নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

mahe6765

mahe6765 › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাফল্যের সোজা পথ

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৬

~ ফেলটু, গবেট বনাম মেধাবী, প্রতিভাবান - এর

কোনটা আপনি? ~

ছেলেটা ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিলো। একবার

না, চার চার বার! শ খানেক বছর আগে জিপিএ

সিস্টেম ছিলোনা। পাশ ফেলের ব্যাপার ছিলো।

আর এই চার বারই ছেলেটা ১ সাবজেক্ট বাদে সব

বিষয়েই ফেল করলো।

তাকে কী বলা যায়? গাধা? রামগাধা? গবেট?

কিন্তু, ছেলেটা ১ বিষয়ে তো ঠিকই পাস

করেছে প্রতিবারেই।

৩ ঘণ্টার পরীক্ষাটা প্রতিবারেই ৩০

মিনিটে শেষ করে এসেছে। খটোমটো সেই

বিষয়ে বাকি অধিকাংশ ছাত্রই ফেল করে বসে,

কিন্তু এই ছেলেটা? প্রতিবারেই ১০০ তে ১০০

পেয়েছে।

এবার তাকে কী বলবেন?

বিষয়টা কী ছিলো?

বিষয়টা ছিলো - গণিত।

আর অন্য সব বিষয়ে ফেল করা, কিন্তু

গণিতে ১০০তে ১০০ পাওয়া ছেলেটার নাম?

শ্রীনিবাস রামানুজান।

গত কয়েকশ বছরের সেরা গণিতজ্ঞদের তালিকায়

প্রথম ১০ জনের মধ্যেই অসাধারণ প্রতিভাধর

রামানুজান আছেন, যাঁকে কেউ অংক

করা শেখায়নি।

বরং নিজে নিজে নিউজপ্রিন্টের

ছেড়া কাগজে অংক করতে করতে অনেক কিছু বের

করেছিলেন, আবার করেছিলেন সংখ্যাতত্ত্বের

অভিনব সব আবিষ্কার। খুব অল্প

বয়সে মারা যাবার সময়ে যেসব নোটবই

ভর্তি গণিতের আঁকিবুকি রেখে গেছিলেন,

এখনো ১০০ বছর পরেও

সেগুলা থেকে বেরুচ্ছে গণিতের নতুন নতুন সব

জিনিষ।

কিন্তু এই প্রতিভাধর রামানুজান ফেলটু ছাত্র

ছিলেন।

তা জেনে আপনার কী লাভ?

লাভটা এটাই, পরীক্ষায় ফল খারাপ হলেই গবেট

হয়না, ফেলটু হয়না, "খারাপ" ছাত্র হয়না,

সেটা বোঝা।

শতাব্দীর সহস্রাব্দীর সেরা প্রতিভা রামানুজান

যদি পছন্দের বিষয় বাদে অন্য সব বিষয়ে ফেল

করেন, তাহলে সেটা থেকে কী বোঝা যায়?

বোঝা যায় এটাই, প্রত্যেকের পছন্দের বিষয় আছে।

ক্যারিয়ার, জীবন, সবকিছুর ক্ষেত্রেই পছন্দের

বিষয়ে কাজ করার দরকার আছে।

মিঃ বিন খ্যাত রোয়ান এটকিনসনকে চেনেন তো?

তিনি কিন্তু অক্সফোর্ড

ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা একজন

ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে জীবন

কাটালে হয়তো মামুলি একজন হয়েই থাকতেন,

কিন্তু তাঁর পছন্দ, প্যাশন যেখানে, সেই

কৌতুকাভিনয়েই তিনি জয় করেছেন সবার মন।

তো? আয়নায় দেখুন নিজেকে, এখনি।

আপনার পছন্দ কোনখানে? ফালতু মরীচিকার

পিছনে সময় দিয়ে লাভটা কী?

রামানুজনকে মেরে ধরে ইন্টারমিডিয়েট পাস

করিয়ে ফেলা হয়তো এক সময় যেতো।

সেটা করে কেরানীর চাকুরিতে কাটাতে পারতেন

সারাজীবন। অথবা ইঞ্জিনিয়ার বীন সাহেব।

কিন্তু সেটা না করে পছন্দের, হৃদয়ের কাছের

বিষয়ের দিকে গেছেন বলেই জীবনটা তাঁদের

হয়েছে অসাধারণ।

আর দেরি কেনো? এখনি চিন্তা করুন, আপনার

পছন্দ কোনখানে? মন যেখানে, হৃদয় যেখানে,

আত্মাও সেখানে, এমন বিষয়ে আপনার সাফল্য

ঠেকাবে কে? কেউ না!

তাই পছন্দের কাজটা খুঁজে নিন স্টিভ জবসের

মতোই, আর এগিয়ে যান সাফল্যের পানে।



এটা আমার প্রথম ব্লগ পোস্ট।। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.