![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ২১ জুলাই, কর্নেল তাহের হত্যা দিবস।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার, বীর উত্তম কর্নেল আবু তাহেরকে এক প্রহসনের বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার নেপথ্যে ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, যে জিয়াউর রহমান ছিলেন খালেদ মোশারফের হাতে বন্দি, যার জীবনের কোন নিশ্চয়তা ছিল না তাকে উদ্ধার করেন এই কর্নেল তাহের, এবং সিপাহী বিদ্রোহের মাধ্যমে খালেদ মোশারফের অভ্যুত্থানকে ব্যার্থ করে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেন।
সেই অভ্যুত্থানের জন্যেই কর্নেল তাহেরকে আসামী করে গ্রেফতার দেখানো হয়। অভিযোগ আনা হয় সরকার উৎখাতের। অথচ অভ্যুত্থানের পূর্বে জাস্টিস সায়েমের নেতৃত্বে যে সরকার ছিল একই সরকার বহাল থাকে অভ্যুত্থানের পরেও। অকৃতজ্ঞতার এর চাইতে বড় নজির সৃষ্টি করা বোধ হয় সম্ভব নয়।
ট্রাইবুল্যাল এর প্রধান করা হয় কর্নেল ইউসুফ হায়দার কে যিনি বাঙালী হয়েও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হয়ে চাকুরী করেছেন। সেই সঙ্গে জারী করা হয় হাস্যকর এক অধ্যাদেশ। অধ্যাদেশ মোতাবেক ট্রাইবুন্যালের বিরুদ্ধে কোন আপিল করা যাবেনা। বিচার হবে রুদ্ধদ্বার কক্ষে এবং এ সম্পর্কে তথ্য ফাঁস করা হলে তা হবে আইনত দন্ডনীয়।
ট্রাইবুন্যালের বিচারকার্যে ছিলেন এমন কিছু লোকজন যারা মুক্তিযোদ্ধের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নন উপরন্তু বাংলাদেশের অভ্যুদয়য়ের বিরোধী। অপর দিকে যাদের বিচার করা হচ্ছিল এদের সবাই ছিলেন কোন না কোন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও মুক্তিযুদ্ধ জিয়ার সাথে কতটুকু যায় তার একটা সুস্পট ধারনা পাই আমরা এখান থেকে।
হাস্যকর বিচারপ্রক্রিয়া বর্জন করতে চেয়েছিলেন আবু তাহের।স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরউত্তম খেতাবধারী, একটা পা হারানো পঙ্গু মানুষটিকে নির্মম এক রায়ের সম্মুখীন হতে হয়... মৃত্যুদন্ড।
৩৪ বছর পর গোপন বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কর্নেল তাহেরের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, তাহেরের স্ত্রী লুত্ফা তাহের এবং সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এর ধারাবাহিকতায় ৩৭ বছর পর চলতি বছরের ২০ মে এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার সম্পন্ন হয়। ওই বিচারের রায়ে আদালত তাহেরের মৃত্যুদণ্ড 'ঠান্ডা মাথার খুন' বলে অভিহিত করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। ১৯৮ পৃষ্ঠার রায়ের অভিমতে আদালত বলেন, কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড হত্যাকাণ্ড। কারণ, ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানে মনস্থির করেন। কর্নেল আবু তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেই সামরিক আদালতে তার বিচার সাজিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আদালত কর্নেল তাহেরকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের গৌরব উল্লেখ করে বলেন, তার হত্যাকাণ্ড দেশের ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। কর্নেল তাহেরের ফাঁসিকে 'নিরঙ্কুশ খুন' বলে অভিহিত করেছেন আদালত।
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:২৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: জিয়ার জন্য যেমন কর্ম তেমন ফলই হয়েছে মনে হয়!
৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬
কাজের কথা বলেছেন: পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না।
৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
ইউরো-বাংলা বলেছেন: যে যায় লন্কায় সে হয় রাবন, যারাই যখন ক্ষমতায় গিয়েছে এবং ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য এরকম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, তা এযাবৎ কালের সবগুলো সরকারের সময়েই হয়েছে। শুধু একপেশে জিয়াকে দোষ দিয়ে লাভ নাই।
২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৫
সাজীদ মাহমুদ বলেছেন: খুন খুনই। এবং দোষী দোষী। জিয়াকে দোষ দিয়ে লাভ হবে না লোকসান হবে তা দেখার বিষয় না।
৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
মাটি আমার মা বলেছেন: সিপাহী-জেসিও ভাই ভাই, অফিসারদের রক্ত চাই। কিছু অফিসার বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা কর্তৃক নিহত হয়েছে, ইনুরা সেদিন নিরীহ অফিসারদের হত্যায় মেতেছিল। তাহের এবং তার সমর্থকরা জিয়াকে জেল থেকে বের করে সংক্ষিপ্ত রাস্তায় ক্ষমতা দখল করে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে ছেয়ে ছিল। জিয়াকে উদ্ধার তাদের স্বার্থেই করেছিল। কিন্তু জিয়া বেকে বসে। তারপর সব সামরিক জান্তা যা করে তাই হয়েছে।
৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯
দূর্গমগিরি বলেছেন: তাহের দুধে ধোয়া তুলসি পাতা নয় যেমন কমম তেমন ফল
২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৬
সাজীদ মাহমুদ বলেছেন: হুম। তাই বলে তাঁর সাথে যা হয়েছে তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়ার মত নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১১
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: এটি ১০০%সত্য জেনারেল জিয়াউর রহমান তৎকালীন যাকে তাঁর সমকক্ষ মনে করতেন তাঁকে সামরিক আদালতে বিচারের নামে মৃত্যুধণ্ড দিতেন ।