নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিপু খন্দকার

কিছুই বলার নেই

লিপু খন্দকার

যা কিছু বলা যায় না তাই আমার কথা। আমি সাংবাদিকতা করি

লিপু খন্দকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তহুরা’র পরিবারে কান্না থামছে না

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৩





তহুরা’র পরিবারে কান্না থামছে না



সাভার ট্রাজেডিতে নিহত গার্মেন্ট শ্রমিক তহুরা খাতুনের (২৬) গ্রামের বাড়ি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের চান্দাই গ্রামে চলছে শোকের মাতম। থামছে না স্বজনদের আহাজারি আর কান্না।



রোববার সকালে সাভার থেকে তহুরা খাতুনের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন তহুরা খাতুনের বাবা আব্দুস সোবাহান ও স্বামী লাল মিয়াসহ অন্তত ৫ জন। এ ঘটনায় নিহত হন তিন জন। তবে, তারা তহুরা খাতুনের পরিচিত নন বলে জানা গেছে।



আহতদের কাছ থেকে খবর পেয়ে অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থল শাহজাদপুর থানা থেকে তহুরা খাতুনের লাশ নিয়ে আসেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী ওঠে গ্রামের বাতাস। পরে নামাজে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।



পরিবারের সদস্যদের কাঁদিয়ে তহুরা খাতুন চলে গেছেন না ফেরার দেশে। রেখে গেছেন বাবা আব্দুস সোবাহান, মা মমতাজ বেগম, স্বামী লাল মিয়া, মানসিক প্রতিবন্ধি একমাত্র ছেলে চার বছর বয়সী জিহাদ, তিন বোন ও একমাত্র ভাই আলামিনকে। ভাইবোনোর মধ্যে তহুরা খাতুন ছিলেন সবার বড়।



রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় চাপা পড়েন তহুরা খাতুন। অনেককেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও নিহতের তালিকায় যুক্ত হন তিনি।



তহুরার চাচাতো বোন রোজিনা খাতুন জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে উদ্ধারকর্মীরা তার লাশ উদ্ধারের পর অধরচন্দ্র হাইস্কুল মাঠ থেকে তহুরার লাশ পাওয়ার খবর দেন তার মামা নুরু হক। এরপর রাতেই একটি মাইক্রোবাসযোগে তহুরা খাতুনের লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর রোববার সকাল ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হন তার বাবা সোবাহান ও স্বামী লাল মিয়াসহ ৫ জন।



তহুরা খাতুনের মেজো বোন রেহানা খাতুন জানান, দরিদ্র পরিবারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে প্র্রায় সাড়ে তিন বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ঢাকার সাভারে যান তহুরা খাতুন। সাভারের রানা প্লাজার ছয়তলায় অবস্থিত একটি গার্মেন্ট কারখানায় প্রায় ৩ মাস আগে নতুন চাকরি নেন তিনি।



তহুরা খাতুনের মা মমতাজ বেগম বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। সংসারে খুব অভাব ছিল। ওর বাবা (সোবাহন) দিনমজুরি করে ঠিকমতো সংসার চালাতে পারছিল না। পরে চার বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধি শিশু জিহাদকে আমাদের কাছে রেখে সে সাভারে গিয়ে একটি গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করে। মূলত তার উপার্জনেই চলতো সংসার। এখন সে নেই। তার বাবাও গুরুতর আহত। কীভাবে সংসার চলবে বুঝতে পারছি না।”



চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন জানান, তহুরা খাতুন ছাড়াও তার ইউনিয়নের চন্ডিপাশা, চাচকিয়া, ষাটগাছা গ্রামের অন্তত ৪ জন গার্মেন্ট শ্রমিক ওই ভবন ধসের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.