![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কে...আসলেই নিজেকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে যাই। আমি আসলে কে আমি জানিনা ফেসবুকে- facebook.com/mahatab.hossain2
কয়েকদিন আগে একটি লোকাল বাসে মিরপুর ১০ থেকে ফার্মগেইটের দিকে আসছিলাম। বসে ছিলাম জানালার পাশে, কানে হেডফোন লাগিয়ে রেডিও শুনছিলাম। সেনপাড়া পর্বতার সামনে বাস ব্রেক কষতেই অনেক গুলো কাগজ এসে পড়লো কোলের কাছে। চার রঙা প্রিন্টে যাবতীয় যৌন রোগের সমস্যা সমাধানের উপায় সম্বলিত কথামালা দেখেই জানালা দিয়ে লজ্জায় ছুড়ে ফেলে দিলাম। লজ্জা বললাম এই কারনে যে আমার পাশের সীটে মধ্যবয়সী এক মহিলা বসেছিলেন। যখন লিফলেট গুলো হাতে নিয়েছিলাম তখন তার বাঁকা চোখ লক্ষ্য করেছিলাম। এ অবস্হা শুধু ঢাকার জনাকীর্ণ স্হানই নয় সারাদেশেই একই অবস্হা। শুধু তাই নয় লোকাল বাসগুলোর জানালার কাঁচে স্ক্রীন প্রিন্ট করে যৌন রোগের রগরগে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। যা চোখে পড়ামাত্রই লজ্জায় মাথা অবনত করতে হয়। বিশেষ করে পরিবারের কোন সদস্যের সাথে বাসে উঠলে বিব্রত হতে হয়। এসব কিছু ছাড়িয়ে ড্রয়িং রুম, বেডরুমে হানা দিয়েছে কলিকাতা হারবাল। টেলিভিশনের ক্যাবল অপারেটররা মনে হয় বিশাল অংকের টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এই হারবাল কোম্পানীর সাথে। বিজ্ঞাপনের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের চোখ রাখতে হয় ক্যাবল অপারেটর চালিত ভিডিও চ্যানেলের পর্দায় কিন্তু সেখানে আরো লজ্জা অপেক্ষা করছে। পরিবারের সব সদস্যের সাথে বসে টেলিভিশন দেখা সত্যিই ভয়াবহ লজ্জার ব্যাপারই বটে। যদি একটা ভালো নাটক কিংবা মুভি দেখছি এমন সময় স্ক্রীনের নিচ দিয়ে চলছে অর্শ্বভগন্দর, ধ্বজভঙ্গ, মেহ এবং মেয়েদের যাবতীয় রোগের বর্ননা এবং সমাধানের উপায়। সবচেয় মজার ব্যাপার হচ্ছে অনুষ্ঠানের মাঝপথে শুরু হয় বিজ্ঞাপন এবং এইসব বিজ্ঞাপনের মডেল আমাদের অতিপরিচিত রুপালী পর্দার মুখ নায়ক অমিত হাসান, খালেদা আক্তার কল্পনা, রীনা খান, ডন, মিজু আহমেদ, জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা রিফাত। এরা নাকি সকলেই কলিকাতা হারবালের চিকিত্সা নিয়ে সুস্হ্য। সত্যিই অবাক হতে হয় এইসব অভিনেতা অভিনেত্রী শুধু মাত্র টাকার জন্য এইসব ভাওতাবাজ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের মডেল হচ্ছে। একজন সচেতন মানুষ কি এইসব হারবালের নিতে যায়? প্রশ্নটা মাথায় খুব ঘুরপাক খায়। এইসব প্রতিষ্ঠানের চিকিত্সায় হেপাটাইটিস বি, লিভার সমস্যা, ক্যান্সার, জটিল ও কঠিন রোগের ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিয়ে চিকিত্সা করা হয়। গ্যারান্টি টা কি সেটা আমার জানা হয় নি।
একাধিকবার স্বর্ণপদক প্রাপ্তঃ কলিকাতা হারবাল সহ যে সব হারবাল কোম্পানীগুলো বিজ্ঞাপনে বড় বড় হরফে লিখে দেয় একাধিকবার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। প্রশ্ন হচ্ছে এরা কোন প্রতিযোগীতায় এরা স্বর্ণপদক পায়? নাকি সরকার প্রতিবছর দেশের চিকিত্সা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চিকিত্সাসেবার জন্য স্বর্ণপদক প্রতিযোগীতা চালু করেছে আর এই প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না, ক্যান্সারের ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বীকন, স্কয়ার, ইনসেপ্টা, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন,রেনাটা, এভেন্টিস, বেক্সিমকো, রোস, অপসোনিন, জেনারেল, ওরিয়ন, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল কিংবা সরকারের নিজস্ব ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস।
