নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাতভর বৃষ্টি

দিনভর গান

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কইলকাতার দেশ পত্রিকা নিয়া লেখতে ইচ্ছা করলো

০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫১

কত কিছু যে আছে এই দুনিয়ায় লেখার মতো। ব্লগে লেখতে কোনো কিছু ভাবা লাগে না। কে কী ভাবলো, কে ছাপবে না ছাপবে এইগুলা নিয়া চিন্তা নাই। মন চাইলো লেখলাম। শেষ। দ্য এন্ড।

এককালে দেশ পত্রিকাটা আমার খুব প্রিয় ছিল। গ্রামে আছিলাম। পত্রপত্রিকা পাইতাম না। তখন কার মাধ্যমে জানি অনেকগুলা পুরান দেশ বাড়িতে আসছিল। সেইগুলা মুখস্ত করার মতো কইরা পড়ছিলাম। কত অজানা জিনিশ যে জানতে পারছিলাম। সাগরময় ঘোষ সম্পাদক ছিলেন। দেশপত্রিকার আলাদা একটা পোড়া কাগজের মতো গন্ধ আছিল। পরে স্কুলে-কলেজে উঠে লাইব্রেরীতে গিয়া দেশ পত্রিকা পড়তাম।

বেশ কয়েক বছর এই রকম পড়ছি। পরে ঢাকা এসে নীলক্ষেতের খোঁজ পাইলাম। নীলক্ষেত গেলেই দেশ পত্রিকার স্তুপগুলা খুঁজতাম। বাদ পড়া গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যাগুলা পাইলেই চার-পাঁচটাকা দরে কিনতাম। বহুত ফায়দা হইতো। এমনে অনেকদিন চলছে। দেন সাগরময় ঘোষ মইরা গেলেন। শোনা আমাদের সুনীল নাকি সম্পাদক হবেন। হইলেন না। অমিতাভ চৌধুরী না কি নাম এক ভদ্রলোক আইসা দেশের টেস মাইরা দিলেন। দেশের মধ্যে কত কিছু যে আনলেন। দেশের স্বাদ মইরা গেল গা। ধীরে ধীরে দেশ পড়া বন্ধ হয়া গেল। মাঝে মাঝে দুই একটা সংখ্যার কথা জানা যাইতো হয়তো কেনা হইতো। অথবা দেখা হইতো। এই যা। ঘটনা যা দাঁড়াইলো তাতে নিজে যখন পত্রিকা কেনার সামর্থ্য অর্জন করলাম তখন দেশ পত্রিকা পড়া যায় না। হাতে নিয়া দেখার ইচ্ছাও করে না।

দেশ সাগরময়ের আমলে সুসম্পাদিত পত্রিকা আছিল। বাংলা ভাষায় সেইরাম পত্রিকা আর নাই। আমরা সাময়িক পত্রিকা বলতে যা বুঝি তা ছিল ওই দেশ।

ওই এক দেশ নিয়া কত যে কথা হইতো।

বলা হইতো, দেশ হইলো কালচারাল এলিটদের সাহিত্য ম্যাগাজিন। ওনাদের সাহিত্য রুচি তৈরি হয় দেশ পইড়া। দেশে যা লেখা হয় সেইটা আবৃত্তি করতে পারলেই বঙ্গদেশে বুদ্ধিজীবী সাহিত্যিক খেতাব মিলতো। ঘটনায় সত্য ছিল বটে। আমরা যখন কলেজে তখন আমাদের শিক্ষক আবুল আহসান চৌধুরীর একটা লেখা দেশে ছাপা হইছিল। ওই এক প্রবন্ধেই স্যারের অবস্থান নক্ষত্রদের সারিতে হইছিল। বছরে দুই বছরে দেশ পত্রিকায় বাংলাদেশের লেখকদের লেখা, চিঠি বা দুই লাইন কবিতা ছাপা হইতো। সেইটা নিয়া খুব তোলপাড় হইতো। দেশ পত্রিকা কেন এদেশের লেখকদের লেখা রেগুলার ছাপে না এইটা নিয়া খুব আফসোস করতো লেখকরা। দেশ পত্রিকার প্রভাবের কারণে সরকার খুব সতর্ক থাকতো। দেশ পত্রিকার বেশ কয়েকটা সংখ্যা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হইছিল।

