নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কপি-পেস্ট ব্লগ

..............................................

লিঙ্কন

লিখি না অনেক দিন..

লিঙ্কন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়ার ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা

২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

একদিন প্রেসিডেন্ট জিয়ার সাথে হেলিকপ্টারে উঠলাম। তখন সময় সকাল সাড়ে ন’টা। প্রেসিডেন্ট সাহেবের হাতের ঘড়িতে দেখি ঘড়ির কাটা সাড়ে সাতটা। তখন, আমি বললাম স্যার আপনার ঘড়িটা বোধহয় ঠিক না। তিনি হেসে বললেন যে, আমার একটা ভালো ঘড়ি ছিল। আর্মিতে থাকার সময় কুমিল্লার এক মিটিং এ হারিয়ে ফেলেছি। তারপর ঘড়িটি খুলে তিনি এডিসি সাহেবকে দিলেন ঠিক করে নিয়ে আসার জন্য। পরে এডিসি সাহেব আমাকে বললেন, স্যার এই সাড়ে চারশ’ টাকার ঘড়ি আর কতদিন যাবে বলেন তো? ঘড়ি মেরামতের দোকানিরা বললেন, এটার ভেতরে সবকিছু পুরনো হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এর পার্সগুলো নতুন লাগিয়ে দেই। আমি বললাম যে, এটা যদি প্রেসিডেন্ট সাহেব জানেন তাহলে একেবারে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে দিবেন। যেমনটি আছে ঠিক তেমনটিই ঠিক করে নিয়ে আসেন। অবশেষে একজন প্রেসিডেন্ট হয়েও সাড়ে চারশ’ টাকার ঘড়ি পড়ে মারা গেলেন।
জাতীয় পার্টি দলীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, অথচ বঙ্গভবনে সেসময় ১৪-১৫টি দামি ঘড়ি ছিল যেগুলোর এক একটির মূল্য ছিল প্রায় তিন লক্ষ টাকা। কেএম কায়সার সাহেব তখন বাংলাদেশের জাতিসংঘ প্রতিনিধি। তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াকে একটি দামি ঘড়ি উপহ্রা দিয়েছিলেন। আরেক বার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে মরহুম আকবরকে তেলের জন্য পাঠিয়েছিলেন। দেখলাম যে সেখান থেকে একটি ঘড়ি দিয়ে দিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সোহার্তোকে উপহার দেয়ার জন্য। এ ঘড়িগুলো বিদেশিরা উপঢৌকন হিসেবে দিতেন। কিন্তু তিনি কোনদিনই নিজের জন্য এগুলো ব্যবহার করেন নাই। বঙ্গভবনে সাজিয়ে রাখতেন। এগুলো আমাদের চোখের সামনে দেখা আদর্শ।

নোট: এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল এমপি’র লেখা বইটির বিভিন্ন অংশ মানবজমিন অনলাইনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।

জিয়ার ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৭

লিঙ্কন বলেছেন: না খেয়েই চলে আসলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া
রেসিডেন্ট জিয়া খাবারের মেনু সবাইকে জানিয়ে রাখতেন। দুপুরে খাবার মেনুতে মাছ, ডাল, ভাত আর ফিরনি থাকত। রাত্রের বেলায় বঙ্গভবনে নান রুটি, গরুর মাংস, ডাল আর ফিরনি থাকত। মন্ত্রীরা কেবিনেট মিটিংয়ের পরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খেতেন। একমাত্র শাহ আজিজ সাহেব ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি বলতেন, স্যার, আমি এসব খেতে পারি না। বাসায় গিয়ে খাব।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে রংপুরে খাল কাটার প্রোগ্রামে গেলাম। আড়াইটা পর্যন্ত খাল কাটার কাজ চলল। আমাদের প্রচ- ক্ষুধা পেয়েছিল। রংপুর সুগার মিলের গেস্ট হাউজে খাবারের আয়োজন করা হলো। সেখানে পোলাও মুরগি ইত্যাদিসহ ৬/৭ রকমের আইটেমের খুব ব্যয়বহুল খাবার এনে সামনে দেয়া হলো। এমন সময় বিয়ের বাড়ির মত এক বেয়ারা মুরগির রোস্ট নিয়ে এলো। এটা দেখে প্রেসিডেন্ট সাহেব এডিসি সাহেবকে জিজ্ঞেস করলেন, এত খাবারের আয়োজন কেন করা হয়েছে, আগে খাবারের মেনু পাঠানো হয়নি কেন? এডিসি সাহেব বললেন, মিলের জেনারেল ম্যানেজার সাহেব এসব ব্যবস্থা করেছেন। পরে প্রেসিডেন্ট সাহেব জিএম সাহেবকে ডাকলেন এবং বললেন, গতবার মিলের কত টাকা লাভ হয়েছে। জিএম সাহেব বললেন, স্যার গতবার মিলের দেড় কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সাহেব এসব দামি খাবার দেখে বললেন, এতগুলো খাবার তৈরি করা হয়েছে কার টাকায়? আপনার বাবার টাকায়? তারপর না খেয়ে প্রেসিডেন্ট সাহেব চলে আসলেন। কারও আর খাওয়া হলো না। তারপর হেলিকপ্টার থেকে নেমে হাত বুলিয়ে আমাকে বললেন, সরি মাঈদুল ইসলাম, আজকে খাওয়া হলো না। আমি বললাম, স্যার আপনি খেলেন না। আমি আর কি খাব।

