![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কঠিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।
সেই ছোটবেলা থেকেই বড় ভাই, বোন, আত্মীয়দের কাছ থেকে শুনে এসেছি তাদের হোস্টেল জীবনের নানারকম ইতিহাস। তাদের বেশিরভাগ গল্প জুড়েই থাকতো হোস্টেলের / মেস বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে কথা। এইসব কোনটা হাসির কিংবা আবার কোনটা অতীব কষ্টের। তবে প্রায় সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নিতো যে হোস্টেল জীবনের মত মজা আর নেই। পারিবারিক বাধা না থাকায় এই জীবনটা তাই মুক্ত পাখির মত। ডানা মেলে উড়ার সময় হল এটাই। তাদের এমন রঙ্গীন রঙ্গীন সব নষ্টালজিক কথা শুনে মনের গভীরে ইচ্ছে জেগেছিল যে আমিও যদি এরকম হোস্টেলে থাকতে পারতাম!
এইচ এস সি পাশের পর যখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সময় হল তখন কেন জানি সেই ইচ্ছেটা দমে গিয়েছিল। ঢাকায় স্থানীয় হওয়াতে হয়ত ব্যপারটি হয়ে উঠে নি। আর আব্বা আম্মাও হয়ত চাইতেন না আমাকে দূরে রাখতে। তাই বাসায় থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছিল। স্নাতক, স্নাতকত্তোর শেষ করেছি এভাবেই। ফলে ইচ্ছের প্রকাশটা হয়ে উঠে নি।
কিন্তু ভাগ্যের কি খেলা! মনের সেই বাসনা আজ আমার পূরণ হয়েছে। ২০১১ সালের শেষের দিকে মাষ্টার্স করতে বাহিরে চলে আসি। আর এসেই এখানে হোস্টেলে উঠি। যদিও দেশে থাকতেই হোস্টেলের সিট আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম।
আমি যেই হোস্টেলে উঠেছি সেই হোস্টেলে বাঙ্গালী কোন ছাত্র / ছাত্রী নেই বললেই চলে। এখানে বেশিরভাগ বাঙ্গালী ছাত্র / ছাত্রী মেস করে বাহিরে থাকে। এখানে বলে রাখা ভাল যে আমার হোস্টেলে থাকার কারণ হল ঠান্ডা! এখানে শীতের সিজনে মাইনাস ৪৪ – ৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা পর্যন্ত যায়। যাই হোক, এই হোস্টেলের বেশির ভাগ ছাত্র / ছাত্রীই চাইনিজ! কিছু পাকিস্তানি, নাইজেরিয়ান, ইরানের ছাত্র / ছাত্রীও আছে।
প্রথম যখন এসেছি তখন থেকেই খেয়াল করে আসছি চাইনিজরা ইংলিশ বলতে যেয়ে ৩/৪ বার মাথা ঠোকায়, কিংবা চুল ছিড়ে কিংবা আবার তোতলায়। এখানে আমরা বাঙ্গালীরা চাইনিজদের বলি “নাক বোচা” কিংবা “চ”। ওদের সাথে ইংলিশে কথা বলতে যেয়ে মাঝে মাঝে কিভাবে ওদের বোঝাবো সেই নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবতে হয়। সহজে কিছু না বোঝার একটা বাতিক লক্ষ্য করা যায় এদের মধ্যে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমার রুমমেটগুলো সব চাইনিজ। আমার সাথে ৫ জন চাইনিজ ছাত্র থাকে। প্রতি জনের ১ টা করে রুম। আর একটা কমন রান্নাঘর।