কিছুটা বড় হয়ে জানতে পারলাম এস্টাবলিশমেন্ট আর এন্টি-এস্টাবলিশমেন্টের কথা। দেশ-আনন্দবাজার গোষ্ঠীর সাহিত্য রাজনীতির বিরুদ্ধে লিটল ম্যাগাজিনঅলাদের লড়াইয়ের কথা। দেশ ও দেশবিরোধিতা উভয় জায়গাতেই ভাল ফলন হইতো। প্রচুর কথা হইতো। দেশ পত্রিকা কাকে কেমনে কিনতেছে সে নিয়া অনেক জল্পনা হইতো।

দেশ আর সেইরকম নাই। দেশ বিরোধিতাও তেমন নাই।

সাগরময় ঘোষের মৃত্যুর পর দেশে পড়ার মতো লেখা বলতে সুনীলের অর্ধেক জীবন আর তপন রায়চৌধুরীরর বাঙ্গাল নামার ছাড়া আর কোনো ধারাবাহিকের কথা মনে পড়তেছে না। বছরে দুবছরে একটা দুইটা প্রবন্ধ পড়ার মতো হয়। আর কিছু মনে পড়ে না।

অনেকদিন পর আবার দেশ কিনলাম। এই সংখ্যা। দুঃশাসন সংখ্যা। পত্রিকার ঘ্রাণ আর তেমন নাই। হর্ষ দত্তের ফালতু লেখা পইড়া মেজাজ খারাপ হয়া গেল। দেশ হইছে এখন নিমলেখকদের আস্তানা। তবে এনারা রাজনীতি লেখেন। সেই ভারতীয় দম্ভ আছে, সেই বাম বিরোধিতা আছে, সেই সাম্প্রদায়িকতা আছে, সেই মাতব্বরি আছে। কিন্তু সেই সারবস্তু আর নাই।

প্রথমে ২৫ পৃষ্ঠা খালি রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি নিয়া বাজে লেখকদের কচকচানি। তারপর ধারাবাহিক। একটা দুইটা গল্প। সবাই এক ভাষায় লেখে। বিজয় লিখছে না তিথি লিখছে বুঝার উপায় নাই।

তবু একটা জিনিশ ভাল লাগলো। সেইটা হইলো ছাপা কাগজে ৫-১০ পৃষ্ঠা ধারাবাহিক কাহিনী দেশ এখনও ছাপতেছে। বাংলার ঘরে ঘরে মেয়েরা থান ইটের মতো যে বইগুলা পইড়া পেটি-বুদ্ধিজীবী হয়া ওঠে। হাজারে হাজারে বিক্রি হয় যেইগুলা দেশ-বিদেশে সেইগুলা দেশ ছাড়া এই বাংলায় লেখা হওয়া কঠিন আছিল। উপন্যাসের বাণিজ্য শুরু করছিল দেশ। টিকায়া রাখছেও দেশ। বাংলাদেশে দেশ নাই, তাই বছরভর উপন্যাস লেখার সাপোর্টও লেখকরা পান না। চিন্তা ভাবনা করে বছরভর উপন্যাস লেখার সামর্থ্যও অর্জন করতে পারেন না।

আরও একটা জিনিশ দেশে আছে। বই পইড়া, বিষয় জাইনা বই আলোচনা লেখার চল। এইটা বাংলাদেশে দেখা যায় না। আলোচনা বলতে কোনো জিনিশ বাংলাদেশে নাই। দেশে আছে।

দেশে কোনো প্রদর্শনী, নাটক, ছবি, আসরের আলোচনা পড়লে বুঝা যায়, এইগুলা লেখা তো দূরের কথা লেখার লোকও এই দেশে নাই।

১. ধারাবাহিক উপন্যাস ২. বই আলোচনা ৩. ইভেন্ট আলোচনা এই তিনটা জিনিশ দেশ ধরে রাখছে ভেবে শান্তি লাগতেছে। কারণ, ভাল হউক বা খারাপ হউক দেশই বাংলা ভাষায় মূলধারার একমাত্র জীবিত সাহিত্য সাময়িকী।

বাংলাদেশের পত্রিকা স্টলগুলাতে গেলে আমার কান্না লাগে। পর্নো ব্যবসায়ীর পিনআপ ম্যাগাজিন, লম্পটদের সিনেমা পত্রিকা, জামা বিক্রেতাদের ফ্যাশন ম্যাগাজিন, সচিবালয়ের ধান্দাবাজদের রাজনৈতিক সাময়িকী, আর লিটুদের বয়স্ক পুনর্বাসনকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত সাহিত্য সাময়িকী, বিজ্ঞাপন শিকারীদের আইটি পত্রিকা ছাড়া একটা দুইটা পত্রিকা যদি হাতে নেন দেখবেন দুই আনির বুদ্ধিজীবীদের নিবুদ্ধিতায় ঠাসা সেইগুলা। সাহিত্য সাময়িকী বলতে এই দেশে কিছু নাই।

তাই মৃতপ্রায় দেশের জন্যই আক্ষেপ লাগতেছে।

দেশের কাছে যাইতে পারে এমন একটা সাময়িকী এইদেশে কেন হইলো না এইটা নিয়া চিন্তা করা দরকার।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৫/-৩

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫৮

*পাগলা জগাই* বলেছেন: আপনি প্রথম আলোর মাহবুব সাহেব নাকি?