না খেয়েই চলে আসলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া

২| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:১১

লিঙ্কন বলেছেন: প্রেসিডেন্ট জিয়া বললেন, এ গাড়ি কে পাঠিয়েছে?
জিয়াউর রহমান নিজে ছোট গাড়িতে উঠতেন। যে গাড়িটি ব্যবহার করতেন তাতে এয়ারকন্ডিশন ছিল না, এটা তেমন কোন দামি গাড়িও ছিল না। তাঁর নিরাপত্তার জন্য আজকের মতো আগে-পিছে, ডানে-বামে দামি গাড়ির বহর ছিল না। খুবই সাধারণ। সামনে একটি পুুলিশের গাড়ি থাকত। একজন সার্জেন্ট আর তার সাথে কিছু পুলিশ।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, জিয়াউর রহমান সাহেব মন্ত্রীদের বলেছিলেন, আপনারা কখনও সিগন্যাল অমান্য করবেন না, আইন কানুন মেনে চলবেন। একবারের একটি কথা মনে আছে। প্রেসিডেন্ট সাহেব রাজশাহী থেকে ঢাকা আসার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে রওয়ানা হলেন। এডিসি সাহেব মারসিডিজ গাড়ি পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সাহেব গার্ড অব অনার নিয়ে ফিরে এসেই দেখেন যে সেখান মারসিডিজ গাড়ি প্লেস করা আছে। এটা দেখে তিনি এডিসি সাহেবের ওপর চটে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন এ গাড়ি কে পাঠিয়েছে? এডিসি সাহেব বললেন, এমএসপি সাহেব পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া রাগান্বিত হয়ে তার বেতনের টাকা থেকে গাড়ির তেলের টাকা কেটে রাখার নির্দেশ দিলেন। পরে তিনি ডিসি সাহেবকে তার গাড়িটি প্লেস করার কথা বললেন এবং ফেরিঘাটের রাস্তাটি দেখার জন্য ডিসি সাহেবের সেই ছোট গাড়িটি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
একদিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব কেবিনেট মিটিংয়ে মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, দেখেন আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। আমার দেশ খুবই গরিব দেশ। পৃথিবীর সবাই তা জানে। আমাকে সি অফ করার জন্য বা রিসিভ করার জন্য এতোগুলো লোক এবং এতো গাড়ি বিমানবন্দরে আসা যাওয়ার দরকার হয় না। এসব অপব্যয় বিদেশিরা দেখেন এবং তারা মনে করেন তাদের পয়সা দিয়ে এসব অপব্যয় করা হচ্ছে। রাত্রিবেলা আপনারা যখন আমাকে রিসিভ করে ফিরেন তখন মনে হয় যেন বিমানবন্দরে আগুন লেগে গেছে। সব লোক পালাচ্ছে। গাড়ির বহর একসাথে বের হচ্ছে। সুতরাং এখন থেকে শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহেব যাবেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়া বললেন, এ গাড়ি কে পাঠিয়েছে?

