![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জার্মানিতে ‘গিমনাজিয়ুম’ মানে হাইস্কুল...শিশুরা যে স্বপ্ন দেখতে পারে এই তো বেশিজার্মানিতে আত্মহত্যার প্রবণতা যত, রোখার চেষ্টাও ততফেসবুকে কারো মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখলে যা করতে পারেনশিক্ষকদের মর্যাদা এখনো রীতিমতো বেশি, তবে...জার্মানিতে শিক্ষকরা কতটা শ্রদ্ধা পান?খাদ্যে অনেক ‘রাজনীতি’ মিশেছে...ভেজালমুক্ত খাবার পেতে একটু কষ্ট করুনফুড অ্যাডিটিভ: খাবারে যা যোগ করা হয়চাকরি না খুঁজে উল্টো দিতেও পারেনজার্মানিতে বেকার ভাতাইউরোপে নিরাপত্তার অভাব নয়, নিরাপত্তাবোধের অভাবসংকটের আসল কারণ বিএনপি-আওয়ামী লীগ ‘আঁতাত'যে সব কারণে চামড়াজাত পণ্য বর্জন করা উচিতচর্মশিল্পের ভালো ও মন্দ দিকপ্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টের জীবন ও একটি প্রশ্নমাদক কখনো কখনো ক্যানসারের চেয়েও বিপজ্জনকজার্মানিতে ড্রাগস এখনও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নিচা করে চাকর, পান করেন সাহেবমাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ‘বোনাস' চাই না, শুধু বিচার চাইবাংলাদেশ অবশ্যই বিশ্বকাপ জিতবে, যদি...মাশরাফির মাথা আর হাতুরাসিংহের হাতমাঠের বাইরের ‘সাকিব-মুস্তাফিজরা' কোথায়?একটি নগ্ন সেলফির করুণ পরিণতি!সাজানো সংঘর্ষে হত্যা পুলিশের কাছে কেন সহজ হাতিয়ার?সমাজই যৌনরোগকে গোপন রাখতে শেখায়জার্মানিতে যৌনবাহিত রোগ কম কেন?রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে রাজনীতিকোনো দেশে রাষ্ট্রধর্মের কী দরকার?বাংলাদেশে সমস্যা রাষ্ট্রধর্ম নয়, মানসিকতামৃত্যুদণ্ডের প্রয়োগ একটি দুঃখজনক ভুলটেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন টেকসই রাজনৈতিক ব্যবস্থাবাংলাদেশ কি পারবে তার সাফল্য ধরে রাখতে?এমডিজি থেকে এসডিজি: সমস্যা নীতিতে নারীর ক্ষমতায়নের আগে দরকার ‘সমতায়ন'ঢাকার মতো মেগাসিটিতে যানজট রোখার উপায়ঢাকাবাসী হাঁটুন, সাইকেল চালানঢাকার উন্নয়ন ও কিছু অপ্রিয় কথাএকজন সাহসী মানুষ, যাঁকে ভোলা যাবে নাঅভিজিৎ-রা হারলে হেরে যাবে বাংলাদেঘ
কোনো শিক্ষাব্যবস্থাই সমাজ-বিচ্ছিন্ন থেকে, পরিবারের ভূমিকা এবং দায়িত্ব অস্বীকার করে এগোতে পারেনা৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সুনাগরিক গড়ার ভিত্তিস্থান হিসেবে দেখতে চাইলে সবার আগে পরিবার এবং সমাজের দিকে তাকাতেই হবে৷
ঘর আর ঘরের বাইরের পরিপার্শ্ব মিলিয়ে যে দুনিয়াটা, তা-ই আসলে সবচেয়ে বড় শিক্ষাক্ষেত্র৷ আমাদের দেশে শিশু-কিশোররা সেখানে কী শেখে? কি শেখাতে পারছি আমরা? শেখানোর জন্য বাবা-মা বা পরিবারের অন্যরা কতটা প্রস্তুত? সমাজইবা কতটা শিক্ষাবান্ধব?
ঘরে আর ঘরের চারপাশে কী কী আছে, যা সুশিক্ষায় সহায়ক? পরিবারে বই, বিশেষ করে স্কুলে অবশ্যপাঠ্য নয় এমন বই পড়ার অভ্যেস আছে ক'জনের? পাড়ায়, স্কুল-কলেজে পাঠাগার আছে? বাড়ির কাছে মাঠ আছে খেলার? পরিবারে বড়দের কোনো আগ্রহ আছে ছোটদের পাঠাগারে যেতে উদ্বুদ্ধ করার?