কেউ যদি বলে বাঙ্গালীরা বেশি খায় তাহলে আমি অবশ্যই এর প্রতিবাদ করবো। কারণ চাইনিজদের দেখি তারা আমাদের থেকে ৩ গুণ বেশি খায়। খাওয়া দাওয়া এদের কাছে মুখ্য ব্যপার বলেই আমার মনে হয়। ওরা যেমন খায় তেমনি আবার নষ্টও করে। স্বভাব চরিত্রের দিক দিয়ে ওরা বেশ ভদ্র, নরম। কিন্তু টেবিল ম্যানার, বাথরুম ব্যবহার কিংবা রান্নাঘর ব্যবহারে ওদের থেকে নোংরা হয়তো আর পাওয়া যাবে না। ওরা যখন খায় মুখ দিয়ে অসহ্য রকম শব্দ করতে করতে খায়।
একটা উদাহরণ দেই। ওরা যখন টেবিলে বসে তখন মাংসের হাড্ডি সব টেবিলের উপর রেখে দেয়। সেটা ২/৩ দিন অবধি টেবিলে থাকলেও তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। রান্নাঘরে যখন রান্না করে তখন আমি পারতপক্ষে সেখানে যাই না। প্রচন্ড নোংরা আর আগোছালো করে রাখে তারা। রান্না খাওয়া দাওয়া শেষে প্লেট, গ্লাস না ধুয়েই তারা বেসিনে রেখে দেয় ৩/৪ দিন। এ অবস্থায় রান্না করার সুযোগ পাওয়া খুব কষ্ট। কারণ তরকারি কাটার জায়গায় তাদের জিনিসপত্র এলোমেলো ভাবে থাকে। আমি অনেকবার তাদের পরিষ্কার করতে বলি। তারা করে। কিন্তু বলে লাভ হয় না। কারণ ১/২ দিন পর আবার একই অবস্থা হয়। আর বাথরুমের কথা নাই বা বললাম।
হোস্টেলের নিয়ম বেশ কড়া। প্রতি মাসে একবার ইনপেকশন হয়। একেক জন রুমমেটের একেকটা কাজ প্রতিমাসে থাকে। কেউ কাজ ঠিক মত না করলে তাকে সুযোগ দেয় ইনসপেকশনের লোক। ২ দিন পরে আবার এসে যদি একই অবস্থা দেখে তাহলে জরিমানা দিতে হয়। সেই সময়টুকুতেই যা একটু পরিষ্কার দেখতে পারা যায় রুমের চেহারা। মাঝে মাঝে মেজাজ এত খারাপ হয় যে মুখ দিয়ে গালি বের হয়ে আসে। মাঝে মাঝে ওদের সামনেই দেই। ওরা বোঝে না! হোস্টেল ব্যবহার করার নমুনা দেখলে মনে হয় এটা তাদের নিজেদের বাড়ি।
আমার এক রুমমেট আবার খুব দিল দরিয়া। তার প্রেমিকা সহ আরো ২ জন মোট ৪ জন বন্ধু তারা একসাথে খাওয়া দাওয়া, রান্না করে ৩ বেলা। তারা রান্না প্রতিদিন করে। আমরা সাধারণত বাজার করি বাসে যেয়ে। কিন্তু সেই রুমমেট বাজার করে ট্যাক্সিতে যেয়ে। সম্প্রতি সে একটা টিভিও কিনেছে। টাকা পয়সা এদের কাছে মনে হয় হাতের ময়লা!
