নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আলাউদ্দিন আল-মাহদী a.k.a Mahdi Mehedi, একজন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার এবং উদ্যোক্তা। ২ বছর এর বেশি সময় ধরে অনলাইন মার্কেটিং পেশার সাথে জড়িত। বর্তমানে ডেভসটিম ইন্সটিটিউটে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছি পাশাপাশি নিজস্ব অনলাইন বিজনেস পরিচ

Mahdi Mehedi

mahdi0907

আমি আলাউদ্দিন আল-মাহদী a.k.a Mahdi Mehedi, একজন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার এবং উদ্যোক্তা। ২ বছর এর বেশি সময় ধরে অনলাইন মার্কেটিং পেশার সাথে জড়িত। বর্তমানে ডেভসটিম ইন্সটিটিউটে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছি পাশাপাশি নিজস্ব অনলাইন বিজনেস পরিচালনা করছি। মাঝে মাঝে শখের বশে লেখালেখি করি বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর লিখতে ভালবাসি এবং চেষ্টা করি তথ্যবহুল লেখা পাঠকদের উপহার দেওয়ার।

mahdi0907 › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলায় অনূদিত বিদেশী ছোট গল্প - "অনূপ্রেরনার গল্প" - পর্বঃ ২

২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

গল্পটি জিম এবং স্টিউ নামের দুজন অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুজনকেই একই রুমে এডমিট করে।জীমের বেডটি ছিল জানালার একেবারে কাছাকাছি আর স্টিউ এর বেডটি ছিল জীমের ঠিক পেছনে। কেউ কারো চেনা পরিচিত না হলেও একই রুমে থাকার সুবাদে দুজনের মধ্যে একটা সময় ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই ব্যক্তিগত জীবনের স্মৃতিগুলো নিয়ে তারা একে অন্যের সাথে গল্পে মেতে উঠতো।

জীম প্রত্যেক বিকেলে বেডে উঠে বসতো আর জানালার দিকে তাকিয়ে বাহিরের মনোরম দৃশ্যগুলো দেখে স্টিউ এর কাছে বর্ননা করতো। যেহেতু স্টিউ জানালার ওপাশের দৃশ্যগুলো দেখতে পারতো না তাই সে জীমের বর্ননাগুলো মন দিয়ে শুনতো আর চোখ বন্ধ করে সেগুলো কল্পনা করতো। এভাবে করেই সেই হাসপাতালে তাদের দিন, সপ্তাহ এবং মাস পেরিয়ে গেল।

কোন এক সকালে হাসপাতালের নার্স তাদের দুজনের গোসলের জন্য পানি আনতে গিয়ে দেখে জীমের নিথর দেহ বেডে পড়ে আছে। ঘুমন্ত অবস্থায় জীমের মৃত্যু ঘটে। নার্স সাথে সাথে হাসপাতালের এটেন্ডেন্টকে কল করে মৃত দেহটা সরিয়ে ফেলতে বলে। জীম যেহেতু মারা গিয়েছে সেহেতু ঐ বেডটা খালি পড়ে থাকলো। স্টিউ নার্সকে অনুরোধ করলো যদি সম্ভব হয় তাকে যেন ঐ বেডে ট্রান্সফার করা হয়। নার্স খুশি মনে তাকে জীমের বেডটাতে ট্রান্সফার করে দিল। স্টিউ ওই বেডে যাওয়ার পর উৎসাহিত হয়ে জানালার ফাক গলে দেখতে চাইলো জীম তাকে যা যা বর্ননা করেছিল সেগুলো। কিন্তু হায় একি ওখানে তো একটা সাদা দেয়াল! বাইরের কোন কিছুই তো দেখা যায় না। স্টিউ নার্সকে জিজ্ঞেস করলো জানালার ওপাশে যেহেতু একটা দেয়াল ছাড়া আর কিছুই নেই তবে জীম তাকে কীভাবে বাইরের মনোরম পরিবেশ নিয়ে এতো সুন্দর সুন্দর বর্ননা করলো। প্রতিত্তুরে নার্স স্টিউকে বলল জীম ছিল টোটালি অন্ধ। সুতরাং জানালার ওপাশে যে কোন দেয়াল আছে সেটাও সে দেখতে পেতো না। হয়তো জীম ওভাবে বর্ননা করেছিল এই কারনে যে সে চেয়েছিল স্টিউ এর মনের ভিতর একটা উদ্দীপনা, একটা আশার আলো যাতে জেগে উঠে।

#মোরালঃ কাউকে সুখী করার মধ্যে অনেক বেশি সুখ নিহিত রয়েছে এমনকি আপনি যে অবস্থায় থাকুন না কেন। কারো সাথে দুঃখ ভাগভাগি করলে হয়তো অর্ধেক দুঃখ প্রশমিত হতে পারে কিন্তু সুখটাকে যখন শেয়ার করা হয় তখন সেই সুখটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যদি আপনি নিজেকে ধনী মনে করতে চান তবে লাইফের এমন বিষয়গুলোকে কাউন্ট করুন যেগুলোকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।

“মনে রাখবেন আজকের দিনটি আপনার জন্য স্রষ্টার একটি উপহার যাকে আমরা বর্তমান বলে ডাকি।“

অনুবাদ ও সংকলনঃ: আল-মাহদী, ব্লগার এন্ড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১২

মেহেদী হাসান নাইস বলেছেন: Click This Link
এড করলে খুসি হব.।.।। আপনার সাথে কথা বলতাম

২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

mahdi0907 বলেছেন: অবশ্যই :)

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৩

সুমন কর বলেছেন: গল্পের অন্ত:স্থ বিষয়টি ভালো।

ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.