নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কপি-পেস্ট ব্লগ

..............................................

লিঙ্কন

লিখি না অনেক দিন..

লিঙ্কন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদকে জেরা

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:২৭

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদকে জেরা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। গতকাল রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩ এ এ জেরা করা হয়। পরে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলার কার্যক্রম ৩রা আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন। গত ১৮ই জুন এ মামলার জেরা শুরু হয়। গতকাল জেরার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া। সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই কড়া নিরাপত্তায় উপস্থিত হন তিনি। জেরা শেষ হলে দুপুর ১২টায় আদালত চত্বর ত্যাগ করেন বিএনপি নেত্রী। সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা জেরা পেছানোর আবেদন করেন। তারা উল্লেখ করেন, সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। তবে, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দাখিল করবেন তারা। এজন্য সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে সাক্ষীর জেরা স্থগিত চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে আগামী ধার্য তারিখের আগেই উচ্চ আদালতের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন আইনজীবীদের। অন্য দিকে মামলার দুই আসামি ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন আইনজীবীরা। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
সকালে সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী)-এ এই মামলার ঘটনার তারিখ ২০০৫ সালের ৯ই জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি। কিন্তু সাক্ষ্যে সাক্ষী বলেছেন, ঘটনার সময়কাল ২০০১ থেকে ২০০৬। এফ আইআর-এ একরকম আবার সাক্ষ্যতে অন্যরকম। সাক্ষী হারুনুর রশিদ এ সময় মামলার ডকুমেন্ট দেখে ঘটনার তারিখ বলতে চাইলে খন্দকার মাহবুব বলেন, দেখে বলতে হবে না। আপনি তখন কতটা চাপের মধ্যে ছিলেন তা আমি জানি। ডেট অফ অকারেন্স (ঘটনার তারিখ) যদি পরিবর্তন হয় তাহলে এর ফলাফল কি হতে পারে তা কি আপনি জানেন? আপনি এজাহার ও জবানবন্দিতে তারিখ নিয়ে দুই ধরনের কথা বলেছেন। জবাবে সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে। আইনজীবী বলেন, আপনি ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরও অনেক রাজনৈতিক নেতাদের নামে আরও মামলা করেছেন কিনা। সাক্ষী বলেন, জ্বি করেছি। খন্দকার মাহবুব বলেন, এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে যে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। জেরায় খন্দকার মাহবুব বলেন, আপনি কি জানেন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে একটি মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসামি। এটাও কি জানেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি আমার ভাষায় হাওয়া ও আইনের ভাষায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাক্ষী বলেন এটা আমার জানা নেই। আইনজীবী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল। দুদক কর্তৃক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতার প্রভাবে এ সকল মামলা বাতিল করা হয়। জবাবে সাক্ষী হারুনুর রশিদ বলেন, মামলাহয়েছিল জানি কিন্তু কতটি হয়েছিল তা জানা নেই। মামলা বাতিল সংক্রান্ত বিষয়েও আমার জানা নেই। আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, আপনি মিগ চিনেন কিনা যা আকশে ওড়ে। এ ছাড়া ফ্রিগেট ও ২০০৬ সালে রাস্তায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যা সম্পর্কিত হত্যা মামলার প্রশ্ন করলে বিচারক বলেন, আমরা মনে হয় আমরা মেইনস্ট্রিম থেকে সরে আসছি। এখানে এ মামলার সঙ্গে হত্যা মামলার কোন সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হেসেন কাজল বলেন, সাক্ষ্য আইনের ৫৮, ৬২ ও ৭২ ধারামতে আপনি (খন্দকার মাহবুব হোসেন) প্রশ্ন করছেন কিন্তু সে অনুযায়ী কোন ডকুমেন্ট দাখিল করেননি। সাক্ষীর যে বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ের প্রশ্নে তিনি কিভাবে উত্তর দেবেন? এখানে আপনার প্রশ্নের কোন উদ্দেশ্য নেই। তবে, প্রশ্নের উদ্দেশ্য যদি হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফিরিস্তি দেয়া তাহলে হয়তো তা ঠিক আছে। কিন্তু সাক্ষীকে এ ধরনের প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য কি?
খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব সাক্ষীর উদ্দেশ্যে বলেন, দুদক যখন যে ক্ষমতায় আসে তাদের ইচ্ছায় মামলা করে, আবার তাদের ইচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করে। সাক্ষী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, আমি অথরিটি নিয়ে বলছি দুদক আজ পর্যন্ত কোন মামলা প্রত্যাহার করেনি। এই মামলায় কেউ অভিযোগ করেছিল কিনা? বা অভিযোগকারীকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছিল কিনা? আসামির আইনজীবীর এমন প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী হারুনুর রশিদ বলেন, ডা. ফারজানা আহমেদ নামে একজন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তাকে সাক্ষী করা হয়নি। আইনজীবী বলেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত। তার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিনি এই ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। আপনি আদালতের ডকে ওঠে সত্যি কথা বলছেন না। যেসব বলেছেন এগুলো সব মিথ্যা, কাল্পনিক। জবাবে সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দুদক আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সরকারি অর্থ আত্মসাতের কোন অভিযোগ আছে কিনা। জবাবে সাক্ষী বলেন, এটি অর্থ আত্মসাতের মামলা নয়। এ পর্যায়ে সাক্ষ্য গ্রহণের মুলতবির আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এই মামলায় অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই লেনদেন বৈধ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (খালেদা জিয়া) কোন ট্রাস্ট গঠন করতে পারেন না। কিন্তু তিনি তার ছেলেকে ট্রাস্টি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। আর দুদক যে কারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ গ্রহণ করতে পারে। আমরা মনে করি মামলার কাজ যে গতিতে এগুচ্ছে তাতে সঠিক সময়েই মামলার কাজ শেষ করতে পারবো। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের প্রতি বিচারকের উষ্মা প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই দেখি তাদের পক্ষের আইনজীবীরা আদালত, দুদকের সাক্ষী ও আইনজীবীদের প্রতি ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করছে। বিচারক তাদেরকে সতর্ক করেছেন। খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যেহেতু এটি ব্যক্তিগত ট্রাস্ট তাই এই মামলায় সরকারি কোন অর্থ আত্মসাৎ করা হয়নি। এই মামলা কোন অবস্থাতেই দুদকের আওতায় পড়ে না। মামলায় লিখিত কোন অভিযোগও নেই। আর যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে সাক্ষীও করা হয়নি। এই মামলা সমপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদকে জেরা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। গতকাল রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩ এ এ জেরা করা হয়। পরে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলার কার্যক্রম ৩রা আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন। গত ১৮ই জুন এ মামলার জেরা শুরু হয়। গতকাল জেরার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া। সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই কড়া নিরাপত্তায় উপস্থিত হন তিনি। জেরা শেষ হলে দুপুর ১২টায় আদালত চত্বর ত্যাগ করেন বিএনপি নেত্রী। সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা জেরা পেছানোর আবেদন করেন। তারা উল্লেখ করেন, সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। তবে, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দাখিল করবেন তারা। এজন্য সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে সাক্ষীর জেরা স্থগিত চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে আগামী ধার্য তারিখের আগেই উচ্চ আদালতের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন আইনজীবীদের। অন্য দিকে মামলার দুই আসামি ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন আইনজীবীরা। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