চাইনিজগুলোর কমনসেন্স বলতে কিছু নেই মনে হয়। রাত ৩ টার দিকে একদিন ঘুমিয়ে আছি। হঠাৎ দরজা জোরে লাগানোর শব্দ। সাথে চিল্লাপাল্লা, রান্নাবারা, বারবার দরজা খোলা আর সিড়ি বেয়ে রুমে আসা যাওয়া। এই অবস্থায় কেউ ঘুমিয়ে থাকতে মনে হয় কেউ পারবে না। আমিও পারি নি। বাতি অন করে দেখি ৩ টা বাজে! এই সময়ে তারা কোথা থেকে আসলো আর এখনই বা কেন এরকম শুরু করলো বুঝলাম না। তাদের এই অত্যচার চলেছিল একদম টানা ৬ টা পর্যন্ত। একটুকুও ঘুমাতে পারি নি সেদিন। বসে বসে মুন্ডুপাত করছিলাম এগুলোর।
বেশিরভাগ সাপ্তাহিক ছুটিতে রুমে পার্টির আয়োজন করে চাইনিজেরা। সেই সময়গুলোতে আমার পক্ষে রুমে থাকা এক কথায় অসম্ভব। তাদের ক্রমাগত হাসাহসি, চিল্লাচিল্লি, রান্নাবারার ঠেলায় আমি রুম থেকে বের হয় যাই। পুরো ক্যাম্পাস একবার চক্কর দিয়ে আসি। তাদের পার্টি শেষে রুমমেটের প্রেমিকা আমাকে একদিন বিয়ার অফার করেছিল। মাঝে মাঝে তারা আমাকে শুকর খাওয়ার অফার করে। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে বলায় এখন আর বলে না।
আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে এত যখন সমস্যা করে তাহলে কারো কাছে বিচার দাও না কেন? এখানে উত্তর হল এসব দেখাশোনার দায়িত্ব থাকে রেসিডেন্ট অ্যাসিসটেন্টের (আর এ) উপর। কিন্তু যাদের কাছে বিচার দিবো তারাই তো চাইনিজ! বিচার দিয়ে খুব একটা লাভ হবে না। আর আমি এখানে একা বাঙ্গালী। আমি কারো সহযোগিতাও পাবো না।
খুব মজা লাগে যখন আমরা বাঙ্গালীরা চাইনিজদের সামনেই ওদের বদনাম গাইতে থাকি বাংলায়। আমার সাথে কোন বড় / ছোট ভাইয়ের দেখা হলেই প্রথম কথা "আপনার চাইনিজ বন্ধুরা কেমন আছে?"
ভাল মন্দ মিলিয়ে এই হল আমার হোস্টেল জীবন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪৫
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ওরা চিজে চিজে তৈলাক্ত প্রায়
ধন্যবাদ
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৪
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: হোস্টেলে কোনদিন থাকা হয়নি! মিস করেছি অনেক কিছু!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৮
মাহবু১৫৪ বলেছেন: আপনার মত আমিও মিস করেছি।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১১
রং রিয়াজ বলেছেন: হোষ্টেল লাইফ আসলেই অনেক মজার এবং অনেক ধরনের মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৪
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ঠিক। লাইফের যত মজা এখানেই লুকিয়ে আছে
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৪
শিশিরের শব্দ বলেছেন: Hostel life asholei onnorokom mojar..Hostel a na thakle bojha jabena..
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৮
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ঠিক।
তবে বিদেশের হোস্টেলে থাকা আর দেশের হোস্টেল গুলোতে থাকার মাঝে অনেক তফাত আছে।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৫
এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: আসলেই হোস্টেল লাইফটা অনেক মজার।
আমিও কলেজ লাইফে প্রায় ২ বছর এই মজাটা উপভোগ করেছি।
ইচ্ছে আছে... সেগুলো নিয়ে লেখার।
আমার কিন্তু চাইনিজদের সম্পর্কে ধারণা এরকম না। আমি যতজন চাইনিজ লোকদের সাথে মিশেছি .. তারা কিন্তু বেশ পরিচ্ছন্ন।
অবশ্য তারা বেশিরভাগ সময়ই সিঙ্গাপুরে থাকে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩৭
মাহবু১৫৪ বলেছেন: আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।
কিন্তু কানাডাতে চাইনিজরা এমনই। যাদের কাছেই জিজ্ঞেস করেছি একই উত্তর পেয়েছি প্রায়।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪১
কক বলেছেন: আপনার হোস্টেল জীবন আনন্দময় হোক। আর আপনার লিখাটা পড়ে আসলেই হিংসা হচ্ছে.....ইস.....
যাই হোক....সবসময় ভাল থাকবেন আর সময় হলে আমার এই পেইজে একটা লাইক দিবেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৬
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯
স্বর্ণমৃগ বলেছেন: হোস্টেলে/মেসে থাকা হয়নি...
