![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কে...আসলেই নিজেকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে যাই। আমি আসলে কে আমি জানিনা ফেসবুকে- facebook.com/mahatab.hossain2
সোমবার সাভারে ধসেপড়া রানা প্লাজায় উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকাজের সমন্বয়ক সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী।
সাভারের খতিয়ানটা একটু দেখি, ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে এ পর্যন্ত জীবিত-মৃত মিলিয়ে সর্বমোট উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫৫৩ জনকে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ১১১৫টি এবং হাসপাতালে মারা গেছেন ১২ জন। মোট নিহতের সংখ্যা ১১২৭। জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী ১৭৬ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধারের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৮৩৪টি মরদেহ। মর্গে রয়েছে ৫৯টি মরদেহ। সনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ নমুণা রেখে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছে ২৩৪টি মরদেহ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে শ্রমিকদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া অথবা অনাকাঙ্খিত সর্বোচ্চ হত্যাকান্ড এটা। এর আগে সেই স্থান ধরে রেখেছিল তাজরীন ফ্যাশন। বাংলাদেশে যেখানে শ্রমের মুল্য এতই নগন্য সেখানে মৃত্যুর মুল্য কতটুকু! আমাদের শাসনকর্তারা এইসব মৃত্যুকে পদদলিত করে আবার শুরু করবে থেমে যাওয়ার ফলক থেকে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার আমাদের দেশের এমপি মন্ত্রীদের জন্য প্লট, ফ্ল্যাট বরাদ্ধ দেয়া হয়, অপ্রয়োজনীয় বিমানবন্দর তৈরী করার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারি, দেশের সমরাস্ত্র ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে পারি।
আমরা কেন অগ্নি নির্বাপনে এখনও অদক্ষ, কেন নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত আর অগ্নি নির্বাপন ক্ষমতা আমাদের নেই! এইসব প্রশ্নের সমাধান দিতে আমাদের সরকার বিমুখ।
ধংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকাজে আমরা অসহায় বোধ করি। আমাদের সেইসব উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা হয়ে ওঠেনা। কিংবা প্রয়োজন পড়েনা।
৯০ সালে সারাকা গার্মেন্টসে আগুন লেগে ৩০ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। শ্রমিকদের উপর শুরু সারাকা ট্র্যাজেডি দিয়ে। এরপর খড়গ আসে ১৫ বছর পড়ে। ২০০৫ সালে স্পেক্ট্রাম গার্মেন্টস ধ্বসের ঘটনায় ৬৪ জন মারা যায়। ২০০৬ সালে কেটিএস গার্মেন্টসে আগুন লেগে মারা যায় ৫৫ জন। তাজরীন ফ্যাশনে ১১২ জন মৃত্যুর পরেও টনক নড়েনি কৃতদাস করে রাখা সেইসব শোষকদের। না হলে কিভাবে এতোবড় ঘটনা ঘটে।
শ্রমিক হত্যাকারীদের প্রশ্রয়দাতারা রাজনৈতিক কর্মী। রাজনীতির বদৌলতে তারা ফেঁপে উঠে, পরতে পরতে রেখে যায় দুর্নীতির ছাপ। আর এই ছাপের মাঝেই গলা ঢুকিয়ে বলি হয় সমাজে নিচু করে রাখা এইসব শ্রমিকেরা।
শ্রমিক অসন্তোষ ঘনীভুত হয়েছে। বিজিএমই সংবাদ সম্মেলন করে পোষাক কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছে। পোষাক শিল্প চরম হুমকীর মুখে পড়েছে। অবস্থানে আসতে হবে পোশাক শিল্প নেতাদের। নিশ্চিত করতে হবে স্বাভাবিক মৃত্যুর, মৌলিক চাহিদার।
খুব সহজেই ভুলে যাচ্ছে রানা প্ল্যাজা ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা। এই ভয়াবহতা আত্মস্ত করতে হবে আমাদের সরকারকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রাণের মূল্য দিতে হবে। প্রতি ইঞ্চি মেপে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ভোগবাদীদের কল্যানে শ্রমিক মৃত্যুর লিস্টি আরো দীর্ঘায়ীত হবে, এই লিস্টিকে এখানেই থামানোর উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের প্রতিটি প্রাণের মূল্যই সমান দামের।
মৃত্যুর মিছিলে আর কৃতদাস নয়
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৬
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: এটাই যেন হয়...
২| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দেশের প্রতিটি প্রাণের মূল্যই সমান দামের।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩১
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: দেশের প্রতিটি প্রাণের মূল্যই সমান দামের
৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
একজন আরমান বলেছেন:
এদের টনক কখনো নড়বে বলে আমার মনে হয় না।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫০
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আসলেই নড়বেনা...
৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: এটা এখন নিয়ম হয়ে গেছে , এখন নিয়ম ভাংগার নিয়ম চাই ।
১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম চাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৮
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: দেশের প্রতিটি প্রাণের মূল্যই সমান দামের।