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২২

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সাহেব?

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:০০

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
আহারে দেশ.........
কত স্মৃতি.......

ধারাবাহিক গুলো পড়বার জন্য কেমন অপেক্ষা করতাম।
ভালো লাগলো স্মৃতি জাগানিয়া লেখা........আক্ষেপটুকু থেকে কিছু শুরু হোক না কেনো!

শুভকামনা রইলো.....

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আমি খালি পড়তাম লোটাকম্বল।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৯

লীনা দিলরূবা বলেছেন: 'দেশ' ভালবাসি।

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভালোবাসি বলতে পারি না। তবে লাইক করতাম।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৯

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: অরন্যদেব পড়তাম আর জমাইতাম ছোট বেলায় ।
এমনিতে পূজাসংখ্যার ভক্ত ছিলাম ।

++++

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ইয়েস অরণ্যদেব।
কমিকস।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৯

কালপুরুষ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ছি।

একসময় "দেশ", "উল্টোরথ", "আনন্দলোক", "প্রসাদ" আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিল। বিশেষ করে শারদীয় সংখ্যাগুলো। বহুবছর এগুলো সংগ্রহ করেছি। আমার জীবনে যত উপন্যাস পড়েছি তার বেশীরভাগ এসব পত্রিকা থেকে। এখনো শারদীয় "দেশ" চোখে পড়লে আমি সংগ্রহ করি। সমরেশ বসু, প্রতিভা বসু, বুদ্ধদেব বসু, আশুতোষ, শংকর, শীর্ষেন্দু, সুনীল, সুবোধ ঘোষ, নীহাররঞ্জন, বুদ্ধদেব গুহ, শঙ্খ ঘোষ, তারাপদ রায়, সুভাস ঘোষ-- প্রমুখের নাম ছোটবেলাতেই এইসব পত্রিকার বদলৌতে জানতে পেরেছিলাম। তাঁদের লেখার প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল। এইসব পত্রিকার জন্য হা করে বসে থাকতাম বইয়ের স্টলগুলোতে খোঁজ নিতাম নতুন কোন পত্রিকা বের হলো কিনা।

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৮

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এতদিন পর পড়লেন ক্যান। আমি তো চালাইতেছিলাম।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৩৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমার বাবা ছাত্র জীবনে দেশ থেকে বাধিয়ে রেখেছিলেন বিমল কর এর খড়কুটো গল্পটি।
আজও সংগ্রহে আছে। আরো যে কত গল্প, কবিতা।
অসাধারন লাগত। আজ আর ততোটা টানেনা।

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩১

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: দেশ অনেকেই বাঁধিয়ে রাখতো। আমাদের এক স্যারের বুক সেলফ ভরা ছিল বাঁধাই করা দেশ।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪২

দীপান্বিতা বলেছেন: ‘দেশ পত্রিকা’কে আপনি এত্তো ভালবাসেন!...................আপনার লেখা পড়তে পড়তে কিছু কথা মনে পরে গেল......তখন নিয়মিত বাড়িতে আনন্দমেলা আসত......কলেজে উঠলাম!......তাও তাই আসছে!......এসময় আমাদের প্রফেসর A.P.কে দেখি……ওনার ক্লাস সব সময় ভরা থাকত……গলার কি ভলিউম! কবিতা আবৃত্তি করতেন……ক্লাস pin drop silent!...... স্যারের কাছে অল্প ক’দিন পড়ার সুযোগও হয়……খুব শান্ত টাইপের ছিলেন……উনিই আমায় সাজেস্ট করেন ‘দেশ’ পড়তে……তারপর থেকে খুব সিরিয়াস মুখ করে আমিও আনন্দমেলার বদলে ‘দেশ’ পড়তে শুরু করলাম......সব যে বুঝতাম তা না!......তখন সাগরময় ঘোষও বোধহয় মারা গেছেন......বিজয়া রায় এর সত্যজিৎ-কে নিয়ে স্মৃতিকথা পড়তে খুব ভাল লাগত......স্যারকেও সত্যজিৎ রায়ের মত লাগত...তারপর স্যার বদলি হয়ে চলে গেলেন! আমার ও দেশ পড়া শেষ হয়ে গেল!