তারপর ও আপনার হোস্টেল জীবন সম্পর্কে পড়ে ভাল লাগলো!
ভাল থাকুন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: থাকতে পারলে বুঝতেন মজা!
আপনিও ভাল থাকুন।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫২
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমরা এখনও হলে অবস্থান করছি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৫
মাহবু১৫৪ বলেছেন: তাহলে তো মজায় আছেন অনেক
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৩
সহ্চর বলেছেন:
হোস্টেল লাইফ রক্স।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২০
মাহবু১৫৪ বলেছেন:
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৮
নাঈম আহমেদ আকাশ বলেছেন: হোস্টেল লাইফ সম্পর্কে আইডিয়া পাইলাম । ধন্যবাদ ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩১
মাহবু১৫৪ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৩
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
খুব ভালো লেগেছে
শুভকামনা ........
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৯
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, পড়ার জন্য।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৪
নাফিজ মুনতাসির বলেছেন:
হোস্টেলে থাকতে পারি নাই কখনো
চাইনিজদের ব্যাপারটা তাহলে আসলেই সত্যি!!! আমার ৫/৬জন বন্ধু চায়নাতে থাকে......উরাও বলে চাইনিজরা অনেক অপরিচ্ছন্ন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৯
মাহবু১৫৪ বলেছেন: আপনার বন্ধুরা ঠিকই বলেন।
এমনকি আমি এরকম ও শুনেছি যে তারা পি করে নিজের রুমে !!
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৫
ধীমান অনাদি বলেছেন: চাইনিজরা যে বেশি চিল্লা-পাল্লা করে সেইটা আমি দেখছি
কোথায় দেখছি, কমুনা
আপনার হোস্টেল জীবন ভালো পাইলাম।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৯
মাহবু১৫৪ বলেছেন: কই দেখসেন বলে ফেলেন। রহস্য রেখে কি লাভ?
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধীমান অনাদি বলেছেন: চাইনিজরা যে বেশি চিল্লা-পাল্লা করে সেইটা আমি দেখছি
কোথায় দেখছি, কমুনা
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২০
মাহবু১৫৪ বলেছেন:
বিশেষ করে মেয়েরা
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৪
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: হোস্টেল লাইফ রকস !! চরম মজা !! +++++
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২১
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধইন্যপাতা নেন
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৫
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ে জানলাম অনেক ।
যদিও কখন থাকতে হয় নাই
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২১
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ হেলাল ভাই
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: চাইনীজরাতো দেখি পুরাই ক্যাঁও...পাঁও...চ্যাং-ব্যাং
হোস্টেল জীবনের স্বাদ নিতে চাই
আমার আম্মাত বলে আমি হোস্টেলে গেলে মাইর খাবো মানুষের (মেজাজ বেশী আমার তাই)
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৪
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ওদের ভাষা বুঝি না যখন আমার সামনে কথা বলে। আজব ভাবে কথা বলে!
কোন ইয়ারে পড়ছেন আপনি? সময় থাকলে হোস্টেলে উঠে যান।
রাগী হয়েছেন তাতে কি? এটাই তো ভাল।
১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৬
মিরাজ is বলেছেন: হোস্টেল জীবনের স্বাদই আলাদা। অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় কতরকম যে মানুষ আছে দুনিয়ায়। আর স্বাধীনতার ব্যাপার্টাতো পুরাই উড়াধুড়া। তবে শান্তিতে থাকার জন্য রুমমেট ভালো হওয়া আবশ্যক নতুবা টেকা কঠিন।
শুভকামনা রইলো আপনার হোস্টেল জীবনের জন্য।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৮
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তবে ওরা নরম। কিন্তু নোংরা খুব। বিরক্ত লাগে চরম
ধন্যবাদ মিরাজ ভাই।
১৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৭
আলমাস১৭ বলেছেন: ভাইরে দেশি হোস্টলে নাথাকলে মজা বুঝবেন না।যে ডাল খাওয়া সেই ডালেই হাত ধোয়ার মজাই আলাদা।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩০
মাহবু১৫৪ বলেছেন: সেই সুযোগ আর নাই আমার
২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১৭
রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: হোস্টেল লাইফে থাকার অভিগ্গতা হয়নি ।
ভাল লাগল লেখা । +++++++++++
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:০২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ রবিন
২১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: সেকেন্ড ইয়ারে কেবল...কিন্তু হোস্টেলের সুযোগ নাই। কারন ফ্যামিলির সাথে থাকি
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০৯
মাহবু১৫৪ বলেছেন: অনেকে শুনেছি পরিবারের সাথে থাকার সুযোগ থাকলেও তারা হোস্টেলে থাকে।
২২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:১২
মেহবুবা বলেছেন: সব চাইনীজরা কি এমন আচরন করে ? প্লেট যে সিঙ্কে রেখে দেয় অসুখ করে না ?
