নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিপু খন্দকার

কিছুই বলার নেই

লিপু খন্দকার

যা কিছু বলা যায় না তাই আমার কথা। আমি সাংবাদিকতা করি

লিপু খন্দকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউমার্কেটে ঈদের কেনাকাটা

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০০

নিউমার্কেটে ঈদের কেনাকাটা

ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে অধিকাংশ মানুষের কেনাকাটা প্রায় শেষ। আর যারা এখনও সময়ের অভাবে ঈদ শপিংয়ে যেতে পারেনি অথবা পোশাক ছাড়া অন্যান্য জিনিস কেনা বাকি তারা ভিড় করছে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি মার্কেট হচ্ছে নিউমার্কেট। এখানে সাধ ও সাধ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেনাকাটার জন্যই বেশিরভাগ মানুষ এসে থাকেন।



পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে কানের দুল, চুড়ি, গলার মালা, টিপ, ব্যাগ, জুতোসহ ঘর সাজানোর অন্যান্য জিনিসের জন্য নিউমাকের্টের বেশ কদর রয়েছে। এছাড়া ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, বেল্ট, মানিব্যাগ ইত্যাদি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায় বলে ছাত্র-তরুণ-যুবকসহ অনেকেই এখানে আসেন।

নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষের ভিড়। এতো মানুষের ভিড়ে মধ্যে মাঝে মাঝে সঙ্গের মানুষটিকেও হারিয়ে ফেলছেন অনেকে। কেউ আবার পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য দোকানের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না। তবুও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়ও।

তবে অনেকটা ভিন্ন চিত্র নিউমাকের্টের ভেতরে। অনেক দোকানই ক্রেতাশূন্য। দোকানিদের কণ্ঠে হতাশার সুর। নিউমার্কেটের ৩নং গেট দিয়ে দোতলায় উঠে দাঁড়ালাম ছেলেদের বেল্ট ও মানিব্যাগের এক দোকানে। কেমন চলছে বেচাকেনা- জিজ্ঞেস করতেই আল-আমিন নামে বিক্রেতা বললেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার বেচাকেনা একেবারেই কম, ক্রেতাও কম। মাঝে মধ্যে দু’একজন এসে এটা-সেটা নাড়াচাড়া করে চলে যায়।’

একই কথা জানালেন মমতা গার্মেন্টসের বিক্রতা মো. রাজ। বাংলামেইলকে তিনি বলেন, ‘দেখতেই পাচ্ছেন ক্রেতা একদম নেই। ঈদে সবাই বড় বড় শপিংমলে ঘুরে বেড়ায়। এখানে কেনাকাটা করতে আসা লোকজনের সংখ্যা কম। তাছাড়া হরতালের কারণে ব্যবসায় গত বছরের তুলনায় খারাপ যাচ্ছে। তবে আশা করছি শেষের দিকে কিছু বেচাবিক্রি করতে পারবো।’

নিউমার্কেটের নিচে অনেকেই ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। তাদের কারো কাছে কানের দুল, মালা। আবার কারো কাছে ঘরের কাজে ব্যবহৃত টুকিটাকি জিনিস। তবে নিউমার্কেটের ভেতরের চেয়ে বাইরের ভিড়টাই যেন চোখে পড়ার মতো।

নিউমার্কেটের বাইরের এক কাপড়ের দোকানে অনেক কষ্টে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম এক তরুণীর কেনাকাটা। একটার পর একটা জিনিসের দাম সে জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছেন। বিক্রেতাও অনেকটা বিরক্তির নিয়ে দাম বলে যাচ্ছেন। তবে আয়শা নামে সেই তরুণীটি হতাশ করেননি দোকানিকে। পর পার পাঁচ জোড়া কানের দুল ও দুই জোড়া বালা কিনলেন সে।

আয়শার কেনাকাটার ধরণ ও দামাদামি দেখে মনে হলো, যারা নিয়মিত নিউমার্কেট এলাকা থেকে কেনাকাটা করেন, এই মার্কেটের পণ্যের দাম সম্পর্কে তাদের ধারণা থাকে। তবে যারা নতুন তাদের জন্য দামাদামি করাটা একটু অসুবিধারই বটে।

নিউমাকের্টের ভেতরে বাচ্চাদের জামাকাপড়, খেলনা, জুতা, কানের দুল, গলার মালা, চুড়ি, টিপ, চুলের ব্যান্ড, সিরামিকস, হাড়ি পাতিল, টেবিল ক্লথ, চাদর, কুশন, মেয়েদের টপস, সিঙ্গেল কামিজ, ওড়না, প্যান্ট, ছেলেদের পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট, টি-শার্ট, টাউজার, শর্টপ্যান্ট, বেল্ট, মানিব্যাগ, ব্যাগ, ব্রেসল্টে, লাইটারসহ নানা ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। এসবের দামও সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে।

এছাড়া নিউমার্কেটের বাইরের দোকানগুলোতেও সুলভ মূল্যে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পাওয়া যায়। নিউমার্কেট ছাড়া গাউছিয়া, চাঁদনী চক, ধানমণ্ডি হকার্স মধ্যবিত্ত মানুষের কেনাকাটার জন্য অন্যতম জায়গা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.