![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার হাসি হোক অমলিন-------------
অনেক দুশ্চিন্তায় আছি । আমি একা না, আমরা চার হাজার স্টাফ, ৮৫ লক্ষ উপকারভোগী যারা অতোপ্রতোভাবে জড়িত একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে । বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের নাম হীড বাংলাদেশ । এ এনজিওটি মূলত বিদেশী দাতা সংস্থারা প্রতিষ্ঠা করেন ।১৯৮৯ সাল পর্যন্ত নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন ৬ জন বিদেশী । পরে মিসেস মায়া হিলটন প্রথম বাংলাদেশী নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব নেন । এলগিন সাহা ১৯৯৫ সালে কুটকৌশলে মিসেস হিলটনকে অপসারন করে নিজে নির্বাহী পরিচালক হন । এরপর তিনি বিভিন্ন কৌশলে হীডের নির্বাহী বোর্ডকে পরিবর্তন করেন আত্নীয় স্বজন ও একান্ত অনুসারীদের নিয়ে । আজ হীড পরিণত হয়েছে একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে । সেই থেকে এলগিন সাহা হীড বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে তার পুত্র, স্ত্রী, বোন, স্ত্রীর ভাইপো, বেয়াইসহ অনেককে নিয়োগ দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছেন । বর্তমানে তার কার্যকলাপে অসন্ত্তষ্ট হয়ে অধিকাংশ দাতা সংস্থা তাদের সহেযাগিতা ও অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন । সম্প্রতি এনজিও বু্রো কর্তৃক এলগিন সাহার আর্থিক অনিয়ম, আত্নীয়করন, অবৈধভাবে ট্রাস্ট গঠন, র্ধমান্তরিতকরন সহ বিভিন্ন দূণীতি সম্পর্কে পরিপূরক তদন্ত চলছে ।
গত ২৩ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে এনজিও বু্রো হতে প্রেরিত পত্রে(স্মারক-এবিবু্/প্র-৩/অভিযোগ/৫৮/০৯-১৩৯৯) বলা হয়েছে " সংস্থার স্বার্থে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জনাব এলগিন সাহা যাতে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রাতিস্ঠানিকভাবে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য তাকে নির্বঅহী কমিটির বাইরে রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করে পত্র মারফত এনজিও বু্রোকে নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হলো ।"
এ প্রেক্ষিতে ৫ ডিসেসম্বর ২০০৯ ইং তারিখে নির্বাহী কমিটির মিটিং শেষে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কোষাধ্যক্ষ ও একজন সদস্যের স্বাক্ষরিত এক বিঞ্জপ্তি দ্বারা জানানো হয় মিঃ এলগিন সাহাকে ৮ ডিসেম্বর ২০০৯ হতে ৭ জানুয়ারী ২০১০ পর্যন্ত নির্বাহী ক্ষমতা বিহীন ভাবে একমাসের ছুটি দেয়া হয়েছে । কিন্তু নির্বাহী পরিচালকের প্ররোচনায় অন্র্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য সংস্থা পরিচালনা ও তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য কাউকে নির্বাহী ক্ষমতা অর্পন না করে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা জিইয়ে রাখে । ফলে সংস্থার স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সংস্থার সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ একাত্ব হয়ে ন্যায়সংগত ভাবে দূর্নীতিবাজ ও ধর্মব্যবসায়ী এলগিন সাহার অপসারন এর দাবীতে ৭ ডিসেম্বর ২০০৯ হতে ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত শান্তিপূর্ন কর্মবিরতিসহ হীডবাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে । অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে মিঃ এলগিন সাহা ও তার আত্বীয়স্বজন কর্মচারীদের নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করে যার প্রেক্ষিতে কর্মচারীরা নিরাপত্তার জন্য পল্লবী থানায় একাধিক জিডি করে যার নং ৫৬২, ৯৪৬ ও ১৪৩০ ।
শান্তিপূর্ন অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে বারংবার হীড নির্বাহী কমিটির চেয়ারস্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও এরা সমাধানের কোন কার্যক্ষেপ পদক্ষেপ নেয়নি বরং এ সময় নির্বাহী বোর্ড দায়িত্ব ঞ্জানহীনতার পরিচয় দেয় ।
শান্তিপূর্ন অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে নির্বাহী পরিচালক এলগিন সাহা আন্দোলনরত কর্মীদের সাথে গত ১৭ই ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে । অথচ এই চুক্তির শর্ত অমান্য করে তিনি কর্মীদের হয়রানীমূলক ৪ জনকে অপসারন, ৬ জনকে সাসেপন্ড, ৩ জনকে ওএসডি এবং ৫ জনকে বদলী করেছে ।
এরপর আন্দোলনরত কর্মীদের বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে 'আন্ন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টতা নাই র্মমে জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহন করছে ।
বর্তমানে এনজিও বু্রোতে তদন্ত কাজ চলছে--তার নিরপেক্ষ প্রতিবেদন এর অপেক্ষায় আছি যা কর্মীদের জন্য একটি বিরাট সুখবর হবে বলে আশা করছি ।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৪৫
রিয়াজুল ইস্লাম বলেছেন: আশা করি সুখবরটি আসবেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪১
অজানা আমি বলেছেন: আইটি ম্যানেজার মিঃ মং কি এখনও হীড বাংলাদেশে আছেন?