ভাল মন্দ মিলিয়ে এই হল আমার হোস্টেল জীবন। মনে হচ্ছে মন্দের পরিমান বেশী ; তারপরেও একসময় এইদিন আপনার শেষ হয়ে যাবে ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২০
মাহবু১৫৪ বলেছেন: আমি যতজনকে দেখেছি প্রায় সবাই এরকম।
মন্দটা আসলে বেশি। ঠিকই বলেছেন আপনি।
ধন্যবাদ আপনাকে
২৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:১২
নীল-দর্পণ বলেছেন: কিন্তু আমার কলাপে মনে হয়না সেই সুযোগ আছে। ভাইয়া এক রাত বন্ধুদের সাথে থাকলে আম্মার সারা রাত ঘুম হয় না আর আমাকে দিবে হোস্টেলে থাকতে।
তবে একরাত বান্ধবীর মেসে থেকে ছিলাম। দারুন এনজয় করেছ.
যাগে ভাল আছেন নিশ্চই
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২১
মাহবু১৫৪ বলেছেন: হ ম ম । ভাল আছি
২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২৫
ফাইরুজ বলেছেন: হোস্টেল জীবনে অনেক কষ্ট থাকলেও আনন্দের উত্সও কম থাকেনা। মজা পেলাম আপনার হোস্টেল জীবনের অভিজ্ঞতা পড়ে!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৫
মাহবু১৫৪ বলেছেন: বহুদিন পর আপনাকে দেখছি । কেমন আছেন? দিনকাল কেমন যাচ্ছে?
আনন্দ তখনই পাওয়া যায় যখন মনের মত রুমমেট পাওয়া যায়
২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার ভার্সিটি লাইফের পুরোটাই হোস্টেলে কেটেছে।
খুব ভাল লাগলো পোস্ট পড়ে.......
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৭
মাহবু১৫৪ বলেছেন: তাহলে তো আপনি ভাল মতই বুঝেন হোস্টেলে থাকার মজা।
ধন্যবাদ আপু।
২৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৫
দূর্যোধন বলেছেন: হোস্টেল লাইফের চেয়ে মজার কি আছে আর জীবনে
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১০
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ঠিক।
এই যেমন এখন আমার এখানে রাত ২ টা বাজে। চাইনিজ গুলো সমানে জোরে জোরে আড্ডা মারছে। এই অবস্থায় কি আমার ঘুম আসে বলেন?
২৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৩
দুরন্ত জেসি বলেছেন: ব্যাপক মজা পাইলাম। তবে আপনার ঘটনা শুনে হোস্টেলে থাকার ইচ্ছা দমিয়ে দিলাম। :-&
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৫
মাহবু১৫৪ বলেছেন: থাকার দরকার নাই ভাই। এই যেমন এখন রাত আড়াইটা বাজে। এই চাইনিজ গুলার জন্য রাতের ঘুম হারাম। সমানে আড্ডা মারছে এরা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪২
গাধা মানব বলেছেন: হোষ্টেল লাইফ অনেক মজার।
চাইনিজরা ত সেইরকমের চীজ।
লেখা জোস হইছে।