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: বিজয়া রায়ের স্মৃতিকথাটা খুব ভাল ছিল।
ভালোবাসি বলতে পারি না। লাইক করতাম।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৮

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: ছোটবেলায় কিশোর তারকালোক পড়তাম, বড়বেলায় ম্যাগাজিন ধরা হয় নাই/:)

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আমি বড় হয়ে ফেলুদার ভক্ত হয়ে গেছিলাম।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২২

র হাসান বলেছেন: নীলক্ষেতে গেলেই ভালো দেখে পুরনো দেশ পত্রিকা কিনতাম ৫ টাকা করে। দেশের এমন কোন শারদ সংখ্যা নেই যেটা পড়িনি।

এখানেও একটা দোকানে দেশ পাওয়া যায়। দাম ৬ রিয়েল ( প্রায় ১২০ টাকা)।তারপরেও ওদিকে গেলেই কিনি। প্রবাসে বাঙলার সাথে এটাই আমার একমাত্র যোগাযোগ।

সর্বশেষ সংখ্যাটা একটা স্পেশাল সংখ্যা। তিনটে বড়গল্প আছে, একটা সুনীলের। তিনটের মধ্যে দুটোই চমৎকার লেগেছে। সংসারের বউশাশুড়ীর ছোটলোকি নিয়ে আরেকটা গল্প পড়িই নি। গোয়েন্দা গল্পটাও ফাটাফাটি। (এই সংখ্যার দাম ১২ রিয়েল :(, যদিও বাংলাদেশ মূল্য ৳৪০ মাত্র।)

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৫

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: শুধু দেশই পাওয়া যায়?
সবচেয়ে অদ্ভূত ব্যাপার এই পত্রিকার কোনো ওয়েবসাইট নাই।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৪

তুষার আহাসান বলেছেন: তবু দেশ পশ্চিমবঙ্গের অন্য পত্রিকা থে কে এগি য়ে আছে এখনও।
+

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৬

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হুম। নাইস টু মিট ইউ হিয়ার।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৮

অদৃশ্য বলেছেন: মোর্শেদ ভাই...... দেশ পত্রিকার প্রতি অন্যরকম এক ভালোবাসা আজও আছে সেই স্কুল থেকে। সম্ভবত কারও মাধ্যমে পেয়েছিলাম প্রথমটা........আর তখন সেখানে যারা লিখতেন তারা আমার খুব প্রিয় ছিলেন, আছেন।

এখনও পড়ি তবে সব সংখ্যা পড়া হয়না। পত্রিকাটি হাতে নিয়ে কতদিন যে ভেবেছি.........যদি কোনদিন সেখানে আমার কোন লিখা থাকতো..........আহ্‌, এখনও ভাবি.........তবে ভাবনাটা অনেক হালকা।

আপনার এই পোষ্ট দেখে লগইন করেছি........আর আপনার কথাগুলোর সাথে একমত।

শুভকামনা রইলো............

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্য।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৫

না বলা কথা বলেছেন: হক কথা।

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আসলেই?

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:২৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ব্লগ তো হয়েছে। সেটাই বা কম কি?

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪১

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ব্লগে কি সব হয়।
সবই লাগে।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:১৭

র হাসান বলেছেন: আসলেই অদ্ভূত। এদের আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনে পাওয়া যায়, কিন্তু সেইটার ফন্টের যে কি সমস্যা, আল্লাহই জানে। জীবনে পড়তে পারলাম না!

১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ইন্টারনেট এক্সপ্লোরে পপআপ ওপেন করে পড়তে হবে।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৩১

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: মাহবুব ভাই, আপনার লেখা পড়লে আগে কমেন্ট পড়ি! বিশেষেত আপনার উত্তরগুলো।আজও তাই করলাম। :)

যাইহোক, লেখাটার বিষয়ে বলি। দেশতো অনেকটা লেজেন্ড-এর মত। কিন্তু আপনার মত আফসোস হয় আমারও যে কেন বাংলাদেশে লেজেন্ডারী না হোক, অন্তত একটা ভালো মানের সাহিত্য পত্রিকা এলো না। আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, আমাদের দেশে পত্রিকার কন্টিনিউশনটা কম। অমুক পত্রিকা বন্ধ হযে যায়, আবার তমুক পত্রিকা শুরু হয়। আমরা ট্র্যাডিশনটা কেন যেন মেইনটেইন করতে পারি না। ;(

ওয়েলকাম ব্যাক। :)

১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একটা পত্রিকা হোক। এই আশাবাদ।