সকালে সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী)-এ এই মামলার ঘটনার তারিখ ২০০৫ সালের ৯ই জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি। কিন্তু সাক্ষ্যে সাক্ষী বলেছেন, ঘটনার সময়কাল ২০০১ থেকে ২০০৬। এফ আইআর-এ একরকম আবার সাক্ষ্যতে অন্যরকম। সাক্ষী হারুনুর রশিদ এ সময় মামলার ডকুমেন্ট দেখে ঘটনার তারিখ বলতে চাইলে খন্দকার মাহবুব বলেন, দেখে বলতে হবে না। আপনি তখন কতটা চাপের মধ্যে ছিলেন তা আমি জানি। ডেট অফ অকারেন্স (ঘটনার তারিখ) যদি পরিবর্তন হয় তাহলে এর ফলাফল কি হতে পারে তা কি আপনি জানেন? আপনি এজাহার ও জবানবন্দিতে তারিখ নিয়ে দুই ধরনের কথা বলেছেন। জবাবে সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে। আইনজীবী বলেন, আপনি ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরও অনেক রাজনৈতিক নেতাদের নামে আরও মামলা করেছেন কিনা। সাক্ষী বলেন, জ্বি করেছি। খন্দকার মাহবুব বলেন, এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে যে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। জেরায় খন্দকার মাহবুব বলেন, আপনি কি জানেন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে একটি মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসামি। এটাও কি জানেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি আমার ভাষায় হাওয়া ও আইনের ভাষায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাক্ষী বলেন এটা আমার জানা নেই। আইনজীবী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল। দুদক কর্তৃক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতার প্রভাবে এ সকল মামলা বাতিল করা হয়। জবাবে সাক্ষী হারুনুর রশিদ বলেন, মামলা হয়েছিল জানি কিন্তু কতটি হয়েছিল তা জানা নেই। মামলা বাতিল সংক্রান্ত বিষয়েও আমার জানা নেই। আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, আপনি মিগ চিনেন কিনা যা আকশে ওড়ে। এ ছাড়া ফ্রিগেট ও ২০০৬ সালে রাস্তায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যা সম্পর্কিত হত্যা মামলার প্রশ্ন করলে বিচারক বলেন, আমরা মনে হয় আমরা মেইনস্ট্রিম থেকে সরে আসছি। এখানে এ মামলার সঙ্গে হত্যা মামলার কোন সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হেসেন কাজল বলেন, সাক্ষ্য আইনের ৫৮, ৬২ ও ৭২ ধারামতে আপনি (খন্দকার মাহবুব হোসেন) প্রশ্ন করছেন কিন্তু সে অনুযায়ী কোন ডকুমেন্ট দাখিল করেননি। সাক্ষীর যে বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ের প্রশ্নে তিনি কিভাবে উত্তর দেবেন? এখানে আপনার প্রশ্নের কোন উদ্দেশ্য নেই। তবে, প্রশ্নের উদ্দেশ্য যদি হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফিরিস্তি দেয়া তাহলে হয়তো তা ঠিক আছে। কিন্তু সাক্ষীকে এ ধরনের প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য কি?
খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব সাক্ষীর উদ্দেশ্যে বলেন, দুদক যখন যে ক্ষমতায় আসে তাদের ইচ্ছায় মামলা করে, আবার তাদের ইচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করে। সাক্ষী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, আমি অথরিটি নিয়ে বলছি দুদক আজ পর্যন্ত কোন মামলা প্রত্যাহার করেনি। এই মামলায় কেউ অভিযোগ করেছিল কিনা? বা অভিযোগকারীকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছিল কিনা? আসামির আইনজীবীর এমন প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী হারুনুর রশিদ বলেন, ডা. ফারজানা আহমেদ নামে একজন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তাকে সাক্ষী করা হয়নি। আইনজীবী বলেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত। তার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিনি এই ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। আপনি আদালতের ডকে ওঠে সত্যি কথা বলছেন না। যেসব বলেছেন এগুলো সব মিথ্যা, কাল্পনিক। জবাবে সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দুদক আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সরকারি অর্থ আত্মসাতের কোন অভিযোগ আছে কিনা। জবাবে সাক্ষী বলেন, এটি অর্থ আত্মসাতের মামলা নয়। এ পর্যায়ে সাক্ষ্য গ্রহণের মুলতবির আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এই মামলায় অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই লেনদেন বৈধ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (খালেদা জিয়া) কোন ট্রাস্ট গঠন করতে পারেন না। কিন্তু তিনি তার ছেলেকে ট্রাস্টি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। আর দুদক যে কারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ গ্রহণ করতে পারে। আমরা মনে করি মামলার কাজ যে গতিতে এগুচ্ছে তাতে সঠিক সময়েই মামলার কাজ শেষ করতে পারবো। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের প্রতি বিচারকের উষ্মা প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই দেখি তাদের পক্ষের আইনজীবীরা আদালত, দুদকের সাক্ষী ও আইনজীবীদের প্রতি ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করছে। বিচারক তাদেরকে সতর্ক করেছেন। খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যেহেতু এটি ব্যক্তিগত ট্রাস্ট তাই এই মামলায় সরকারি কোন অর্থ আত্মসাৎ করা হয়নি। এই মামলা কোন অবস্থাতেই দুদকের আওতায় পড়ে না। মামলায় লিখিত কোন অভিযোগও নেই। আর যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে সাক্ষীও করা হয়নি। এই মামলা সমপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদকে জেরা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। গতকাল রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩ এ এ জেরা করা হয়। পরে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলার কার্যক্রম ৩রা আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন। গত ১৮ই জুন এ মামলার জেরা শুরু হয়। গতকাল জেরার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া। সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই কড়া নিরাপত্তায় উপস্থিত হন তিনি। জেরা শেষ হলে দুপুর ১২টায় আদালত চত্বর ত্যাগ করেন বিএনপি নেত্রী। সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা জেরা পেছানোর আবেদন করেন। তারা উল্লেখ করেন, সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। তবে, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দাখিল করবেন তারা। এজন্য সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে সাক্ষীর জেরা স্থগিত চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে আগামী ধার্য তারিখের আগেই উচ্চ আদালতের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন আইনজীবীদের। অন্য দিকে মামলার দুই আসামি ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন আইনজীবীরা। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
সকালে সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী)-এ এই মামলার ঘটনার তারিখ ২০০৫ সালের ৯ই জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি। কিন্তু সাক্ষ্যে সাক্ষী বলেছেন, ঘটনার সময়কাল ২০০১ থেকে ২০০৬। এফ আইআর-এ একরকম আবার সাক্ষ্যতে অন্যরকম। সাক্ষী হারুনুর রশিদ এ সময় মামলার ডকুমেন্ট দেখে ঘটনার তারিখ বলতে চাইলে খন্দকার মাহবুব বলেন, দেখে বলতে হবে না। আপনি তখন কতটা চাপের মধ্যে ছিলেন তা আমি জানি। ডেট অফ অকারেন্স (ঘটনার তারিখ) যদি পরিবর্তন হয় তাহলে এর ফলাফল কি হতে পারে তা কি আপনি জানেন? আপনি এজাহার ও জবানবন্দিতে তারিখ নিয়ে দুই ধরনের কথা বলেছেন। জবাবে সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে। আইনজীবী বলেন, আপনি ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরও অনেক রাজনৈতিক নেতাদের নামে আরও মামলা করেছেন কিনা। সাক্ষী বলেন, জ্বি করেছি। খন্দকার মাহবুব বলেন, এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে যে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। জেরায় খন্দকার মাহবুব বলেন, আপনি কি জানেন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে একটি মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসামি। এটাও কি জানেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি আমার ভাষায় হাওয়া ও আইনের ভাষায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাক্ষী বলেন এটা আমার জানা নেই। আইনজীবী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল। দুদক কর্তৃক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতার প্রভাবে এ সকল মামলা বাতিল করা হয়। জবাবে সাক্ষী হারুনুর রশিদ বলেন, মামলা হয়েছিল জানি কিন্তু কতটি হয়েছিল তা জানা নেই। মামলা বাতিল সংক্রান্ত বিষয়েও আমার জানা নেই। আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, আপনি মিগ চিনেন কিনা যা আকশে ওড়ে। এ ছাড়া ফ্রিগেট ও ২০০৬ সালে রাস্তায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যা সম্পর্কিত হত্যা মামলার প্রশ্ন করলে বিচারক বলেন, আমরা মনে হয় আমরা মেইনস্ট্রিম থেকে সরে আসছি। এখানে এ মামলার সঙ্গে হত্যা মামলার কোন সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হেসেন কাজল বলেন, সাক্ষ্য আইনের ৫৮, ৬২ ও ৭২ ধারামতে আপনি (খন্দকার মাহবুব হোসেন) প্রশ্ন করছেন কিন্তু সে অনুযায়ী কোন ডকুমেন্ট দাখিল করেননি। সাক্ষীর যে বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ের প্রশ্নে তিনি কিভাবে উত্তর দেবেন? এখানে আপনার প্রশ্নের কোন উদ্দেশ্য নেই। তবে, প্রশ্নের উদ্দেশ্য যদি হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফিরিস্তি দেয়া তাহলে হয়তো তা ঠিক আছে। কিন্তু সাক্ষীকে এ ধরনের প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য কি?
খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব সাক্ষীর উদ্দেশ্যে বলেন, দুদক যখন যে ক্ষমতায় আসে তাদের ইচ্ছায় মামলা করে, আবার তাদের ইচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করে। সাক্ষী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, আমি অথরিটি নিয়ে বলছি দুদক আজ পর্যন্ত কোন মামলা প্রত্যাহার করেনি। এই মামলায় কেউ অভিযোগ করেছিল কিনা? বা অভিযোগকারীকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছিল কিনা? আসামির আইনজীবীর এমন প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী হারুনুর রশিদ বলেন, ডা. ফারজানা আহমেদ নামে একজন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তাকে সাক্ষী করা হয়নি। আইনজীবী বলেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত। তার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিনি এই ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। আপনি আদালতের ডকে ওঠে সত্যি কথা বলছেন না। যেসব বলেছেন এগুলো সব মিথ্যা, কাল্পনিক। জবাবে সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দুদক আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সরকারি অর্থ আত্মসাতের কোন অভিযোগ আছে কিনা। জবাবে সাক্ষী বলেন, এটি অর্থ আত্মসাতের মামলা নয়। এ পর্যায়ে সাক্ষ্য গ্রহণের মুলতবির আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এই মামলায় অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই লেনদেন বৈধ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (খালেদা জিয়া) কোন ট্রাস্ট গঠন করতে পারেন না। কিন্তু তিনি তার ছেলেকে ট্রাস্টি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। আর দুদক যে কারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ গ্রহণ করতে পারে। আমরা মনে করি মামলার কাজ যে গতিতে এগুচ্ছে তাতে সঠিক সময়েই মামলার কাজ শেষ করতে পারবো। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের প্রতি বিচারকের উষ্মা প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই দেখি তাদের পক্ষের আইনজীবীরা আদালত, দুদকের সাক্ষী ও আইনজীবীদের প্রতি ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করছে। বিচারক তাদেরকে সতর্ক করেছেন। খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যেহেতু এটি ব্যক্তিগত ট্রাস্ট তাই এই মামলায় সরকারি কোন অর্থ আত্মসাৎ করা হয়নি। এই মামলা কোন অবস্থাতেই দুদকের আওতায় পড়ে না। মামলায় লিখিত কোন অভিযোগও নেই। আর যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে সাক্ষীও করা হয়নি। এই মামলা সমপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদকে জেরা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। গতকাল রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩ এ এ জেরা করা হয়। পরে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলার কার্যক্রম ৩রা আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন। গত ১৮ই জুন এ মামলার জেরা শুরু হয়। গতকাল জেরার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া। সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই কড়া নিরাপত্তায় উপস্থিত হন তিনি। জেরা শেষ হলে দুপুর ১২টায় আদালত চত্বর ত্যাগ করেন বিএনপি নেত্রী। সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা জেরা পেছানোর আবেদন করেন। তারা উল্লেখ করেন, সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। তবে, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দাখিল করবেন তারা। এজন্য সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে সাক্ষীর জেরা স্থগিত চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে আগামী ধার্য তারিখের আগেই উচ্চ আদালতের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন আইনজীবীদের। অন্য দিকে মামলার দুই আসামি ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন আইনজীবীরা। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
সকালে সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী)-এ এই মামলার ঘটনার তারিখ ২০০৫ সালের ৯ই জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি। কিন্তু সাক্ষ্যে সাক্ষী বলেছেন, ঘটনার সময়কাল ২০০১ থেকে ২০০৬। এফ আইআর-এ একরকম আবার সাক্ষ্যতে অন্যরকম। সাক্ষী হারুনুর রশিদ এ সময় মামলার ডকুমেন্ট দেখে ঘটনার তারিখ বলতে চাইলে খন্দকার মাহবুব বলেন, দেখে বলতে হবে না। আপনি তখন কতটা চাপের মধ্যে ছিলেন তা আমি জানি। ডেট অফ অকারেন্স (ঘটনার তারিখ) যদি পরিবর্তন হয় তাহলে এর ফলাফল কি হতে পারে তা কি আপনি জানেন? আপনি এজাহার ও জবানবন্দিতে তারিখ নিয়ে দুই ধরনের কথা বলেছেন। জবাবে সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে। আইনজীবী বলেন, আপনি ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরও অনেক রাজনৈতিক নেতাদের নামে আরও মামলা করেছেন কিনা। সাক্ষী বলেন, জ্বি করেছি। খন্দকার মাহবুব বলেন, এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে যে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। জেরায় খন্দকার মাহবুব বলেন, আপনি কি জানেন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে একটি মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসামি। এটাও কি জানেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি আমার ভাষায় হাওয়া ও আইনের ভাষায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাক্ষী বলেন এটা আমার জানা নেই। আইনজীবী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল। দুদক কর্তৃক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতার প্রভাবে এ সকল মামলা বাতিল করা হয়। জবাবে সাক্ষী হারুনুর রশিদ বলেন, মামলা হয়েছিল জানি কিন্তু কতটি হয়েছিল তা জানা নেই। মামলা বাতিল সংক্রান্ত বিষয়েও আমার জানা নেই। আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, আপনি মিগ চিনেন কিনা যা আকশে ওড়ে। এ ছাড়া ফ্রিগেট ও ২০০৬ সালে রাস্তায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যা সম্পর্কিত হত্যা মামলার প্রশ্ন করলে বিচারক বলেন, আমরা মনে হয় আমরা মেইনস্ট্রিম থেকে সরে আসছি। এখানে এ মামলার সঙ্গে হত্যা মামলার কোন সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হেসেন কাজল বলেন, সাক্ষ্য আইনের ৫৮, ৬২ ও ৭২ ধারামতে আপনি (খন্দকার মাহবুব হোসেন) প্রশ্ন করছেন কিন্তু সে অনুযায়ী কোন ডকুমেন্ট দাখিল করেননি। সাক্ষীর যে বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ের প্রশ্নে তিনি কিভাবে উত্তর দেবেন? এখানে আপনার প্রশ্নের কোন উদ্দেশ্য নেই। তবে, প্রশ্নের উদ্দেশ্য যদি হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফিরিস্তি দেয়া তাহলে হয়তো তা ঠিক আছে। কিন্তু সাক্ষীকে এ ধরনের প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য কি?
খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব সাক্ষীর উদ্দেশ্যে বলেন, দুদক যখন যে ক্ষমতায় আসে তাদের ইচ্ছায় মামলা করে, আবার তাদের ইচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করে। সাক্ষী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, আমি অথরিটি নিয়ে বলছি দুদক আজ পর্যন্ত কোন মামলা প্রত্যাহার করেনি। এই মামলায় কেউ অভিযোগ করেছিল কিনা? বা অভিযোগকারীকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছিল কিনা? আসামির আইনজীবীর এমন প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী হারুনুর রশিদ বলেন, ডা. ফারজানা আহমেদ নামে একজন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তাকে সাক্ষী করা হয়নি। আইনজীবী বলেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত। তার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিনি এই ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। আপনি আদালতের ডকে ওঠে সত্যি কথা বলছেন না। যেসব বলেছেন এগুলো সব মিথ্যা, কাল্পনিক। জবাবে সাক্ষী বলেন, ইহা সত্য নহে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দুদক আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সরকারি অর্থ আত্মসাতের কোন অভিযোগ আছে কিনা। জবাবে সাক্ষী বলেন, এটি অর্থ আত্মসাতের মামলা নয়। এ পর্যায়ে সাক্ষ্য গ্রহণের মুলতবির আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এই মামলায় অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই লেনদেন বৈধ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (খালেদা জিয়া) কোন ট্রাস্ট গঠন করতে পারেন না। কিন্তু তিনি তার ছেলেকে ট্রাস্টি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। আর দুদক যে কারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ গ্রহণ করতে পারে। আমরা মনে করি মামলার কাজ যে গতিতে এগুচ্ছে তাতে সঠিক সময়েই মামলার কাজ শেষ করতে পারবো। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের প্রতি বিচারকের উষ্মা প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই দেখি তাদের পক্ষের আইনজীবীরা আদালত, দুদকের সাক্ষী ও আইনজীবীদের প্রতি ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করছে। বিচারক তাদেরকে সতর্ক করেছেন। খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যেহেতু এটি ব্যক্তিগত ট্রাস্ট তাই এই মামলায় সরকারি কোন অর্থ আত্মসাৎ করা হয়নি। এই মামলা কোন অবস্থাতেই দুদকের আওতায় পড়ে না। মামলায় লিখিত কোন অভিযোগও নেই। আর যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে সাক্ষীও করা হয়নি। এই মামলা সমপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদকে জেরা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.