পোস্টার কিংবা টিভির সেইসব বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তারা পদক গ্রহন করছেন। অদৌ সেইসব মন্ত্রী কি জানেন তারা কাকে এবং কেন পদক কিংবা ক্রেস্ট প্রদান করছেন! এর একটা ব্যাখ্যা আমি দাড় করিয়েছি-
তথাকথিত হারবাল কোম্পানীর মালিকের গ্রামের বাড়ীতে নিশ্চই কিছু কিছু ক্লাব থাকে। প্রথমে তারা সেই ক্লাবকে মোটা অংকের ডোনেট করে। এরপর তারা এলাকার মান্যিগন্যি সংবর্ধনার জন্য একটা বড় ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং ধর্না দিয়ে একজন মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসেবে ইনভাইট করে। মোটা টাকা খরচ করলে সবই সম্ভব। সেই মান্যিগন্যি তালিকায় হারবাল কোম্পানীর মালিকও থাকে। মন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেয়ার সময় ফটাফট ক্যামেরার ঝলসানি এবং তার প্রিন্ট আউট শোভা পায় কলিকাতা কিংবা যাবতীয় হারবালের পোস্টারে।
বানিজ্য মন্ত্রালয়ের অনুমোদন পাক বা না পাক এগুলো হয়ে যায় লিমিটেড কোম্পানী। কিংবা পাত্তির তোড়ে লিমিটেডের কাগজও যোগাড় হয়ে যায়। যাই হোক আমাদের দেশ বলেই হয়তো অনেক কিছুই সম্ভব, যেমনটা সম্ভব প্রশাসনের নাকের ডগায় ভয়াবহ মিথ্যা প্রচারনা। প্রশাসন কতটা দুর্বল হলে এই ধরনের কর্মকান্ড সম্ভব। অতঃপর বলতে হয়, হায় সেলুকাস! বিচিত্র এই দেশ!!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৭
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হুমঃঃঃঃ
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৪
সজিব তৌহিদ বলেছেন: ভাই এই কথা এতো দেরি কইরা কইলেন কেন?
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: সজীব/ রুপালি পর্দার তারকার অপেক্ষায় ছিলাম
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৯
মুশাসি বলেছেন: পোষ্ট স্টিকি করা হউক
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: লজ্জা দিলেন না তো!
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৪
শাহ মো. আরিফুল আবেদ বলেছেন: হায় সেলুকাস! বিচিত্র এই দেশ!!
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১০
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হায় সেলুকাস! বিচিত্র এই দেশ!!
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৫
অন্য হিমু বলেছেন: Its really interesting.
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৭
সজিব তৌহিদ বলেছেন: মুশাসি বলেছেন: পোষ্ট স্টিকি করা হউক । আমিও একমত ।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১১
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: মুশাসি এবং সজিবঃ আপনারা মহান নেতাদের মত কথা বলেছেন।
৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৪
শিশির সিন্ধু বলেছেন: ক্যারিয়ারের ভগ্ন দশায় ছাগলা গুলি অইসব অ্যাড কইরা টেকা কামায়
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১১
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: শিশির সিন্ধুঃ একমত
৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৭
আবিদা পারভীন বলেছেন: খুবই বিব্রতকর এসব বিজ্ঞাপন
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৩
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আসলেই বিব্রতকর ।। আপনারাও এগিয়ে আসুন আমার সাথে।।
৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৪
..:: লিখন আহমেদ ::.. বলেছেন: ভাইসব তাহলে বুইজা লন, রুপালী পর্দায় অফার পাইলেই লাফাইয়া পড়বেন না, তাহলে কিন্তু কলিকাতা হারবালকে সঙ্গী বানাতে হবে।
সরকার এর চোখ কবে খুলবে...