১৬| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৬

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বাংলাদেশে দেশ পত্রিকার মতো কোনো সাহিত্য সাময়িকী তৈরী হয়নি নানা কারনেই। সরকারী অনুদান, সরকারী বিজ্ঞাপন নির্ভরতা আমাদের দৈনিক পত্রিকার মতো সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের পত্রিকাগুলো কোনো এক বিচিত্র কারণে খুব বেশী রাজনীতি ঘেঁষা। পত্রিকাগুলো যেন কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের মুখপত্র। আর পছন্দের দল ক্ষমতা বাইরে থাকলে এরা শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হয়। তো, এই ধরনের পত্রিকাওয়ালারা কন্সপিরেসির চটক খবর দিয়েই টিকতে পারেনা, দেশ-এর মতো সাহিত্য সাময়িকী চালাবে কিভাবে?

বাংলাদেশে কারো প্রসংশা করা ছাড়া- সমালোচনা, প্রবন্ধ, তুলনামূলক আলোচনা- কখনোই পত্রিকায় আসেনা, জনপ্রিয়ও নয়। যা-ও আসে সেগুলো নিতান্তই দুর্বল, বিক্ষিপ্ত এবং অনিয়মিত। অথচ সাহিত্য পত্রিকার চটক কিন্তু এ বিষয়গুলোই।

আমাদের দেশে বিছিন্নভাবে যেসব সাহিত্য পত্রিকা দেখা যায়, তা অধিকাংশ ব্যক্তি উদ্যোগে বা বিশেষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত এবং যার আয়ুষ্কাল হাতেগোণা কয়েকটি সংখ্যা। বাণিজ্যিক চিন্তা থেকে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এমন উদাহরণ আমাদের নেই। এ ব্যাপারে বাংলাদেশে ষাটের কিংবা সত্তুরের দশকের বিচ্ছিন্ন কিছু উদ্যোগ- লিটল ম্যাগাজিনের ঘরানার সাথেই মিলে।

আর এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সাহিত্য এলিটদের মাঝে দেশ পত্রিকাটির প্রভাবকেও উড়িয়ে দেয়া যায়না। বাংলাদেশে যদি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিতও হয়- তবে সেটিকে পশ্চিম বাংলার দেশ-এর সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। মোটের ওপর দেশ-এর বিক্রি বাংলাদেশে কমে গেলেও কথাটি কিন্তু এখনো খাটে।

বিডি নিউজ টুয়েণ্টি ফোর-এর সাহিত্য পাতাটি আমার ভাল লাগে। একটি ভাল সাহিত্য সাময়িকীর সব গুণই এর আছে। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন।

১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:১৮

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সহমত। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:২২

ফারহান দাউদ বলেছেন: মায়ে পড়তো রেগুলার। ছোট ছিলাম, আমি মাঝে মাঝে গপ্পোগুলা পড়তাম। এখন আর কিনে না, নিজের তো উৎসাহও নাই। বাংলাদেশে এমনিতে পত্রিকাই চলে না, সাহিত্য সাময়িকী কইরা টিকা প্রায় অসম্ভব, যদিও আপনে ভাল বলতে পারবেন।
আর ব্লগে ফেরত স্বাগতম, আরেকটু বেশি বেশি লেখেন।

১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:২৪

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: বেশি লিখে কী হবে?
আশরাফুলের ওপর ক্ষ্যাপা কমছে?

১৮| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৩২

ফারহান দাউদ বলেছেন: আশরাফুলের উপর খেপা কমতে দেয় নাই আলুর রিপোর্টার, জিম্বাবুয়ের লগে সেন্ঞ্চুরি মারার পরে আস্ত ২ খানা রিপোর্ট করসে আর সেইখানে যেমনে আশরাফুলের মান-অভিমানের গপ্পো লেখলো মনে হইলো বাংলা সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটার লেখছে। কোনদিন দেখা হইলে বইলেন সিনেমার উপরে লেখতে চাইলে আনন্দ পাতায় স্লট নিতে, স্পোর্টস রিপোর্টারের একটু কম মেলোড্রামাটিক হওয়া উচিত।

বেশি লেখলে আমরা একটু বেশি লেখা পাই আর একটু হইচই করবার পারি মন্তব্যের ঘরে, ধইরা নেন পাঠকের লাভ।:)

১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হা হা হা।

১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৫

অদ্রোহ বলেছেন: আহারে দেশ ! পার্থিব আর লোটাকম্বল পড়েছিলাম টানা !মিস করি গৌতম চক্রবর্তীর লেখাও।

১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আসলেই লোটাকম্বল আমার পছন্দ লাগছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.