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০৮

লিঙ্কন বলেছেন:


শাহ আজিজ বললেন, সালাহউদ্দিন তোমার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন
সংসদ শুরু হলো। প্রানবন্ত সংসদ। যেমন একদিনের কথা বলি, বি. চৌধুরী সাহেব তখন সংসদের ডেপুটি লিডার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করছেন। বরিশালের মহিউদ্দিন সাহেব এমন গরম বক্তৃতা দিচ্ছেন যে, বি চৌধুরী সাহেব আর সামাল দিতে পারছেন না। তিনি আমাকে বললেন যে, আপনি চাচাকে (শাহ আজিজুর রহমান সাহেব) ডেকে নিয়ে আসেন।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, চাচা তখন ঘুমাচ্ছিলেন। আমি গেলাম এবং আস্তে করে চাচার মাথায় হাত দিয়ে বললাম, চাচা সংসদে ভীষণ গ-গোল হচ্ছে। তখন তিনি ঘুম থেকে উঠে মুখে একটু পানি দিয়ে সংসদে গিয়ে বসলেন। বসে তিনি এদিক ওদিক তাকিয়ে বললেন, মাননীয় স্পিকার মি. মহিউদ্দিন একজন গু-া, সে আবার কি বলে। সে একজন ননসেন্স। শাহ আজিজুর রহমান সাহেব বসলেন। সঙ্গে সঙ্গে মহিউদ্দিন সাহেব আরও ক্ষেপে গিয়ে বললেন, শালা তোর দাঁত ভেঙ্গে দেব। শাহ আজিজ আবার দাড়িয়ে বললেন, মহিউদ্দিন একজন গু-া, সে আমার বডিগার্ড ছিল, তার আবার সংসদে কিসের বক্তৃতা। মাননীয় স্পিকার, আমি আপনার কাছে আমার নিরাপত্তা দাবী করছি। সংসদে হাসির রোল পড়ে গেল। তারপর স্পীকার সকল বক্তৃতা এক্সপাঞ্জ করে নিলেন।
আর একদিনের এক ঘটনা। সংসদে খুব হৈ চৈ। আমি শাহ আজিজ সাহেবকে গিয়ে বললাম যে, যে চাচা সংসদে খুব হৈ চৈ চলছে। তিনি হাতে একটা বই নিয়ে টলতে টলতে সংসদে আসলেন। তখন মেনন সাহেব বক্তৃতা করছেন। সালাউদ্দিন কাদের সাহেব , বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত প্রমুখ জাদরেল নেতৃবৃন্দ সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন, কঠিন বক্তৃতা করছেন। তখন শাহ সাহেব দাঁড়িয়ে বললেন যে, সংসদীয় রীতি অনুযায়ী মেনন সাহেব যেটা বললেন সেটা ঠিক না। অন্য একটি বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি সেটি বলে দিলেন। তখন সালাউদ্দিন কাদের সাহেব বললেন, আপনি আমাদেরকে বইটি দেন। শাহ সাহেব তখন বললেন, সালাউদ্দিন, আমার খুব দুঃখ হয়। তোমার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন। তিনি তোমাকে ব্যারিস্টার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তুমি পড়ালেখা কর নাই। তখন মেনন সাহেবউঠে দাঁড়ালেন। শাহ সাহেব মেননের উদ্দেশ্যে বললেন, মেনন, তোমার তো সতেরটা কেস আমিই করেছি। সারা জীবন জেলখানায় ছিলে আর সেখানে শুধু কমিউনিস্টদের চটি বই পড়েছ। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের দিকে চেয়ে বললেন, আপনি তো একজন শিক্ষিত লোক, আপনিও কি তাদের দলে নাকি? একটু কষ্ট করে পেছন দিক দিয়ে ওদিকটায় যান। সেখানে দেখবেন লাইব্রেরি লেখা একটা জায়গা রয়েছে এবং সেখানে makes parliamentary practice বইটি রয়েছে। সেখানে আপনারা তিনজন মিলে বইটি বের করে পড়ে আসুন।