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৩
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: লিখন আহমেদঃ সরকারের চোখ খোলা আছে এবং তাতে পাওয়ারি চশমাও আছে... ভান এর উপর মহাসত্য আর নাই
১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:১৬
নাঈম আহমেদ বলেছেন: http://www.kolikataherbalcare.blogspot.com
এখানে শালাদের কাজ দেখেন
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১২
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: নাঈমঃ দেখলাম, স্বস্তা একটা সাইটও খুলছে, বাহ্ মারহাবা মারহাবা!
১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২১
নাঈম আহমেদ বলেছেন: ভেষজ ওষুধের নামে প্রতারণা
প্রথম আলো |
চটকদার বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হয়ে ভেষজ ওষুধের নামে নকল ও ভেজাল ওষুধ সেবন করে মানুষ আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এক রোগ সারাতে গিয়ে তারা হূদেরাগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কিন্তু হাজারও অভিযোগ সত্ত্বেও মানুষকে প্রতারণা করা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পদক্ষেপ নামমাত্র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভেষজ ওষুধ সংক্রামক ও দীর্ঘমেয়াদি (ক্রনিক) রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। কিন্তু এই ওষুধের নামে বিশ্বব্যাপী নিম্নমানের, নকল ও ভেজাল ওষুধ রোগীদের জীবন বিপন্ন করে তুলছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের হিসাবে দেশের ওষুধের বাজারের ২৫ শতাংশ ভেষজ ওষুধের নিয়ন্ত্রণে। দেশে আয়ুর্বেদ-ইউনানি ও হারবাল ওষুধ উৎপাদনকারী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান আছে ৪৫০টির মতো। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রের হিসাবে, এগুলোর বাইরে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান আছে কয়েক হাজার। হাঁপানি, চর্ম ও যৌন রোগ, বাত-ব্যথা, রং ফরসা করা ও মোটা হওয়ার জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষ ভেষজ ওষুধ সেবন করে। এরই সুযোগ নেয় তথাকথিত হারবাল চিকিৎসাকেন্দ্র। প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষ।
মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইসহাক হোসেন প্রথম আলোকে জানান, মালয়েশিয়ায় তৈরি ভেষজ ওষুধে কিডনি রোগ ভালো হয়—এমন কথায় বিভ্রান্ত হয়ে বছর দুয়েক আগে তিনি ওই ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু ভালো না হয়ে উল্টো তাঁর কিডনিতে জটিলতা বাড়তে থাকে। পরে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে গেলে জানানো হয়, তাঁর কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়।
চিকিৎসক, ভেষজ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্ষতিকর ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান বেশি মাত্রায় ব্যবহার করে ভেষজ ওষুধ বানিয়ে বিক্রি করছে। বিভিন্ন সময় হাঁপানির ওষুধে উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড, মোটা হওয়ার ওষুধে পেরিঅ্যাকটিন, যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধে সিল্ডেনা সাইট্রেট, ফরসা হওয়ার ক্রিমে স্যালিসাইলিক এসিড, দাঁত পরিষ্কার করার ওষুধে হাইড্রোক্লোরিক এসিড পাওয়া গেছে। ওষুধে আফিম এমনকি মদও ব্যবহার হচ্ছে। স্টেরয়েড জীবনরক্ষাকারী উপাদান হলেও এর অতিরিক্ত মাত্রায় জীবন বিপন্ন হয়। সিল্ডেনা সাইট্রেট ‘ভায়াগ্রা’ তৈরির একটি উপাদান, যা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। পেরিঅ্যাকটিন সাধারণত ব্যবহার হয় গরু মোটাতাজা করতে। এটি মানুষের কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাঁপানি-শ্বাসকষ্ট রোগে স্টেরয়েড সেবনে তাৎক্ষণিক আরাম হয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে রোগী উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। হাড় ক্ষয় হয়ে এত দুর্বল হয় যে, একটু চোটেই ভেঙে যায়। আমরা প্রায়ই এ ধরনের রোগী পাই। অসাধু ব্যবসায়ীরা “গ্যারান্টি” দিয়ে ক্যানসারেরও চিকিৎসা করছে। এমন রোগীরা একেবারে শেষ সময়ে বিএসএমএমইউতে আসছে। তখন আর চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকে না।’
বাংলাদেশ ইউনানি-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক মো. ছাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা প্রায়ই এমন রোগী পান, স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই নষ্ট হয়ে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রজনন স্বাস্থ্য ইউনিটের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘ইকো হারবাল পিল’ নামের নকল ভেষজ জন্মনিরোধক বড়ি সেবন করা বেশ কয়েকজন নারী এমআর (মাসিক নিয়মিতকরণ) করাতে তাঁদের কাছে এসেছেন।
অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের সাড়ম্বর ব্যবসা: সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর জনবহুল এলাকাগুলোয় ভেষজ ওষুধের নামে অসাধু ব্যবসায়ী ও তথাকথিত চিকিৎসকেরা ফুটপাত ও দোকানে ব্যবসা জমিয়েছেন। ফার্মগেট, গুলিস্তান, গাবতলী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, কারওয়ানবাজার, মিরপুর, পল্লবীতে ফুটপাতে ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দামের এমন ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। মূলত দরিদ্ররা এসব ওষুধের ক্রেতা। অপরদিকে কলিকাতা, দিল্লি, ভারত, লন্ডন, আমেরিকা হারবাল ইত্যাদি নামের দোকানে ভেষজ নাম দিয়ে ৯০০ থেকে ২০০০ টাকায় ওষুধ বিক্রি হয়। এসব প্রতিষ্ঠান রাস্তায় প্রচারপত্র, কেব্ল অপারেটরদের মাধ্যমে ও বেসরকারি কয়েকটি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেয়।
অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের একটি শনির আখড়ার ‘কলিকাতা হারবাল’। অনুমোদন না নিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার কারণে এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তিনটি মামলাও করেছে। কিন্তু এটি বন্ধ হয়নি। গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শনির আখড়ার কার্যালয়ে গেলে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক আনোয়ারুল মাহবুব দাবি করেন, প্রতিদিন তাঁদের চিকিৎসা নিতে ৪০-৫০ জন রোগী আসেন। কুমিল্লায় বিশ্বরোডে পদুয়ার বাজার ও টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে তাঁদের একটি করে শাখা আছে।
মাহবুবেরর ভিজিটিং কার্ডে লেখা, ওই প্রতিষ্ঠানে যৌন, চর্ম, এইচবিএস (এজি)+ভিই, অর্শ, গেজ, পাইলসের স্থায়ী চিকিৎসা এবং পুরুষ ও মহিলাদের জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কলিকাতা হারবালের পাশেই দিল্লি হারবাল মেডিকেল ও ভারত হারবাল মেডিকেল। এসব প্রতিষ্ঠানেও একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওষুধের দাম ৯০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। দিল্লি হারবাল মেডিকেলের চিকিৎসক ‘ডাঃ আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী মাওলানা এম এ সালাম’। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের সাবেক ইমাম।
ওই এলাকার আশপাশে এ ধরনের আরও কয়েকটি অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা, মেরুল বাড্ডা, মালিবাগ, মগবাজার, কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর ১ নম্বর শাহ আলী মার্কেট, শেওড়াপাড়া, সেনপাড়া, মিরপুর ১১ নম্বরেও অননুমোদিত এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন মিজান টাওয়ারে রয়েছে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান আমেরিকান হারবালের সেবাকেন্দ্র।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশে অননুমোদিত হারবাল প্রতিষ্ঠানের জনক ‘মঘা ঔষধালয়’। সরকার মঘার বিরুদ্ধে একটির পর একটি মামলা করলে একপর্যায়ে তারা ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। তবে কয়েকটি সূত্রের অভিযোগ, অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোর সঙ্গে ‘মঘা’র লোকজনের সম্পৃক্ততা আছে।
বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক শিল্প সমিতির সভাপতি আবদুস সবুর খান বলেন, আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও ভেষজ ওষুধের বাজারের ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ভুঁইফোড় ও অসাধু প্রতিষ্ঠান। তারা বিপুল অঙ্কের করও ফাঁকি দিচ্ছে।
অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ৪৫০টির মতো: ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে দেড় শতাধিক আয়ুর্বেদ এবং আড়াই শতাধিক ইউনানি ওষুধ উৎপানকারী প্রতিষ্ঠান আছে। কিছুটা আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদনকারী ১৫টি প্রতিষ্ঠানের তৈরি ওষুধকে অধিদপ্তর হারবাল ওষুধ বলছে।
এ ১৫টি প্রতিষ্ঠান হলো—স্কয়ার হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস লিমিটেড, দি একিম ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড (হারবাল ডিভিশন), মডার্ন হারবাল ফার্মাসিউটিক্যালস, রেডিয়েন্ট নিউট্রাসিউটিক্যালস লিমিটেড (হারবাল ডিভিশন), আরিয়ান হারবাল, ওয়েস্টার্ন ফার্মাসিউটিক্যালস (হারবাল), এসবি ল্যাবরেটরিজ (হারবাল), কেমিস্ট হারবাল কেয়ার অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস, মেডিমেট হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস, সেফ হারবাল লিমিটেড, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (হারবাল), ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এপিএস ল্যাবরেটরিজ, প্যারেন্ট হারবাল ল্যাবরেটরিজ ও হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ (হারবাল ডিভিশন)।
