নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তর্কে মিলায় বস্ত, বিশ্বাসে বহুদূর।

আই কাস্যবাজাইজ্জা ফুয়া

সাজীদ মাহমুদ

মধ্যম পন্থি

সাজীদ মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জটিলতা নিয়ে কিছু জটিল কথা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৫৭

আমাদের ধারণা পৃথিবীর সব ঘটনাই জটিল। আসলেই কী তাই?

এমন হতে পারেনা যে, যেসকল ঘটনা আমরা জটিল মনে করি তাই জটিল, বাকি গুলো আমারা মনে করি সহজ তাই সহজ। তার মানে সব ঘটনাই সহজ স্বাভাবিক। সব জটিল সমস্যারই একটি সহজ সমাধান থাকে। যার অই সহজ সমাধান জানা আছে তার কাছে অই ঘটনা সহজ যার জানা নেই তার কাছে জটিল। সমস্য জানা এবং সমস্যার সমাধান বের করতে চোখ কান খোলা রাখতে জানতে হয়। আর তার জন্য দৃষ্টিভঙ্গির দরকার হয়। তাছাড়া আর কিছুই না।

উদাহারণ স্বরূপ গণিতের অনেক শাখা আছে। এক এক জনের এক এক শাখা জটিল মনে হতে পারে। কারও হয়তবা ত্রিকোণমিতি সহজ লাগতে পারে। আবার কারো ক্যালকুলাস। আবার যার ক্যালকুলাস সহজ লাগে তার কাছে ত্রিকোণমিতি কঠিন লাগতে পারে। অন্যজনের ক্যালকুলাসকে কঠিন মনে হলেও ত্রিকোণমিতি সহজ সাবলীল লাগতে পারে।

মানে কী দাঁড়ালো ?

দুটি ঘটনাই সহজ স্বাভাবিক। কিন্তু জটিলতা এবং সরলতা নির্ভর করে কে কার জ্ঞান কে কোন দিকে বর্ধিত করেছে তার উপর। এক্ষেত্রে আইনস্টাইন সঠিক। জটিলতা সরলতা আপেক্ষিক বিষয়। এক্ষেত্রে জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গির সাপেক্ষে বিবেচনা করা হচ্ছে জটিলতা।

সকল জটিলতাকে জয় করতে হয় দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। চিন্তা চেতনা জ্ঞান দিয়ে। মানুষ তাই করে আসছে শত শত বছর ধরে। তাই কি করা উচিত নয়? ছোট শিশু যখন পেন্সিল হারিয়ে কান্না শুরু করে দেয়(জটিলতার সূচনা) মা তখন সান্তনা দেন। বলেন একটা পেন্সিল গেছে, আরো পাওয়া যাবে। তেমনি জীবনে কত জিনিস আসবে এটাই জীবন। ছোট বেলাতেই খুব উচ্চ মানের ফিলোসফি কপচানো হয় জটিলতা দুরীকরনের জন্য। ছোট শিশুর জটিলতা ছোট। কিন্তু তা তার কাছে অনেক বড়। তার এই জটিলতা যদি দূর করা যায় আমাদের জীবনের জটিলতা কেন দূর করে আমরা হাসি খুশি থাকতে পারিনা?

সব মানুষ এইভাবে ধিরে ধিরে বড় হয়ে উঠে। হয়ত একদিন মারা যায়। রয়ে যায় কিছু জটিলতা। কিছুকে হয়ত জয় করা হয়। কিছুকে হয়ত নয়।

আমাদের জীবনকে জটিল করে কে? উচ্চাশা? বলাটা হয়ত ভুল হবে না। উচ্চমানের ফিলোসফি গুলো কিন্তু একপ্রকার উচ্চাশার বানী ই। মায়ের কথাই ধরা যাক। শিশুকে বললেন যে আরো পাওয়া যাবে। শিশু নতুন স্বপ্ন ও আশা নিয়ে বুক বাধে। উচ্চাশা চর্চা তাহলে জটিলতা দুরীকরনের মাধ্যমে শুরু হয় এবং তা দিয়েই নতুন জটিলতার সুচনা হয়।

অনেকেই আছেন যাদের জীবনে উচ্চাশা নেই। আসলেই কি আছেন?

হয়ত এটার ক্ষেত্রে আইনস্টাইন এর থিওরী আনতে হবে। উচ্চাশা আসলেই আপেক্ষিক কারো কাছে উচ্চাশা অর্থ কারো কাছে বিদ্যা। কিন্তু উচ্চাশা উচ্চাশাই। যা মূলত জটিলতার সূচনা।

এখন একটা প্রশ্ন। জীবনকে জটিল আসলে করে কোনটি ?

১) দৃষ্টিভঙ্গি ও জ্ঞান

২) উচ্চাশা

অনেক জটিল প্রশ্নের অবতারনা করা হয়েছে।

তর্কবিদরা তর্ক করবেন হয়ত উচ্চাশা জীবন কে জটিল করে না। করে জ্ঞানের অভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু উপরের লেখায় ক্ষিণ হলেও কি প্রমাণ হয়না দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে উচ্চাশার অবতারণা জীবনকে আরো জটিলতার দিকে ঠেলে দেয়?

তাহলে সমাধান কি? জটিলতার সমাধান চাওয়া অনেক বড় জটিলতার আবির্ভাব করা নয় কি ? ? ?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

উদাস কিশোর বলেছেন: আসলে দৃষ্টিভঙ্গি এর কারনেই আমরা নিজেদের ইচ্ছামত কোন ব্যাপার কঠিন / সহজ করে নিই ।
আরো একটা ব্যাপার থাকতে পারে "আগ্রহ" !
আগ্রহের অভাবেই একটা কাজ কে কঠিন বলেই ফেলে রাখি । আসলে সেটা করতে আমার কোন আগ্রহই নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.