এভাবে সংসদ ভালভাবেই চলতেছিল। সংসদে যখন বিরোধী নেতৃবৃন্দ, আসাদুজ্জামান সাহেব, মহিউদ্দিন সাহেব, সবুর সাহেব, আতাউর রহমান সাহেবরা ওয়াকআউট করতেন তখন আমরা তাঁদের বাসায় বাসায় যেতাম। তাঁদেরকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করতাম, বলতাম যে আমরা কোনদিন সংসদ দেখিনি। আপনারা না আসলে আমরা শিখবো কোত্থেকে। আপনাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। তখন দেখতাম, তাঁরা শাহ সাহেবকে গালাগালি করে একদিন পর আবার সংসদে যোগ দিতেন।
সংসদ শুরু হলো। প্রানবন্ত সংসদ। যেমন একদিনের কথা বলি, বি. চৌধুরী সাহেব তখন সংসদের ডেপুটি লিডার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করছেন। বরিশালের মহিউদ্দিন সাহেব এমন গরম বক্তৃতা দিচ্ছেন যে, বি চৌধুরী সাহেব আর সামাল দিতে পারছেন না। তিনি আমাকে বললেন যে, আপনি চাচাকে (শাহ আজিজুর রহমান সাহেব) ডেকে নিয়ে আসেন।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, চাচা তখন ঘুমাচ্ছিলেন। আমি গেলাম এবং আস্তে করে চাচার মাথায় হাত দিয়ে বললাম, চাচা সংসদে ভীষণ গ-গোল হচ্ছে। তখন তিনি ঘুম থেকে উঠে মুখে একটু পানি দিয়ে সংসদে গিয়ে বসলেন। বসে তিনি এদিক ওদিক তাকিয়ে বললেন, মাননীয় স্পিকার মি. মহিউদ্দিন একজন গু-া, সে আবার কি বলে। সে একজন ননসেন্স। শাহ আজিজুর রহমান সাহেব বসলেন। সঙ্গে সঙ্গে মহিউদ্দিন সাহেব আরও ক্ষেপে গিয়ে বললেন, শালা তোর দাঁত ভেঙ্গে দেব। শাহ আজিজ আবার দাড়িয়ে বললেন, মহিউদ্দিন একজন গু-া, সে আমার বডিগার্ড ছিল, তার আবার সংসদে কিসের বক্তৃতা। মাননীয় স্পিকার, আমি আপনার কাছে আমার নিরাপত্তা দাবী করছি। সংসদে হাসির রোল পড়ে গেল। তারপর স্পীকার সকল বক্তৃতা এক্সপাঞ্জ করে নিলেন।
আর একদিনের এক ঘটনা। সংসদে খুব হৈ চৈ। আমি শাহ আজিজ সাহেবকে গিয়ে বললাম যে, যে চাচা সংসদে খুব হৈ চৈ চলছে। তিনি হাতে একটা বই নিয়ে টলতে টলতে সংসদে আসলেন। তখন মেনন সাহেব বক্তৃতা করছেন। সালাউদ্দিন কাদের সাহেব , বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত প্রমুখ জাদরেল নেতৃবৃন্দ সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন, কঠিন বক্তৃতা করছেন। তখন শাহ সাহেব দাঁড়িয়ে বললেন যে, সংসদীয় রীতি অনুযায়ী মেনন সাহেব যেটা বললেন সেটা ঠিক না। অন্য একটি বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি সেটি বলে দিলেন। তখন সালাউদ্দিন কাদের সাহেব বললেন, আপনি আমাদেরকে বইটি দেন। শাহ সাহেব তখন বললেন, সালাউদ্দিন, আমার খুব দুঃখ হয়। তোমার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন। তিনি তোমাকে ব্যারিস্টার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তুমি পড়ালেখা কর নাই। তখন মেনন সাহেবউঠে দাঁড়ালেন। শাহ সাহেব মেননের উদ্দেশ্যে বললেন, মেনন, তোমার তো সতেরটা কেস আমিই করেছি। সারা জীবন জেলখানায় ছিলে আর সেখানে শুধু কমিউনিস্টদের চটি বই পড়েছ। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের দিকে চেয়ে বললেন, আপনি তো একজন শিক্ষিত লোক, আপনিও কি তাদের দলে নাকি? একটু কষ্ট করে পেছন দিক দিয়ে ওদিকটায় যান। সেখানে দেখবেন লাইব্রেরি লেখা একটা জায়গা রয়েছে এবং সেখানে makes parliamentary practice বইটি রয়েছে। সেখানে আপনারা তিনজন মিলে বইটি বের করে পড়ে আসুন।

এভাবে সংসদ ভালভাবেই চলতেছিল। সংসদে যখন বিরোধী নেতৃবৃন্দ, আসাদুজ্জামান সাহেব, মহিউদ্দিন সাহেব, সবুর সাহেব, আতাউর রহমান সাহেবরা ওয়াকআউট করতেন তখন আমরা তাঁদের বাসায় বাসায় যেতাম। তাঁদেরকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করতাম, বলতাম যে আমরা কোনদিন সংসদ দেখিনি। আপনারা না আসলে আমরা শিখবো কোত্থেকে। আপনাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। তখন দেখতাম, তাঁরা শাহ সাহেবকে গালাগালি করে একদিন পর আবার সংসদে যোগ দিতেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.