স্কয়ার হারবাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এম এম আসাদুল্লাহ বলেন, অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও স্কয়ারের হারবাল ওষুধের সংখ্যা মাত্র ১৫টি। ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কাছে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো মার খাচ্ছে।
এক বছরে মামলা ১৯টি: অননুমোদিত অসংখ্য প্রতিষ্ঠান থাকলেও গত এক বছরে এমন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মামলা করেছে মাত্র ১৯টি। এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযানে জনশক্তি হারবাল, ক্যাপিটাল হারবাল, দীন ইসলাম হারবাল অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি, গোল্ডেন প্লাস হারবাল কোম্পানি, ফেমাস ফার্মাসিউটিক্যালস, সাদেক ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে বিপুল পরিমাণ স্টেরয়েড, সিল্ডেনা সাইট্রেট, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, মদ, আফিম আটক করা হয়। এসব অভিযানে আটক ব্যক্তিরা পরে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন বলে অভিযানে সম্পৃক্ত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান।
বাংলাদেশ ইউনানি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ভেজাল ওষুধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু তেমন কাজ হয়নি।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, অলিতে-গলিতে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান থাকলেও তাঁরা কিছু করতে পারছেন না জনবলের অভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, অধিদপ্তর যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে পারে না। হয় প্রতিষ্ঠানটিকে জোরদার করা হোক, অন্যথায় বন্ধ করে দেওয়া হোক।
http://www.prothom-alo.com/print/news/194727
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৪
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আশাকরি আমার লেখাটা পড়ার সাথে সাথে নাঈম ভাইয়ের প্রথম আলো থেকে পোস্ট করা লেখাটা পড়বেন এবং পাঠকের পরিচিতদের সতর্ক করবেন।
১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:২৩
সবুজ সাথী বলেছেন: ভাল লিখেছেন। এই হার বাল কোম্পানি সামুতেও ব্লগ খুলেছে।
শালারে গন োন্দানি দেওয়া দরকার,
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৪
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ওদের ব্লগরে সাইজ করন জাই না??
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: সবুজ সাথীঃ তাই নাকি? ওদের সামু আইডির নিক কি?
১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:২৪
ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: হারবাল এখন শুধুই বাল হয়ে গিয়েছে!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৫
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:২৫
টিকেটার বলেছেন: এত উচুমানের কোম্পানী ব্লগস্পটে ফ্রী সাইট চালায়
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হুম
১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১০
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: চমতকার লেখা। সহমত।
এই বিব্রতকর যন্ত্রনার প্রতিকার দাবী করছি।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৬
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনারাও এগিয়ে আসুন
১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬
যুবায়ের বলেছেন: post steki kora hok
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হা হা
১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০০
সবুজ সাথী বলেছেন: লিংকে দেওয়া আছে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৩
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ওকে
১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৮
কালো হিমু বলেছেন: বড়ই বিচিত্র।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: বড়ই বিচিত্র।
১৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭
মাহবু১৫৪ বলেছেন: আসলেই সেলুকাস।
দেখার কেউ নেই এসব
পোস্টে +++++++
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩১
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আসলেই সেলুকাস।
দেখার কেউ নেই এসব
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০৭
মামুinসামু বলেছেন: হায় সেলুকাস! বিচিত্র এই দেশ!!