নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কপি-পেস্ট ব্লগ

..............................................

লিঙ্কন

লিখি না অনেক দিন..

লিঙ্কন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশে শৃঙ্খলা ভঙ্গের মাত্রা বাড়ছে

১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা অপরাধে জড়াচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম অপরাধে জড়াচ্ছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে উচ্চ পদের কর্মকর্তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুলিশ সদর দপ্তরের গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৩৪৯ জনকে লঘুদণ্ড, তিন হাজার ৫৯০ জনকে গুরুদণ্ড, ৪৬১ জনকে বরখাস্ত/চাকরিচ্যুত ও ১২৩ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬৭ হাজার ৫২৩ জন কনস্টেবল থেকে এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ২৩৪ জন পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ সদর দপ্তর। এর মধ্যে ২০৭ জনকে লঘুদণ্ড ও ২৭ জনকে গুরুদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬৩ জন এএসপি থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ জনকে লঘুদণ্ড, ১২ জনকে গুরুদণ্ড, ১ জনকে বরখাস্ত/চাকরিচ্যুত ও তিন জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে ৬৭ হাজার ৮২০ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৮৬১ সালে পুলিশ অ্যাক্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ও সুসংগঠিত পুলিশ বাহিনীর প্রতিষ্ঠার পর থেকে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় নিজস্ব বিধি বিধানের আলোকে অভিযোগ উত্থাপিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পুলিশ অ্যাক্ট, শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, পুলিশ রেগুলেশন বেঙ্গল, পুলিশ অফিসার্স (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ডিএমপি অধ্যাদেশ ও বিধিমালা, সশস্ত্র ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশ ও বিধিমালা, র‌্যাব বিধিমালা, চট্টগ্রাম- খুলনা- রাজশাহী ও মহানগর অধ্যাদেশ ব্যবহার করা হয়। এসব আইন ও বিধি বিধানে সুস্পষ্টভাবে পুলিশের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে করণীয় পদ্ধতি সর্ম্পকে বিস্তারিত বিবরন উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বিধানের আলোকে যেসব যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার নজির হিসেবে বিগত পাঁচ বছরের বিভাগীয় ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করা হল। তথ্যে দেখা যায়, ২০১০ সালে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৩ জনকে লঘুদণ্ড, ৫৩৮ জনকে গুরুদণ্ড, ৪৯ জনকে বরখাস্ত/চাকরিচ্যুত ও ৬৪ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর; ২০১১ সালে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৭২ জনকে লঘুদণ্ড, ৬১২ জনকে গুরুদণ্ড, ৯০ জনকে বরখাস্ত/চাকরিচ্যুত ও ৩৭ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর; ২০১২ সালে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৭০ জনকে লঘুদণ্ড, ৯২১ জনকে গুরুদণ্ড, ১৭৪ জনকে বরখাস্ত/চাকরিচ্যুত ও ১৪ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর; ২০১৩ সালে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত ১৩ হাজার ১৭৪ জনকে লঘুদণ্ড, ৭৫৭ জনকে গুরুদণ্ড, ৭৫ জনকে বরখাস্ত/চাকরিচ্যুত ও ১ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর; ২০১৪ সালে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত ১৪ হাজার ৪০০ জনকে লঘুদণ্ড, ৭৬২ জনকে গুরুদণ্ড, ৭৩ জনকে বরখাস্ত/চাকরিচ্যুত ও ৭ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এ পাঁচ বছরের কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা হিসেবে শাস্তি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শাস্তি দেয়া সদস্যদের সংখ্যা বছরওয়ারি বাড়ছে। এ ছাড়া ২০১০ সালে পুলিশ পরিদর্শকদের মধ্যে ৩৪ জনকে লঘুদণ্ড ও ১০ জনকে গুরুদণ্ড; ২০১১ সালে ৩৭ জনকে লঘুদণ্ড ও ৮ জনকে গুরুদণ্ড; ২০১২ সালে ৪৫ জনকে লঘুদণ্ড ও ১ জনকে গুরুদণ্ড; ২০১৩ সালে ৩৬ জনকে লঘুদণ্ড ও ৩ জনকে গুরুদণ্ড; ২০১৪ সালে ৫৫ জনকে লঘুদণ্ড ও ৫ জনকে গুরুদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ২০১০ সালে এএসপি থেকে তদূর্ধ্ব পর্যন্ত ১৮ জনকে লঘুদণ্ড, ২ জনকে গুরুদণ্ড, একজনকে বরখাস্ত/চাকরিচ্যুত, একজনকে বাধ্যতামূলক অবসর; ২০১১ সালে ১১ জনকে লঘুদণ্ড; ২০১২ সালে ৭ জনকে লঘুদণ্ড, ৩ জনকে গুরুদণ্ড একজনকে বাধ্যতামূলক অবসর; ২০১৩ সালে ৮ জনকে লঘুদণ্ড, ৬ জনকে গুরুদণ্ড এবং ২০১৪ সালে ৩ জনকে লঘুদণ্ড, ১ জনকে গুরুদণ্ড ও একজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিগত পাঁচ বছরে সকল স্তরের ৬৭ হাজার ৮২০ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যা প্রতি বছর গড়ে ১৩ হাজার ৫৬৪ জন

পুলিশে শৃঙ্খলা ভঙ্গের মাত্রা বাড়ছে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.