তুমিও অনুরূপ করে যাও, তবে তুমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে না। এরপর আমরা যখন মিনায় ছিলাম, তখন আমার কাছে গরুর গোশত নিয়ে আসা হল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি? লোকজন উত্তর করল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ থেকে গরু কুরবানী করেছেন।

কুরবানীর দিন গোশত খাওয়ার আকাঙ্খা
حديث مرفوع) حَدَّثَنَا صَدَقَةُ ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ ، عَنْ أَيُّوبَ ، عَنْ ابْنِ سِيرِينَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ النَّحْرِ : مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلَاةِ ، فَلْيُعِدْ ، فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ يُشْتَهَى فِيهِ اللَّحْمُ ، وَذَكَرَ جِيرَانَهُ وَعِنْدِي جَذَعَةٌ خَيْرٌ مِنْ شَاتَيْ لَحْمٍ ، فَرَخَّصَ لَهُ فِي ذَلِكَ ، فَلَا أَدْرِي بَلَغَتِ الرُّخْصَةُ مَنْ سِوَاهُ ، أَمْ لَا ، ثُمَّ انْكَفَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى كَبْشَيْنِ ، فَذَبَحَهُمَا ، وَقَامَ النَّاسُ إِلَى غُنَيْمَةٍ فَتَوَزَّعُوهَا ، أَوْ قَالَ : فَتَجَزَّعُوهَا

সাদাকা রহ আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরবানীর দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! এটাতো এমন দিন যাতে গোশত খাওয়ার প্রতি আকাঙ্খা হয়। তখন সে তার প্রতিবেশীদের কথাও উল্লেখ করল এবং বলল, আমার কাছে এমন একটি বকরীর বাচ্চা আছে যেটি গোশতের দিক থেকে দুটি বকরী অপেক্ষাও উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটিই কুরবানী করতে অনুমতি দিলেন। আনাস রা. বলেন, আমি জানিনা, এ অনুমতি এই ব্যক্তি ব্যতীত অন্যের বেলায় প্রযোজ্য কিনা? এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি ভেড়ার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং সে দুটিকে যবাহ করলেন। লোকজন ক্ষুদ্র একটি বকরীর পালের দিকে উঠে গেল। এরপর ঐ গুলোকে বণ্টন করল কিংবা তিনি বলেছেন, সেগুলোকে তারা যবাহ করে টুকরা টুকরা করে কাটালো।

ছবিসূত্র; ইন্টারনেট


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০১

লেখা পাগলা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০২

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

হাকিম৩ বলেছেন: ধন্যবাদ !

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৩

লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.