নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তর্কে মিলায় বস্ত, বিশ্বাসে বহুদূর।

আই কাস্যবাজাইজ্জা ফুয়া

সাজীদ মাহমুদ

মধ্যম পন্থি

সাজীদ মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলার সাথে রাজনীতি মিশানো উচিত।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

বাঙালীদের কাছে কোন অস্ত্র-শস্ত্র নাই। এক্কেবারেই নিরস্ত্র। অস্ত্র কিনবে সে টাকাও নাই। আর সম্পূর্ণ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরাট এক সেনা বহর নিয়ে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের সাথে যুদ্ধ করতে এসেছে। তারা আবদার করলেই সপ্তম নৌ-বহর নিয়ে আমেরিকান সেনা বাহিনীর একাংশ চলে আসতে প্রস্তুত।



আপনি নিশ্চয় বলবেন, ''ভাই থামেন। এইটা কি? পিঁপড়া আর হাতিতে রূপকথায় যুদ্ধ হয়।''

আরে না ভাই এমন ঘটনাই একাত্তরে ঘটেছিল। ওই সময় পিঁপড়ার অবস্থানে ছিল বাঙালিরা। এত্ত অস্ত্র গোলা বারুদ থাকার পরেও পাকিস্তানিরা মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে না পেরে এদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল। মা বোন এর ইজ্জত লুন্ঠিত করেছিল। বাবা মাকে পাশবিক নির্যাতন করেছিল।



যুদ্ধফেরত কয়েকজন পাকি-মেজরের সাক্ষাতকারে জানা যায়, মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠনটা ছিল যুদ্ধের ক্লান্তি-অবসাদ দূর করার একটা অংশ বিশেষ। অনেক মেজর নাকি ধর্ষনের পরে মেয়েদের বিশেষ অঙ্গে কামড় বসিয়ে রক্তাক্ত করত। এটাও ছিল নাকি ফান পার্ট।



পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক যুদ্ধ আমরা দেখেছি। অনেক দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। অনেক যুদ্ধ অন্যায় ভাবে সংগঠিত হয়েছে। অনেক বর্বর যুদ্ধের কথা ইতিহাস বলে। অনেক যুদ্ধে একক আধিপত্য ছিল। কিন্তু কোন যুদ্ধেই সেনারা এমন ঘৃণ্য কাজ করেছে কিনা সন্দেহ আছে। একমাত্র জাতি হিসেবে পাকিস্তানিরাই এমন কাজ করতে পারে।



ধর্ষন আর অত্যাচার গেল। এখন আসি বুদ্ধিজীবি হত্যা। পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে জেনে পাকিস্তানিরা ঠিক করল আমাদের দেশের মাথাগুলোকে একে একে হত্যা করবে। ২৫শে মার্চ ও ১৪ ডিসেম্বর তারিখ এই ২ রাতেই রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ঢাকা মেডিক্যাল এর শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থিদের হত্যা করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক শিক্ষাবিদের লাশ পড়ে। পরাজিত সৈনিকদের এমন কাপুরুষোচিত আচরণও বোধ হয়ে যুদ্ধের ইতিহাসে কম পাওয়া যাবে।



৭১ এ নিরস্ত্র একটা জাতির সাথে যুদ্ধের সূচনা করে পাকিস্তানিরা বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনের রাজনীতির সাথে কেবল যুদ্ধ মিশিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। তার সাথে বর্বরতা, পৈচাশিকতা, নির্মমতা, নির্বিচারে হাজার হাজার বাঙালী হত্যা, ধর্ষন অত্যাচার, নির্যাতন, আর্তনাদ। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের গুলির নিশানায় রাখার আগে এত কিছু মিশাতে পেরেছিল। আর কিছু অচেতন বাঙালি পাকিদের সামান্য খেলা দেখার সময় রাজনীতি না মিশানোর দোহায় দিয়ে পাকিদের সমর্থন দিয়ে যায়। যেখানে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও আমাদের অনেক সেন্সেটিভ রাজনৈতিক ইস্যুতে নাক গলায়।



এইটা সামান্য ইতিহাস। আরো অনেক নির্মম করুণ বর্বরোচিত কাহিনী আছে। সর্বপরি এই দেশের ৪ লাখ মা বোন ধর্ষিত হয়েছিল পাকিদের হাতে, ৩০ লাখ মানুষ খুন হয়েছিল। পাকি জাতির সামান্য নয় মাসের ইতিহাস পড়লেই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তীব্র ঘৃণা বের হতে থাকে।

মনে আছে? গত এশিয়া কাপে আমাদের কান্না করিয়ে পাকিরা কাপ নিয়ে গিয়েছিল। ১ রানে হেরেছিলাম। শেষ বলে পাকি-বোলার মাহমুদউল্লাহ কে রান করার সময় ধাক্কা না দিলে হয়ত ঘটনা অন্য রকম হতে পারত। এটা নিয়ে আমরা আইসিসির কাছে রিপোর্ট করাতেই ক্ষণকালের জন্যে পাকিদের ৭১ কালীন চিত্র ফুটে উঠছিল। বিভিন্ন পাকি-পত্রিকায় দেখেছিলাম সেই রূপ।



এত্ত ঘটনার পরেও অনেকে বুঝেনা পৃথিবীর সবচাইতে খারাপ জাতি পাকিস্তানিরা। অন্তত বাঙালীদের দৃষ্টিতে তাই হওয়া উচিত।

যারা পাকিদের খেলাকে সমর্থন দেন... একবার চিন্তা করেন তো আপনি কোন লেভেলের জাত বেহায়া?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.