![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায়রে সমাজ! সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থা!!
বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা দেখে রীতিমত হতবাক। ছে জে,এস,সি ও জে, ডি, সি, পরীক্ষা পরবর্তী দিন সকাল ১০ টায় শুরু হলেও অধিকাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষার পূর্ব রাতে সেই বিষয়ের প্রশ্ন পেয়ে যায়।
তাছাড়া বিভিন্ন সাইট গুলো পরীক্ষার পূর্ব রাতে প্রশ্ন পাশ করে পরের দিন সেই পেইজের এডমিনগণ তাদের নিজেদের কে বেশ বীর হিসেবে তুলে ধরেন। “বলছি না আমার সাজেশন শতভাগ কমন পড়বে।” তারা এই জাতির সাথে এত বিশাল প্রতারণা করে নিজেদেরকে বীরত্বের সাথে তুলে ধরে তাদের পেইজের ভিজিটরদের কাছে। আমি যদিও পেইজগুলোর নাম উল্লেখ করতে চাই না। ধীক্কার তাদের এই সাময়িক খ্যাতির!
অথচ তারা এই সকল ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা একবার ও চিন্তা করার চেষ্টা করেনি। পরবর্তীতে এরা যখন বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিজেদেরকে তুলে ধরবে তখন কি হবে তাদের অবস্থা!
আসলে বেশ খারাপ লাগছে ঐ সকল ছাত্রছাত্রীদের প্রতি যারা A+ পাওয়ার জন্য সারা বছর বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, স্কুল, গৃহশিক্ষক ও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অনেক সহায়তা নিয়ে তাদের চেষ্টা চালিয়ে গেছে। আর অথচ অনেক ছাত্র ছাত্রী সারা বছর পড়ালেখা না করে এই প্রশ্ন পাশ করে তাদের সমান ফলাফল করবে। তাহলে আমাদের এই জাতি একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে মুল্যায়ন করবে কিভাবে? তার রেজাল্ট দিয়ে না যোগ্যতা দিয়ে? যেসকল ছাত্র ছাত্রীরা সারা বছর প্রচন্ড পরিশ্রম করে ও A+ মিশ করবে তখন তাদের পিতা মাতা তাদের কে ঐ সকল ছাত্র ছাত্রীদের সাথে তুলনা করতে শুরু করবে যারা সারা বছর পড়ালেখা না করে প্রশ্ন পাশ করে A+ তুলে নিবে; কিন্তু পিতামাতা কখনো তা বুঝতে চেষ্টা করবে না। ফলে তারা তাদের সন্তানদের উপর চালাবে মানসিক অত্যাচার। অনেক সময় দেখা যাবে এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এই সকল ছাত্র ছাত্রীরা নিজেরা বিপথগামী হতে শুরু করবে। এমন কি নিজেদেরকে মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্ত রাখতে হাতে তুলে নিবে নেশা জাতীয় বস্তু সমূহ। এভাবে ঝরে যাবে অজস্র কোমল প্রাণ! সত্যিকার অর্থে এর জন্য দায়ী আমাদের অচল শিক্ষা ব্যবস্থা, সমাজ এবং সমাজের মানুষের মানুষিক অবস্থা!
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
মাহাবুব আলম মুরাদ বলেছেন: আসলে বর্তমানের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকেরা তাদের প্রশ্ন এনে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কারন তারা নিজেরা ই এখন অনেক এডভ্যান্স। নেট থেকে তারা নিজেরাই প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পারে।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
আরিফা হক বলেছেন: আমি একজন জেএসসি পরীক্ষার্থী এবং আমি অনেক দেখলাম আজকে। আমার নিজের এক সহপাঠী তার কোচিং সেন্টার থেকেই কিছু প্রশ্ন পেয়েছে এবং দুঃখের কথা হল প্রশ্নগুলো কমন পরেছে। এমনকি অবিভাবকেরাও সেই প্রশ্ন দেখার জন্য তাড়াহুড়ো করছিল। জিনিসটা খুবই লজ্জার এবং ভয়াবহ।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২
মাহাবুব আলম মুরাদ বলেছেন: আসলে এই সকল ব্যাপারগুলো অত্যন্ত বেদনাদায়ক!
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
এম আর ইকবাল বলেছেন:
পরীক্ষার্থী নয়, অবিভাবকেরা এখন প্রতিযোগী ।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১১
মাহাবুব আলম মুরাদ বলেছেন: সহমত!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৮
নতুন বলেছেন: যারা ক্লাস ৮ এর ছাত্র দের পরিক্ষার প্রশ্ন এনেদেয় তারা কেমন অভিবাবক?