‘খেলাঘর', ‘কচিকাঁচার আসর'-এর মতো শিশুদের সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার সংগঠনগুলো যে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে চলেছে, তা কি আমরা লক্ষ্য করছি? স্বাধীনতার পরও অনেক বছর যেসব ঘরে সকাল-সন্ধ্যা হারমোনিয়াম-তবলা বেজেছে, সেরকম ঘর এত কমে গেল কেন তা কি ভেবে দেখেছি? কেন ঘরে-রাস্তায়-রেডিও-টেলিভিশনে হিন্দি ছবি আর টিভি চ্যানেলের প্রভাব এত বেশি? কেন এত বেশি নারী পোশাকে বাঙালির চেয়ে বেশি আরবি?
স্বাধীনতার চার বছর পূর্তির আগেই যে ইতিহাস চাপা দেয়া এবং বিকৃতির শুরু হয়েছিল, আমরা কি তাতে ইতি টানতে পেরেছি? ৪৫ বছরে সংবিধানে কাঁটাছেড়া হয়েছে কতবার?
শিক্ষার আগে তো যাদের ‘শিক্ষা' দেয়া হবে সেই শিশু-কিশোরদের ভালোভাবে রক্ষাও করা দরকার৷ তাদের সব অর্থে ‘সুস্থ' রাখার পরিবেশ দরকার৷ তেমন পরিবেশ আদৌ আছে?
এ সব প্রশ্ন এড়িয়ে বা অগ্রাহ্য করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সুশৃঙ্খল হতে পারে? হয়েছে কোথাও? বরং উল্টোটাই তো হয়৷ রাজনৈতিক এবং সামাজিক বাস্তবতা অনুযায়ীই একটি দেশের শিক্ষাকাঠামো গড়ে ওঠে৷ একে অন্যের পরিপূরক না হলেই দেখা দেয় বিপত্তি৷
পাশ্চাত্যের শিক্ষাব্যবস্থার যত গুণকীর্তনই আমরা করি না কেন, ভুলে গেলে চলবে না, সেখানেও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে৷ অনেক বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্বকেই তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে স্বশিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে দেখেছি৷
যেমন আইজাক আসিমভ৷ সায়েন্সফিকশন লেখক হিসেবেই বেশি পরিচিত তিনি৷ ছিলেন বস্টন ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক৷ অন্তত পাঁচ'শ বই লিখেছেন অথবা সম্পাদনা করেছেন৷ তাঁর লেখা ৯০ হাজার চিঠি এবং পোস্টকার্ডও শিল্পতুল্য৷ এমন প্রতিভাধর এক শিল্পীও মনে করতেন, ‘স্বশিক্ষাই একমাত্র শিক্ষা'৷
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কি স্বশিক্ষায় সহায়ক, নাকি অন্তরায়? বিশ্বের সব দেশেই এ নিয়ে বিতর্ক আছে৷ অনেক প্রাতঃস্মরণীয়ই কোনোদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চৌকাঠ মাড়াননি৷ কেউ কেউ ‘প্রচলিত' শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি এত বিরূপ ছিলেন যে কেউ কেউ বলেই দিয়েছেন, পড়ালেখা আনন্দময় না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে থাকাই ভালো৷
ফ্রাংক জাপা বলেছিলেন, ‘‘মনটা পচে যাওয়ার আগে স্কুল ছাড়ো৷'' যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তিতুল্য এই প্রয়াত শিল্পী মনে করতেন, মেধা এবং ইচ্ছাশক্তি থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জন করে স্বশিক্ষিত হলেই প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত হওয়া যায়৷
বাংলাদেশে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো শিক্ষাদানের ব্যবস্থা যে নেই এ কথা সবাই হয়ত মানবেন৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে থেকেও যে কেউ জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার আশা করবে, সে উপায়ও নেই৷ তারপরও যে শিশুরা স্বপ্ন দেখছে এই তো বেশি
http://www.thebengalitimes.com/opinion/2016/06/21/16304
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
কোনো শিক্ষাব্যবস্থাই সমাজ-বিচ্ছিন্ন থেকে, পরিবারের ভূমিকা এবং দায়িত্ব অস্বীকার করে এগোতে পারেনা৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সুনাগরিক গড়ার ভিত্তিস্থান হিসেবে দেখতে চাইলে সবার আগে পরিবার এবং সমাজের দিকে তাকাতেই হবে৷
কথাগুলো ভালো বলেছেন।
শিশুরা ভুলের মধ্যে বসবাস করছে। বেড়ে উঠছে। বড় হচ্ছে। ভুল করছে।